ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৫)

সংখ্যা: ১৯৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

প্রসঙ্গ : স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত দশটি মাক্বাম হাছিল করার কোশেশ করবে।

(৩) রিয়াযত-মাশাক্কাত

দশটি মাক্বাম হাছিলের অভিলাষী মুরীদের তৃতীয় করণীয় হচ্ছে রিয়াযত-মাশাক্কাত। শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার ছোহবত ইখতিয়ার, যিকির-ফিকির, ইবাদত-বন্দিগী সুসম্পন্ন করার জন্য দুঃখ, কষ্ট, তাকলীফ সহ্য করা তথা রিয়াযত-মাশাক্কাত করা আবশ্যক।

 

রিয়াযত-মাশাক্কাত দ্বারা

স্বভাবের পরিবর্তন ঘটে

হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যে ব্যক্তির উপর অসত্য বিশ্বাস প্রবল, সে মনে করে যে চরিত্র উন্নতিকর চেষ্টা ওপরিশ্রম করা, আত্মাকেনির্মল এবং স্বভাবকে সুন্নদর করবার জন্য ব্যবস্থা থাকা বড়ই কষ্টকর। এই বাতুল বিশ্বাস তার দোষ-ত্রুটির জন্যই হয়। তার বাতিনী বা অভ্যান্তরীণ গুণ নষ্ট হয়েছে বলে তাকে ক্ষমা করা যায় না। সেভাবে যে, তার স্বভাব-চরিত্র আর পরিবর্তন হবে না। কেননা প্রকৃতি অপরিবর্তনীয়। এ ব্যাপারে সে দুটো প্রমাণ উপস্থিত করে। প্রথম প্রমাণ হলো বাহ্যিক আকৃতির অর্থ বাহ্যিক রূপ। তদ্রƒপ প্রকৃতির অর্থ স্বভাব বা আভ্যন্তরীণ রূপ। বাহ্যিক আকৃতি যেরূপ পরিবর্তন করা যায় নরা। যেমন কোন কৌশল বা চেষ্টায়ই লম্বা মানুষকেখাট এবং খাট মানুষকে লম্ব করা যায় না। কালো মানুষকে সাদা এবং সাদা মনুষকে কালো করা যঅয় না। একইভাবে প্রকৃতিকেও পরিবর্তন করা যঅয় না। দ্বিতীয় প্রমাণ হলো, সে বলে যে, কাম-ক্রোধ দমন করে স্বভাবকে সুন্দর করার ব্যাপারে আমরা দীর্ঘকাল চেষ্টা-সাধানা করে পরীক্ষা করে দেখিছে, তা মেজাজ এবং প্রকৃতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। তা মানব থেকে নির্মূল করা যায় না। সুতরাং তাতে লেগে থাকে তা সংশোধনের সময়ের অপচয় ব্যতীত আর কিছুই নয়।

এ বিষয় আমাদের উত্তর এই যে, যদি স্বভাবের পরিবর্তন না হতো, তাহলে অছিয়ত, উপদেশ, শিক্ষা বিধান সবই ব্যর্থ হয়ে যেত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, æতোমরা তোমাদের স্বভাব-চরিত্র সুন্দর করো।” তাহলে এ আদেশের কোন মূল্য থাকত না। যখন সাধারণ জীবজন্তুর স্বভাব পরিবর্তন হওয়া সম্ভব হয়, তখন মানুষের স্বভাব পরিবর্তনের বিষয় কিরূপে অস্বীকার করবে? বাজ পাখিকে সুশিক্ষিত করে বশে আনা যায়। কুকুরকেও শিক্ষা দিলে তা কোন শিকারে গোশত খেতে লোভ করে না। দুর্দান্ত অশ্ব সুশিক্ষার ফলে শান্ত শিষ্ট ও আজ্ঞাবহ করে লওয়া যায়। এ সবই স্বভাবের পরিবর্তন ও উন্নতি। (কিমিয়ায়ে সা’য়াদাত-২/৪১০)

