প্রসঙ্গ: রিজার্ভে হাত দিতে চায় সরকার। সুযোগ নিতে চায় বিতর্কিত ওরিয়ন গ্রুপ, লোপাট হবে অর্থ। চলমান পরিস্থিতিতে রিজার্ভে হাত দেয়া অর্থনীতির জন্য শঙ্কার কারণ হবে। সরকারের উচিত অর্থ সংস্থানে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিশেষ করে বেশি রিজার্ভ থাকলে টাকার মান স্থিতিশীল থাকে। মুদ্রার অবমূল্যায়নজনিত মূল্যস্ফীতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে। তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। রফতানি বাণিজ্য স্থিতিশীল থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ৪০ বিলিয়ন ডলার। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সুযোগসন্ধানীদের এখন দৃষ্টি পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিকে। অর্থাৎ, তাদের নতুন লক্ষ্যস্থল এখন খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে টাকা নেয়ার জন্য প্রথম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওরিয়ন গ্রুপ তৎপরতা শুরু করার পর থেকেই এই আশঙ্কার সূত্রপাত। রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য গত ২৬ জুলাই থেকে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটি ঋণ চায় ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভ থেকে এই ধরনের ঋণ দেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও নিয়মবহির্ভূত। পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশ দুষণের একটি হাতিয়ার। সে হিসেবে এর জন্য ঋণ দেয়াও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ।

উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অন্যতম নির্দেশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত, কোনো দেশের অর্থনীতি যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেন করতে সঙ্কটে পড়ে তখনই রিজার্ভে হাত দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে অনেক ভালো একটি অবস্থানে রয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রায় এখন হাত দিলে তা অর্থনীতির জন্য শঙ্কার বিষয় হয়ে দাড়াবে। পাশাপাশি, ঋণ খেলাপি সিন্ডিকেট যেভাবে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে ব্যাংকগুলো ফোকলা করে দিয়েছে সেভাবেই তারা রিজার্ভকেও লুটপাট করতে চাইছে। কারণ রিজার্ভ থেকে ওরিয়নের এই ঋণ প্রস্তাব প্রথম হলেও বিষয়টি এখানেই থেমে থাকবে না। অন্যান্য বিতর্কিত ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোও ওরিয়নকে অনুসরণ করবে। অতীতের ইতিহাস তাই বলে। ২০১৫ সালে খেলাপিসহ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বিতর্কিত একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করে। প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়ম অবজ্ঞা করেই এই সুবিধা চাওয়া হয়েছিল।

পরে মোট ১১টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দাবির মুখে তাদের ১৫ হাজার কোটি টাকা পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই টাকার বড়ো অংশ এখনও ফেরত আসেনি। সেইসাথে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকেও বিতর্কিতভাবে ঋণ নেয়ার নজির রয়েছে এই ওরিয়ন গ্রুপের।

সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, সরকারও এখন রিজার্ভে হাত দিতে চাইছে। কথিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সরকার এই রিজার্ভের অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের কথিত প্রকল্পগুলোতে যেভাবে দুর্নীতি ভর করে থাকে এবং ক্ষনে ক্ষনে ব্যয় বাড়ে তাতে রিজার্ভের অর্থে সুফল তো নয়ই বরং অপচয় ও লোপাটের আশঙ্কা থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের উচিত হবে কোনোক্রমেই রিজার্ভ থেকে ঋণ না নেয়া, আর ওরিয়ন গ্রুপকে ঋণ দেয়ার তো কোনো প্রশ্নই থাকেনা। সরকারের উচিত হবে দেশের প্রকল্পব্যয়গুলো মেটাতে রিজার্ভে হাত না দিয়ে দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ঋণ খেলাপিদের লোপাট করা লাখ লাখ কোটি টাকা উদ্ধার করে সেগুলো কাজে লাগানো।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, প্রকল্পে বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হয় এটা স্বাভাবিক। আর সেই অর্থ সরকারের আয় দিয়েই মেটাতে হবে এটাই নিয়ম। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার বরাবরের মতোই আয়ের দিকে তেমন কোনোই দৃষ্টি দিচ্ছেনা। বরং সরকারের উদাসীনতায় প্রতিটি সেক্টরে এখন সীমাহীন দুর্নীতি হচ্ছে। আর তাতে করে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বহুগুন। কিন্তু এসবের সমাধান না করে সরকারের নজর শুধু ঋণে। আর এই লক্ষন দেশের জনগনের কাছেও ভালো ঠেকছেনা। কারণ বর্তমানে সরকার বেপরোয়াভাবে শুধু ঋণই গ্রহণ করছে। কিন্তু আয় না হওয়ায় এই ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। আর এই বোঝার ভার বাড়ছে জনগনের কাধে। যা সামনের দিনগুলোতে দেশে একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। সেই সাথে ওরিয়ন গ্রুপের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান সরকারের ঋণ নেয়ার ধারাবাহিকতায় দেখে রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে।

আমরা মনে করি, রিজার্ভ বাদ দিয়েই সরকারের যথেষ্ট আয়ের পথ রয়েছে যা বিকশিত করলে সরকারের রিজার্ভে হাত দেয়ার কোনো প্রয়োজনই নাই বরং সরকার ঋণ প্রদান করতে পারবে। সরকার যদি দুর্নীতি দমন করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, উদ্যোক্তাদের ঋণ সহযোগীতার পাশাপাশি অর্থপাচার, অপচয় ইত্যাদি রুখতে পারে তাহলে সরকারের আয়ের অভাব হবেনা। উদাহরণস্বরূপ: গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা এবং বর্তমানেও পাচার হচ্ছে। অথচ এই অর্থ যদি পাচার ঠেকানো যেতো তাহলে এটি দিয়েই সরকারের একটি বড় অর্থ আয়ের সুযোগ থাকতো। কারন তা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতো। বর্তমানে সারাদেশে বিপুল পরিমাণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা কর্মহীন ও বেকার। হিসাব মতে তাদের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে যদি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতগুলোতে কাজে লাগানো যায় তাহলে এই খাত থেকেই বাজেটের সমপরিমাণ আয় হবে সরকারের। অন্যদিকে, প্রতিবছর রাজধানীতে যানজটের কারণে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে রাষ্ট্রের। যদি রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায় তাহলে এই ৬০ হাজার কোটি টাকা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতো। পাশাপাশি সরকার দেশের বাণিজ্যিক খাতে নানারূপ অস্বাভাবিক ভ্যাট-কর আরোপ করে রেখেছে। যদি সরকার এই ভ্যাট কর উঠিয়ে নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে এটি থেকেও সরকারের আয় বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে, কাজে দুর্নীতির মচ্ছব চলছে। এই দুর্নীতি যদি রোধ করা যেতো তবে বাংলাদেশ টাকার উপরে ভাসতো।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।