প্রসঙ্গ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস; স্থায়ী ও টেকসই সমাধানে ঢাকার করণীয় কী?

সংখ্যা: ২৬৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন ও দেশান্তরিকরণ। সারাবিশ্ব এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, নিরীহ মজলুম রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে মিয়ানমারের বর্বর যালিম সরকারকে। তবে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান কেন্দ্রবিন্দুতে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেয়া থেকে শুরু করে এর সমাধানও বাংলাদেশকেন্দ্রীক। তাই আমাদের দেশকেই এর ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে।

আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, রোহিঙ্গা ইস্যুটি সরাসরি বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত। এখান থেকে মুখ ফিরানো বা রোহিঙ্গা ইস্যুকে পাশ কাটানোর সুযোগ বাংলাদেশের নেই। এবারের সঙ্কট চলাকালেই রোহিঙ্গা সমস্যার একটি স্থায়ী ও টেকসই সমাধান বের করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে না হয়। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী ও টেকসই সমাধানকল্পে বাংলাদেশ সরকারের জন্য যে পদক্ষেপগুলো হাতে নেয়া জরুরী তা হলো-

কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা। সক্রিয় ও কার্যকর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিশ্বজনমত এবং প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সকল রাষ্ট্রপ্রধানদের রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষে দাঁড় করাতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা যেন নিরীহ মজলুম রোহিঙ্গাদের পক্ষে থাকার বিবৃতি দেয় এবং মিয়ানমারের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করে- বিচক্ষণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তা করতে হবে।

এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে দুই শক্তিধর দেশ চীন ও রাশিয়া। তারা অলরেডি মিয়ানমারের পক্ষালম্বন করে বিবৃতি দিয়েছে। চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধু তাদের অর্থ, বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থকেই বড় করে দেখছে, মানবিক দিকটাকে তারা সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়েছে।

মিয়ানমারের প্রতি চীন ও রাশিয়ার সমর্থন দেয়ার পেছনে বড় একটি কারণ রয়েছে; তাদের আশঙ্কা যে, রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে ইউএন-ইউএস মিয়ানমারের তেল-গ্যাস প্রভৃতি খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ স্টেট রাখাইনে (আরাকান) হস্তক্ষেপ করে সেখানকার আধিপত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নিবে। তাছাড়া এখানে চীনের তেল পাইপলাইন বসানোসহ আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে। সহজ কথায়, রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে যে বিশাল খনিজসম্পদ রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণ এখন চীনের হাতে। অপরদিকে আমেরিকার বহুদিনের লালায়িত আকাঙ্খা রাখাইনের (আরাকান) তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ খনিজের কর্তৃত্ব করার। যেকোনো মূল্যে আমেরিকা এখানে চীনকে হটিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর আমেরিকার কাঙ্খিত সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে আজকের রোহিঙ্গা ক্রাইসিস। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে হোক বা রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার নাম করে হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউএন-এর মাধ্যমে আরাকানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। মূলত, এমন আতঙ্ক থেকেই এন্টি-মার্কিন দুই পরাশক্তি চীন ও রাশিয়া অবহেলিত, নিপীড়িত, নিরপরাধ রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষ না নিয়ে তারা মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বন করেছে এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘসহ অন্য কারো হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে।

তবে এটাও সত্য যে, মার্কিন লোভাতুর নজর কেবল রাখাইনেই (আরকান) সীমাবদ্ধ নয়; তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ আমাদের কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকেও রয়েছে। তাই ইউএন বা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে গেলে পরবর্তীতে বাংলাদেশের উপকূল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্যও তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিঙ্গা সমস্যার কার্যকরী ও টেকসই  সমাধান তাহলে কোন্ পথে এবং চীন, রাশিয়া ও আমেরিকা- এরা যদি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে আমাদের কোন্ পথে হাঁটতে হবে বা আমাদের করণীয় কী?

হ্যাঁ, এরও সমাধান রয়েছে; তবে সরকারকে এক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও কৌশলী হতে হবে। একদিকে সরকারকে কূটনৈতিকভাবে সফল হতে হবে, অন্যদিকে ফিল্ডে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

প্রথমত, মিয়ানমারের অসভ্য বর্বর জান্তা বাহিনী যে রাখাইনে (আরাকান) রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে, জাতিগত নিধনে উঠেপড়ে লেগেছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে, তা জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা অলরেডি বলেছেও এবং এগুলো রেকর্ডেড। চীন ও রাশিয়া যাতে মিয়ানমারের বর্বরতা থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়- এজন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করতে হবে এখনই। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে অপরাধ করেছে এর বিরুদ্ধেও মামলা করা যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত, একদল দক্ষ প্রতিনিধিকে চীন ও রাশিয়ায় ছুটে যেতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার যে অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে সেটা এবং বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব কতটুকু- এ বিষয়টা ভালো করে তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে শুধু যে মিয়ানমারই একমাত্র দেশ নয়, ভূ-অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব কত বেশি চীন ও রাশিয়ার কাছে সেটা তুলে ধরতে হবে।

তৃতীয়ত, চীন ও রাশিয়া যদি আমাদের কথা আমলে নেয় তবে ভালো, আর যদি না নেয়, তবে আরেকটা রাস্তা খোলা রয়েছে তাদের কনভেন্স করার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিমপ্রধান দেশগুলো রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে (আরাকান) নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো প্রস্তুত বলে বিবৃতিও দিয়েছে। বিশেষ করে তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশগুলো শক্তভাবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমপ্রধান এই রাষ্ট্রগুলোর সাথে দীর্ঘদিনের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে চীন ও রাশিয়ার সাথে। অন্তত এই রাষ্ট্রগুলোর মাধ্যমে হলেও চীন-রাশিয়াকে কনভেন্স করার জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যেমন পাকিস্তান দিয়ে চীনকে এবং তুরস্ক ও ইরানকে দিয়ে রাশিয়াকে কনভেন্স করা ইত্যাদি। স্মর্তব্য যে, রোহিঙ্গা সমস্যায় ভুক্তভুগী কিন্তু বাংলাদেশ। তাই সামনে থেকে উদ্যোগ নিয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলদেশকেই।

আমাদের এটা বোঝা উচিত- পররাষ্ট্রনীতিতে জাতীয় স্বার্থকেই আগে দেখতে হবে। নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য অন্য কোনো রাষ্ট্রের সমর্থন বা সহযোগিতা হাত ছাড়া করা যাবে না। যেহেতেু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পরিচয়- তারা মুসলিম, সেহেতু মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিস্বার্থভাবেই এগিয়ে আসবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এটা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক।

এক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চীন ও রাশিয়াকে এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, বাংলাদেশ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চায়; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে নয় এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করার পর বর্তমানে রাখাইনে (আরাকান) চীনের ইনভেস্টমেন্টের উপরও কোনো হস্তক্ষেপ কেউ করবে না। কোনোভাবেই রাখাইনে (আরাকান) আমেরিকাকে কর্তৃত্ব করতে দেয়া হবে না। কেননা, এখানে মার্কিন আধিপত্য বাংলাদেশের জন্যই  হুমকিস্বরূপ। এবং কার্যতঃ এমনটাই করতে হবে। এই  বিষয়গুলো বাংলাদেশ নিজে হোক বা অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর মাধ্যমে হোক চীন ও রাশিয়াকে স্পষ্ট করে দিতে হবে। তারা যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অন্তত নিরপেক্ষ থাকে; এটা কনভেন্স করতে হবে। যেহেতু শুধু মিয়ানমারই একাই নয়, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তানও চীন-রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র। সুতরাং এই রাষ্ট্রগুলোকে এ্যাভয়েড করা চীন-রাশিয়ার পক্ষে সম্ভব হবে না মনে হয়। সেহেতু আশা করা যায় তারা মুসলিমপ্রধান এদেশগুলোর আহ্বানকে অগ্রাহ্য করতে পারবে না। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিকভাবে চীন ও রাশিয়াকে কনভেন্স করাই বড় চ্যালেঞ্জ, সেটা যেভাবেই হোক না কেন।

এবার আমেরিকা ও ইউএন-এর প্রসঙ্গে আসা যাক। চীন, রাশিয়া বা অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে মার্কিন ফরেন পলিসি অনেক বেশি কানিং। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং মিডিয়া যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করে থাকে এগুলোর উপর আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন এবং ইউরোপ-আমেরিকার অন্যান্য দেশের মিয়ানমারের বর্বর জান্তা সরকারের বিপক্ষে অবস্থান এবং নিপীড়িত ও দেশান্তরিত নিরপরাধ মজলুম রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো ও সমর্থন অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বিরাট ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, এই সমস্যা সমাধানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকেই এবং বাংলাদেশ এটা করবে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোকে নিয়ে; যারা পরবর্তীতে আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।

রাখাইনের (আরাকান) মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আলাদা স্বাধীন ভূ-খ- করার পরিকল্পনা সিআইএ’র দীর্ঘদিনের প্রজেক্ট। তাই  জাতিসংঘ ও আমেরিকার নেতৃত্বে বা হস্তক্ষেপে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করাটা সুদূরপ্রসারী সমাধান হবে বলে মনে করি না।

চতুর্থত, বাংলাদেশ বারবার রোহিঙ্গা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি। নিরীহ মজলুম রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্কটকালে সারা বিশ্বই মিয়ানমারের বিপক্ষে সরব হয়েছে। বৈশ্বিক এই সরবতা বা একাত্মতা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজন্য মিয়ানমার সরকারের উপর বৈশ্বিক চাপ, অবরোধ বা সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যম দিয়ে হলেও রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ ও সসম্মানে এবং তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের আপন ভূমি রাখাইনে (আরাকান) তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে।

তবে হানাদার মিয়ানমার সরকারের অবস্থান যা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে- সামরিক শক্তি প্রয়োগ ব্যতিত তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা তাদের রাখাইনে (আরাকান) ফিরিয়ে নিবে না। কয়েকদিন আগে বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক মে.জে. (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান একটি টকশোতে যা বলেছিলেন তার সারমর্ম প্রায় এমন- “মিয়ানমার যেহেতু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজ ভূমি আরাকানে ফিরিয়ে নিচ্ছে না, আর এতে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ, সেহেতু ২/৪ লক্ষ রোহিঙ্গা যুবকদের সামরিক ট্রেনিং ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আরাকান স্বাধীন করবার জন্য আরাকানে পাঠানো উচিত। তবেই রোহিঙ্গা সমস্যার ইতি টানা যাবে।”

কথাটা আমার কাছেও যৌক্তিক মনে হয়েছে। আমিও মনে করি- কোনো কিছুতেই যখন কাজ হবে না; তখন সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

-মুহম্মদ জিয়াউল হক আখন্দ, ঢাকা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।