পাকিস্তানী বুলেট যে জাতিকে পরাস্ত করতে পারেনি সে জাতি আজ অবলীলাক্রমে হিন্দি সংস্কৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করছে! বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে জাতি রাষ্ট্রভাষা অর্জন করেছে সে জাতি আজ নির্লজ্জভাবে হিন্দি আওড়ায়!! এসব কিছুর পেছনে রয়েছে হিন্দু সংস্কৃতি ও চ্যানেলের আগ্রাসন এর প্রতিরোধ হওয়া আবশ্যক।

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাকিস্তানী ঘাতকের বুলেট যে জাতিকে পরাজিত করতে পারেনি, সেই জাতি এখন ভারতীয় সংস্কৃতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। হিন্দির আধিপত্যে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি বিপন্ন হতে চলেছে। পরিবারের ভেতরে ও বাইরে নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে।

আশির দশকে বাংলাদেশী গৃহবধূদের মনোরঞ্জনের জন্য ভিডিও ক্যাসেটে চড়ে এ দেশে ভারতীয় হিন্দি সিনেমার আগমন। এরপর নব্বইয়ের দশকে এসে আকাশ খোলা। তারপর চলমান দশকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের বেড়াজালে আটকে আছে আমাদের সব বয়সী মানুষ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্টারনেটে অন্তত ৫০টি পর্নো সাইট রয়েছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারত থেকে। এখানে নৈতিকতার কোনো বালাই নেই। চটি গল্প নিয়ে যেসব সাইট রয়েছে সেগুলো অসম যৌন অভিজ্ঞতা ও ধর্মে নিষিদ্ধ নারীদের সাথে যৌনাচার সম্পর্কে গল্পে ভরপুর।

সূত্র মতে, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে এ রকম ৮৪টি সাইটের তালিকা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেগুলো বন্ধের অনুরোধ করে। এরপর শুধু বিডি সেক্স ফর ইউ ডট কম দেখা যাচ্ছে না; বাকি সব সাইটই চলছে নির্বিঘেœ। বাংলাদেশী ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যের মেয়েদের পর্নো ছবি নিয়ে গড়ে তোলা ব্লগ দেবনায়ার, সেক্সচুয়াল কার্টুন নিয়ে গড়ে ওঠা সবিতা ভাবী, চটি নিয়ে বিডি সিক্সটিনাইনসহ অন্তত অর্ধশত ওয়েবসাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে পর্নো ছড়ানো হচ্ছে। তা ছাড়া ভারতীয় নায়িকারা যেসব সিনেমায় অভিনয় করেন তার মধ্য থেকে আইটেম সং কেটে ইন্টারনেটে আপলোড করা হচ্ছে। আছে গরম মাসালা নামে একাধিক সাইট। এসবের মধ্যে কোনো কোনো সাইট অবশ্য টাকা খরচ করে দেখতে হয়।

দেশের সাইবার ক্যাফেগুলোয়, মোবাইল ফোনে ও ঘরে ঘরে কম্পিউটারের সুবাদে ব্যবহৃত ইন্টারনেটে এখন পর্নো সাইট সার্চের মাত্রা বেড়ে গেছে। অনেক তরুণ নিজেই উৎসাহী হয়ে চটি গল্প লিখে ইন্টারনেটে ছাড়ছে। হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ সিনেমার সংলাপ ও মিসির আলী চরিত্রের উপন্যাস নকল করে চটি গল্প লিখে নেটে দেয়া হয়েছে।

হালে বাংলা নাটকের নায়িকাদের অশালীন ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ও এসব দেখার প্রবণতাও বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেটে বাংলাদেশ, বাঙালি, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-কেন্দ্রিক যেসব পর্নো সাইট রয়েছে তার প্রায় সবই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ভারত থেকে। এসব দেশকে ঘিরে একটি সাইট নিয়ন্ত্রণ করছে জার্মানি।

এমনকি এসব কারণে এখন হিন্দির কাছে বাংলা ভাষা বিপন্ন। এখন পর্যন্ত এ থেকে সুরক্ষার কোনো ভাবনা সরকারের নেই। ভারতীয় ৪০টির মতো চ্যানেল দেখানো হয় এ দেশে; তার মধ্যে ৩০টিই হিন্দি ভাষায়। শিশুরা যেসব কার্টুন দেখে তাও হিন্দিতে অনুবাদ করা।

অনেক অভিভাবকের ভাষায়, নগরজীবনে যেখানে খোলা মাঠ ইতিহাস হতে চলেছে, বসার বারান্দা যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জায়গা, সেখানে কার্টুন চ্যানেলের বোতাম আটকানো কঠিন।

আর এ সুযোগটাই নিচ্ছেন ভারতীয়রা। এখানে তারা তাদের পদের ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী তুলে ধরার সুযোগ নিচ্ছে। এসব দেখে দেখে বড় হচ্ছে আমাদের শিশু-কিশোরেরা।

দেশের শিশু-কিশোর এবং তরুণী ও গৃহবধূরা হিন্দি ভাষায় চোস্ত কথা বলতে পারেন। এটি হিন্দি চ্যানেল দেখে দেখে শেখা। তরুণী-তরুণেরা যারা এসএমএস করেন বন্ধুদের, তারা এখন প্রায় কথা হিন্দিতে লিখে থাকেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেটেও দেখা যায় হিন্দি ব্যবহার করতে।

মগবাজারের বাসিন্দা জিয়াউল হক বলছেন, তার সন্তান তাকে হিন্দিতে প্রশ্ন করে, হিন্দিতেই জবাব চায়।

মোহাম্মদপুরের গৃহিণী রামিসা বলেন, হিন্দি ভাষা তুলনামূলক সহজ। আমার ভালো লাগে। আমি খুব ভালো হিন্দি বলতে পারি। এতে তিনি দোষের কিছুই দেখেন না।

কিন্তু এভাবে কী বাংলা ভাষা টিকে থাকবে? এমন উত্তরে নিশ্চিত করেই বলা যায়, ভারতীয় চ্যানেলের মাধ্যমে হিন্দি সংস্কৃতির আধিপত্য, এটা বাংলা ভাষাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করছে।

উল্লেখ্য মুসলিম পরিবারের একটা ঐতিহ্য আছে আমাদের। নগরায়নের সাথে ও সংস্কৃতির প্রভাবে এটি বিপন্ন। একক পরিবার গঠনে উদ্যোগী চলমান প্রজন্ম। ভেঙে পড়ছে পারিবারিক শৃঙ্খলা। পার্টি কালচার, বিভিন্ন দিবস উদযাপন এবং তাকে ঘিরে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মধ্য দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেহায়াপনা। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