নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২১৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম পেশ করছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং আরও ছলাত-সালাম পেশ করছি আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি।

গত ১০ জানুয়ারি ২০১১, সোমবার ‘দৈনিক কালের কণ্ঠে১৫ পৃষ্ঠায় দেশ হোক দুর্নীতিমুক্তশিরোনামে যে রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছে তারই কিছু উদ্ধৃতি নিচে পেশ করা হলো-

“ছবি তুলছি, ছবি তোলা শেখাচ্ছি, এর পাশাপাশি সমান্তরালভাবে শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। গত রোযার ঈদে দেশ টিভির জন্য নির্মাণ করলাম শিশুদের নাটক। চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটির মাধ্যমে সারা দেশের শিশুদের কাছে দেশ-বিদেশের ভালো চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি। এই কাজ করার পেছনে একটি বড় স্বপ্ন আছে। সেই স্বপ্নটি হচ্ছে দুনীতিমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একদিন মাথা তুলে দাঁড়াবে বহির্বিশ্বে। …….. প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে নানা দেশের নানা সংস্কৃতির ভালো কিছু মূল্যবোধের ছবি দেখিয়ে শিশুদের মনে লোভহীন, সততার প্রলেপ দিয়ে যাচ্ছি। এই সমৃদ্ধ মনের শিশুরাই একদিন বড় হয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ দেশটিকে দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর, দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে- এই স্বপ্ন বিভোর হয়ে আমি সেই ভবিষ্যতের সুন্দর, সৎ মুখগুলোর শৈশবের ছবি তুলে যাচ্ছি।” (নাউযুবিল্লাহ)

কতইনা হাস্যকর উপরের প্রগতিশীল মহিলা রিপোর্টারের প্রলাপ। বাস্তবতা নয়, ধর্ম নয়, নিজ অস্তিত্ব নয় বরং কল্পনার সাগরে হাবুডুবু খেতেই এই সব তথাকথিত নারীবাদীদের বড় সখ। আর তাই কল্পনার রাজ্যেই তারা বিচরণ করে চলেছে। দুনিয়া হয়েছে তাদের কল্পনার স্বর্গরাজ্য আর পরকাল শূন্য অর্থাৎ ‘পরকাল’ বলে কিছু আছে, পরকালে ‘স্বর্ণ’ আছে এটা বোধ করি তাদের জানা নেই। অথবা জানা থাকলেও নিজেরাই না জানার ভান করে শুধুমাত্র দুনিয়াকে ‘স্বর্ণরাজ্য’ হিসেবে পাবার আশায়। সুতরাং এদের মতো নারীবাদীদের জীবন নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের নেই। আমরা শুধু বলতে চাই মুসলমান নামে অর্থাৎ মুসলমান দাবি করে একটা মুসলমান দেশে কি করে ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী কথা বলতে পারে? উৎসাহ প্রদান করতে পারে? আম মানুষকে হারাম কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারে?

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে- “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা, রাখনেওয়ালা জাহান্নামী।” ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সবই নিষেধ করা হয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে- উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত হয়েছে- “যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গৃহে প্রবেশ করতেন তখন ঘরে ছবিযুক্ত কোন জিনিস দেখতে পেলে তা ধ্বংস করে ফেলতেন।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং এটাই যদি হয়ে থাকে যিনি কায়িনাতের মূল, যিনি মালিক উনি ছবি ভাস্কর্য ধ্বংস করতে বলেছেন। সেখানে উনারই উম্মত দাবি করে সেই ছবি তোলাকে ঘরে ঘরে ছোট শিশুদের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করা এবং শিশুদেরকে এই হারাম কাজ শিখিয়ে তারই মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে রাখা এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অমান্য করা; মুসলমান থেকে খারিজ হওয়া; কাফির হওয়া; নাকি অন্য কিছু! ‘ছবি’ তোলা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন শালীনতার কাজ নয়। ছোট শিশুরা থেকে বড়রা পর্যন্ত ছবি তোলে, আঁকে, রাখে; এমনকি টেলিভিশনে সার্বক্ষণিক ছবির মাধ্যম দিয়েই হারাম কাজ দেখে থাকে, করে থাকে। সুতরাং ‘ছবি তোলা’ এবং সিনেমা নাটক বানানো কোন নৈতিকতার কাজ না বরং এটা অশালীন, নোংরা, অনৈতিকতার কাজ। আর যেখানে শিশুদের মন-মগজে অনৈতিকতার কাজ শেখানো হচ্ছে সেখানে কি করে সেই শিশুর কাছ থেকে আসা করা যায় সে বড় হয়ে দুর্নীতিমুক্ত, সুন্দর দেশ গড়বে?

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে এখানকার পিতা-মাতারা বড়ই উদগ্রীব থাকে। স্কুল-কলেজ এমনকি কোচিং সেন্টারগুলোতে পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে অভিভাবকদেরই বেশি দেখা যায়। কারণ একাকী ছেলে কিম্বা মেয়েকে বাইরে ছাড়তে রাজি নন। এমনকি ঘরে ছেলে-মেয়েকে রেখেও পিতা-মাতারা দুশ্চিন্তা করতে থাকে টেলিভিশনে, ইন্টারনেটে মোবাইল, কম্পিউটারের মাধ্যমে হারাম ছবি দেখা থেকে। আর এই হারাম ছবি তোলা, দেখা থেকে লাখো অনৈতিক কর্মে জড়িয়ে পড়েছে। জড়িয়ে পড়ছে শিশুরা, ছাত্রীরা এবং বড়রা পর্যন্ত। সুতরাং হারাম ছবি তোলা, দেখা থেকে কি করে নৈতিকতা শিখতে পারে এবং শেখাতে পারে- এটা বিবেকবান মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

পাঠক সমাজ! কল্পনা নয়, মিথ্যা বাস্তবতা দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করুন। হারাম কাজ থেকে হারাম কাজই শেখা হবে। অর্থাৎ হারাম কখনও হালাল হবে না। যে ব্যক্তি হারামকে হালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যাবে বরং তারই ধ্বংস অনিবার্য।

সুতরাং ছবি তোলা, আঁকা, রাখা নয়, নাটক-সিনেমা বানানো বা দেখা নয়। এগুলো থেকে এবং আরও যত হারাম কাজ আছে সবগুলো থেকে তওবা করে হালাল কাজে মশগুল হতে হবে। ছবি তোলা বাদ দিতে হবে। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা করতে নির্দেশ করেছেন সেটাই পালন করতে হবে, যা করতে নিষেধ করেছেন সেটা থেকে বিরত থাকতে হবে- তবেই সবার জন্য নৈতিকতা শিক্ষা লাভ করা সম্ভব। আর সবার মধ্যে যদি নৈতিকতা বজায় থাকে তবেই একটা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। আমীন।

-আহমদ আজিমা ফারহা।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল