ক্বায়িদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাবে’ সারা কায়িনাত। উনার মুবারক কর্তৃত্ত্ব সারা কায়িনাতে বিরাজমান

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

سَبَّحَ لِلّـهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

অর্থ: আসমান ও যমীনের মাঝে যা কিছু আছে, সবই মহান আল্লাহ পাক উনার তাসবীহ মুবারক পাঠ করে। (পবিত্র সুরা হাদীদ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

إِنَّ اللّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ. يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে ছলাত মুবারক  পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার সুমহান শানে ছলাত মুবারক পেশ করুন এবং সালাম মুবারক পেশ করার মত সালাম মুবারক  পেশ করুন। (পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয়ে দু’টি বিষয় সুস্পষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় শান মুবারকে তাসবীহ শব্দ  মুবারক ব্যবহার করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে ছলাত শব্দ মুবারক ব্যবহার করেছেন। আর এ শব্দ মুবারকদ্বয় ব্যবহার করে মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهُ وَتَسْبِيحَهُ

অর্থ: প্রত্যেকে তার দায়িত্বে অর্পিত ছলাত মুবারক ও তাসবীহ মুবারক পাঠ করার ব্যাপারে অবগত হয়েছে। (পবিত্র সুরা আন নূর শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৪১)

অর্থাৎ, সারা কায়িনাতের দায়িত্ব হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক তাসবীহ পাঠ করা এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছলাত শরীফ পেশ করা । আর এ ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছলাত  পেশ করা প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কেননা, বর্ণিত আয়াত শরীফে মুবারক ছলাত শব্দকে তাসবীহ শব্দের আগে আনা হয়েছে। আর এ জন্যই বলা হয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাবে’ সারা কায়িনাত। সারা কায়িনাত জুড়ে উনার কর্তৃত্ব মুবারক বিরাজমান। সুবহনাল্লাহ। যা বিভিন্ন হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে গাছ স্বস্থান হতে সরে আসা, পাথর কথা বলা, জীব-জন্তু ও পশু-পাখিসহ সারা কায়িনাত অতি ব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে অনেক ওয়াক্বিয়া মুবারক বর্ণিত রয়েছে। এমনকি মুবারক নির্দেশনা পালনে পাহাড়, চাঁদ, সূর্য ইত্যাদীর সক্রিয়তা সম্পর্কেও অনেক বর্ণনা রয়েছে।

পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حضرت أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللّهُ تعالى عَنْهُ  قَالَ صَعِدَ النَّبِيُّ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُحُدٍ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ عليه السلام  وَعُمَرُ عليه السلام  وَعُثْمَانُ عليه السلام فَرَجَفَ بِهِمْ  فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ  قَالَ اثْبُتْ أُحُدُ فَمَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيّ أَوْ صِدّيقٌ أَوْ شَهِيدَانِ

অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা উহুদ পাহাড়ে আরোহন করেন। উনার সাথে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারা ছিলেন। এমতাবস্থায় উহুদ পাহাড় কেপে উঠলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পা মুবারক দ্বারা উহুদ পাহাড়ে আঘাত করে ইরশাদ মুবারক করলেন, উহুদ পাহাড়! স্থির হও। নিশ্চয়ই তোমার উপর অবস্থান মুবারক করছেন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, একজন ছিদ্দীক্ব এবং দুইজন শহীদ। (সাথে সাথে উহুদ পাহাড় থেমে গেল।) (বুখারী শরীফ)

অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইশারা মুবারকে পাহাড়ের কম্পন তথা ভূমিকম্পসহ সমস্ত কিছুই থেমে যায়। সুবহানাল্লাহ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ. وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ .

