তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: অতঃপর ইরশাদ মুবারক হয়েছে وهدى অর্থাৎ হিদায়েতকারী হিসেবে এসেেেছন। সত্যিই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠতম হিদায়েতকারী। উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের হিদায়েতের জন্য খাছভাবে প্রেরণ করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র সূরাতুল ফাতহ শরীফ উনার ২৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

هو الذى ارسل رسوله بالهدى

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েতকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।

হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

خير الـهدى هدى محمد صلى الله عليه وسلم

অর্থ: উত্তম বা শ্রেষ্ঠতম হিদায়েত হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিদায়েত। (মুসলিম শরীফ) অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হলেন সর্বোত্তম বা শ্রেষ্টতম হাদী, হিদায়েতকারী। উনার মাধ্যমে যে সকল পুরুষ ও মহিলা হিদায়েত লাভ করেছেন উনাদের সকলের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে, শুধু তাই নয় উনাদেরকে যারা দেখেছেন উনাদের জন্যও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। উনাদের সকলের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকের সুসংবাদ ঘোষণা করা হয়েছে। সুবাহনাল্লাহ!

অতঃপর ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

ورحمة للمؤمنين

অর্থাৎ এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী বা রহমতস্বরূপ এসেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাছ বা বিশেষভাবে মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। কেননা মু’মিন ব্যক্তিরাই উনাকে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বশেষ নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে বিশ্বাস করে উনার প্রতি ঈমান এনে উনার আনুগত্য বা অনুসরণ করার কোশেশ করেন। যার কারণে উনারাই রহমতের পরিপুর্ণ হিসসা লাভ করে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবী ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করেন।

কিন্তু যারা মু’মিন নয় তাদের জন্য রহমতে খাছ বরাদ্ধ নয়। বরং তারা আম বা সাধারণভাবে বণ্টিত রহমতের অধীন বা আওতাভুক্ত। যেমন এ প্রসঙ্গে সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ১০৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وما ارسلناك الا رحمة للعالمين

অর্থ: এবং আমি আপনাকে সমস্ত আলম বা সৃষ্টির জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে প্রস্তাব করা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (আমভাবে বা সাধারণভাবে) কাফির-মুশরিকদের প্রতি বদ দুআ করুন। জাওয়াবে তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-

انى لـم ابعث لعانا وانما بعثت رحمة

অর্থ: আমাকে অভিসম্পাতকারী হিসেবে প্রেরণ করা হয়নি; বরং আমাকে রহমত দানকারী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। (মুসলিম শরীফ)

প্রতিভাত হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাছভাবে মু’মিন-মুসলমান উনাদের জন্য এবং ‘আম বা সাধারণভাবে সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত দানকারী হিসেবে যমীনে এসেছেন বা প্রেরিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী