কাফির-মুশরিকদের সমন্বিত ষড়যন্ত্র ও ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের বিপরীতে মুসলিম বিশ্ব বেখবর ও নিশ্চুপ কেন? মুসলমান সরকারপ্রধানগুলো নিষ্ক্রিয় কেন? মহান আল্লাহ পাক তিনি কি ব্যঙ্গকারী কাফিরদেরকে চরম লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির খবর দেননি?

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

লন্ডনে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী গোষ্ঠী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর (২০১৫) মাসে ইতিহাসের নিকৃষ্ট এ বেয়াদবিমূলক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

এতে বক্তা হিসেবে চরম ইসলামবিদ্বেষী বিতর্কিত ডাচ রাজনীতিবিদ গিয়ার্ট উইল্ডারসের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। কয়েকদিন আগে ডাচ টেলিভিশনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকর ব্যঙ্গ কার্টুন দেখানোর জন্য তার এক অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোনো প্রাণীর ছবি আঁকা নিষিদ্ধ। সেখানে ইসলামবিদ্বেষী একটি গোষ্ঠী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছবি ও কার্টুন প্রদর্শনী করে ক্রমাগতভাবে মুসলমানদের প্রতি উপহাস ও বিদ্রূপ করে যাচ্ছে, মুসলমানদের কাছে যেটা চরম জঘন্য ও অবরদাশতযোগ্য আচরণের শামিল। একই কার্টুন ২০১৪ সালে ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিক ‘শার্লি এবদো’তে প্রকাশিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে সাড়ে তিনশ কোটি মুসলমান থাকার পরও কাফির বিশ্বসহ মুসলিম দেশগুলোতেও সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উনার ব্যঙ্গচিত্র ছাপলেও মুসলমানদের মধ্যে কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া নেই। প্রতিবাদ নেই।

অথচ জাহান্নামের এসব কীট সম্পর্কে শক্ত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্বয়ং রব্বুল আলামীন। আজ থেকে পনেরশ বছর পূর্বেই পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করে তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-

“(এই কাফিরদের ন্যায়) এদের পূর্বেও মিথ্যারোপ করেছিল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার সম্প্রদায় এবং রস্য ও ছামূদ অধিবাসীরা। এছাড়াও আদ ও ফিরআউন এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার সম্প্রদায়। আর আইকা ও তুব্বা অধিবাসী সকলেই (নিজ নিজ) রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মিথ্যারোপ বা অবিশ্বাস করেছিল। অতঃপর আমার প্রতিশ্রুত শাস্তি (তাদের উপর) কার্যকরী হয়ে গেলো।” (পবিত্র সূরা ক্বফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২-১৪)

তারা কি জানে না যে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধাচরণ করে, অবশ্যই তার জন্য জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত রয়েছে। তাতে সে অনন্তকাল থাকবে। এটা হচ্ছে বিষম লাঞ্ছনা।

মুনফিকরা আশঙ্কা করে যে, মুসলমানগণ উনাদের প্রতি এমন কোনো সূরা নাযিল হয়ে যায় কিনা- যা উনাদেরকে মুনাফিকদের অন্তরের কথা অবহিত করে দেয়। আপনি (ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) বলে দিন, তোমরা বিদ্রূপ করতে থাকো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই বিষয়কে প্রকাশ করেই দিবেন, যে সম্বন্ধে তোমরা আশঙ্কা করেছিলে।

আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, তবে তারা বলবে যে, আমরা তো হাসি-ঠাট্টা ও খেল-তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তবে কি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি, উনার পবিত্র আয়াতসমূহ উনাদের প্রতি এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হাসি-ঠাট্টা করছিলে। তোমরা এখন অযথা ওজর করো না, তোমরা নিজেদেরকে মু’মিন হিসেবে প্রকাশ করার পরও কুফরী করেছো। যদিও আমি তোমাদের মধ্য হতে কতককে ক্ষমা করে দেই; তথাপি কতককে তো শাস্তি দেবোই। কারণ তারা চরম অপরাধী বলে গণ্য। (সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩-৬৬)

নিশ্চয় যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যারা বিরুদ্ধাচারণ করে, তারাই লাঞ্ছিতদের দলভুক্ত।” (পবিত্র সূরা মুজদালা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)

“আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোনো কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদও, যা সে উপার্জন করেছে। অতিসত্বর সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও, যে লাকড়ি বহন করে, তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। (পবিত্র সূরা লাহাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১-৫)

উল্লেখ্য, বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি, ব্যঙ্গকারীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার এরূপ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের স্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও সারা বিশ্বের মুসলমানের মধ্যে সে কঠোরতা আদৌ কাঙ্খিত প্রতিফলিত হচ্ছে না।

সেক্ষেত্রে মুসলমান আর মুসলমান দাবি করতে পারে না। নাঊযুবিল্লাহ! তাতে করে মুসলমান আর কাফিরের মধ্যে পার্থক্য থাকছে না। নাঊযুবিল্লাহ!

অতএব, মুসলমান হিসেবে বাঁচতে চাইলে অবিলম্বে ব্যঙ্গচিত্রের ঘটনায় বিশ্বের সব মুসলমানকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে জেগে উঠতে হবে, ব্যাপক প্রতিবাদ করতে হবে, কাফিরদের তৈরিকৃত পণ্য বয়কট করতে হবে, কাফিরদের সাথে উঠাবসা বন্ধ করতে হবে; সাথে সাথে নিজ নিজ দেশের সরকারকে কাফিরদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য করতে হবে।

মূলত, বিশ্বের সাড়ে তিনশ কোটি মুসলমানগণ উনাদেরকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ঈমানী জযবায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এবং সে লক্ষ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত জীবনী মুবারক আলোচনা ও অনুসরণ করতে হবে। কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা সম্বলিত সম্মানিত হাদীছ শরীফ এবং উনার শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