আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ.

অর্থ: “যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! নিম্নোক্ত মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই মহাসম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

(১)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আলাদা। মহান আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক উনি আলাদা। উনারা হিসাবের উর্ধ্বে মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা, তারপর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা। উনারা হচ্ছেন মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। ইলম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, যেটাই হোক উনাদের থেকেই বের হবে। পবিত্র নিয়ামত মুবারক প্রকাশ করা উনাদের ইখতিয়ারের মধ্যে। যেমন- একদিন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনি বসা। উনার সাথে ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম। উনি বললেন, তাহলে আমার নিসবত হাছিল করতে হবে না? আমি বললাম, হ্যাঁ; করতে হবে। বললেন, ইলম-কালাম তো আমার থেকে নিতে হবে। আমি বললাম, হ্যাঁ। উনার মাধ্যমে ইলমটা বের হয়েছে। এরপর উনি আমাকে ঈলা, তাখীর, তাহ্রীমের বিষয়গুলো দেখালেন। পুরোপুরি দৃশ্যটা আমাকে দেখালেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সম্মানিত জুমু‘আহ শরীফ উনার সম্মানিত নামায মুবারক পড়িয়ে আসলেন। এসে বললেন যে, উনি এক মাসের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক নিবেন না। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনারা ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি গেলেন, থাকলেন। এক মাস পার হলো। উনি আবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক আনলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি ছিলেন। উনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছিলেন, এক মাস থাকবেন। ২৯ দিন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, চাঁদ উঠে গেছে। পরে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনি আমাকে দেখালেন এবং বললেন যে, এভাবে, এরকম-

৮ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসে তাহ্রীমের ঘটনা সংঘটিত হয়। অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহ্রীম শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত বেমেছাল শান মুবারক সুস্পষ্ট করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

আর ৮ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৩০ তারীখ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ জুমু‘আর নামায উনার পর থেকে ৯ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র মুর্হরমুল হারাম শরীফ উনার ২৯ তারীখ পর্যন্ত এক মাস মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একাকী সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ১লা ছফর শরীফে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেন। যাকে ঈলা বলা হয়ে থাকে। তবে পরবর্তীতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈলার জন্য ৪ মাস নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

তারপর (১লা সফর শরীফের পর) তাখীরের সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই মুনাফিক্বদের চূ-চেরা, ক্বিলও ক্বালের জবাব দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত বেমেছাল শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। সুবহানাল্লাহ!

৯ম হিজরী শরীফ উনার মুর্হরমুল হারাম শরীফ মাসটা ছিলো ২৯শা। এগুলো উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি পুরোটাই আমাকে দেখিয়েছেন এবং জানিয়েছেন। তারপর এই যে তাহরীমের আয়াত শরীফের আগে নাযিল হয়েছে, পরে নাযিল হইছে কতোটুকু, তাখীরের আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। এটা উনি বলছেন। এগুলিতো কোনো কিতাবে নাই। মানুষ অন্য রকম চিন্তা করে। উনি দেখানোর পর দেখলাম যে, মানুষ যে প্রকার বলে, বিষয়টা সে প্রকার না আসলে। উনি বললেন যে, না; এভাবে না। এভাবে নাযিল হয়েছে। তারপর এই ঘটনা। তারপরে এটা নাযিল হয়েছে। এরপর তাখীরের সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনি আমাকে পুরো জিনিসটা স্পষ্ট, একদম যে দৃশ্যটা ওটা দেখালেন এবং বুঝালেন, বললেন। এটা উনারা ছাড়া কিভাবে সম্ভব? এটা মানুষ জানে না যে, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহ্রীম শরীফ কিভাবে নাযিল হয়েছে। কিতাবে লিখে এলোমেলো। আবার তাখীরের আয়াত শরীফ নিয়ে এখতিলাফ রয়েছে কখন নাযিল হয়েছে। কেউ বলে- খন্দকের সময়, কেউ বলে- খায়বরের সময়, মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় ইত্যাদি নানান কিছু বলে। কিন্তু আসল মূল বিষয়টা উনি বললেন যে, আসলে এটা এভাবে হয়েছে। মানুষ জানে না এগুলি। এখন উনারা না বললে তো এটা জানাটা সম্ভব না। এটা আমি দেখলাম যে, এটা কি করে সম্ভব? কিতাব পড়ে কোনো দিন জানা সম্ভব না। আর উনাদের যে খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, উনাদের পবিত্রতা মুবারক মানুষ কিভাবে বুঝবে? এই যে মুর্খ লোকগুলি উনাদের ব্যাপারে চূচেরা-ক্বীলোক্বাল ও মিথ্যা প্রপাকা-া করে। এখন প্রত্যেকটা বিষয় তো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত। বিষয়গুলো উনার মাধ্যমে অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যমে ফায়ছালা করতে হবে। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। উনাদের বাহিরে কিছু নেই- শূন্য। উনাদের থেকে যে সবকিছু যাহির হয়, সেটাই যাহির হলো। ইলম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, যা কিছুই হোক। উনাদের মাধ্যম দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ কিছু করতে পারবে না। এই যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যে বললেন,

لِـىْ وَلَنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِـىْ فِيْهِ مَلَكٌ  مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّرْسَلٌ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার এবং আমাদের এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

অর্থাৎ এটা তো ঠিকই আছে। আমাদের সাথে নূরে মুজাসসাম উনার সাথে নিসবত আছে। কাজেই এখানে অন্য কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। উনাদের যে মাক্বামগুলো এখানে প্রবেশ করার এবং সেখানে যেয়ে বসার কারো কোনো অধিকার নেই। যেতেই তো পারবে না কেউ। ওখান থেকেই তো সব বের হবে, ইলম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, যা কিছুই হোক। ওখান থেকে বের হবে। এই তাহ্রীম, তাখীর, ঈলা বা এগুলোর যে বিস্তারিত বর্ণনা, এগুলো তো এভাবে পৃথিবীর কোনো কিতাবে নেই। কিতাবগুলোতে সব উল্টা, এলোমেলো আর বিচ্ছিন্ন ও কুফরী লেখা। ছোট-বড় সব কিতাবে কুফরী লেখা। তারা প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এগুলো বিশ্বাস করলে, কারো ঈমান থাকবে না। আসলে উনাদের ছাড়া তো ইলম পাওয়া যাবে না। সেটাই বললাম যে, বাত্বিনী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত মূল বিষয় হলো সেটা।” (সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

(২)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এখন যিকির-ফিকির করতে করতে যাহিরী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত সেটা একটা। এটা নফসটাকে বা সব নিয়োন্ত্রনের জন্য। এরপরে বাত্বিনী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করা। এটা হলো যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করে যখন হুযূরী হাক্বীক্বী হবে, দায়িমী হুযূরী, তখন গিয়ে সে ঐ বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করবে। তাছাড়া পারবে না তো। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে হলে দায়িমী ছোহবত ইখতিয়ার করা দরকার। দায়িমী ছোহবত ইখতিয়ার করবে, ইছলাহ্ না হলে করবে কিভাবে? তাহলে যাহিরী যখন রিয়াযাত-মাশাক্কাত সে পূর্ণতায় পৌঁছলো, তখন তার পক্ষে বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করা সহজ। এখন আসলে মানুষ এই জিনিসটা বুঝে না। যার জন্য ঐ তর্য-তরীক্বাহ্ তারা করতে না পারার কারণে ঐখানে তারা পৌঁছতে পারেনি। এখন যাহিরী ইছলাহ্ই হলো না, তাহলে বাত্বিনী ইছলাহ্ হবে কবে? এটা তো ফিকির করতে হবে। এখন আমাদের বলার তো আমরা অনেক বলি, সবই বলে দিচ্ছি, কোনো কিছু বাদ দেওয়া হয় না। তোমরা যতটুকু বুঝো। যার যার বুঝ অনুযায়ী সে কাজ করবে। আর তাও না বুঝলে যদি রেকর্ড থাকে, বার বার শুনুক। শুনতে শুনতে হয়তো কিছুটা বুঝতেও পারে। কারণ রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ তো আলাদা জিনিস। এখন নিসবত-কুরবতের সাথে সম্পৃক্ত, মুহব্বতের সাথে সম্পর্ক। আর যেখানে সাধারণভাবে যেটা বুঝার জন্য দুনিয়াদারদের উদাহরণ মেছাল দেই। যেন বুঝা যায়। একটা কোটিপতির সাথে, ১০ টাকার মালিকের মুহব্বত হয় না। এটা সাধারণ বিষয়। সে ঈমানদার হোক আর কাফের হোক, যেটাই হোক। এটা যদি এরকম হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মুহব্বত করবে কে? সারা দিন দুনিয়া দুনিয়া করে মুহব্বত হবে? তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওখানে পৌঁছার জন্য তার একটা মিনিমাম যোগ্যতা প্রয়োজন। সেটা অর্জন করতে হবে। একটা বিশেষ জায়গায় যেতে হলে, বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। তা সেই বিশেষ ব্যবস্থাটা কোথায়? যিকির নাই, ফিকির নাই, ক্বলব জারি নাই। তাহলে কিভাবে হবে? ক্বলব জারি করতে হবে। এখন আমরা যেগুলি বলি, এগুলি তো মানুষ বুঝে না। এখন এতো নিসবত-কুরবত, এতো তাছাউফ-বেলায়াত, নুবুওয়াত-রেসালত, নিসবত-কুরবত, বেলায়াতের বেষ্টনী। এটা মানুষ বুঝবে কিভাবে? কতটুকু বুঝবে?”

