বর্তমান সরকার ভূমি আইনটি সংশোধন করে মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের সব ধরনের জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখাও কঠিন হয়ে যাবে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাঙালিদের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব হবে না। কাজেই দেশের সার্বভৌমত্ব ও দেশের এক দশমাংশ ভূমি রক্ষার্থে অবিলম্বে জনগণকে সক্রিয় হয়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে তথাকথিত সংশোধিত ভূমি আইন বাতিল করাতে হবে

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি ল্যান্ড কমিশন গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ‘ঘ’ খ-ের ৪, ৫ ও ৬ ধারা মতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে চেয়ারম্যান করে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করে। চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিশনের সদস্য সচিব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অথবা অতিরিক্ত কমিশনার (নতুন সংশোধনীর ফলে তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত উপজাতীয়দের মধ্য থেকে এ পদে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে)। এছাড়া কমিশনের অপর তিন জন সদস্য হিসেবে আছে যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (অবশ্যই উপজাতীয়), আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রতিনিধি (অবশ্যই উপজাতীয়) এবং সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (অবশ্যই উপজাতীয়)। অর্থাৎ পাঁচ জনের কমিশনে ৪ জনই হবে উপজাতীয়দের মধ্য থেকে। আর যেকোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। উপজাতীয় ৪ জনের মধ্যে অন্তত ৩ জন একমত হওয়াটা কোনো ব্যাপার নয়। কারণ তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একই। তাই অধিকাংশের মতামতকে উপেক্ষা করা চেয়ারম্যানের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাছাড়া কমিশনের কর্মচারীরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্য থেকে নিয়োগ পাবে।

সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট যেমন রাবার স্ট্যাম্পের মতো ভূমিকা পালন করে, আইন সংশোধনের ফলে উপজাতীয় কর্মচারী সমৃদ্ধ এই অসম কমিশনে চেয়ারম্যানের ভূমিকাও হবে অনেকটাই তদ্রুপ সংসদে আইন প্রণেতারা যে বিষয়ে একমত হয়, প্রেসিডেন্ট তা সত্যায়ন করে মাত্র। তারপরেও সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় আস্থা রাখা যায়, কারণ আইন প্রণেতারা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টি তাদের মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত দিতে হয়। কিন্তু পার্বত্য ভূমি কমিশনের যারা সদস্য তারা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাছাড়া তাদের অনেকেই বাঙালিবিদ্বেষী। তাই তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ভূমিহীন করে বাঙালিদের উচ্ছেদ করতে এই কমিশনকে ব্যবহার করবে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

ঘোর আপত্তি জানিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় বলেছিল, এই সংশোধনী আনা হলে পুনর্বাসিত শরণার্থী ছাড়াও এ অঞ্চলে বসবাসরত অন্যান্য জনসাধারণ এবং এ অঞ্চলের সকল বন্দোবস্ত ও অন্যান্য ভূমি বিরোধের বিষয় এ কমিশনের আওতায় চলে আসবে। এতে একদিকে চুক্তির ধারাবাহিকতায় কমিশন গঠনের মূল স্পিরিট ব্যাহত হবে এবং অপরদিকে পার্বত্য জেলাসমূহে স্থাপিত দায়রা আদালতের কার্যপরিধি খর্ব হতে পারে।

কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, এ প্রস্তাবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি অনুযায়ী’ বিরোধ মীমাংসার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি’ বলতে আসলে কি বোঝায় তার ব্যাখ্যা কি সরকারের কাছে আছে? আমরা আসলে জানি না, তাছাড়া সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা থাকার কথাও নয়। কারণ এখানে অবৈধ বন্দোবস্ত জমির প্রসঙ্গ এসেছে। এর অর্থ হলো সরকার অবৈধভাবে কাউকে না কাউকে জমি বন্দোবস্ত দিয়েছে! অথচ রাষ্ট্রসীমার মধ্যকার সমস্ত ভূমির মালিকানা রাষ্ট্রের। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনেই বৈধ কিংবা অবৈধতা নির্ধারিত হয়। কিন্তু এখানে দেখছি সরকারের কর্মকা-কে অবৈধ বলে ঘোষণা করারও বিধান আছে! কিন্তু সেই বিধানটি আসলে কি, এর প্রয়োগকারীই-বা কারা? যতদূর জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি বলতে অনেক উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ ভূমির মৌখিক মালিকানাকেই বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু একুশ শতকের এই যুগে এসে সরকারি বন্দোবস্তকে অবৈধ বলা এবং মৌখিক মালিকানাকে বৈধ বলাটা মূর্খতার পরিচয় নয় কি?

প্রস্তাবিত ১৩ দফা সংশোধনীর অনুমোদন করা এবং না করা কিছু ধারায় এমন ব্যবস্থা রয়েছে, যা কার্যকর করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাংলাদেশ সরকারের এখতিয়ার সীমিত হয়ে পড়বে এবং সেখানে বাঙালিদের পক্ষে বেশি দিন বসবাস করা সম্ভব হবে না।

১৩ দফা প্রস্তাবের ৩ নম্বর (৬-১এ) ধারায় বলা হয়েছে, ফিরে আসা পাহাড়ি শরণার্থীদের ভূমি বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য পুনর্বাসিত বাঙালিদের যেসব ভূমি ‘অবৈধভাবে’ বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে এবং যা তাদের দখলে রয়েছে তার মালিকানা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান আইন ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রস্তাবের ৪ নম্বর (৬-১বি) ধারায় বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন রীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী ভূমির অধিকারের আবেদনকারী অথবা এর প্রতিপক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি প্রয়োজনে বাস্তবে প্রয়োগও করা হবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সরকার আশির দশকে সমতলের বিভিন্ন নদীভাঙা বাস্তুহারাদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে খাস জমি থেকে সীমিত পরিমাণ অনাবাদি জমি বন্দোবস্ত প্রদান করে। এসব জমি চাষবাস করে প্রায় ৪০ বছর ধরে তাদের অনেকেই ভোগদখল করে এসেছে। সেখানে তাদের ছেলেমেয়েরা জন্মগ্রহণ করে বেড়ে উঠেছে। ভূমি আইনের এই সংশোধনী প্রস্তাবে জমির বরাদ্দ অবৈধ বলে উল্লেখ করে তা তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘ঐতিহ্য রীতি’ অনুযায়ী ভারত থেকে ফিরে আসা পাহাড়িদের দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো স্বীকৃত ভূমি আইন নেই। আর সেখানকার ঐতিহ্য ও রীতি বলতে পাহাড়ের সব জায়গা জমিকে কোনো দলিল ছাড়াই উপজাতীয়রা যে নিজেদের বলে দাবি করে, সেটিকে বোঝানো হয়। এ বিধানের অর্থই হবে পাহাড়ি উপজাতিরা যেসব সম্পত্তি মালিকানা দাবি করবে, সেটি ভূমি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দিতে হবে।

সংশোধনী অনুসারে ভূমি কমিশনের সিদ্ধান্ত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। এ কমিশনে বেশির ভাগ সদস্য থাকবে পাহাড়ি উপজাতি প্রতিনিধি। সেখানে বাঙালি কোনো প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে কমিশনের সিদ্ধান্ত একতরফা পাহাড়িদের পক্ষে চলে যাবে নির্ঘাত। ভূমি আইনের যে সংশোধনী মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে, তার অনেকটাই মূল প্রস্তাবের মতোই রাখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পুনর্বাসিত শরণার্থী (পাহাড়ি) এবং অবৈধ পুনর্বাসিতদের (বাঙালি) ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান আইন ও রীতি অনুসারে নিষ্পত্তি করা হ্েব। এই প্রথমবারের মতো সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে আশি দশক থেকে বসবাসরত বাঙালিদের অবৈধভাবে পুনর্বাসিত হিসেবে আইনিভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এটি কার্যকর হলে সঙ্গতভাবেই সেখানকার বাঙালিদের সম্পত্তিতে কোনো অধিকার আর থাকবে না। ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের ১৩ দফার ৫ নম্বর প্রস্তাবে আগের ধারা প্রতিস্থাপিত করে নতুন বিধান সংযোজনের কথা বলা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান আইন ও রীতি-ঐতিহ্যের বিপরীতে পানিতে ভাসা ভূমিসহ যেকোনো ভূমি কারো পুনর্বাসন বা দখলে থাকলে তা বাতিল করে ‘বৈধ’ মালিককে দেয়া হবে। আর কোনো আইনসঙ্গত মালিকের অবৈধভাবে দখল করে রাখা জমিতেও বৈধ মালিককে পুনর্বহাল করা হবে। এখানে বৈধ মালিক বলতে মূলত পাহাড়ি উপজাতিদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ, রিজার্ভ বনভূমি ও সরকারি শিল্প ও অফিস এলাকা বাদ রাখার যে উপধারা মূল আইনে ছিল, ১৩ দফা প্রস্তাবে তা না রাখার কথা বলা হয়েছিল। এ প্রস্তাব আইনের সংশোধনীতে গ্রহণ করা হয়নি। এটি রাখা হলে এসব প্রতিষ্ঠানের জমির উপরও পাহাড়ি উপজাতিদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো। ১৩ দফা প্রস্তাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিসংক্রান্ত বিষয়াদি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের প্রস্তাবও দেয়া হয়, যেটি সংশোধনীতে রাখা হয়নি। মূল ভূমি কমিশন আইনে কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ছিল। সংশোধনীতে এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনের সিদ্ধান্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে পাহাড়ি উপজাতি প্রতিনিধিদের ইচ্ছার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত ভূমিবিরোধ নিয়ে হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ভূমি কমিশন আইনের সংশোধনীতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি অনুযায়ী’ বিরোধ মীমাংসার যে কথা বলা হয়েছে, তা বলতে আসলে কী বোঝায় তার ব্যাখ্যা সরকারের কাছ থেকে আসেনি। এখানে অবৈধ বন্দোবস্ত জমির প্রসঙ্গ এসেছে। এর অর্থ হলো সরকার অবৈধভাবে কাউকে না কাউকে জমি বন্দোবস্ত দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনেই বৈধ বা অবৈধতা নির্ধারিত হয়। কিন্তু এখানে সরকারের কর্মকা-কে অবৈধ বলে ঘোষণা করারও বিধান আছে। কিন্তু সেই বিধানটি আসলে কী, এর প্রয়োগকারীই বা কারা এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি বলতে অনেক উপজাতীয় নেতা ভূমির মৌখিক মালিকানাকেই বুঝিয়ে থাকে। সরকারি বন্দোবস্তকে অবৈধ বলা এবং মৌখিক মালিকানাকে বৈধ বলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সেটি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ সংশোধনী কার্যকর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের যেকোনো জমির মালিকানা দলিল অবৈধ হয়ে পড়তে পারে। ভূমির মালিকানা কেড়ে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার জন্যই এ সংশোধনীটি আনা হয়েছে বলে মনে করার কারণ রয়েছে। এমনকি যদি ১৩ দফা সংশোধনীর পুরোটা গ্রহণ করা হয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তথা অফিস-আদালত, কর্ণফুলী পেপার মিল, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা ও বিভিন্ন স্থানের অবস্থিত সেনা, বিজিবি, পুলিশের ক্যাম্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিও যদি পাহিাড়ি উপজাতিরা দাবি করে বসে, তাহলেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছুই করার থাকবে না।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,       ব্যক্তি ইফা’র ডিজিকে রক্ষার জন্য নয়-       বরং ‘মীলাদ ক্বিয়াম ও মাজার শরীফ ভক্ত হওয়ার জন্য যে সব জামাতে মওদুদী এবং কওমী ফিরক্বারা’ ইফা’র ডিজি’র বিরোধিতা করছে       ‘তারা শুধু মীলাদ ক্বিয়াম বা মাজার শরীফ বিরোধী নয়       মূলতঃ তারা স্বয়ং আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধী।       তারা মওদুদী এবং দেওবন্দী মুরুব্বীদের পূজারী।       মূলতঃ তারা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী।’       কাজেই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির আলোকে গোটা দেশের মীলাদ ক্বিয়াম ও মাজার শরীফ বিরোধী       সব জামাতে মওদুদী ও কওমীওয়ালাদের ‘কুরআন-সুন্নাহ’ তথা       ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’-এর অবমাননার বিচারের আওতাভুক্ত করুন।       দেখা যাবে এরাই যুগপৎভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারেরও আসামী।       মীলাদ ও মাজার শরীফ-এর বিরোধিতার গযবে পড়েই তারা যুদ্ধাপরাধের মত অপরাধ করেছে।