পবিত্র যাকাতের নামে কাপড় দেয়ার লোকপ্রদর্শীর দ্বারা আর কতবার কত মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে? পবিত্র ইসলাম উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন স্বীকৃতির এদেশে ‘যাকাতের কাপড়’ বলে কম দামী ও নিম্নমানের কাপড় বেচা-কেনা হচ্ছে কীভাবে? পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি এ অবমাননা রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার সরকার বরদাশত করছে কীভাবে।

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত রাষ্ট্রদ্বীন ‘ইসলাম’ উনার এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে নিয়ে আর কত অবমাননা? সরকারের আর কত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা? পবিত্র যাকাত উনার নামে আর কত উপহাস? আর কত অরাজকতা? গত ইয়াওমুল জুমুয়াহ (জুমুয়াবার) পবিত্র যাকাতের কথিত কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে ময়মনসিংহ শহরে মারা গেছে ২৭ জন। আহত হয়েছে শতাধিক।

উল্লেখ্য, পবিত্র যাকাত উনার নামে কথিত কাপড় সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। তাহলে কী পবিত্র যাকাত উনার তথাকথিত কাপড় সংগ্রহের জন্য যারা উতলা হয় তাদের জীবনের কোনো দাম নেই? সরকার কী তেমনটাই প্রতিভাত করছে না?

পবিত্র যাকাত উনার নামে কাপড় নিয়ে এখন শুধু রাজনীতিই চলছে না; সমাজে নাম কামানো ও লোকপ্রদর্শনীর প্রবণতাও চলছে মহামারী আকারে। গত জুমুয়াবারের ঘটনায় আগের দিন রাতে নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক সাহরীর সময় পবিত্র যাকাত উনার নামে কাপড় দেয়ার কথা মাইকে ঘোষণা করে। এই খবরে রাত দশটা থেকেই নারী-শিশু-পুরুষরা নূরানী জর্দ্দা ফ্যাক্টরির গেটের সামনে রাত দশটা থেকেই জড়ো হয়। সাহরির পরে গেট খুলে দেয়া হয়। এ সময় গেট দিয়ে একসঙ্গে শত শত লোকজন ঢোকার চেষ্টা করে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেই পদদলিত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।

উল্লেখ্য, পবিত্র যাকাত দেয়ার কথা মাইকে ঘোষণা করার পেছনে উদ্দেশ্যটা কী? এদেশে কী পবিত্র যাকাত নেয়ার লোকের অভাব হয়ে গেছে? মাইকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র যাকাত দেয়ার মতো ধনী ও দানশীল এদেশে তৈরি হয়েছে কী? এর আগেও কী মাইকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র যাকাত দেয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়নি? অনেক বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আসলেও এ বিষয়েও কেন নিষেধাজ্ঞা উচ্চারণ হচ্ছে না? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশও আসছে না? মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকেও উচ্চারিত হচ্ছে না? অথচ চেয়ারে নামায পড়া যাবে না- এ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে তড়িৎগতিতে আলোচিত হয়েছে। এবং তাদের ত্বরিৎকর্মায়ে নাজায়িয বিষয়টি নাজায়িয থাকতে পারেনি। তাদের অজ্ঞতা অথবা অতিউৎসাহে নাজায়িয বিষয়টিও জায়িয হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! মন্ত্রী এবং তাদের সমপর্যায়ে ধনী ব্যক্তিরা চেয়ারে নামায পড়ে বলেই কী এতো তোড়জোড়? আর পবিত্র যাকাত সংগ্রহকারীরা গরীব বলেই এতো গড়িমসি?

অথচ পবিত্র যাকাত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় স্তম্ভ। আর পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না- এ অঙ্গীকার করেই সরকার ক্ষমতায়। সরকারের শাসনযন্ত্রের আবর্তে পবিত্র যাকাত নিয়ে এভাবে বারবার মৃত্যুর মিছিল হয় কি করে? এটা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের প্রতি অবজ্ঞা। নাঊযুবিল্লাহ! পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মর্যাদায় আঘাত হানা। নাঊযুবিল্লাহ!

পাশাপাশি উল্লেখ্য, পবিত্র যাকাত দেয়ার নামে নিম্নমানের কাপড় দেয়াও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অস্বীকার করার শামিল। কারণ পবিত্র যাকাত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় স্তম্ভ। কিন্তু পবিত্র যাকাত উনার জন্য বর্তমানে আলাদা কাপড়ই তৈরি হচ্ছে। সে কাপড় যেমন কমদামের তেমনি নিম্নমানের। কাপড়ের দোকানগুলোতে ‘যাকাতের কাপড়’ নামে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে এবং সাইনবোর্ডও টানানো হচ্ছে ‘এখানে যাকাতের কাপড় পাওয়া যায়’। নাঊযুবিল্লাহ!

নিম্নমানের সুতা ও দুর্বল রং আর অদক্ষ তাঁতির তৈরি এসব কাপড়ের মান এতটাই খারাপ যে, এক ধোয়ার পর আর পরা যায় না তথা পরার উপযুক্ত থাকে না এসব কাপড়। জালের মতো ফাঁকা হয়ে যায় সুতাগুলো। রঙিন কাপড় থেকে রং আর মাড় উঠে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। দেখলে মনে হয় ঘর মোছার ন্যাকড়া।

উল্লেখ্য, আমাদের মনে রাখা উচিত- পবিত্র যাকাত মানে কাউকে অনুগ্রহ দান করা বুঝায় না। বরং পবিত্র যাকাত গ্রহণ করার মাধ্যমে গ্রহীতা সম্পদের অধিকারী মানুষটিকে অনুগ্রহ করে থাকে। এজন্য যার পবিত্র যাকাত পাওয়ার হক আছে তাকে পবিত্র যাকাত উনার টাকার হকটা পৌঁছিয়ে দেয়াই মুসলমানদের কর্তব্য। কিন্তু সম্মানিত ইসলামী যাকাতব্যবস্থা আমাদের সমাজে প্রচলিত না থাকায় এ সম্পর্কে রয়েছে আমাদের মাঝে নানা ভুল ধারণা। আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষ পবিত্র যাকাত প্রদানের নামে লোকদেখানোর কিছু কাজ করে গরীব মানুষের ভোগান্তি বাড়ায়। আর এতে করে পবিত্র যাকাত সম্পর্কেই তৈরি হয়েছে ভুল ধারণা। এছাড়াও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে জানার প্রতি উন্নাসিকতাও এজন্য দায়ী।

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- ‘তাদের (বিত্তবানদের) সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের রয়েছে অধিকার।’ (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তোমরা কখনোই নেকী, কল্যাণ হাছিল করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বা পছন্দনীয় বস্তু দান করবে এবং তোমরা যা কিছু দান করো সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই পূর্ণ খবর রাখেন। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯২)

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র বা উৎকৃষ্ট ব্যতীত কোনো কিছুই কবুল করেন না। (বুখারী শরীফ)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “শরীয়ত তথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফতওয়া হলো যেটা সবচেয়ে ভালো, পছন্দনীয় ও মূল্যবান সেটাই দান করতে হবে। আর যেটা খারাপ, নিম্নমানের ও নিম্নমূল্যের সেটা দান করা যাবে না। অর্থাৎ পবিত্র যাকাত তথা দান-ছদকার বস্তু যেমন হালাল হওয়া শর্ত তেমনি তা উৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে মূল্যবান হওয়াও শর্ত। অন্যথায় তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদৌ কবুলযোগ্য নয়।”

কাজেই দান-ছদক্বা, পবিত্র যাকাত-ফিতরা সবকিছু করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিলের উদ্দেশ্যে। গাইরুল্লাহর জন্য কোনো আমল করা যাবে না। মানুষ দানশীল বলবে, দানবীর বলবে, দাতা বলবে, মানুষ জানবে, চিনবে, সমাজে নামধাম হবে, প্রচার-প্রসার ঘটবে, পরিচিতি হবে, যশ-খ্যাতি অর্জিত হবে, সমাজের অধিপতি হওয়া যাবে, নেতা-নেত্রী হওয়া যাবে, মসজিদের সেক্রেটারী, সভাপতি হওয়া যাবে, এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, মন্ত্রী-মিনিস্টার হওয়া যাবে ইত্যাদি সবই হলো গাইরুল্লাহ। এই গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্য থাকার কারণে দেখা যায়, বেশি লোককে যাকাত দেয়ার জন্য তারা কমদামের খদ্দরের পাতলা লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি দিয়ে থাকে; যা সাধারণভাবে পরার উপযুক্ত নয়। কারণ সে লুঙ্গি ও শাড়ি যাকাত দানকারী ও দানকারিণী পরিধান করতে কখনোই রাজি হবে না বা পছন্দ করবে না। যদি তাই হয়, যেটা পবিত্র যাকাত দানকারী ও দানকারিণী নিজেরা গ্রহণ করতে রাজি নয়, সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি কী করে গ্রহণ করবেন? মূলত সে দান আদৌ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুলযোগ্য হবে না।

-আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশে ঈদের বাজারে হিন্দি সিরিয়ালের প্রভাব কেন? সরকার কীভাবে ভারতীয় পোশাক আমদানির অনুমতি দেয়? সরকার কী নিজেই এদেশীয় পোশাক শিল্প ও পবিত্র ধর্মীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করতে চায়?

বাংলাদেশে বার্ষিক অর্থনীতির আকার প্রায় চৌদ্দ লাখ কোটি টাকার। শুধুমাত্র পবিত্র রমযান মাসেই সার্বিক অর্থনীতিতে যোগ হয় সোয়া এক লাখ কোটি টাকা। আর ঈদ উপলক্ষে অর্থনীতির সবচাইতে বড় চালিকা শক্তি হলো পোশাকের বাজার।

কিন্তু আত্মঘাতী ও সর্বনাশা বিষয় হচ্ছে- ঈদ উপলক্ষে আমাদের দেশের পোশাকের বাজারটি প্রায় পুরোটাই ভারতীয়দের দখলে। বৈধ-অবৈধ বিভিন্ন পথে ভারতীয় পোশাক আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করছে।

গরুতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের ঈদের বাজারে সেমাই-মসলা থেকে শুরু করে জামা-কাপড়সহ সব পণ্যেই ভারতের প্রাধান্য। মফস্বল শহর, বিভাগীয় শহর, রাজধানী শহর, সকল জায়গায় মার্কেটগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের পোশাকের ছড়াছড়ি। ভারতীয় নাটক-সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পীদের নামে এসব পোশাক বিক্রি হয়। ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার প্লাস ও স্টার জলসা-এর সিরিয়ালের নামে ও হিন্দি সিনেমার নামে বাজারে এসেছে অনেক পোশাক।

জানা গেছে, তিসমার খান, ওহ মাই গড, আশিকি-২, বডিগার্ড, রা ওয়ান- এসবই বর্তমান ভারতীয় হিট সিনেমার নাম। আর এসব হিট ছবির নামে পোশাকের নাম। ভারতের মুম্বাইয়ের হিন্দি হিট ছবির নামের পোশাকে ছড়াছড়ি ঢাকার ঈদ বাজারে। ভারতীয় হিট ছবি ও সিরিয়ালের নামের মোহে বিকিকিনি হচ্ছে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশের ঈদের পোশাক।

সরকারের উদসীনতার কারণে বস্ত্রখাতে ভারত এদেশের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। দেশীয় বস্ত্রশিল্পকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় বস্ত্র আসা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে বছরের পর বছর ধরে ধর্ণা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

বৈধ-অবৈধ পথে আসা এসব পোশাক দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। আকাশ সাংস্কৃতির নামে ভারতীয় টিভির সিরিয়াল, কার্টুন ও হিন্দি সিনেমার দিকে শিশু-তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকে পড়ায় যেমন দেশের মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতি-কৃষ্টি উপেক্ষিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করায় দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার এবং সেটা বেড়েই চলেছে।

আর ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ‘বিক্রির পর দাম পরিশোধ’ করার শর্তে পণ্য দেয়ায় দেশের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকছে সেদিকেই বেশি। বিক্রেতারা নিয়ে এসেছে স্টার জলসা’য় প্রচারিত ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালের নামকরণে ঈদের ‘কিরণমালা জামা’। বংলাদেশের মেয়েদের ভারতীয় সিরিয়াল দেখার দুর্বলতা বুঝতে পেরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলিউডের তারকা আর ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকাদের নামে পোশাকের নামকরণ করে। প্রতিটি পোশাকে লাগানো হয়েছে ভারতীয় নায়িকাদের ট্যাগ। যেমন- আনারকলি, আশিকি, মাসাককলি, সানি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, জারা, অর্চনা, আমিত, ডিসকো চলি, জীবিকা, রিভা, বীরা, ছানছান, ঝিলমিল, পাঙ্খুরী, আশিকি টু, বুগিউগি, টাপুর-টুপুর- এমন নানা নামের বাহারি পোশাক ঈদের ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ভারতীয় সিরিয়ালের গল্পের আকর্ষণই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণীদের মাঝেই এই পোশাকের প্রতি বেশি আকর্ষণ বাড়িয়েছে।

ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের অপসংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে ভারতীয় পণ্যের প্রতি দেশের শিশু-তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকে পড়া দেশের পোশাক শিল্প এবং অর্থনীতির জন্য খুবই খারাপ সংকেত।  মূলত আকাশ সংস্কৃতির নামে ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে বর্তমানে দেশ বিপর্যস্ত।

ভারতীয় সিরিয়ালের মূল উদ্দেশ্য হলো হিন্দুত্ববাদী চেতনাকে ধর্মরিপেক্ষতার নামে মুসলমানদের মন ও মস্তিষ্কে প্রথিত করা। গ্রথিত করা। ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা সিরিয়ালগুলো শুরু হয় মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোসহ ব্যাকগ্রাউন্ডে হিন্দু শ্লোক বা ধর্মসংগীত দিয়ে। আবহসঙ্গীতে থাকে শংঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মন্দিরের ঘণ্টা, ঢোলবাদ্য, পূজার সঙ্গীত ইত্যাদি দিয়ে। ওই সব সিরিয়াল দেখে বাংলাদেশের তরুণী-মহিলারা যেভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- দেশী পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করতেই ভারত থেকে পবিত্র ঈদ মৌসুমে পোশাক আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ভারতীয় নায়িকা-গায়িকাদের অনুকরণে পোশাক আমদানির সুযোগ দিয়ে সরকারই এদেশে অবাধ ভারতীয় সংস্কৃতির লালন ও প্রসার করছে। যা সংবিধানের ২৩নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট খেলাপ। সংবিধানের ২৩নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।’

উল্লেখ্য, আমাদের সংবিধানের ২নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম’। আর এদেশের ৯৮ ভাগ লোক মুসলমান। সুতরাং এদেশে কীভাবে পবিত্র ইসলামী আদর্শ ও ঐতিহ্যের বিপরীত পোশাক চলতে পারে? সঙ্গতকারণেই আমাদের দৃঢ় ও বুলন্দ এবং বলিষ্ঠ আওয়াজ- “সরকারকে অবিলম্বে ভারতীয় পোশাক নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া দেশের ৫ শতাধিক ফ্যাশন হাউস তারা পবিত্র ইসলামী আদর্শের খেলাপ বিবস্ত্রপ্রায় পোশাক তৈরি করছে- এগুলো কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে এবং উল্লেখযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে- এদেশ ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সংঘাতপূর্ণ সংস্কৃতি ও পোশাক- কিছুই এদেশে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।