ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৫

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ

ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৫

(বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)


খারিজীদের সাথে মুনাযারা বা বাহাস

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খারিজীদের প্রতিউত্তরে বলেন, আমি তাদের ক্ষেত্রে একথাই বলবো যা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এদের চেয়েও আরো বড় গুনাহগারদের ক্ষেত্রে বলেছেন-

إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ. وَان تَغْفِرْ لَهُمْ فَانَّكَ انتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

অর্থ: (আয় বারে ইলাহী) আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করেন তবে তো আপনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৮)

তিনি তাদেরকে আরো বলেন, জেনে রাখো, জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্প্রদায় বলেছিল-

انؤمن لك واتبعك الارذلون

অর্থ: “আমরা কি আপনার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবো, অথচ নীচু শ্রেণীর লোকেরা আপনার অনুসরণ করেন?” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১১)

তার প্রতিউত্তরে তিনি  তাদেরকে বলেছিলেন-

وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ. انْ حِسَابُهُمْ الَّا عَلى رَبِّى لَوْ تَشْعُرُونَ. وَمَا انَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ

অর্থ: “তারা কি করে তা আমার জানার বিষয় না। তাদের হিসাব নিকাশের ভার আমার মহান রব তায়ালা উনার উপরই ন্যাস্ত, বিষয়টি যদি তোমরা বুঝতে। আর মু’মিনগণকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়।”  (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১২-১১৪)

তিনি আরো বলেন, আমি জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কথা মুবারকই পুনরাবৃত্তি করবো-

ولا اقول للذين تزدرى اعينكم لن يؤتيهم الله خيرا. الله اعلم بما فى انفسهم انى اذا لـمن الظالمين.

অর্থ: “তোমাদের দৃষ্টিতে যারা হীন তাদের সম্পর্কে আমি বলবো না যে, মহান আল্লাহ পাক কখনোই তাদেরকে কল্যাণ (ছওয়াব) দান করবেন না। তাদের অন্তরে যা আছে তা মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। এরূপ বললে আমাকে যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।” (পবিত্র সূরা হুদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

খারিজীরা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অত্যন্ত হিকমতপুর্ণ জাওয়াব শুনে লা জাওয়াব (নিশ্চুপ) হয়ে গেল। (মানাকিবে ইমামে আ’যম- ১/১২৪, ইমাম আবু হানীফাহ- ২৪)

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকীমুল হাদীছ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন বেমেছাল ইলমে লাদুন্নী মুবারকের অধিকারী। পৃথিবীর এমন কোন লোক ছিলো না যে, উনার সাথে মুনাযারা বা বাহাস করে বিজয় লাভ করতে পেরেছে। সকলেই উনার কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। সকলের সমস্ত ইলিম উনার ইলিমের কাছে নিষ্প্রভ হয়েছে। লাইস ইবনে সা’দ নামীয় এক ব্যক্তি সবসময় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতেন। স্বয়ং তিনিই বলেছেন, একদিন আমি ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাক্ষাতে মিলিত হতে চাইলাম। আমি দেখলাম অনেক লোক উনাকে ঘিরে রেখেছেন। উনারা সবাই উনাকে বিভিন্ন মাসয়ালা-মাসায়িল জিজ্ঞাসা করছেন। আর তিনি তার জাওয়াব দিয়ে যাচ্ছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি উনার জাওয়াব দানের বিষয়টির চেয়ে দ্রƒততায় বেশী আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। মুকাবিলাকারীদেরকে লা-জাওয়াব করার ইলিম ও হিকমত তিনি পুরো পুরি আয়ত্ব করেছেন। এক, দুই কথায় প্রতিপক্ষকে নির্বাক করে দিতে পারেন।

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩১

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৬

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৮

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৩ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)