তাফসীরুল কুরআন শরীফ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তাফসীর: উক্ত পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ হচ্ছে- (১) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট থেকে যমীনে উম্মত মাঝে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। (২) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ ছহিবে নিয়ামত মুবারক ও ছহিবে রহমত মুবারক। (৩) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে উম্মতকে খুশি মুবারক প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। অথার্ৎ এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা উম্মতের প্রতি ফরযে আইন করে দেয়া হয়েছে। (৪) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিষয়টি উম্মতের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত উনার অন্তর্ভুক্ত।

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উপলক্ষ করেই এবং উনার সম্মানার্থেই এবং উনাকে খুশি করার উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুই করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।

মোাটকথা, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে হচ্ছেন মালিক আর সৃষ্টিরাজির সকলেই হচ্ছে উনাদের গোলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সকলের মহাসম্মানিত ইলাহ (মা’বূদ)। আর উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সকলের মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা পবিত্র কলেমাহ শরীফ উনার মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ (মা’বূদ) নেই। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পবিত্র কলেমাহ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, মালিক হচ্ছেন দুজন। একজন হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি। আরেকজন হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। গোলামের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে উভয় মালিককে খুশি করা। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗ أَحَقُّ أَنْ يُّـرْضُوْهُ إِنْ كَانُـوْا مُؤْمِنِيْنَ

অর্থ: তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তাহলে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদের উভয়কে সন্তুষ্ট করা। উনারাই সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার ক্ষেত্রে সমধিক হকদার। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২) বলার অপেক্ষা রাখে না, মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করতে হলে আগে উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সন্তুষ্ট খুশি করতে হবে।

আর সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল ও মহাসম্মানিত রহমত স্বরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে উম্মত যেন অবশ্যই খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত ইবাদত থেকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, গোলামের অর্থাৎ বান্দা-বান্দী ও উম্মতের দায়িত্ব, কর্তব্য বা ফরয হচ্ছে সর্বাবস্থায় সর্বক্ষেত্রে মালিককে খুশি করা, সন্তুষ্ট করা, মালিকের আনুগত্য করা, মালিকের প্রতি ঈমান আনা, বিশুদ্ধ আক্বীদা রাখা, সুধারণা পোষণ করা, মুহব্বত করা, ছানা-ছিফত করা, মালিককে খুশি করার জন্য  মাল ও জান দিয়ে গোলামী বা খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী