তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৫৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّنْ رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِه فَبِذلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّمَّا يَجْمَعُوْنَ

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: সমস্ত মাখলূক্বাত ও সমস্ত কায়িনাত বিশেষ করে আশরাফুল মাখলূক্বাত মানুষের প্রতি সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত ও সম্মানিত রহমত স্বরূপ সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ এনেছেন বা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এ কারণে তাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য তথা ফরযে আইন খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশ করার সুমহান আমল বা ইবাদতই তাদের সকল ইবাদত থেকে উত্তম, উৎকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠতর। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে কিভাবে বা কি নিয়মে খুশি প্রকাশ করতে হবে সে নিয়ম বা পদ্ধতি যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়ে দিয়েছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اِنَّ اللّـهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ. يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে আপনারাও ছলাত শরীফ পেশ করুন এবং যথাযথভাবে তথা আদবের সাথে সালাম শরীফ পেশ করুন।

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রতিভাত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সম্মানিত সালাম শরীফ পেশ করার মাধ্যমেই করতে হবে। অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার মাধ্যমেই করতে হবে। সুবহানাল্লাহ! কেননা পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল বা মজলিসে বসা অবস্থায় ছলাত শরীফ পেশ করা হয় আর ক্বিয়াম বা দাঁড়ানো অবস্থায় সালাম শরীফ পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, বর্ণিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ছলাত শরীফ পেশ করার ক্ষেত্রে কোন শর্ত আরোপ করা হয়নি। তাই ছলাত শরীফ বসা, শোয়া, দাঁড়ানো ইত্যাদি যে কোন অবস্থায় পড়া যেতে পারে। কিন্তু সালাম শরীফ পেশ করার ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়েছে যে, যথাযথভাবে তথা আদবের সাথে সালাম শরীফ পেশ করতে হবে; আর সালাম শরীফ পেশ করার আদব হচ্ছে দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করা।

স্মরণীয় যে, পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে দাঁড়িয়ে যে সালাম শরীফ পেশ করা হয় এই দাঁড়ানোকে ক্বিয়ামে তা’যীমী বলা হয়। এই ক্বিয়ামে তা’যীমী পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা ছাবিত বা প্রমাণিত। যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার আওলাদ এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের মধ্যে যিনি অন্যতম। যিনি জান্নাতবাসিণী মহিলাদের সাইয়্যিদাহ এবং যিনি সারা জাহানেরও মহিলাদের সাইয়্যিদাহ আন নূরুর রবিআহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম স্বয়ং তিনিই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দাঁড়াতেন এবং সালাম শরীফ পেশ করতেন। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ।)

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেছেন। দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করার ব্যাপারে যদিও আরো অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই যেখানে সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের মর্যাদা। তাই, উম্মুল মুমিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত এবং বিনতু রসূলিল্লাহ  আন নূরুর রাবিআহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ক্বিয়াম (দণ্ডায়মান হওয়া) সংক্রান্ত হাদীছ শরীফখানাই ক্বিয়ামে তা’যীমী প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী