আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী জালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক  রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-২

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

উল্লেখ্য, আমিরুল মু’মিনীন, মুজাহিদে আযম, আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে অপবাদ আরোপকারী গুমরাহ লানতপ্রাপ্ত জাহান্নামী ফিরকা রেজাখানীদের চরম  আপত্তিকর কুফরীমূলক বক্তব্যের বিপরীতে দাঁতভাঙ্গা জবাব হিসেবে সর্বপ্রথম তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ এ ভুমিকা হিসেবে যা লিখা হয়েছিলো তা বিশেষভাবে প্রনিধানযোগ্য। সেখানে বলা হয়েছে- “এই উপমহাদেশের কেবলমাত্র একটি সংখ্যলঘু জামায়াত, গুটি কতক ইউরোপীয় খৃষ্টান লেখক এবং কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ ও তাসাউফের ইলমে অন্তঃসারশূন্য কিছু সাধারণ মানুষ ব্যতীত আর কেউ এ কথায় বিশ্বাসী নয়”। অর্থাৎ বাতিল গুমরাহ রেজাখান ও তার কতিপয় বিভ্রান্ত অনুসারী, কাট্টা কাফির খৃষ্টান গং এবং ওহাবী ব্যতীত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের হক্কানী রব্বানী ওলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের একজনও আমীরুল মু’মিনীন, মুজাহিদে আযম, শহীদে আযম, আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে বিন্দুমাত্র চু-চেরা, কিল-কাল বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেননি। আর করার তো কোন প্রশ্নই আসেনা। কারণ এই উপমহাদেশে পরবর্তীতে কোন ঈমানদার মায়ের রেহেম শরীফ এ যেই মক্ববুল খাছ ওলীআল্লাহই তাশরীফ এনেছেন তিনি আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার আজিমুশ্বান সিলসিলায় যেকোনভাবেই হোক সম্পৃক্ত হয়েছেন বা থেকেছেন। সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী! সাথে সাথে এটাও বলতে হয়, কাবিলের বিভ্রান্তির জন্য যেমন হযরত আদম আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম উনাকে দোষারোপ করা যাবেনা, কেনানের বিভ্রান্তির জন্য যেমন হযরত নূহ আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম উনাকে দোষারোপ করা যাবেনা তদ্রুপ আমীরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার আজিমুশ্বান সিলসিলার দাবীদার হয়েও যদি কেউ বিভ্রান্ত হয়ে যায় তবে তার জন্য কোনভাবেই ওলীয়ে মাদারজাত,আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনাকে দোষারোপ বা অপবাদ দেয়া যাবেনা। এটাই হচ্ছে হক্ব ছহীহ এবং শরীয়তসম্মত কথা। এখন তাহলে কিসের ভিত্তিতে এবং কী কারণে, কোন অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে গুমরাহ লানতপ্রাপ্ত, সুন্নী নামের কলংক রেজাখানী গং উনার শানে এমন মিথ্যা অপবাদ আরোপ করছে, মিথ্যা তোহমত দিচ্ছে সেটা মূলত; তাদের নাপাক লেখাতেই ফুটে উঠেছে। যেমন তারা প্রথমেই লিখেছে- “একটি ঐতিহাসিক সত্য; এ উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমদ বেরলভী”, নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক! এটা যে কত্ত বড় মিথ্যা অপবাদ সেটা একটু পর্যালোচনা করে দেখবো আদৌ উনি বা উনার সিলসিলার মাশায়িখে আজমাঈন উনারা ওহাবী মতবাদের সাথে একমত কি-না! যেমন- ওহাবীদের একটি অন্যতম মতবাদ হলো, তারা তাসাউফের মূলধারা পীর মুর্শিদী সিলসিলায় মোটেও বিশ্বাসী নয়, এটাকে তারা কুফরী শিরকী কর্মকান্ড বলে অপপ্রচার করে। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক! অথচ আমীরুল মু’মিনীন আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রধান তরীকতের তথা তাসাউফের  সিলসিলার প্রধান ধারক বাহক। উনাকে পীর কিবলা বা মুর্শিদ কিবলা মেনে শুধুমাত্র তৎকালীন সময়েই প্রায় ৩০ লক্ষ মুমিন মুসলমান উনার হস্ত মুবারকে মুরীদ হয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! কমপক্ষে ৪০ হাজার বিধর্মী উনার দাওয়াতী ডাকে সাড়া দিয়ে উনার নিকট মুসলমানিত্বের দীক্ষা নিয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহান খলীফাগণ উনার আজিমুশ্বান সিলসিলার তাসাউফের খানকাসমূহ শুধুমাত্র পাক ভারতীয় উপমহাদেশেই নয় সূদূর হারামাঈন শরীফাইন, মিশর, আফগানিস্তান প্রভৃতি স্থানেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! দ্বীন ইসলাম এর পীর-মুর্শিদীর ছহীহ ধারা যমীনে অব্যহত রাখার ক্ষেত্রে উনার যেসকল সুমহান খলীফা অনন্য অবদান রেখে মাশহুর হয়েছেন উনাদের সংখ্যা অসংখ্য অগণিত। উনাদের মধ্যে অন্যতম -ইমামুল হুদা হযরত আব্দুল হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি উনার আপন জামাতা ছিলেন, হযরত মাওলানা মিয়াজী নুর মুহম্মদ ঝুনঝুনাবী রহমতুল্লাহি, হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ নেসার আলী তিতুমীর রহমতুল্লাহি, হযরত মাওলানা ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী রহমতুল্লাহি,হযরত মাওলানা শাহ সূফী নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি, হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি, হযরত মাওলানা শায়িখ মুস্তফা মিরদাদ মক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি, হযরত শায়িখ ওমর বিন আব্দুর রসূল মুহাদ্দিছ হানাফী রহমতুল্লাহি উনাদের কে কখন কোথায় ওহাবী মতবাদ প্রচার প্রসার করেছিলেন তার কোন প্রমাণ গুমরাহ বাতিল রেজাখানী গং দিতে পারবে কী? এছাড়া উনাদের শায়িখ আলাইহিস সালাম তিনি যদি ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতাই হবেন তবে সেটাতো সর্বপ্রথম উনার আকাবির খলীফাগনের মাধ্যমেই হতে হবে। অথচ ওহাবীরা যে সমস্ত বাতিল আক্বীদা আমল করে থাকে সেগুলোর একটির সাথেও আমিরূল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার আজিমুশ্বান আকাবির খলীফাগণের একজনও একমত নন। তাহলে কী করে এমন মহা মিথ্যা অপবাদ দেয়া সম্ভব হলো উনার শানে? বিষয়টি সহজভাবে বুঝে ঈমান হিফাজতের জন্য এবং গুমরাহ লা’নতপ্রাপ্ত রেজাখানীদের গোমর ফাঁস করনার্থে আমরা এ উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদী কারা এবং কখন তাদের বাতিল মতবাদ প্রচার প্রসার শুরু হলো সেটা ইতিহাস হতে উল্লেখ করবো। ইনশাআল্লাহ!

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।