যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১২

সংখ্যা: ২৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব।

 খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১২


মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা?

থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?


পূর্ব প্রকাশিতের পর

পাঠক! উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, পৃথিবীতে যত হক্কানী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম আগমন করেছেন উনাদের প্রত্যেকেরই বিরোধিতা করা হয়েছে। উনাদের প্রতি মিথ্যা তোহমত দেয়া হয়েছে। উনাদেরকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে, এমনকি উনাদের প্রাণ নাশেরও চেষ্টা করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!

কিন্তু কথা হলো কেন এ বিরোধিতা? মূলত: এ বিরোধিতার কারণ একটাই। আর তা হচ্ছে, হক্কানী উলামায়ে কিরাম তথা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা সম্মানিত শরীয়ত উনাকে পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন, মানুষকে কুফরী, শিরকী ও বিদয়াতী আক্বীদা ও আমল থেকে হিফাযতের কোশেশ করেন, ছহীহ দ্বীনের প্রচার-প্রসার করেন এবং আক্বীদা ও আমলে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার মত ও পথকেই পূর্ণরূপে অনুসরণ করেন এবং সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ- পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার দলীলভিত্তিক সঠিক ফায়সালা তুলে ধরেন। এতে বাতিল, গুমরাহ ও দাজ্জালে কাযযাব গোষ্ঠীর আঁতে ঘা লাগে। কারণ তাদের কুফরী আক্বীদা ও বিদয়াতী আমলগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়ে যায়, ধর্মের আবরণে তাদের ব্যবসায়িক কারসাজী ও যাবতীয় মন্দ আচরণ মানুষের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, তাদের কুফরী আক্বীদা ও বিদয়াতী আমলগুলো মজবুত দলীল দ্বারা ছাবিত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা সমাজ থেকে হয় বিতাড়িত এবং তাদের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ধ্বংস করার সকল অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়।

প্রেক্ষিত কারণে না হক্ব স্বার্থ রক্ষার জন্যেই তারা তখন হক্কানী উলামায়ে কিরাম তথা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ উনাদেরকে নিজেদের প্রাণের শত্রু মনে করে। উনাদের প্রতি মিথ্যা তোহমত, অশালীন, মনগড়া ও দলীলবিহীন যতসব আজগুবী বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জনসাধারণকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়। (চলবে)

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।