আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী। উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক। রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়া উনার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১৩

সংখ্যা: ২১৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! আমরা খুব ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছি যে, গুমরাহ মৃত আহম্মক রেজা পাঠানীর বিদয়াতী অনুসারী রেজাখানী সম্প্রদায় কত নিকৃষ্ট ও কুৎসিতভাবে খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুব খাছ লক্ষ্যস্থল ওলী, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সিতারা, যুগের ইমাম, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শানে মিথ্যা কল্পিত কলঙ্ক লেপন করে, উনাকে ওহাবীদের আমদানিকারক হিসেবে উপস্থাপন করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। এদের উপর খোদা তায়ালা উনার খাছ গযব বর্ষিত হোক। আদতেই এদের উপর খাছ খোদায়ী গযব বর্ষণ শুরু হয়েছে। এসব আলিম নামধারীদের উপর গযব বর্ষণের দৃষ্টান্ত হলো- তাদের অর্জিত ইলিম আমল ছলব হয়ে যাওয়া, আক্বল সমঝ বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। এসব আলিম নামধারীদের অনুসারী তথাকথিত সুন্নী নামধারীদের উপর গযব বর্ষণের আলামত হলো-আমল-আখলাকে সর্বাবস্থায় বিদয়াত-শিরকের অনুসরণ-অনুকরণকারী হয়ে যাওয়া। নাউযুবিল্লাহ!

বলাবাহুল্য যে, বর্তমান সময়ের নামধারী সুন্নী গং যারা পাক ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থান করছে এবং নিজেদেরকে মৃত আহম্মক রেজা পাঠানীর গুমরাহী মসলকের অনুসারী বলে দাবি করছে তাদের সকলের ঈমান-আমল-আক্বীদাতে কঠিন দুর্যোগ নেমে এসেছে। যার কারণে তারা হক্বকে হক্ব হিসেবে, সত্যকে সত্য হিসেবে, মহান সুন্নতকে সুন্নত হিসেবে, হারামকে হারাম হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। আর সে কারণেই এরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের চোখ দিয়ে, বিভ্রান্ত ফাসিক লেখকদের লেখা দিয়ে, সউদী গুমরাহ ওহাবীদের মূল্যায়ন দিয়ে খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মাহবুব ওলী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে পাক ভারতীয় উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের কল্পিত জনক বলে অপপ্রচার করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

সঙ্গত কারণেই আমরা উম্মাহকে সঠিক ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য অবগত করানোর মহান উদ্দেশ্যে এ প্রবন্ধে খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুব খাছ লক্ষ্যস্থল ওলী, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সিতারা, যুগের ইমাম, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ঈমানদীপ্ত অবস্মরণীয় জীবনী মুবারক কিছুটা হলেও ধারাবাহিকভাবে পত্রস্থ করার কোশেশ করবো ইনশাআল্লাহ। খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এ বিষয়ে লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্খী সকলকে সত্য অনুধাবনে, সত্য প্রচারে, সত্য উপলব্ধিকরণে খাছ গায়েবী মদদ করুন- এই কামনা, এই দোয়া, এই আরজি প্রার্থনা করছি। আল্লাহুম্মা আমীন।

সুমহান বিলাদত শরীফ

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুব খাছ  লক্ষ্যস্থল ওলী, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সিতারা, যুগের ইমাম, ত্রয়োদশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ মূলত নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মশহুর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তব প্রতিফলন মাত্র। ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতি হিজরী শতকে আমার উম্মতের মাঝে এমন একজন ব্যক্তিত্বকে প্রেরণ করবেন যিনি দ্বীন ইসলাম উনার তাজদীদ সম্পন্ন করবেন।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ যিনি উম্মাহর মাঝে মুজাদ্দিদ হিসেবে তাশরীফ আনবেন তিনি সমকালীন সকল ফিৎনা ফাসাদ কুফরী শিরকী বিদয়াতী কার্যকলাপকে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে অত্যন্ত মজবুতভাবে মুকাবিলা করে দ্বীন ইসলাম উনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, জমিনে সমুন্নত রাখবেন। মূলত এই মহান নেক খিদমতকে আঞ্জাম দিতেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার অতি প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, রহমতুল্লীল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আযীমুশ শান বংশধারায় ভারতের উত্তর প্রদেশের (সাবেক এলাহাবাদের) রায় বেরেলী জেলার দায়েরায়ে শাহ আলামুল্লাহতে (বর্তমান তাকিয়া নামক স্থানে) ১২০১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস মুতাবিক ১৭৮৬ ঈসায়ী সনের নভেম্বর মাসে যুগের ইমাম, ত্রয়োদশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ! ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই আযীমুশ শান সাইয়্যিদী খান্দানে এমন এক প্রদীপ্ত সূর্যের উদয় হলো যিনি খুব অল্প হায়াত মুবারক-এর জিন্দেগীতেই ভারতীয় উপমহাদেশে “খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ”র আলোকে মুসলিম উম্মাহর হারানো ইসলামী খিলাফতের এমন এক কাঠামো গঠন করেন; যা অতীত এবং পরবর্তী নিকট ইতিহাসেও ছিল অত্যন্ত বিরল এবং বিস্ময়কর একই সাথে ঈমানদীপ্ত ইসলামী ঐতিহ্যর বেমেছাল নমুনাও বটে। সুবহানাল্লাহ!

– মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

প্রকাশ্যে বাহাসের আহবান

আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, শহীদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে ওহাবী বলে অপপ্রচারকারীদেরকে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষণা কেন্দ্র, রাজারবাগ শরীফ হতে শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ্যে বাহাসের আহবান জানানো যাচ্ছে। অপপ্রচারকারীদেরকে প্রকাশ্যে জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে বাহাসের আহবান গ্রহণের জন্য বলা হচ্ছে।

 

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।