 

মানুষ চার শ্রেণীতে বিভক্ত

 

স্বভাবের দিক দিয়ে মানুষকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। প্রথম শ্রেণীর মানুষ অমনোযোগী। তারা সত্য ও মিথ্যা, সুন্দর ও অসুন্দরের মধ্যে পার্থক্য করে না; বরং যে প্রবৃত্তি নিয়ে তারা জন্মগ্রহণ করে, তদ্রুপই থাকে। অন্য সমস্ত বিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকে। সুখাস্বাদের অনুসরণ করে তাদের লোভ পূর্ণ হয় না। এর চিকিৎসা দ্রুত হতে পারে। তার জন্য একজন কামিল মুর্শিদ দরকার। তার আত্মার প্রেরণাই তাকে কষ্ট ও পরিশ্রমের পথে নিয়ে যায় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে তার স্বভাব-চরিত্র সুন্দর হয়। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ মন্দ লোকের মন্দকার্য চিনতে পারে কিন্তু নিজে সৎকার্যে অভ্যস্ত নয় বরং মন্দকার্য তার নিকট উৎস বলে মনে হয়। সুতরাং সে তার লোভের প্ররোচনা অনুযায়ী তার বিচার-বুদ্ধির বিরুদ্ধে চলে। কেননা লোভ প্রকৃতি তার উপর প্রবল। সে তার কার্যের দোষ সম্বন্ধে অবগত থাকে। তার অবস্থা প্রথম ব্যক্তির অবস্থা হতে অধিক কঠিন। কেননা তার কর্তব্য তখন দ্বিগুণ হয়ে পড়ে। প্রথমত: মন্দকার্যের অভ্যাসগুলো তাকে ত্যাগ করতে হয়। দ্বিতীয়ত: তার আত্মার মধ্যে সৎ গুণাবলীর বীজ বপন করতে হয়। মোটকথা সে আত্মসংশোধনের জন্য উপযুক্ত হয়, যদি সে তার জন্য চেষ্টা, পরিশ্রম ও ধৈর্য অবলম্বন করে। তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ অসৎ স্বভাবকে উত্তরম, সত্য এবং সুন্দর বলে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে অতি অল্প লোকই সুপথে ফিরে আসতে পারে। কেননা পথভ্রষ্টতার কারণসমূহ তার উপর বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর মানুষ মন্দ বিবেচনার উপর প্রতিপালিত। সে অধিকাংশ মন্দকার্যকে উত্তম এবং গৌরবের কাজ বলে মনে করে এবং তার জন্য সে বাহাদুরী করে। তার প্রবল ধারণা যে, এই কাজই তাকে উন্নত আসনে সমাসীন করবে। এটাই কঠিনতম অবস্থা। তার সম্বন্ধেই কোন বুযূর্গ বলেছেন, অতি বৃদ্ধ বয়সে রিয়াযত বড়ই কষ্টকর এবং রসিকতার সংশোধন শাস্তিদায়ক।

উল্লিখিত চার শ্রেণীর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর লোক নিরেট মূর্খ। দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক মূর্খ ও পথভ্রষ্ট। তৃতীয় শ্রেণীর লোক মূর্খ, পথভ্রষ্ট ও পাপী এবং চতুর্থ শ্রেণীর লোক মূর্খ, পথভ্রষ্ট, পাপী এবং অসৎ।

