পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে তড়িঘড়ি করে কুফরী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন পাস করা হলেও এখন কোনো আওয়াজ নেই, কোনো উদ্যোগ নেই। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অস্তিত্বহীনতা এবং বিরোধিতামূলক শিক্ষানীতি ও আইন চলতে পারে না।

সংখ্যা: ২৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে তড়িঘড়ি করে কুফরী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন পাস করা হলেও এখন কোনো আওয়াজ নেই, কোনো উদ্যোগ নেই। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অস্তিত্বহীনতা এবং বিরোধিতামূলক শিক্ষানীতি ও আইন চলতে পারে না।


এদেশে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী ধর্মপ্রাণ মুসলমান উনাদের জোরালো ও যুগপৎ অভিযোগ- বামঘেঁষা শিক্ষামন্ত্রী এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী দর্শনের শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের প্রতি। শিক্ষানীতি-২০১০ এবং শিক্ষা আইন-২০১৩ উভয়ক্ষেত্রেই এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ চরম প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তীব্র আন্দোলন করেছিল। সে আন্দোলনকে তখন শিক্ষামন্ত্রী এই বলে ধামাচাপা দিয়েছিল- “শিক্ষানীতি ওহী নয় যে এর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।”

লেখাবাহুল্য, তখন ধর্মপ্রাণ মানুষ ভেবেছিল- জরুরী প্রয়োজনে এবং বেকায়দায় পড়ে সরকার এ বিতর্কিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতেই তা পরিবর্তন করে ফেলবে।

কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই স্পষ্টভাবে ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী বুঝতে পারছে যে, তাদের সাথে গভীর প্রতারণা করা হয়েছে ও হচ্ছে। এমনকি প্রতারণার জাল এত ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে যে- এর বেড়াজালে মুসলমানগণ উনাদের সন্তান এখন মুসলমান না থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী তথা নাস্তিক হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাস্তিক্যবাদ সহযোগী ও সমর্থনকারী হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!

গত ১২ এপ্রিল-২০১৫ ঈসায়ী ইয়াওমুল আহাদ একটি জাতীয় দৈনিকে খবর হেডিং হয়েছে যে, “আমাদের সন্তানেরা মুসলমান থাকবে তো? মূলত এ প্রশ্ন এখন আর রাখঢাকের মধ্যে নেই। এমনকি সরকারদলীয় লোকেরাও এ বিষয়ে ভীষণ উৎকণ্ঠিত।

সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১৩টি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যে উদ্বেগটি প্রকাশ করেছেন সেটি এদেশের ২০ কোটি মুসলমানগণ উনাদের জন্যই সমান উদ্বেগ ও চরম আপত্তির। নেতৃবৃন্দের ভাষায়, বাংলাদেশ একটি ‘মুসলিম দেশ’। দেশটির রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র ইসলাম। সে দেশে শিক্ষাব্যবস্থার ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে বিধর্মী লোকদের লেখা গল্প, কবিতার পরিমাণ ৫৭ থেকে ৮০ ভাগ। এসব লেখার মাধ্যমে এদেশের ২০ কোটি মুসলমান উনাদের সন্তানদেরকে তথা এদেশের মুসলিম ছাত্রসমাজকে তাদের আত্মপরিচয় ও ধর্মীয় ভাবধারা ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব লেখায়- “নেমন্তন্ন, ভজন, বাবু, প্রসাদ, পূজা, পার্বণ, বৈষ্ণব, চ-ীম-প, প্রায়শ্চিত্ত, ভগবতী, শ্মশান’’ ইত্যাদির ন্যায় বহু বিশেষ অর্থ ও মর্মবোধক শব্দ ব্যবহার করে এবং শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় সঙ্গীত শ্রবণের উৎসাহ দিয়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব ইসলামী আক্বীদা দুর্বল করে ভিন্ন ধর্মের দিকে (নাউযুবিল্লাহ) ধাবিত করার সূক্ষ্ম প্রয়াস চালানো হচ্ছে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে এটি এক গভীর চক্রান্ত। এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। বর্তমান প্রচলিত পাঠ্য-পুস্তকসমূহ বাতিল করে ইসলামী ভাবধারায় নতুন পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে। অল্পসংখ্যক সংখ্যালঘুর সাথে একাকার করতে মুসলমানগণ উনাদের সন্তানদের ইসলামশূন্য শিক্ষায় শিক্ষিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অনেক শিক্ষাঙ্গনে এখন সকল ছাত্রকেই সরস্বতী পূজায় উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ মুসলমানগণ উনার জন্য দেব-দেবীর পূজা করা সম্পূর্ণ অবৈধ, হারাম ও শিরক। নেতৃবৃন্দ বর্তমান নাস্তিক্য ভাবধারা শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষানীতির ইসলামীকরণের দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেছে, বর্তমান ধর্মহীন শিক্ষানীতিতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠক্রমে মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞানসহ অন্যান্য শাখা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষার নামে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের অবাধ যৌনতার সুড়সুড়ি দেয়া হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!

বলাবাহুল্য, শিক্ষা একটি জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়। শিক্ষানীতির সঙ্গে এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান উনাদের ভাব, দর্শন ও ভবিষ্যৎ জড়িত। এ কারণেই শিক্ষানীতি বা তার সুপারিশের আলোকে আইন প্রণয়নের সময় ব্যক্তি বা দলীয় চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান উনাদের চিন্তা চেতনা, আস্থা ও বিশ্বাসের আলোকে তা প্রণয়ন করা উচিত। বিশেষ করে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে এমন কোনো নীতি বা আইন করা উচিত নয়; যা তাদের লালিত বিশ্বাস ও কৃষ্টি কালচারের পরিপন্থী। মুসলমান মাত্রই দুনিয়া এবং পরকালের কল্যাণ কামনা করে থাকে। আর সে কারণেই উভয় জগতের প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যেই শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা উচিত। এ বিচারে বর্তমান সরকার প্রণীত শিক্ষানীতি পার্থিব জীবনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য নামকাওয়াস্তে উপযোগী হলেও এতে একজন ব্যক্তির পরকালীন জীবনের প্রয়োজন ও গুরুত্বকে উপক্ষো করা হয়েছে।

বিশেষ করে বলা চলে- শুধু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে উপেক্ষা এবং কটাক্ষ করেই নয়; বরং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পূর্ণ অস্তিত্বহীনতা ও বিরোধিতা করেই এ শিক্ষানীতি করা হয়েছে। এ কারণেই এদেশের আলিম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানগণ উনারা সবাই এ শিক্ষানীতিকে ধর্মহীন শিক্ষানীতি বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সুতরাং ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে ইসলামবিরোধী প্রচলিত শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষা আইন হতে পারে না। সরকারকে অবিলম্বে ইসলামবিরোধী এ শিক্ষানীতি পরিবর্তন করতে হবে। মুসলমানগণ উনাদের সাতন্ত্র্য রক্ষায় তাদের ঈমানী আক্বীদা ও আমলের চেতনা বিকাশের প্রেক্ষিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা- ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’। কিন্তু বাস্তবে বলা চলে- বর্তমান শিক্ষানীতি তথা পাঠ্যক্রমের পুরোটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী। কাজেই সরকারকে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে তথা সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্যই বর্তমান শিক্ষানীতির সংশোধন করতে হবে।


-আল্লামা মুহম্মদ আরিফ আহমদ।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল