মরণঘাতী ইয়াবায় ভেসে যাচ্ছে দেশ ॥ এমপি, ক্ষমতাসীন রাজনীতিক তথা প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশ সয়লাব ইয়াবায় ॥ প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত ও সক্রিয় হলে সহজেই দেশকে ইয়াবামুক্ত করা সম্ভব।

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাদক দ্রব্যের ক্রমবিকাশে বর্তমানে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী এমনকি স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও এ মরণনেশায় ঝুঁকে পড়ছে। এ নেশায় আসক্ত হয়ে খুন, ছিনতাই, অস্ত্র ব্যবসাসহ একের পর এক নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত করছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীসহ সারা দেশে অনেক আগে থেকেই ইয়াবার দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গেলেও কিছু অতিলোভী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসৎ সদস্যের কারণে দিন দিন এটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মায়ানমার থেকে ইয়াবার আমদানি। এমনকি অধিক লাভের আশায় কিছু অতি প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দেশেই গড়ে তুলেছে ইয়াবার কারখানা। এই ভয়াবহ মাদক ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে-কানাচে। বর্তমানে ইয়াবার নেশা এমন রূপ ধারণ করেছে যে, স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পুলিশ, উকিল, সাংবাদিক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িয়ে পড়েছে এতে। এ মরণঘাতী নেশাজাত দ্রব্যটি বাজারজাতে ঢাকাসহ দেশজুড়ে গড়ে উঠেছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বিশাল ইয়াবা চক্র। প্রশাসনিক ক্ষমতা আর মাদকের অর্থে পরিচালিত এ ইয়াবা চক্রের প্রতাপ আকাশছোঁয়া। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিআইপিদের জড়িত থাকার কথাটি প্রকাশ পেলেও থেমে নেই তাদের দৌরাত্ম্য। তাদের ক্ষমতা এতটাই যে, প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের ভেতরেই ইয়াবা কারখানা স্থাপন করেছে ও তা বাজারজাত করছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের পর দেশে ইয়াবার পরিমাণ ২২৭গুণ বেড়েছে। দিন দিন এই সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, সব সংস্থা মিলে ২০১৪ সালে ১ কোটি ৬৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে, ২০১৫ সালে উদ্ধার করা হয় ২ কোটি ২৬ লাখ এবং ২০১৬ সালের প্রথম ৪ মাসেই উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দেড় ১ কোটি পিস ইয়াবা। এছাড়া ২০১৫ সালে মোট মাদক মামলা হয়েছে ৫৭ হাজার ৪২০টি এবং আটক করা হয়েছে ৭ হাজার ৫৮১ জনকে। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসে মামলা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫১০টি এবং আটক করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫২৬ জনকে। এই হারই বলে দেয় দিন দিন ইয়াবা কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে।

মূলত, এসব ইয়াবা তৈরি হয় ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়। দীর্ঘদিন থেকে মিয়ানমারের নাফ নদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করছে বর্মী মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার শুধু মিয়ানমার নয়। দেশের তিনদিকে ছড়িয়ে থাকা ভারত সীমান্ত দিয়েও আসছে মরণনেশা ইয়াবা। চলতি ২০১৬ সালের আগস্ট মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৪২ লাখ ২০ হাজার ৬শ’ ২ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে।

বলাবাহুল্য, রাজধানীর সবচেয়ে বৃহৎ ইয়াবা সিন্ডিকেটের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সচল রাখছে নানা অপরাধে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সাব-ইন্সপেক্টর ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টররা। জানা যায়, তারা রাজধানীর একস্থান থেকে অন্যস্থানে ইয়াবা বহন করে পৌঁছে দেয় এবং কেউ কেউ পাইকারিভাবে ক্রয়-বিক্রয়ও করে থাকে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা এসব পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে ইয়াবা নেটওয়ার্কে কৌশলে ভেড়ানো হয়। তারা রাস্তাঘাটে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে তল্লাশির বাইরে থাকায় ইয়াবার চালানগুলো নির্বিঘেœ পৌঁছানো সম্ভব হয়। তাছাড়া ইয়াবা সিন্ডিকেটের কোনো ব্যবসায়ী কোথাও গ্রেফতার হলে তদবির কর্মকা-েও এসব পুলিশ কর্মকর্তার অগ্রণী ভূমিকা থাকে। এসব কাজের বিনিময়ে একেকজন দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পেয়ে থাকে বলেও জানা গেছে

জানা গেছে, সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে প্রজাতন্ত্রের জননিরাপত্তায় কাজ না করে অবৈধ পন্থায় বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। পক্ষান্তরে ইয়াবার সর্বনাশা থাবায় দেশ হারাচ্ছে অনেক প্রতিভাবান মানব সন্তানকে। যারা ইয়াবা আসক্তির কারণে ধ্বংস করছে তাদের প্রতিভা এবং মেধাশক্তি। নেমে পড়ছে খুন-রাহাজানি, ছিনতাই, নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠনসহ অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুতঃ প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই দুর্দমনীয় হয়ে উঠেছে মরণনেশা ইয়াবা।

তাই মরণনেশা ইয়াবার প্রসার রোধকল্পে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপযুক্ত তৎপরতা। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, এসব ইয়াবা যারা পাচার করে এদেশে নিয়ে আসে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পরও প্রভাবশালী ব্যক্তি-কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় ছাড়া পেয়ে যায় এবং পূর্বের মতো আবার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। আর মাদক আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- এটাও রয়েছে কাগজে কলমে। বাস্তবে তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। সরকার যদি এই মাদক আইন আরো কঠোর করে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের কর্মসূচি হাতে নেয়, তাহলে অচিরেই দেশ থেকে এই প্রাণঘাতী এবং যুব সমাজ ধ্বংসকারী ইয়াবা নির্মূল করা সম্ভব।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।