ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতে মুসলমানগণের প্রতি নিরপেক্ষতার পরিবর্তে চলছে চরম নিপীড়ন (!) এদেশের হিন্দুরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে রামরাজত্ব চালাতে চায় কিন্তু ভারতে মুসলমানগণ কতটুকু দলিত-মথিত সে খবর কী তারা রাখে? ভারতে মুসলমানগণের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়াবহতার প্রকৃত খবর ক’জনে রাখে? অথচ মিডিয়ায়ও এসব খবরের সংখ্যা কম নয়। ‘গণকবরে ছেয়ে যাচ্ছে দখলকৃত কাশ্মীর’ দক্ষিণ এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নতুন ‘ফিলিস্তিন’ চলছে নির্বিচারে গণসম্ভ্রমহরণ, অবাধ শিশু হত্যা!

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাশ্মীরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন নতুন মাত্রা পেয়েছে। স্বাধীনতার দাবিতে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্যাগ লাগিয়ে গুলি করে শহীদ করা হচ্ছে!

নারীদের গুম করে নিয়ে সম্ভ্রমহরণ করে ভারতীয় সেনারা। আবার খোলামেলা সবার সামনেই গণসম্ভ্রমহরণ করছে তারা। এটা সেখানে এখন খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইনডিপেন্ডেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৯১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বর্বর, সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা দল কুনান পুশপরা গ্রামে এসে প্রথমে নারী ও পুরুষদের আলাদাভাবে আটক করে। এরপর চৌদ্দ থেকে একশ বছর বয়সের অন্তত তেইশ জন নারীকে তাদের স্বামী, সন্তান বা বাবার সামনে গণসম্ভ্রমহরণ করে। মূলত এটা একদিনের উদাহরণ মাত্র। এরকম ঘটনা কাশ্মীরে হর-হামেশা ঘটছে।

প্রসঙ্গত ২০১০ সালের পয়লা এপ্রিল খোদ জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, নভেম্বর ২০০২ থেকে জুলাই ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বর্বর ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে একান্ন জন নারী সম্ভ্রমহণের অভিযোগ এসেছে। কাশ্মীরের রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন- স্টেট হিউম্যান রাইটস কমিশন (এসএইচআরসি) ২০০৮-২০০৯ বছরে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ৪০৪টা মামলা করেছে। যার মধ্যে ৬টা ধর্ষণ, ৪৩টা নিখোঁজ এবং ৯টা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা। ‘ডেইলি গ্রেটার কাশ্মীর’ ২৯ জুন প্রতিবেদন ছাপে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কাশ্মীরে নিহতের মধ্যে বারো জন ছিল তেরো থেকে ঊনিশ বছর বয়সের। তাদের মধ্যে নয় জনকেই আধা সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। উল্লেখ্য, ধোঁয়া দেখলেই যেমন আগুন বোঝা যায় তেমন খোদ কাশ্মীরী পুলিশ স্বীকৃতির মাধ্যমেই বোঝা যায় তাদের প্রকৃত নির্যাতন নিপীড়নের পরিমাণটা কত বেশি?

এছাড়া পত্রিকার পাতায় যে প্রতিবেদনগুলো ছাপা হয়েছে সেগুলো আসল ঘটনার খুবই সামান্য চিত্র। কারণ কাশ্মীরে বর্বর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অপরাধ করে সে অপরাধ প্রকাশের আলামত ও উপায়ও নষ্ট করে দেয়। একইভাবে মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিকদের উপর সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশে তারা তাদের সুবিধা মতো বহু বিধি নিষেধ আরোপ করে রেখেছে। ফলে সেখানে বর্বর, সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনাদের ভয়ে অত্যাচারিত হয়েও অনেক নিরীহ মানুষ মুখ খুলতে পারে না। যে কারণে গুম-হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা, সম্ভ্রমহরণ এবং অপহরণের খবর অজানাই থেকে যায়।

কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ঠিক কতজন নিরীহ মানুষকে শহীদ করা হয়েছে, কত নারীর সম্ভ্রমহরণ করা হয়েছে, কী পরিমাণ বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কত সংখ্যক মানুষকে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে ফেরত দেয়নি তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। নানা পক্ষ থেকে নানা পরিসংখ্যান দাবি করা হয়েছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার প্রচারণা সংগঠন ‘কাশ্মীর আমেরিকান কাউন্সিল’ও (কেএসি) একটা পরিসংখ্যান করেছে। তাতে তারা দাবি করেছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের গত বিশ বছরে নারী, শিশু ও যুবক মিলিয়ে এক লাখ নিরীহ কাশ্মীরি বর্বর, সন্ত্রাসী ভারতীয় সেনা এবং রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হয়। স্থানীয় এনজিও আইপিটিকের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় বর্বর ভারতীয় সৈন্যদের হাতে নিহতের সংখ্যা সত্তর হাজারেরও বেশি।

কাশ্মীরের জনসংখ্যা এক কোটি দেড় লাখ। কিন্তু শুধু এ সামান্য নিরস্ত্র জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতেই ইনডিয়ান ইউনিয়ন সেখানে আধাসামরিক ও সামরিক বাহিনী মিলিয়ে ১০ লাখ সদস্যের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রেখেছে (!)

কাশ্মীরের স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল অন হিউম্যান রাইটস এন্ড জাস্টিস ইন ইনডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্র্যাড কাশ্মীর (আইপিটিকে) সম্প্রতি কাশ্মীরে দুই হাজার তিনশটা গণকবর খুঁজে পেয়েছে। তারা বলছে, বর্বর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিজস্ব হেফাজত থেকে গুম হয়ে যাওয়া লোকদেরই লাশ রয়েছে এ গণকবরগুলোতে। তাদের দাবি, এ কবরগুলোতে অন্তত দুই হাজার নয়শ তেতাল্লিশ জন নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ আছে।

শ্রীনগরভিত্তিক সংগঠনটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত কাশ্মীরে আট হাজার লোক গুম হয়েছে। বর্বর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে ফেরত দেয়নি। এবং এরপর তাদের আর কোন খোঁজও পাওয়া যায়নি। সংগঠনটি তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখাচ্ছে, উত্তর কাশ্মীরের বান্ডিপুরা, ব্যারামুল্লা ও কুপওয়ারা জেলার পঞ্চান্নটা গ্রামে দুই হাজার সাতশটা অজ্ঞাত ও অশনাক্ত গণকবর আছে। এগুলো শনাক্ত করে লাশ উদ্ধারে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত পরিষদ গঠনে শ্রীনগর সরকার ও দিল্লি সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে আইপিটিকে।

আইপিটিকের আহবায়ক ও ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব ইন্টেগ্রাল স্টাডিজ এর সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যানথ্রোপলজির অধ্যাপক ড. অঙ্গনা চ্যাটার্জি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছি, বিষয়টা কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের থাকা জরুরি।

আইপিটিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে আহবান জানিয়েছে, কাশ্মীরে গত দুই দশকের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করতে। গণকবরের তদন্তের ব্যাপারে তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একই আহবান তারা মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের উপ-পরিষদকেও জানিয়েছে।

কিন্তু আইপিটিকে সক্রিয় হলেও অপরাপর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কাশ্মীর ইস্যুতে খুব বেশি সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে গণকবর ও যুদ্ধাপরাধ তদন্ত সহ কাশ্মীরে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর উপর কোন চাপ তৈরি হচ্ছে না। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