প্রসঙ্গ: সন্ত্রাসী দল জামাত নিষিদ্ধকরণ।  সরকারের সামনে অবাধ সুযোগ। সরকারের ধীরে চলো নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার কথা বরদাশতযোগ্য নয়।

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

মওদুদীবাদী জামাতকে মানবতাবিরোধী অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মওদুদীবাদী জামাত ৭ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে প্রকাশ এবং দল হিসেবে জামাতকে নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস এ দেশের মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। আর পাকিস্তানী বাহিনীকে এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে মওদুদীবাদী জামাত।

সে সময় মওদুদীবাদী জামাত ও তার সহযোগী সংগঠন আল-বাদর, রাজাকার ও দলটির মুখপত্র তৎকালীন দৈনিক পত্রিকা ‘সংগ্রাম’ সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।

মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য যেসব সুযোগ বের করা হয়েছে এর প্রথম সুযোগ হচ্ছেÑ নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সরকার এটা বন্ধ করতে পারে। সেটা করলে তাদের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় সুযোগ হচ্ছে- সরকার চাইলে এই সংগঠনের বিগত দিনের ও ২০১৩ সালের হাঙ্গামার সময়কার বিষয় বিবেচনা করে ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, তাদেরকে নির্যাতন ও হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু সরকার চলছে ধীরে চলো নীতিতে।

এদিকে আবারো গুঞ্জন উঠেছে, সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার চেষ্টা চলছে। দলটির নায়েবে আমীর দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর আপিল বিভাগের রায়কে ঘিরেই এমন গুঞ্জন উঠেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অতিগোপনে অভিযুক্ত জামাতের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে রটনা হয়েছে। আর এতে তারা বিদেশীদের সহায়তা নিচ্ছে। জামাতকে ‘ম্যানেজ’ করতে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। আর জামাতের পক্ষে কাজ করছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। সে এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছে। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত সে দেশে ফিরবে না বলে জানা গেছে। কারণ রাজ্জাক বাইরে যাওয়ার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর (২০১৩) কলাবাগান থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জামাতের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেমন করে দেশের বাইরে গেলো এমন প্রশ্ন সবার। ওয়াকিবহালের মতে, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে বাইরে যেতে সহযোগিতা করেছে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও একজন বিদেশী রাষ্ট্রদূত। ওই রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে করেই তিনজন এয়ারপোর্টে যায়।

প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর রয়েছে, আবারো ১৯৮৬-এর নির্বাচন পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি যায়নি, কিন্তু জামাত আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়ে এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর জামাত বিএনপি’র সঙ্গে দুটি মহিলা এমপি ‘পুরস্কার’ নিয়ে অবস্থান নিলেও অল্প দিনের মধ্যে তারা রাস্তায় আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গী হয়। তারাই কেয়ারটেকারের ফর্মুলা দিয়ে সেটি আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জোর করে বাস্তবায়ন করে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামাতের আঁতাত বা সমঝোতা নতুন কিছু নয়। ক্ষমতার লোভে জামাত পারে না এমন কোনো কাজ নেই। কাজেই নিজেদের অস্তিত্ব এবং জনসমর্থন টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আওয়ামী লীগের উচিত, জামাতের সাথে আতাতের মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে না যাওয়া। বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ধর্মব্যবসায়ী জামাতকে নির্মূল করা।

উল্লেখ্য, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সংবিধানের ৩৮নং বিধান বলে এক্ষুনি মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করতে পারে। সরকারের সামনে এক্ষুনি মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সরকার চাইলে তা যেকোনো সময়ে কাজে লাগাতে পারে। তবে সরকার সেটা চাইছে না। কিন্তু জনগণ এটা ভালো চোখে দেখছে না। সরকার যদি নিজেদেরকে জনগণের অভিভাবক মনে করে, তবে সরকারের উচিত ধীরে চলো নীতি না নিয়ে জামাতের সাথে কোনো সমঝোতায় না গিয়ে এক্ষুনি সক্রিয় হয়ে শক্ত পদক্ষেপে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা।

মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।