যামানাটা আখিরেরও আখির তাই এখন শুধু সুপার মডেল, সুপার স্টার নয়- হচ্ছে সুপার ইমাম নির্বাচন নামক নেকীর ছুরতে শয়তানী প্রতিযোগিতা।

সংখ্যা: ১৯৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আখিরী যামানায় অনেক অবস্থা সম্পর্কে অনেক হাদীছ শরীফ-এ স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণীরূপে এসেছে। যেমন বলা হয়েছে, আখিরী যামানায় মসজিদগুলো হবে নকশাখচিত মনোলোভা সুরম্য অট্টলিকা। কিন্তু সেগুলো হবে আমল শূন্য।

আজ সব মুসলিম দেশেই এর বাস্তব প্রমাণ দেখা যায়। মরক্কোয় সমুদ্রের উপর মনোরম মসজিদ থেকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে কত উচু বহুতল, বহুক্ষেত্রে বিস্তৃত কারুকার্য খচিত মসজিদ রয়েছে তার ইয়াত্তা নেই।

কিন্তু নেই আমল।

নেই মুছল্লী।

নেই খুলুছিয়ত।

আছে রিয়াকার মুয়াজ্জিন

রিয়াকার ইমাম

রিয়াকার খতীব।

এদের সম্পর্কে কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তারা অল্প মূল্যের বিনিময়ে আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ বিক্রি করে থাকে।” এর ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে তারা এমনসব কথা বলবে, যা তোমরা শুননি। তোমাদের বাবা-দাদা চৌদ্দ-পুরুষ শুনেনি।

সত্যিই আমাদের বাপ-দাদা, চৌদ্দ-পুরুষ শুনেনি যে সুপার মডেল, সুপারস্টার, সুপার ইমামেরও প্রতিযোগিতা হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টেলিভিশনে বিভিন্ন ধরণের সুপারস্টার কাস্টিং শো হয়ে থাকে। কেউ হতে চায় গায়িকা, কেউ নায়িকা কেউ সুপার মডেল। আর মালয়েশিয়ায় এবার আয়োজন করা হয়েছে সুপার ইমাম। অনুষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছে ‘ইমাম মুদা।

তথাকথিত ইমাম মুদা অনুষ্ঠানের পুরস্কার হিসেবে বলা হয়েছে, দশ সপ্তাহ যাবৎ ইহুদীদের দ্বারা পরিচালিত মদিনা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম হওয়ার প্রশিক্ষণ এবং তা বৃত্তিসহ

দশ সপ্তাহ যাবৎ শুক্রবার প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি।

মালয়েশিয়ায় সুপার ইমাম শো ‘ইমাম মুদা চালু হয়েছে। দশজন তরুণ অংশগ্রহণ করেছে এই শো-তে। তারা কোরআন তিলাওয়াত করে, দর্শক এবং জুরিমন্ডলীর মন জয় করতে চাচ্ছে। তাহলেই মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম হওয়ার জন্য বৃত্তি পাওয়া যাবে। সবার পরণে কালো পোশাক। সম্পূর্ণ দেহ আবৃত, একেবারে পা পর্যন্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কে টিকে থাকবে বা কে বিদায় নেবে সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দর্শকরা।

সুপার ইমাম ক্যাস্টিং শোতে অংশ নেয়া তরুণরা কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেছে। ইসলাম ধর্মানুযায়ী দাফন-কাফনের সম্পূর্ণ রীতির বিশদ বর্ণনা দিয়েছে। একটি মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে কোন ধরনের পরামর্শ মেয়েটিকে দেয়া প্রয়োজন তাও তারা জানিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে টিভি ক্যামেরার সামনে এসব তরুণকে লাশ পর্যন্ত ধোয়ার নিয়মগুলো দেখাতে হয়েছে। কবর দেয়াও দেখাতে হয়েছে। যখনই কেউ মারা গেছে ডাক পড়েছে এসব তরুণ এবং তাদের সঙ্গে হাজির হয়েছে কাস্টিং শোর ক্যামেরা ক্রু। (সূত্র ইন্টারনেট)

মালয়েশিয়ার ইসলামিক জীবনধারামূলক টেলিভিশন চ্যানেল ‘এস্টে্রা ওয়েসিস’ এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।

তারা যুক্তরাষ্টে্রর ‘আমেরিকান আইডল’ বৃটেনের ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’-এর আদলে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বলাবাহুল্য, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা ইহুদী-খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তাদেরকে যারা অনুসরণ

করবে তারা প্রকাশ্য গুমরাহীতে পতিত হবে।

১০ সপ্তাহের কথিত টানটান উত্তেজনার পর বসে ইমাম মুদা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর। এতে মুহাম্মদ আশরাফ

মোহাম্মদ রিদুয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পবিত্র মক্কা শরীফে বিনামূল্যে হজ করার সুবিধা পাবেন। সৌদি আরবে আল

মদীনা ইউনিভার্সিটিতে বৃত্তি পাবেন। আরও পাবেন মালয়েশিয়ান একটি মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব। বিজয়ী হওয়ার পর তার প্রথম প্রতিক্রিয়া- আমি আনন্দিত। আমার মা-বাবা, স্ত্রী, আমার গ্রামের মানুষ যারা আমাকে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ।

বলাবাহুল্য, উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কথিত ইমামরা সবাই রিয়াকার এবং তাদের উদ্দেশ্য দ্বীন নয় দুনিয়া। তাদের উদ্দেশ্য আল্লাহ পাক নন গায়রুল্লাহ।

তাই চ্যাম্পিয়ন নামধারী রিদওয়ান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যারা তাকে সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়েছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ।

উল্লেখ্য, ইমামতি এতদিন যাবৎ ইমামতির ধারণ ছিল খালিছভাবে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব উনাদের সন্তুষ্টি তথা ছওয়াব হাছিল, আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু এখন ইমামতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হল চাকুরী, বৃত্তি এবং

পুরস্কার। এতদিন ইমামতি নিয়োগ হতো ইলম, আমল এবং তাক্বওয়া দ্বারা।

কিন্তু এ পুরস্কারের দ্বারা ইমামতিতে পর্যবসিত করা হল লৌকিকতা দ্বারা। অভিনয় শিল্পীদের মত তারকা নৈপূণ্য তথা স্মার্টনেস, কণ্ঠস্বর, সুন্দর চেহারা, আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি সব শর্ত-শারায়েত দ্বারা।

তার পাশাপাশি হারাম ছবি দ্বারা। এতে সব কথিত ইমামকেও যেমন টিভির সামনে দাঁড়াতে হয়েছে তেমনি সব দর্শকও টিভি দেখছে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে ছবি তোলা, দেখা হারাম। আর সেই হারামই হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন ইমাম হওয়ার মূল মাধ্যম। অথচ ইমাম হওয়ার যোগ্যতা প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহওয়ালা বা আলিমগণের পরিচয় হচ্ছে যারা ঈমান এনেছেন এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন।” (সূরা ইউনুস/৬৩) আরো ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-এর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই আল্লাহ পাককে ভয় করে থাকেন।” আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, “যারা ইল্ম অনুযায়ী আমল করেন তারাই আলিম।  আর দুনিয়ার লোভ অর্থাৎ সম্পদ ও সম্মান হাছিলের আকাঙ্খা আলিমদের অন্তর থেকে ইল্মকে বের করে দেয়।” (দারীমি, মিশকাত)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশিষ্ট তাবিয়ী, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হক্কানী-রব্বানী আলিমের পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

ফক্বীহ বা আলিম হলেন, ঐ ব্যক্তি যিনি দুনিয়া হতে বিরাগ, পরকালের প্রতি ঝুঁকে রয়েছেন, গুনাহ্র প্রতি সতর্ক,

আল্লাহ পাক উনার ইবাদতে সর্বদা মশগুল, পরহিযগার বা সুন্নতের পাবন্দ, মুসলমানদের মান-সম্মান নষ্ট করেন না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করেন না এবং তার অধীনস্থদেরকে নছীহত করেন। সে প্রকৃত যোগত্যধারী ইমামের পরিবর্তে আজকের তথাকথিত সুপার ইমামের অবস্থান তাহলে কোথায়? হাদীছ শরীফ-এ এদেরকে সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব তথা উলামায়ে ছূ’ বলা হয়েছে। (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম)

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।