সুওয়ালকারী: মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গতকাল কিছু বিষয় বলেছিলেন।

জওয়াবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “গতকাল অনেক কিছুই বলা হয়েছিলো। কি হয়েছে?”

সুওয়ালকারী: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়ে ..

জওয়াবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “এটা হচ্ছে- মূল যে বিষয়টা আমি বলেছিলাম। যে, মূল। এখন তো মুত্বহ্হার-মুত্বহ্হির বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা উপরে তো আছেনই। এটা আলাদা। নিচেও আছেন। মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারা যেহেতু হিসাবের মধ্যে না অর্থাৎ হিসাবের বা গণনার উর্দ্ধে। এরপরে হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ২ জন। এরপরে হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন। এরপরে হচ্ছেন হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন। এটা হচ্ছে একটা বিশেষ বেষ্টনী বা বৃত্ত, এর মধ্যে উনারা মূল এই ২৩ জন। এখন উপরে উঠছেন, নিচে নামছেন, ডানে-বামে গেছেন। মূল হচ্ছেন উনারা এই ২৩ জন। আল-আওলাদ তো নিচের দিকে। উনার মধ্যে প্রত্যেকের মূলটা তো আছেই। প্রত্যেকের আবার শাখা নেমেছে। ওখান থেকে নেমেছে। এটা সব মিলে অনেক বড় একটা বেষ্টনী। সাধারণভাবে বলা হয় যে, প্রত্যেক ওলী আল্লাহ উনার বেলায়াত রয়েছে। বেলায়াত একটা রাজত্ব। ওলী আল্লাহ উনার অবস্থা অনুযায়ী হয়ে থাকে। কারো ছোট রাজত্ব, কারো বড় রাজত্ব। আর এই বেষ্টনী হলো- ত্বহারাত, ছমাদিয়াতের বেষ্টনী। এটা মোটামোটি অনেক বড়। উনারা সবাই এটার মধ্যে সম্পৃক্ত। যেমন- হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা’ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অবস্থান। এই যে নেমেছেন এইটা একটা বেষ্টনী। প্রত্যেকের আলাদা। মূলটা ঐখানে, এরপর নেমেছেন। এটা আবার মিলে একটা বড় বেষ্টনী। আবার উপরের দিকে গেলে, উপরে গেছে এটা আলাদা। উপরে মানে ঐ উপরে না, সাইড দিয়া উপরে গেছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে তো কেউ উপরে যেতে পারবে না। ডানে-বামে যাবে।”

সুওয়ালকারীর জাওয়াবে- “এটা এই দেখো- এরকম। এখানে মহান আল্লাহ পাক উনি, এরপর (একটু নীচে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি, এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ২ জন। এরপরে দুইজনের নিচে হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন। এরপরে (উনাদের নীচে হলেন) হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন এরকম। বুঝেছো? বুঝতে পেরেছো এখন? কিভাবে? কি বুঝলে? (আরো স্পষ্ট করে বললেন,) এটা এরকম- মহান আল্লাহ পাক উনি এখানে ধরলাম। এরপর (একটু নীচে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখানে, এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ২ জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ডানে বামে উনারা ২ জন (কাঁধ মুবারক বরাবর)। এরপর (উনাদের একটু নীচে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন, এরপরে (উনাদের নীচে) হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন। এই পুরাটা একটা বেষ্টনী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা একটা বেষ্টনী। এরপরে এখান থেকে অর্থাৎ উনাদের থেকে নেমেছে। এটা খাছ একটা বিষয়। এরপরে ত্বহারাত-ছমাদিয়াতের মাক্বামটা আরো অনেক প্রসারিত, বড়, অবস্থা অনুযায়ী। এখন এই ত্বহারাত-ছমাদিয়াতের মাক্বামেই তো মানুষ ঢুকতে পারে না, ঐটাতে (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক-এ) ঢুকবে কিভাবে? ঐটা কিন্তু গত জুমার দিন (১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৩শে যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ শরীফ, আনুষ্ঠানিকভাবে) আমার জন্য খুলে দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ওখানে ঢুকতে পারে না কেউ। ওটা (নীচেরটা) তো খুলছেন আগেই, প্রবেশ করতে দিয়েছেন। গত জুমার দিন ওখানেও (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের বেষ্টনী মুবারকেও আনুষ্ঠানিকভাবে) প্রবেশ করার অনুমতি দান করেছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)”

