পরিসংখ্যান ব্যুরো’র গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কারিগরি দক্ষতা, মানসম্পন্ন জনবল এবং প্রশিক্ষণের যেমন প্রয়োজন; তেমনি যথাযথ গণ্ডিভুক্ত বিষয়ের জরিপের পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধসমৃদ্ধ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করারও বিকল্প নেই

সংখ্যা: ২৫২তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেশের উন্নয়নের জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা। সঠিক পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী সঠিক পরিসংখ্যান বা সঠিক জরিপ। পরিসংখ্যান যত নির্ভুল হবে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ তত সহজতর হবে। বাংলাদেশে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গঠন করা হলেও এখনো কারিগরি দক্ষতা, মানসম্পন্ন জনবল এবং সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের মানোন্নয়নের অভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্যের উপরই দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ফলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

কারণ সারা দেশে ৪৮২টি উপজেলায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কার্যালয় থাকলেও এর বিপরীতে কর্মকর্তা আছে মাত্র ১৪৬ জন। বাকি উপজেলাগুলোয় কোনো কর্মকর্তা নেই। উপাত্ত সংগ্রহ চলছে চেইনম্যান দিয়ে, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বোচ্চ অষ্টম শ্রেণী। মাঠপর্যায়ে না গিয়ে ঘরে বসেই অনেক সময় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে তারা। ফলে ভুল পরিসংখ্যানের অভিযোগ উঠেছে বিবিএস’র বিরুদ্ধে।

তাছাড়া বিবিএস-এর জরিপ গতানুগতিক ধারার গণ্ডিবদ্ধ কিছু বিষয়ে সীমাবদ্ধ। অথচ এর বাইরে জরিপের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়ে গেছে। যেমন উর্বরতা অনুযায়ী অঞ্চলভেদে খাদ্য উৎপাদনে ভূমি জরিপ, খাদ্য পাচার জরিপ, প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ জরিপ, সমুদ্র সম্পদ জরিপ, এনজিওগুলোর কার্যকলাপ জরিপ, প্রচলিত হারাম কাজের জরিপ, হারাম কাজ প্রবর্তন ও প্রচলনকারি জরিপ, ইসলামবিদ্বেষী চিহিতকরণ জরিপ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেই বিবিএসের।

উল্লেখ্য, জাতীয় আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি হিসাব করার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই বিবিএস’কে নির্ভর করতে হয় সেকেন্ডারি তথ্যের উপর। যেমন পরিবহন খাতের একটি অংশের তথ্যের যোগান দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যোগান দেয় নৌপরিবহন খাতের তথ্য। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কেবল নিবন্ধিত যানবাহনের হিসাব পাওয়া যায়। আবার যে হিসাব পাওয়া যায়, সেটিও অপূর্ণাঙ্গ। জিডিপি’তে সেসব খাতের অবদানও উল্লেখ করা হয় না।

একই অবস্থা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে। সেখানে যা উৎপাদন হচ্ছে, তা সরাসরি হিসাব করা যায় না। এজন্য এখানেও সেকেন্ডারি তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়। পরিস্থিতি ভিন্ন নয় কৃষির ক্ষেত্রেও। জিডিপি’তে প্রতিটি খাতের অবদান আলাদাভাবে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। এসব হিসাব নির্ধারণ করার জন্য বহুলাংশে নির্ভর করতে হচ্ছে বাণিজ্য-সম্পর্কিত (আমদানি-রফতানী) তথ্যের উপর।

বিবিএস কোনো বিষয়ে জরিপ করলেও ফলাফল প্রকাশে লেগে যায় দুই থেকে চার বছর। ফলে কোনো একটি নির্দিষ্ট বছরে দেশের অর্থনীতিতে কী ঘটছে, সঠিকভাবে তা বোঝা যায় না। এজন্য আগে প্রকাশিত কোনো জরিপের ফলের উপর ভর করে একটি ধারণাগত প্রাক্কলন দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

খানা আয়-ব্যয় জরিপের (এইচআইইএস) তথ্যের ভিত্তিতে নিরূপণ করা হয় দারিদ্র্য হার। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জরিপটি করা হয়। ২০১০ সালের পর এখনো জরিপটি করা হয়নি। ফলে ফর্মুলানির্ভর অনুমানের ভিত্তিতেই চলছে দারিদ্র্য হার নির্ধারণ। এ ফলাফলের সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সমন্বয় করে প্রতি বছর দেশে কী হারে দারিদ্র্য কমছে, তার একটি হিসাব করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বছরে প্রকৃতপক্ষে দেশে দারিদ্র্যের চিত্র কেমন, তা জানার সুযোগ নেই। যদিও দারিদ্র্য নিরূপণে এটি একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। তবে দীর্ঘদিন জরিপ না করে এ পদ্ধতিতে দারিদ্র্য নিরূপণ করলে বাস্তব চিত্রের সঙ্গে তা অনেকটাই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিবিএস’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেবার ফোর্স সার্ভের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ২০১৩ সালে এ নিয়ে একটি জরিপ করা হলেও ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০১৫ সালে। একইভাবে অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে আর পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হয় ২০১৫ সালের শেষে। এভাবে কোনো জরিপ ও শুমারির ফলাফল অনেক দিন পর প্রকাশ হলে প্রকৃতপক্ষে সেটি সরকারের নীতিনির্ধারণে খুব বেশি কাজে আসে না।

গত ৬ বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রকৃত চিত্র এখনো বিবিএসের কাছে নেই। কারণ তারা দীর্ঘদিন এ বিষয়ে কোনো জরিপ করেনি। ২০১০ সালের জরিপের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, দেশে বর্তমানে দারিদ্র্য হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃত চিত্র এর কম-বেশি হতে পারে।

এদিকে প্রতি ১০ বছর অন্তর পরিবর্তন করা হয় ভিত্তি বছর। ফলে এ ১০ বছরের মধ্যে নতুন কোনো খাতের উদ্ভব হলে জিডিপি’তে তা কী অবদান রাখছে, সে হিসাব করা সম্ভব হয় না। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভিত্তি বছর পরিবর্তন করার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেটি না করায় দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সেকেন্ডারি তথ্যের উপর ভিত্তি করে জিডিপি ও জাতীয় আয় হিসাব করলে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বাস্তবে কী ঘটছে, তা বোঝা যায় না। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি’র হিসাব দিচ্ছে। বিবিএসের তার চেয়েও বেশিদক্ষতা অর্জন করা উচিত। বিবিএসের তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়াতে হলে এর মান বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। আর মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান পেতে হলে ভালোমানের কর্মী নিয়োগের পর তাদের ভালো প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রকৃতমানে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি জরিপের ফলাফল যতটা দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করতে হবে।

-মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।