নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী সমর্থনকারী কাফির রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে হবে। তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে অথবা জিহাদ ঘোষণা করতে হবে

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাফিররা ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে বারবার পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

আগামী সেপ্টেম্বর (২০১৫) মাসে লন্ডনেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী গোষ্ঠীরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

মূলত, এটা এখন কাফিরদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত এক দশকে বহুবার এই ধরনের আপত্তিকর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এক যুগেরও আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নামের একটি চরম ইসলামবিরোধী পুস্তক লেখে। বিশ্ব মুসলিমের বিক্ষোভের মুখে সালমান রুশদী পশ্চিমাদের আশ্রয়ে লুকায়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ড্যানিশ কার্টুনিস্টের ব্যঙ্গচিত্র বিশ্ব মুসলিমের ক্ষোভের কারণ হয়। যাদের এসব ব্যঙ্গচিত্র আপত্তিকর ও মানহানিকর লেখনী বা চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে বারবার বিশ্বের মুসলমানের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে তাদের সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্ব সবসময় অর্থপূর্ণ নীরবতা পালন করে। তাদের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের কারণেই একই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

বিষয়টি গভীরভাবে অনুসন্ধান করলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এসব অবাঞ্ছিত ঘটনা পশ্চিমাদের সাময়িক আবেগ প্রসূত অথবা তাৎক্ষণিক উত্তেজনার ফসল নয়। বিশ্ব মুসলিমের বিরুদ্ধে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের বুকে ইসরাইল নামক ইহুদী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে মধ্যপ্রাচ্যে যে ক্যান্সারের জন্ম দেয়া হয়, সেই ক্যান্সারকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সময় পর্যায়ক্রমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার মাধ্যমে। একদিকে যেমন চালানা হচ্ছে তথ্যসন্ত্রাস, অন্যদিকে তেমনি বিভিন্ন ছুতা-নাতায় আগ্রাসন চালানো হচ্ছে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রে। প্রত্যক্ষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে কব্জা করা হয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক এবং লিবিয়া। এখন চলছে সিরিয়া গ্রাসের পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বের কী কিছুই করণীয় নেই? তবে তারা মুসলমান কেন? কাফির-মুশরিকরা তো ঠিকই তাদের ধর্ম রক্ষায় তৎপর কিন্তু মুসলমানের মাঝে এতো নিষ্ক্রিয়তা কেন?

ইহুদী-খ্রিস্টানরা তাদের ভাষায়- ৩৭ লাখ জমায়েত হলো (যদিও এ সংখ্যা ঠিক নয়, তারপরও বাস্তবতা হলো তারা মোটামুটি একটা সমাবেশ করেছে) কিন্তু মুসলমানরা বিশ্বের কোথাও ব্যাপক প্রতিবাদ দেখাতে পারেনি। যদিও পাকিস্তানসহ কিছু মুসলিম দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। তাও যৎসমান্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলমানরা ফ্রান্সের মতো মুসলিম নির্যাতনের ইস্যুগুলো স্মরণ রাখে না, কিন্তু হারাম বিশ্বকাপ, গান-বাজনা, সিনেমা ইত্যাদির খবর রাখে। ইহুদী-খ্রিস্টানরা এসব হারাম কাজে সম্পৃক্ত করে করে মুসলমানদের ঈমানী চেতনা অনেক আগে থেকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সে কারণে মুসলমানরা আজ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র বারবার পত্রস্থ করার পরও কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক কোনো হারাম কাজের প্রতিবাদ না করলেই সে ঈমানদার থাকতে পারে না। তাহলে যিনি শারে’ বা শরীয়ত প্রণেতা অর্থাৎ যিনিই সব হারাম ও হালাল ছাবেত করেছেন, সেই মহামহিম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি ঈমানের মূল উনার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে কী করে মুসলমান দাবিদাররা ঈমানদার থাকতে পারে? অর্থাৎ ঈমানদার দাবিদার সবারই পক্ষে ব্যঙ্গচিত্র সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ করা তাদেরকে প্রতিহত করা তথা জিহাদ করা ফরয।

প্রসঙ্গত, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর কাফিরদের বিরুদ্ধে এমনভাবে সম্মানিত জিহাদ করুন যেন ফিতনা পরিপূর্ণরূপে নির্মুল হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দ্বীন পুরোপুরিভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা ফিতনা থেকে বিরত হয়, তবে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের সমস্ত কার্যকলাপ দেখে থাকেন।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৯)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনারা তাদের তথা কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে সম্মানিত জিহাদ করতে থাকুন যতক্ষণ না ফিতনা পরিপূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত দ্বীন তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯৩)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃৃথিবীর সব মুসলিম দেশগুলোই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। কাফির-মুশরিকগুলো মূলতঃ মুসলমানদের সম্পদের উপর ভিত্তি করেই বেঁচে থাকে। সুবহানাল্লাহ! তাই মুসলমানরা খুব সহজেই কাফির-মুশরিকদের অর্থনৈতিকভাবে অবরোধ আরোপ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারক উনাকে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশে তার সমুচিত জবাব দিতে পারে।

লেখাবাহুল্য, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উৎপাদনে, বাণিজ্যে, জনসংখ্যায়, সম্পদে অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম বিশ্ব শীর্ষে রয়েছে। জানা গেছে, পৃথিবীর মোট খনিজ সম্পদের দুই-তৃতীয়ংশই মুসলমানগণ অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! যেমন, পেট্রোল উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম উপসাগরীয় আরব দেশগুলো। শুধু তাই নয়; ফসফেট উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম মরক্কো। রাবার, পামঅয়েল ও টিন উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম মালয়েশিয়া। কার্পাস উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম ইরাক। কোলাম্বাইট (ধাতু) উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম নাইজেরিয়া (৯০%)। সৈন্যসংখ্যার ক্ষেত্রেও মুসলিম বিশ্বের সৈন্যসংখ্যা পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ। জনসংখ্যার ক্ষেত্রেও বিশ্বের অর্ধেকর বেশি তথা সাড়ে তিনশ কোটিই মুসলমান। মুসলিম দেশের সংখ্যাও ৬৭টির উপরে। অর্থনৈতিক অবস্থানে মুসলিম দেশগুলোর ৮৭% বাণিজ্যই হয় বহির্বিশ্বের সাথে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই গোটা কাফির বিশ্ব মুসলিম দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল। শুধুমাত্র মুসলমানদের হীনম্মন্যতাই মুসলমানদেরকে  পিছিয়ে রেখেছে। নাউযুবিল্লাহ!

সঙ্গতকারণেই তাই বলতে হয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান-মান মুবারক প্রকাশার্থে আমাদেরকে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত জীবনী মুবারক আলোচনা ও অনুসরণ করতে হবে। কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা সম্বলিত সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদেরকে এবং উনাদের শিক্ষাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।