প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে ইলম মুবারক প্রাপ্ত হয়ে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ-১

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاَمَّا بِـنِعْمَةِ رَبِّـكَ فَحَدِّثْ

অর্থ: “আর আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, সেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ওহী মুবারক অনুযায়ী প্রাপ্ত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মাঝে বর্ণনা মুবারক করেছেন, ঠিক একইভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবত্রি সুন্নত মুবারক আদায়ের লক্ষ্যে উনার একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছামাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে প্রাপ্ত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে কখনও কখনও কিছু কিছু বিষয় মুরীদদের মাঝে, কায়িনাতবাসীর মাঝে বর্ণনা মুবারক করে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে ধন্য করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! তেমনিভাবে ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ৯ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ একটি বিশেষ বিষয় বর্ণনা মুবারক করে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে ধন্য করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যা সৃষ্টি জগতের কারো জানা ছিলো না।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার ৬ জায়গায় অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত ৩, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা র’দ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪ এবং সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ উনার  ৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ (ছুম্মাস্ তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) উল্লেখ রয়েছে। আর সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার ৫ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ اَلرَّحْمٰنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى (আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস তাওয়া) উল্লেখ রয়েছেন। এ সকল জায়গায় اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে সৃষ্টির কারো জানা ছিলো না, কুল-কায়িনাতের কারো জানা ছিলো না।

এ সম্পর্কে মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছামাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিসহ আরো বড় বড় ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে সুওয়াল করা হয়েছিলো যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি? উনারা বলেছেন যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের শাব্দিক অর্থ আমাদের জানা রয়েছে, ‘উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি’। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) হয়েছেন, এটা আমাদের জানা নেই।”

মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছামাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে সৃষ্টির কারো জানা নেই, কুল-কায়িনাতের কারো জানা নেই।”

মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছামাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীকে ইলম মুবারক উনার গুরুত্ব অনুধাবনের লক্ষ্যে ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন, “মাসআলার জওয়াব দিলে, ফতওয়া দিলে টাকা লাগবে না? হ্যাঁ, টাকা দিতে হবে। এই যে ১৪০০ বছরে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে, কেউ এটা ফায়ছালা দিতে পারলো না। আমি দিবো; টাকা দিতে হবে না? ১৪০০ বছরে ১৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে। তাহলে আমি বলবো।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّـعْمَانِ بْنِ بَشِيْـرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدُّثُ بِـنِعْمَةِ اللهِ شُكْـرٌ وَتَـرْكُهَا كُفْـرٌ وَمَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِـيْلَ لَا يَشْكُرِ الْكَثِيْـرَ وَمَنْ لَّا يَشْكُرِ النَّاسَ لَا يَشْكُرِ اللهَ

অর্থ: “হযরত নু’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করা শুকরিয়া হিসেবে গণ্য এবং বর্ণনা না করা কুফরী। যে ব্যক্তি সামান্য সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে না, সে অধিক সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়েও শুকরিয়া আদায় করবে না। যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনারও শুকরিয়া আদায় করতে পারবে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান, মুসনাদে আহমদ, আত ত্ববারনী, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, মুসনাদে বাযযার, কাশফুল খফা, আল ফাতহুল কাবীর ইত্যাদি)

প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে ইলম মুবারক প্রাপ্ত হয়ে মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছামাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যেই বিষয়ে সৃষ্টির কারো কোনো ইলম ছিলো না, কুল-কায়িনাতের কারো কোনো ইলম ছিলো না। কেউ কখনো জানতোও না। তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক রয়েছেন, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যার কারণে সৃষ্টি জগতের মাঝে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ করা। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাই প্রত্যেক মুরীদের জন্য ফরয হচ্ছে, এই বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা করা, বর্ণনা করা। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা হচ্ছে শুকরিয়া আদায়ের বিশেষ মাধ্যম। আমরা শুকরিয়া প্রকাশার্থে এবং তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত ও রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের প্রত্যাশায় আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার যে হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ করেছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা কুল-কায়িনাতবাসীর নিকট তুলে ধরবো। ইনশাআ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুরুতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক-এ বুছা দিয়ে ইলম-কালাম, দয়া-দান, ইহসান মুবারক, ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ এবং তাওফীক্ব ভিক্ষা চাচ্ছি। আমীন!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এখানে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমর দুইটি বিষয় রয়েছে। আলমে খলক্ব হচ্ছে- যেটা আরশে আযীমের নীচে। অর্থাৎ তাহ্তাছ ছারা বা মাটির নিম্নতম স্তর থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত হচ্ছে আলমে খ¦লক্ব। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اَللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَـيْـنَـهُمَا فِـىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ

অর্থ: “সেই খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমানসমূহ (সাত আসমান) এবং সমস্ত যমীন (সাত যমীন) এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, এ সমস্ত কিছু ছয় দিনে তথা ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

আবার আরশে আযীম থেকে ঠিক সম উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। অর্থাৎ তাহতাছ ছারা থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত যে পরিমাণ জায়গা; ঠিক আরশে আযীম থেকে সেই পরিমাণ উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। যা খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম মুবারক হওয়া মাত্রই সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, كُنْ فَـيَكُوْنُ অর্থ: ‘হও, হয়ে গেছে।’ সুবহানাল্লাহ!

এখন এখানে যেটা বলা হচ্ছে ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ (ছুম্মাস্ তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) মানুষ তো আসলে ফিক্বির করেনি। অর্থটা খুব সহজ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

هُوَ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِــىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ

অর্থ: “তিনি সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমান-যমীন ৬ দিনে অর্থাৎ ৬ ধাপে সৃষ্টি করেছেন। (কারণ দিন তো তখন ছিলো না।) ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেক লেখেছে- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন- মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আল্লাহ’ শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।” ঠিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া থেকেও পবিত্র। আসলে ইস্তাওয়ার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো সম্পর্ক নেই। মূল বিষয় হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি। এটা হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অন্য কোনো অর্থ না। ‘আমি ইস্তাওয়া করবো। আমি উপরে উঠবো, বসবো কেনো?’ মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ছমাদ বেনিয়াজ, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বেনিয়াজ। বুঝতে পেরেছো কি আমার কথা? ‘আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি।’ এটা হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَالْـجِبَالَ اَوْتَادًا

অর্থ: “পাহাড়কে আমি পেরেক হিসেবে স্থাপন করেছি।” যমীনকে স্থীর করার জন্য। আর আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের পার্থক্য সূচনা করার জন্য আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চে আরশে আযীমকে আমি স্থাপন করে দিয়েছি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বুঝতে পারলে অর্থ? এখন কি অর্থ বলতে হবে? কি অর্থ করবে? যেটা করেছি। যেটা বলা হয়েছে। জান্নাত কোথায় আছে? বলো দেখি?

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এই মাসের ৩ তারীখ অর্থাৎ ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুল আহাদ চাশতের সময় আমি দেখলাম- যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদের দুইজনকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারা নিজ থেকে আমাকে জানিয়েছেন। আমি খুঁজতেছিলাম যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কিভাবে? কি হবে? কিন্তু ঐ সময় আমি কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। ঐ সময় আমি জিজ্ঞাসা করিনি। আমি আগেই খুঁজতেছিলাম। এগুলো তো বললে, আর পাওয়া যায় না; অনেক মুরাকাবা-মুশাহাদা করতে করতে করতে করতে যদি কোনো সময় পাওয়া যায়। তখন আমাকে উনি জানালেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, ‘আসলে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ এরা যা করে, এটা কোনোটাই এটার সাথে মিল নেই। এরা যা বলে, এটার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তো এটার মুহতাজ না। প্রকৃপক্ষে ইস্তাওয়া হচ্ছে- আলমে খ¦লক্ব আর আলমে আমরের মধ্যে একটা পার্থক্য সূচনা করা। আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চে আরশে আযীমকে স্থাপন করা হয়েছে।’ পাহাড়কে যেমন পেরেক হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এরকম দেয়া হয়েছে। আরশে আযীম সম্মানিত। ঠিকই আছে; জিন-ইনসানের জন্য। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের জন্য তো সেটা না।  উনারা নিজের থেকে আমাকে এটা বললেন যে, ‘বিষয়টা হচ্ছে, এরকমই। এটা ইস্তাওয়া। আসলে অর্থ হচ্ছে- আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা এগুলোর মুহতাজ না। এটা ভাষাগত মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রকাশ করছেন। সেটা ভাষাগতভাবেই এরকম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “জান্নাতের ছাদ হলো আরশে আযীমের নীচে। জান্নাত আরশে আযীমের নীচে। সবই আরশে আযীমের নীচে। আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের উপর স্থাপন করা হয়েছে। আরশে ‘আযীমের উপর হলো আলমে আমর আর এর নীচে হলো আলমে খ¦লক্ব। এর মধ্যে আমি (মহান আল্লাহ পাক) ইস্তাওয়া করেছি। আমি ইস্তাওয়া হবো কেন্? আমি তো বেনিয়াজ ছমাদ, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ছমাদ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ওখানে স্থাপন করে দিয়েছি। দিয়ে এর মধ্যে আমি পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি। আলমে আমর উপরে, আলমে খ¦লক্ব নীচে। আলমে খ¦লক্বের শেষ স্থানে হলো আরশে আযীম। সর্বোচ্চ স্থানে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বলেছেন, ‘আমাদের সথে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া)-এর কি সম্পর্ক আছে? আমরা তো এর মুহ্তাজ না।

(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মানুষ অর্থ করে- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া, সমান হওয়া। এটা কোনো অর্থ না। আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দেওয়া হয়েছে, সীমানা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন তোমরা বাংলা অর্থ যেভাবে করো। বুঝতে পারতেছো কি আমার কথা মুবারক? যেমন- ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করা হলো। সৃষ্টি করার পরে এই যে আলমে আমর এখান থেকে। এই জাগাটার মধ্যে আরশে আযীম, সর্বোচ্চে। এর নীচে সব কিছ্-ু আলমে খ¦লক্বের। আবার ঠিক আরশে আযীমের উপরে হলো আলমে আমর। এখন ইস্তাওয়ার অর্থ হলো এটা। কুদরত মুবারক উনার অর্থ আবার পরে এক সময় বলা হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন ইস্তাওয়া অর্থ- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া, সমান হওয়া অনেক অর্থ। আসলে এগুলি কোনো অর্থই না।

আল্লাহুছ ছমাদ, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছমাদ, বেনিয়াজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। আসলে উনারা সৃষ্টি করছেন। আর আরশে আযীম- যেহেতু এখান থেকে মূল বিষয়গুলো জারি হয়, সে হিসেবে আরশে আযীম মহান বা বড় মর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কাছে আরশে আযীম কোনো বিষয় না। এখন বুঝার বিষয় হচ্ছে যে, অর্থ বুঝলে তো সহজ হয়ে গেলো, না বুঝলে তো অনেক কঠিন। যার জন্য এটা কেউ মিলাতে পারেনি। ইস্তাওয়া অর্থটা কি হবে? কোথায় হবে? কিভাবে হবে? এখন বুঝতে পেরেছো ইস্তাওয়ার অর্থ?”

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম