বাংলাদেশে জিএমও ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে-৩

সংখ্যা: ২৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

 (৪)

জি এম ফসল চাষের কারণে আমেরিকার ইলিনিয়স, নেব্রাস্কা, আইওয়া, মিনোসোটার ভূমিতে ভূমিগুণ বিনাশী Root Worm পাওয়া গিয়েছে। এ জন্য উদ্বেগ জানিয়েছে- US environmental Protection Agency । অন্য দিকে GENET নিউজ লেটার আমাদের জানিয়েছে আমেরিকার ভারমট ও নিউ ডাকোটায় জি এম গম চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং কলারোডোর কিছু অঞ্চলে সকল জিএম ফসলের চাষ নিষেধ করা হয়েছে। জীববৈচিত্র রক্ষায় কার্টাহেনা প্রটোকলে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু ইউএসএ কিন্তু কার্টাহেনা প্রটোকলে স্বাক্ষর করেনি। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূত্রে জানি মনসানটোর মতো কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনা ছিল জিএম ফসলের শৃঙ্খলে প্রথমে আটকানো হবে ভারতকে এবং তারপর বাংলাদেশকে। ভারতে পরাজয়ের পর ওরা যায় ফিলিপাইনসে। সেখানে মনসানটোর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মনসানটোর পক্ষে লড়াইয়ের জন্য একজন কুখ্যাত বেতনভোগী ফিলিপাইনসের আদালতে দাঁড়ায়। সেখানেও ‘মনসানটো’ হেরে যায়। থাইল্যান্ডে জিএম ফসল নিষিদ্ধ। সউদী আরব, মিশরের মতো দেশেও এই সর্বনাশা ফসল নিষিদ্ধ। এই সময় চান্না কোন ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের গুটি হয়ে আমাদের ফসলি জমিতে সর্বনাশা জিএ ফসল চাষের পক্ষে ওকালতি করে গেলো? বাংলাদেশের জনগণ শংকিত এবং আতংকিত। আমাদের সাবধান হওয়ার এখনই সময়। জিএম ফসলের সর্বনাশা আগ্রাসনকে থামাতেই হবে। এটা মূলত নীলকরদের নীল চাষের মতো এক সর্বনাশা ইহুদিবাদী উদ্যোগ।

মহান আল্লাাহ পাক তিনি মহা পবিত্র কালামুল্লাাহ শরীফ উনার মাঝে মহাপবিত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদী অতঃপর মুশরিকদেরকে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)

তারই প্রতিফলন ঘটেছে বাস্তবে বার বার বহুভাবে। যেমন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইহুদী মালিকানাধীন বহুজাতিক নব্য নীলকর কোম্পানিগুলি গোল্ডেন রাইস এবং বিটিবেগুন এর মতো জেনেটিক্যালী মডিফাইড ফুড আমদানী করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শতকরা ৬৯ ভাগ চাষযোগ্য অনাবাদী জমি রয়ে গিয়েছে। এই জমিগুলি যদি সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে আবাদ করা হয় তবে এমনিতেই প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি ফলন উপহার নিয়ে আসতে পারে। তাহলে কেন নব্য নীলকরেরা বাংলাদেশে নীলচাষের আধুনিক রুপ জি এম ও ফুডের প্রচলন ঘটাতে চাইছে?

(৫)

২০০৪ সালে মানব খাদ্য হিসাবে জিএম ভুট্টা বিটি-১১ এর যখন অনুমোদন দেয়া হয় ৫টি দেশ ছিল বিপক্ষে এবং একটি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। সারা বিশ্বের বেশ কিছু বিজ্ঞানী তখন এ অনুমোদনের বিরোধিতা করেছিলো। তাদের মাঝে মে-ওয়ান হো এবং জো কমিনস এর নাম উল্লোখযোগ্য। তারা বেসিলাস থুরিনজিনসিস ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেইন থেকে যে ক্রাই প্রোটিন তৈরি হয়, যাকে উৎস ব্যাকটেরিয়ার নামানুসারে বিটি-স্ট্রেইন বলা হয়, তা কৃষি শ্রমিকদের শরীরে এলার্জিক রিয়াকশন সৃষ্টিকারী এবং প্রাণীর শরীরে ইমিউনিজেনিক ও অপাচ্য (ক্রাই-১এবি শুকরের শরীরে ৯২% অপাচ্য) বলে বিভিন্ন বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রকাশনায় গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পরও সেগুলোকে আমলে না নেয়ার কথা উল্লোখ করে বলেন, “বিটি-স্ট্রেইন বিষয়ক খবরগুলোকে যে ‘নিয়ন্ত্রণ প্রকৃয়ায়’ আমলে না নিয়ে অনুমোদন দিয়ে দেয়া হলো তাকে গ্রেফ ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না”। আরো ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, শস্যে যে বিটি জিন থাকে তা হলো সিনথেটিক বা হাইব্রিড কাঠামোর অথচ যে টক্সিনের টেস্ট করা হয় তা হলো প্রাকৃতিক যার সাথে শস্যের ভেতরে থাকা টক্সিনের অমিল থাকাটাই স্বাভাবিক।

জিএম পদ্ধতিতে কোন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জিনকে কোন এক প্রজাতির কোষে প্রবেশ করানোর জন্য ঐ জিনটি ছাড়াও আরো কয়েকটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। একটি প্রমোটার বা প্রবর্ধক থাকে, যে মূলত জিন-সুইচ, যার কাজ হলো কোষকে বলা যে- ম্যাসেজ বদহনকারী জিনটিতে যে ধরণের কোডিং সিকোয়েন্স আছে তা যেন কোষটি তৈরি করে। আরেকটি থাকে টার্মিনেটর, যার কাজ হলো জেনেটিক ম্যাসেজের শেষবিন্দু নির্দেশ করা। ম্যাসেজধারী জিনটি আবার বিভিন্ন ডি.এন.এ এর একটি যৌগিক রূপ হতে পারে যাকিনা কৃত্রিমভাবে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়। ন্যূনতম এই তিনটি জিন নিয়ে যে জেনেটিক বস্তু তৈরি হয় তাকে আবার একটি জিন বাহকের সাথে গাটছাড়া বেঁধে দিয়ে আক্রমনাত্মক পদ্ধতিতে কোষটির মাঝে ঢোকানো হয়। এইভাবে বহিরাগত জিন ঢোকানোর ফল হলো জিনোমের সাথে এর এলোপাথারি অঙ্গীভবন যা পরবর্তিতে অ-অনুমানযোগ্য এলোমেলো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে যার ফল হলো ঐ জিন বহনকারী শস্য, পশু ও মানুষের শরীরে বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা। যার অবশ্যম্ভাবী ফল স্বরুপ বিকালঙ্গতার অভিশাপ বহন করতে হয় জি এম ও খাদ্য গ্রহনকারীদের।

-মুহম্মদ আব্দুল জাব্বারিউল আউওয়াল।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।