অর্থ: ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র দ্বিখ-িত হয়েছে। যদি তারা কোন নিদর্শন দেখে, তখন তারা ফিরে যায় এবং বলে এটা বিরাট জাদু। (পবিত্র সুরা ক্বমার শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১-২)

চাঁদ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت  أنس بن مالك رضي الله تعالى عنه أن أهل مكة سألوا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يريهم آية فأراهم القمر شقتين حتى رأوا حراء بينهما

অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালেক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট মক্কা শরীফবাসী নিদর্শন মুবারক দেখার জন্য আরজী করলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চাঁদকে দ্বিখ-িত করলেন। মানুষ দেখতে পেলো চাঁদ দ্বিখ-িত হয়ে হেরা পর্বতের দু’দিকে বিভক্ত হয়ে গেছে। (বুখারী শরীফ, কিতাবু মানাক্বিবিল আনছার)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت عبدالله ابن مسعود رضي الله تعالى عنه قال انشقَّ القمر ونحن مع النبيّ صلى الله عليه وسلم بمنًى، فقال اشْهَدوا وذهبت فِرقة نحو الجبل.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা মিনায় অবস্থান করছিলাম। তিনি চাঁদকে দ্বিখ-িত করলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা স্বাক্ষী থাকুন। তখন চাঁদ দ্বিখ-িত হয়ে পর্বতের দু’দিকে বিভক্ত হয়ে যায় । (বুখারী শরীফ, কিতাবু ফাদ্বায়িলিছ ছাহাবা)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت ابن عباس رَضِيَ اللّهُ تعالى عَنْهُ  قال اجتمع المشركون إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم منهم الوليد بن الـمغيرة، وأبو جهل بن هشام، والعاص بن وائل، والعاص بن هشام، والاسود بن عبد يغوث، والاسود بن الـمطلب [بن أسد بن عبد العزى]، وزمعة بن الاسود، والنضر بن الحارث، ونظراؤهم فقالوا للنبى صلى الله عليه وسلم إن كنت صادقا فشق لنا القمر فرقتين نصفا على أبي قبيس ونصفا على قعيقعان فقال لهم النبي صلى الله عليه وسلم إن فعلت تؤمنوا؟  قالوا نعم! وكانت ليلة بدر  فسأل الله عزوجل أن يعطيه ما سألوا، فأمسى القمر قد سلب نصفا على أبي قبيس ونصفا على قعيقعان، ورسول الله صلى الله عليه وسلم ينادي يا أبا سلمة بن عبد الاسد والارقم بن الارقم اشهدوا.

অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা, আবু জাহেল ইবনে হিশাম, আস ইবনে ওয়ায়িল, আস ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে আব্দে ইয়াগুস, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব ইবনে আসাদ ইবনে আব্দুল উজ্জা, যাময়াহ ইবনে আসওয়াদ, নদ্বর ইবনে হারেস এবং তাদের মত ইসলাম বিদ্বেষী অনেকে এসে বললো, “আপনি যদি সত্যিই নবী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদেরকে চাঁদ দ্বিখ-িত করে দেখান, যার অর্ধেক থাকবে আবু কুবাইস পাহাড়ে আর অর্ধেক থাকবে ক্বয়াইক্বয়ান পাহাড়ে।” তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে ইরশাদ মুবারক করলেন, “আমি যদি তোমাদেরকে চাঁদ দ্বিখ-িত করে দেখাই, তাহলে কি তোমরা ঈমান আনবে?” তারা বললো, “হ্যা, তাহলে আমরা ঈমান আনবো।” সে সময় ছিল জ্যোস্না বা পূর্ণ চাঁদ। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের আরজীর ব্যাপারে দুআ মুবারক করলেন। সাথে সাথে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে এক খণ্ড আবু কুবাইস পাহাড়ের দিকে এবং অপর খ- ক্বয়াইক্বয়ান পাহাড়ের দিকে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবু সালামাহ ইবনে আব্দুল আসাদ এবং আরকাম ইবনে আরকামকে সম্বোধন করে বললেন, তোমরা স্বাক্ষী থেকো। (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ)

অপর পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت ابن عباس رَضِيَ اللّهُ تعالى عَنْهُ  قال جاءت أحبار اليهود إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا أرنا آية حتى نؤمن فسأل النبي صلى الله عليه وسلم ربه عز وجل أن يريهم آية فأراهم القمر قد انشق فصار قمرين أحدهما على الصفا والآخر على المروة قدر ما بين العصر إلى الليل ينظرون إليهما ثم غاب القمر فقالوا: هذا سحر مستمر.

অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ইহুদীদের কতিপয় পাদ্রী আসলো এবং বললো, “আপনি আমাদেরকে এমন একখানা নিদর্শন মুবারক দেখান, যা দেখে আমরা ঈমান আনবো।” তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের আরজীর ব্যাপারে দুআ মুবারক করলেন। সাথে সাথে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে এক খ- সাফা পাহাড় এবং অপর খ- মারওয়া পাহাড়ের দিকে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ! আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত যে সময়, সে পরিমাণ সময় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় ছিলো। অতপর, দ্বিখ-িত চাঁদ একত্রিত হয়ে যায়। ইহুদীদের পাদ্রীরা ঈমান না এনে বললো, এটা তো প্রকাশ্য জাদু। নাঊযুবিল্লাহ। (আবু নুয়াইম)

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আযম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, মাওলানা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আনুষ্ঠানিক নবুওওয়াত প্রকাশের ষষ্ঠ বছর পবিত্র ১৪ই যিলহজ্ব শরীফ রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইশারা মুবারকে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত যে পরিমাণ সময়, সে পরিমাণ সময় থরথর করে কাপতে থাকে। যা দেখে সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে এ সম্পর্কে বর্ণনা থাকায় সারা বিশ্বের মানুষ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কে জানতে পারে। এমনকি তা দেখে বিশ্বের তৎকালীন অনেক শাসক ঈমান আনে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে লোক পাঠায়, হাদিয়া পাঠায় এবং ঈমান ও দ্বীন ইসলাম স্বীকার করে নেয়। সুবহানাল্লাহ!

অপর পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت أسماء بنت عميس رَضِىَ اللّهُ تعالى عَنْها  أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان رأسه في حجر علي عليه السلام  فكره أن يحرّكه حتى غابت الشمس و لـم يصل العصر، ففرغ رسول الله صلى الله عليه وسلم و ذكر علي عليه السلام  أنّه لـم يصل العصر، فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يرد عليه الشمس، فأقبلت الشمس و لها خوار حتى ارتفعت على قدر ما كانت وقت العصر، قالت: فصلى ثم رجعت

অর্থ: হযরত আসমা বিনতে উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা (বা’দ আছর) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার কোল মুবারক বা জানু মুবারকে মাথা মুবারক রেখে বিশ্রাম মুবারক নিচ্ছিলেন। যার কারণে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি কোন নড়াচড়া করলেননা।  সময়ের আবর্তনে সূর্য অস্ত গেল কিন্তু হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম  উনার আছর নামায আদায় করা হয়নি। অতপর, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন নাওমী শান মুবারক হতে ফারেগ হলেন, তখন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আছর নামায আদায় করতে না পারার বিষয়টি মুবারক খিদমতে পেশ করলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সূর্যকে ফিরে আসার ব্যাপারে দুআ মুবারক করলেন। ইতোমধ্যে সূর্য অস্ত গিয়েছিল, কিন্তু তা আছরের ওয়াক্তের অবস্থায় ফিরে আসলো। অতপর, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আছর নামায আদায় করলেন। সূর্য আবার অস্ত গেল। সুবহানাল্লাহ। (ফারায়িদুস সামত্বীন, ১ম খ- ১৮৩ পৃষ্ঠা)

অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ইচ্ছায় এবং ইশারায় পাহাড়ের কম্পন থেমে যায়, চন্দ্র দ্বিখ-িত হয় এবং সূর্যও তার চলার গতি পরিবর্তন করে । সুবহানাল্লাহ!

মূলকথা হলো, ক্বায়িদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাবে’ মালায়িকাহ, আসমান-যমীন, গ্রহ-নক্ষত্র, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাতসহ সমস্ত মাখলুকাত এবং সারা কায়িনাত। উনার মুবারক কর্তৃত্ত্ব সারা কায়িনাতের সমস্ত মাখলুকাতের উপর সর্বদা বিরাজমান। সুবহানাল্লাহ। কাজেই, সকলকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

-আহমদ নুছাইর।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম