‘রহমতুল্লিল আলামীন’ লক্বব মুবারক সম্পর্কে কুফরীর অপবাদ দিয়ে চরম জাহিল, গণ্ড মূর্খ, রাজাকার জামাতীদের কিনা গোলাম ও দালাল, ভন্ড, প্রতারক এনায়েতুল্লাহ ওরফে লা’নাতুল্লাহ নিজেকেই কাফির হিসেবে সাব্যস্ত করলো- কোনো মুসলমান নামধারী ব্যক্তি কুফরী করলে, তাকে মুরতাদ বলা হয়। তিন দিনের মধ্যে তওবা না করলে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে রাজাকার জামাতীদের দালাল সমস্ত মুরতাদের সম্মানিত শর‘য়ী শাস্তি কার্যকর করা-১

সংখ্যা: ২৭২তম সংখ্যা | বিভাগ:

চরম জাহিল, গণ্ড মূর্খ, রাজাকার জামাতীদের কিনা গোলাম ও দালাল, প্রতারক এনায়েতুল্লাহ ওরফে লা’নাতুল্লাহ বলেছে, ‘পূর্বের কোনো নবীও রহমতুল্লিল আলামীন ছিলো না।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

সে আরো বলেছে, ‘রহমতুল্লিল আলামীন। এটা বলে কুফর করেছে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শান মুবারকেও ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ লক্বব মুবারক ব্যবহার করা জায়িয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে সম্মানিত হানাফী মাযহাবের আক্বাইদের ইমাম, ৪র্থ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, ইমামু আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ্, মুজাদ্দিদে যামান, হযরত ইমাম আবূ মানছূর মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ৩৩৩ হিজরী শরীফ) তিনি উনার সর্বজনমান্য ও গ্রহণযোগ্য বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাতুরীদী শরীফ উনার ৭ম খন্ডের ৩৮৩ পৃষ্ঠায়’ অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন-

وَقَوْلُهٗ عَزَّ وَجَلَّ وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ جَائِزٌ اَنْ يَّكُوْنَ كُلُّ رُسُلِ اللهِ رَحْمَةً مِّنَ اللهِ لِلْعَالَـمِيْنَ وَكَذٰلِكَ كُلُّ كُتُبِ اللهِ رَحْمَةٌ لِّلْعَالَـمِيْنَ عَلـٰى مَا ذُكِرَ فِـىْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةً مِّنَّا.

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কালাম মুবারক- ‘আর (আমার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ! সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ বলা জায়িয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত কিতাবসমূহ তথা সমস্ত আসমানী কিতাবসমূহ ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। আর তা এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার উপর ভিত্তি করে যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারক-এ সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তিনি আমার পক্ষ থেকে রহমত স্বরূপ।” সুবহানাল্লাহ!

এখানে হযরত ইমাম আবূ মানছূর মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যে, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ বলা জায়িয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাও ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-

اَلْـعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الْاَنْبِيَاءِ

অর্থ: “আলিম তথা ওলীআল্লাহগণ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওয়ারিছ।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ রয়েছে-

عُلَمَاءُ اُمَّتِىْ كَاَنْبِيَاءِ بَنِىْ اِسْرَائِيْلَ

অর্থ: “আমার উম্মতের আলিম তথা ওলীআল্লাহগণ বনী ইসরাঈলের নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুরূপ।” সুবহানাল্লাহ!

আর হযরত ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম, মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা যেহেতু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্বায়িম মাক্বাম, তাই উনাদেরকেও ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ বলা জায়িয রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

সে বিষয়টাই একাদশ হিজরী শতকের সর্বজনমান্য বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ আওলাদে রসূল, আল্লামা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ বারজানযী হুসাইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ- ১০৪০ হিজরী শরীফ, বিছাল শরীফ- ১১০৩ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল ইশা‘আহ্ লিআশরাতিস সা‘আহ্ শরীফ উনার ২১৪ নং পৃষ্ঠায়’ অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন-

فَالْـمَهْدِىُّ رَحْمَةُ اللهِ كَمَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَحْمَةً قَالَ تَعَالـٰى وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেরূপ রহমত স্বরূপ ছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ

‘আর আমি আপনাকে ‘রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনিও অনুরূপ মহান আল্লাহ উনার তরফ হতে রহমত স্বরূপ। অর্থাৎ হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনিও ‘রহমতুল্লিল আলামীন’।” সুবহানাল্লাহ!

কাজেই চরম জাহিল, গণ্ড মূর্খ, রাজাকার জামাতীদের কিনা গোলাম ও দালাল, প্রতারক, ভণ্ড এনায়েতুল্লাহ ওরফে লা’নাতুল্লাহ আব্বাসী যে বলেছে, ‘পূর্বের কোনো নবীও রহমতুল্লিল আলামীন ছিলো না।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ঢাহা মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট এবং সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ।

সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী কেউ যদি কাউকে কাফির ফতওয়া দেয়, আর সে যদি কাফির না হয়, তাহলে যে কাফির ফতওয়া দিয়েছে, তার উপরই কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে অর্থাৎ সে নিজেই কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

কাজেই, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উপর কুফরের অপবাদ দিতে গিয়ে চরম জাহিল, গণ্ড মূর্খ, মুরতাদ, প্রতারক এনায়েতুল্লাহ ওরফে লা’নাতুল্লাহ আব্বাসী নিজেকেই ‘কাফির’ হিসেবে সাব্যস্ত করলো, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এ বিষয়ে যারা সন্দেহ পোষণ করবে এবং যারা তাকে কাফির বলবে না, তারাও কাফির হবে। আর কেউ যদি কাফির হয়, তার স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। এ অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মিলামেশা করলে, ব্যভিচারের শামিল হবে এবং কোনো সন্তান হলে সেটা অবৈধ সন্তান হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সাথে সাথে তার ওয়ারিসসত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- সে যদি ৩ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে তওবা না করে, তাহলে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তার গোসল, কাফন-দাফন করা, জানাযার নামায পড়া জায়েয নেই এবং তাকে সম্মানিত মুসলমান উনাদের কবরস্থানে দাফন করাও জায়িয নেই। বরং তাকে কুকুর-শৃগালের মত গর্তে পুতে রাখতে হবে। যারা তার গোসল, কাফন-দাফন করবে, জানাযার নামায পড়বে, তাদের উপরও একই হুকুম বর্তাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

-মুফতী মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৯

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৮ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৭ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৭ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

দুর্নীতি দমনে এককালের মহাদাম্ভিক দৈত্য দুদকের দুর্দান্ত দুর্নীতি এটাই প্রমাণ করে যে অন্য কোন নীতি বা ব্যুরো নয়-আত্মিক পরিশুদ্ধতা তথা ইলমে মারিফাতের অনুশীলন অর্জনেই সবধরনের দুর্নীতি প্রবণতা রোধ সম্ভব।