কাম ও মোহ ত্যাগ করতঃ আত্মার

চিকিৎসা করা শরীয়তের নির্দেশ

হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পাঠক! জেনে রাখ যে, এতক্ষণ যা আমরা উল্লেখ করলাম তা যদি তোমরা উপদেশের চোখে দেখে চিন্তা কর তাহলে তোমাদের অন্তর্দৃষ্টি খুলে যাবে। তোমাদের আত্মার পীড়া ও তার ওষুধের বিদ্যাও নিশ্চিত বিশ্বাসের নূরের আলোকে প্রকাশ হয়ে পড়বে। যদি তোমরা তাতে সমর্থ না হও তাহলে তাছদীক বা ঈমান শিক্ষা ও তাকলীদের বড় পন্থা থেকে তোমাদের চলে যাওয়া উচিত হবে না। এই তাকলীদের জন্য যিনি উপযুক্ত উনারই ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। যেরূপ বিদ্যার পদমর্যাদা আছে, ঈমানেরও তদ্রুপ পদমর্যাদা আছে। ঈমানের পরে ইলম অর্জিত হয় এবং তা ঈমানের পিছনে থাকে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, æতোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে আল্লাহ পাক তাদের মর্যাদা উন্নত করেন।”

প্রবৃত্তির বিরুদ্ধ চলা বড় জিহাদ। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, প্রবৃত্তির বিরুদ্ধাচরণ করা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট পৌঁছবার পথ এবং তার কারণ ও গুপ্ত তত্ত্বের বিষয় অনুসন্ধান করে না সে মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি লোভের উপরোল্লিখিত সাহায্যের কারণগুলো অনুসন্ধান করে সে আলিমদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা তিনি প্রত্যেককেই মঙ্গলের ওয়াদা করেছেন। যারা এ ব্যাপারে ঈমান আনে এবং কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ ও আলিমগণ উনাদের বাণীতে বিশ্বাস করে তাদের সংখ্যা অগণিত। আল্লাহ তায়ালা তিনি বলেন, æযে ব্যক্তি প্রবৃত্তির বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য বেহেশতই বসবাসের স্থান।” তিনি আরো বলেন, æতারা ওই সকল লোক যাদের আত্মাকে তাক্বওয়া বা পরহিযগারীর দ্বারা আল্লাহ পাক তিনি পরীক্ষা করেছেন।” এর অর্থে বলা হয় যে, লোভের ভালবাসা তাদের হৃদয় থেকে চুর্ণ করে দেয়া হয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, æমু’মিন পাঁচটি কষ্টের মধ্যে থাকে। ১. তাকে অন্য মু’মিন ঈর্ষা করে। ২. মুনাফিক তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। ৩. কাফির তার সাথে যুদ্ধ করে। ৪. শয়তান তাকে পথভ্রষ্ট করে এবং ৫. প্রবৃত্তি তার সাথে বিবাদ করে। মু’মিনের এ বিবাদকারী প্রবৃত্তির সাথে জিহাদ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।’

বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তায়ালা তিনি হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম-উনার উপর ওহী পাঠালেন, æহে হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম! আপনার ছাহাবী উনাদেরকে লালসার বস্তু ভক্ষণ থেকে সতর্ক করে দিন। কেননা পার্থিব লোভের সাথে সব হৃদয়ের সম্পর্ক আছে। তার বন্ধন আমার পর্দাস্বরূপ।” হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-উনাকে বলা হয়েছে, æযে ব্যক্তি অজানা ওয়াদাকৃত ভবিষ্যৎ পুরস্কারের আশায় আশু লোভ ত্যাগ করতে পেরেছে তাকে ধন্যবাদ।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুজাহিদ উনাদেরকে বলেন, æআপনাদের ধন্যবাদ, আপনারা ছোট জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করে বড় জিহাদে এসেছেন।” আরজ করা হলো- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বড় জিহাদ কাকে বলে? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, æপ্রবৃত্তির সাথে লড়াইকে বড় জিহাদ বলে।” তিনি আরো বলেন, æতোমাদের আত্মাকে অনিষ্টকর কার্য থেকে বিরত রাখবে।” আল্লাহ পাক-উনার আদেশ লঙ্ঘনে তোমরা প্রবৃত্তির পিছনে ধাবিত হয়ো না। যদি ধাবিত হও তবে রোজ কিয়ামতে সে তোমাদের বিবাদ বাঁধিয়ে দেবে। তাতে তোমাদের নিজেরই এক অঙ্গ অন্য অঙ্গকে ধিক্কার দেবে যদি আল্লাহ তায়ালা তিনি ক্ষমা না করেন বা তা গোপন না রাখেন।”

সাইয়্যিদুনা হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি আমার নফসের ব্যাধির চেয়ে অধিক কষ্টকর ব্যাধির চিকিৎসা করিনি। ওটা কখনো আমার পক্ষে থাকে আবার কখনো বিপক্ষে চলে যায়। হযরত আবুল মৌছিলী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেকে লক্ষ্য করে বলতেন, হে প্রবৃত্তি! তুমি ধন-সম্পদশালীদের সাথে আমোদ-স্ফূর্তিতে দুনিয়ার মধ্যেও নও এবং ধার্মিক লোকদের আখিরাতের অম্বেষণের কষ্টের মধ্যেও নও। আমি যেন তোমাদের সাথে বেহেশত ও দোযখের মধ্যবর্তী স্থানে আবদ্ধ আছি। হে প্রবৃত্তি! তোমার কি এতটুকু লজ্জা হয় না? ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, নিতান্ত দুর্দমনীয় ও অবাধ্য অশ্বকে যেমন মজবুত লাগাম দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়, মানুষের বাধ্য হৃদয়কেও তদপেক্ষা কঠিন ও মজবুত লাগাম দ্বারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। হযরত ইয়াহইয়া ইবনে মুআয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, রিয়াযতের অস্ত্র দ্বারা তোমার প্রবৃত্তির সাথে লড়াই কর।

রিয়াযত চার প্রকার:

(১) অল্প আহার করা। (২) অল্প নিদ্রা যাওয়া। (৩) প্রয়োজন ব্যতীত কথা না বলা এবং (৪) মানুষের প্রদত্ত কষ্টে ধৈর্যাবলম্বন করা। অল্প খাদ্য দ্বারা প্রবৃত্তির মৃত্যু হয়। অল্প নিদ্রার ফলে খালিছ সঙ্কল্পের উদয় হয়, অল্প কথা বলায় বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর অন্যের প্রদত্ত কষ্টে ধৈর্যাবলম্বন করলে মনযিলে মকসুদে উপনীত হওয়া যায়। মানুষের কর্কশ ব্যবহারের সময় সংযম এবং অন্যের প্রদত্ত কষ্টে ধৈর্যাবলম্বন অপেক্ষা অধিক কষ্টকর বিষয় আর নেই। যখন লোভ এবং পাপের ইচ্ছে নফসের মধ্যে আলোড়িত হয় এবং তা থেকে অনর্থক কথার স্বাদ বের হয় তখন অনিদ্রা ও স্বল্প নিদ্রার কোষ থেকে স্বল্প খাদ্যের অসি তার উপর নিপতিত হয় এবং নীরবতা ও স্বল্প কথনের হস্ত দ্বারা তাকে আঘাত করতে থাকে; যে পর্যন্ত অত্যাচার ও প্রতিশোধ স্পৃহা কর্তিত না হয়ে যায়। এমতাবস্থায় অবশিষ্ট লোকের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হওয়া যায় এবং প্রবৃত্তির অন্ধকার থেকে তা নির্মল হয়। আর তখন বিপদের বিভীষিকা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। এ সময় আত্মা পরিষ্কার, জ্যোতির্ময় এবং নির্মল হয়। তখন তা মঙ্গল এবং কল্যাণের ময়দানে বিচরণ করতে থাকে। আর ইবাদতের বিভিন্ন পথে ভ্রমণরত হয়। যেরূপ অশ্ব ময়দানে আনন্দে দৌঁড়াতে থাকে। অথবা যেরূপ আনন্দিত ও আমোদ-প্রমোদে রত বাদশাহ উদ্যানের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে।

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫১)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫২)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৩)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৪)