‘জাতির জনক’ বলা হবে কিন্তু তার নিষিদ্ধ করা মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ হবে না- ৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলা হবে কিন্তু- ৭২ এর সংবিধানে উল্লিখিত ‘মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ’ পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলা হবে না এসব স্ববিরোধী ও দ্বিমুখী প্রবণতা চলতে পারে না। ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে কোন মতেই মদ চলতে পারে না।

সংখ্যা: ২০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাওয়ার টিলারের যন্ত্রাংশ আমদানির ঘোষণা দিয়ে দুবাই থেকে নিয়ে আসা হয়েছে কনটেইনার ভর্তি বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ। প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকা মূল্যের বিশাল এই চালানটি ১৯.০৪.২০১১ ঈসায়ী মঙ্গলবার বিকালে আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য চালান অহরহ আটক হলেও সেখানে ঘোষিত পণ্য কিছু না কিছু পরিমাণে থাকে। কিন্তু আটক করা মদের চালানে আমদানিকারকের ঘোষিত পণ্য পাওয়ার টিলার যন্ত্রাংশের ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায়নি। শুল্ক কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা বিরল।
ওই দিন বিকালে কমিটির সদস্যরা কনটেইনারটি খুলে পরীক্ষা করেন। এতে পাওয়ার টিলার যন্ত্রাংশের পরিবর্তে ৪৫০টি বড় কার্টনে পাওয়া যায় নানা ব্র্যান্ডের ১০ হাজার ৩৭২ বোতল বিদেশী দামি মদ।
উল্লেখ্য মদের এ বৃহৎ চালান যে শুধু শুধু জালিয়াতির ঘটনা প্রতিভাত করে তাই নয় পাশাপাশি প্রমাণিত করে যে দেশে বরারবই এরূপ মদের বড় বড় চালান আসছে এবং দেশের একটি মহল মদ নিয়ে যথেষ্ট মেতে উঠেছে। এবং তা ক্রমান্বয়ই সমাজে বিস্তার ঘটাচ্ছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
বিদেশী মদের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় প্রায়ই রিপোর্ট হয়। গত কিছুদিন আগেও উক্ত পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল- “রাজধানী ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অনুমোদিত ২৩টি বারের আমদানি লাইসেন্স নেই। তারপরও প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকার বিদেশী মদ-বিয়ার বিক্রির উৎস কি? প্রতিটি বারেই সন্ধ্যার পর উপচেপড়া ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রমরমা এ বার বাণিজ্যে প্রকাশ্যে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের বিদেশী মদ-বিয়ার বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। এতে সরকার প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর সরকারের ফাঁকি দেয়া রাজস্ব লুটপাট করছে বার বাণিজ্যে জড়িতরা। এসব দেখার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে। কিন্তু তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। তাদের প্রকাশ্য শেল্টারে এভাবে প্রতি রাতে অবৈধভাবে বিদেশী মদ-বিয়ার বিক্রি বেপরোয়াভাবে বেড়ে গেলেও দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের মদ-বিয়ার বিক্রি হচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, পত্রিকাটির মালিক নিজেই মদের কারখানার মালিক হওয়ায় দেশী মদ অবাধে বিক্রির পক্ষেই মূলত রিপোর্ট হয়েছে।
প্রদত্ত রিপোর্টে প্রতিভাত হচ্ছে যে, বিদেশী মদ বিক্রীটাই হচ্ছে একমাত্র অপরাধ। কিন্তু দেশী মদ দেদারছে বিক্রি হলেও তাতে অসুবিধা নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। ইসলাম এদেশের রাষ্ট্রধর্ম। মদ ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। এবং ইসলামে কাট্টা হারাম এই অনুভূতিই ৭২ এর সংবিধানে বঙ্গবন্ধু সন্নিবেশ করেছিলেন। আজ ৭২ এর সংবিধানের পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলতে অনেক মহল সোচ্চার। কিন্তু তারা যে অর্থে সোচ্চার তা হলো ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রবর্তনে। কিন্তু ৭২ এর সংবিধানে শুধু ধর্মনিরপেক্ষতারই উল্লেখ ছিলনা। মদ ও জুয়া আক্ষরিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এই নিষিদ্ধ করণের কথা ৭২ এর সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তনকারী কেউ উল্লেখ করছেন না। পাশাপাশি তারা ৭৫ এর পরবর্তী শাসক তথা জিয়াউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানই মদের অনুমতি দিয়েছিল। গত টার্মে মইত্যা রাজাকারও মদের কারখানার অনুমতি দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত তাই প্রশ্ন উঠে জিয়াউর রহমান ও মইত্যা রাজাকারের কঠোর সমালোচনা হবে কিন্তু তাদের করে যাওয়া হারাম কাজ কেন অব্যাহত রাখা হবে?
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ মানা হবে কিন্তু তার নিষিদ্ধ করা মদ ও জুয়াকে না করা হবেনা; তা কেন? এসব কী স্ববিরোধী, দ্বিমুখী প্রবণতা তথা মুনাফিকী নয়? ইসলামে মুনাফিকী ও মদ অত্যন্ত নিকৃষ্ট। এর অবসান অতি জরুরী।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।