সুওয়ালকারী: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তো সমস্ত কিছু হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক হয়েছে এবং দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করা হয়েছে। তারপরেও উম্মতকে তা’লীম দেয়ার জন্য তিনি সম্মানিত হেরা গুহায় তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন এবং দুনিয়াবী দৃষ্টিতে ৪০ বৎসর বয়স মুবারক-এ আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তো আগে থেকেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন। তিনি তো সৃষ্টির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। কিন্তু মি’রাজ শরীফ-এ আনুষ্ঠানিকভাবে দেখানো হয়েছে। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টা তো এরকমই।

জবাবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হ্যাঁ। এরকমই। একবারে বললে তো মানুষ বুঝবে না। কুরআন শরীফ ২৩ বছরে নাযিল হয়েছে। একদিনে তো নাযিল হলে বুঝবে না।”

সুওয়ালকারী: মামদূহজী তো সৃষ্টির শুরুতেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকেবেন। যেমন- মামদূহজী বলেছিলেন যে, জান্নাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা নতুন না, আগের থেকে আমরা এখানে আছি, উনার সাথে অবস্থান করতেছি। সুবহানাল্লাহ! ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

জবাবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন : “হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। ছিলাম, আছি, থাকবো।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

সুওয়ালকারী: তাহলে মামদূহজী তো সৃষ্টির শুরুতেই (মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের বেষ্টনী মুবারক-এ ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সেটা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

জবাবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন : “হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে। পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে, একবারে তো না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

(৩)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “(০৬ই ছফর শরীফ ইয়াওমুল খ্বমীস শরীফ দিনে) উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বললেন, মানুষ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে-

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এই অর্থটা সঠিক না। এটা অর্ধেক অর্থ করা হয়। এই অর্থটা ভুল। সঠিক অর্থ হবে,

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

এখানে যখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, তখন সাথে সাথে আমি দেখলাম, প্রথমে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সমর্থন করে বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। উনার পরে সমস্ত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমর্থন করে বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। উনাদের পরে হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সকলে এটা সম্মতি মুবারক প্রকাশ করলেন। এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হ্যাঁ। এটাই সঠিক। এটাই অর্থ করতে হবে। এবং দেখলাম, যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও এই কথাই বললেন, হ্যাঁ। এটাই সঠিক। এটাই অর্থ করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেছিলাম, যেটা আমি সেদিন অর্থাৎ ৭ই ছফর লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ তোমাদেরকে বলিনি। তখন আমি বলেছিলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) নিয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) রাখলেন। রাখার পর যখন আমি বললাম, আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে যেতে হবে। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আপনাকে ছাড়া জুদা হতে পারি না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক) উনার কাছে আমাকে পৌঁছালেন, উনিসহ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) আমি, আর উনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ)। অনেকক্ষণ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৪৮ ঘন্টা এই অবস্থা বা হাল ছিল।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “(১২ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ ১৪৪০ হিজরী শরীফ-এ) আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো মুহব্বত-মা’রিফত দান করুন। উনি তো অনেককে অনেকের কাছে পাঠিয়েছেন। আমাকে উনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিনা মুবারক-এ) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) ঠেকায় দিলেন। যে আরো মুহব্বত-মা’রিফত দেওয়া হবে। ধরে রাখলেন।” (সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “(০৬ই ছফর শরীফ ইয়াওমুল খ্বমীস শরীফ দিনে) আমি বলেছিলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। (তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিন্তু আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অন্য কারো কাছে পাঠাননি; বরং) তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নিয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) রাখলেন।

রাখার পর যখন আমি বললাম, আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে যেতে হবে। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আপনাকে ছাড়া জুদা হতে পারি না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক) উনার কাছে আমাকে পৌঁছালেন, উনিসহ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) আমি, আর উনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ)। অনেকক্ষণ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৪৮ ঘন্টা এই অবস্থা বা হাল ছিল।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে এখান থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুফতী মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন ইবনে ছিদ্দীক্ব।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম