সত্য সমাগত মিথ্যা দূরীভূত দৈনিক আল ইহসান   যামানার তাজদীদী মুখপত্র- মাসিক আল বাইয়্যিনাত হাক্কীকী মু’মিন, মুত্তাকী আল্লাহওয়ালা হওয়ার তা’লীমি মজলিসআঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য ও অপবাদ এবং অবমাননাকর বক্তব্য ছাপানোর বিরুদ্ধে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রেরিত প্রতিবাদলিপি

সংখ্যা: ২৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

বরাবর

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক

৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

 

বিষয়: দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় গত ২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে ১ম পৃষ্ঠায় “কালো তালিকাভুক্ত আট জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়নি” শীর্ষক প্রতিবেদনে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর নামে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ এবং মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ, প্রাসঙ্গিক তথ্য অবহিতকরণ এবং উক্ত প্রতিবেদনে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংক্রান্ত অংশের “সংশোধনী পূর্বক প্রত্যাহার” প্রসঙ্গে।

 

মহোদয়,

যথাবিহিত সম্মান জ্ঞাপন পূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, আপনার সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় গত ২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “কালো তালিকাভুক্ত আট জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়নি” শীর্ষক সংবাদে ‘উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত’ এর নামে মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ এবং উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়ানো হয়েছে – যা ভয়াবহ রকমের মিথ্যারোপ, মারাত্মক ভুল এবং চরম মানহানিকর।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে রাজারবাগ শরীফ এবং উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে প্রতিবেদকের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক প্রকৃত সত্য না জেনে এবং রাজারবাগ দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষের সাথে কোনরূপ যোগাযোগ না করে এরূপ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন – যা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত।

উক্ত প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন মন্তব্যের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য নিম্নরূপ:

(১) প্রতিবেদকের বক্তব্য: “সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর একদল সশস্ত্র ব্যক্তি মতিঝিলে বলাকা ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের ৮ জন সশস্ত্র কর্মীকে গ্রেফতার করে।”

প্রথমত, কোন সূত্র প্রতিবেদককে এই তথ্য জানালো এবং সেই উড়ো সূত্রের আদৌ ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মত একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, সেটা উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের সদস্য না এবং তারা সশস্ত্রও ছিল না। এছাড়া কথিত ঘটনার সাথে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সম্পৃক্ত- এমন কোন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।

(২) প্রতিবেদকের বক্তব্য- “গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা রাজারবাগ বড়ো পীর হুজুর সৈয়দ দিল্লুর রহমানের অনুসারী। উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত সংগঠনটি সেখান থেকে পরিচালিত হয়। হুজুর সৈয়দ দিল্লুর রহমানের নির্দেশে তারা বলাকার মূর্তি ভাঙচুর করেছে। ”

এই বক্তব্যও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যেখানে উক্ত মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, কথিত ঘটনার সাথে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই এবং ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘বর্ণিত সংগঠনের (উলামা আনজুমান) ব্যাপারে কোন বিরূপ মন্তব্য নেই।’ এমতাবস্থায় প্রতিবেদকের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক, তা বলাই বাহুল্য।

(৩) প্রতিবেদকের বক্তব্য- “এ ঘটনার কয়েক মাস পর উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের সশস্ত্র অনুসারীরা বিমানবন্দর গোলচত্বরে বাউলের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলে। ”

প্রতিবেদক যে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ এবং উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপবাদ দিয়েছে, তা নির্ণয়ে এই একটি মাত্র বাক্য যথেষ্ট। কারণ- প্রথমত, বলাকার ঘটনার পর বিমানবন্দরের ঘটনা ঘটেনি, বরং বিমানবন্দরের ঘটনার পর বলাকার ঘটনা ঘটেছিল। বিমানবন্দরের গোলচত্বরের লালন ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে এবং বলাকা ভাস্কর্যের ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ। অথচ প্রতিবেদক দাবি করছে, বলাকার ঘটনার কয়েক মাস পর নাকি বিমানবন্দরের ঘটনা ঘটেছে, অর্থাৎ প্রতিবেদনে ঘটনার সময়কাল নিয়ে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, প্রতিবেদকের দাবি, বিমানবন্দরের লালন ভাস্কর্য নাকি উলামা আনজুমান ভেঙে ফেলে। অথচ ওই সময় সমস্ত মিডিয়ায় প্রকাশ পায়, বিমানবন্দরের হজ্জ ক্যাম্পের পাশে লালনের ভাস্কর্য বানানোয় স্থানীয় মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয় এবং এর বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণখান এলাকার ফায়দাবাদ মসজিদের ইমাম মুফতি নুর হোসাইন নুরানীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লিদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে কর্তৃপক্ষ লালনের ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেয়। (তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, ১৬ অক্টোবর, ২০০৮; সমকাল, ১৬ অক্টোবর, ২০০৮)

(৪) প্রতিবেদকের বক্তব্য, “২০১৭ সালে হাইকোর্ট চত্বরে লেডি জাস্টিসের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটি স্থাপনের কয়েক দিনের মধ্যে উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত সেটি সরিয়ে ফেলতে উড়োচিঠিতে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ঐ বছরের ২৬ মে গভীর রাতে উচ্চ আদালত কর্তৃপক্ষ লেডি জাস্টিসের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলে।”

প্রথমত বলতে হয়, পৃথিবীর বুকে এমন কোন সন্তান জন্ম নেয়নি, যে দেখাতে পারবে রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে উড়ো চিঠি দেয়া হয়। কারণ রাজারবাগ দরবার শরীফ দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফে মূর্তির বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, তাই রাজারবাগ দরবার শরীফ রাষ্ট্রের আইন-বিধি মেনে থেমিসের মূর্তি সরানোর জন্য প্রতিবাদ করে। এবং সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল হয় কোর্ট বিভাগে দৈনিক আল ইহসানের সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান মূর্তিটি সরানোর জন্য একটি রিট মামলা দায়ের করেন। ওই রিট মামলা দায়েরের খবর ওই সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। (তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন ৯ই এপ্রিল, ২০১৭)

দ্বিতীয়ত, প্রতিবেদক এ ধরনের আজগুবি তথ্য দিয়ে প্রকারান্তরে আদালত অবমাননা করেছে। কারণ দেশের শীর্ষ বিচারিক কর্তৃপক্ষ উড়ো চিঠি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, এই খবর সুপ্রীম কোর্ট বা বিচার ব্যবস্থাকে হেয় করার সামিল।

তৃতীয়ত, সকলেই অবগত যে, দেবী থেমিসের মূর্তি সরাতে বাংলাদেশের বড় বড় ধর্মীয় সংগঠনগুলো ওই সময় ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচী করেছে। এমনকি স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনিও চান না, এই ভাস্কর্য এখানে থাকুক। (তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো-১২ এপ্রিল ২০১৭) মূলত প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কিছুদিন পর সকলের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই থেমিসের মূর্তি সরানো হয়। অথচ আলোচ্য প্রতিবেদনে প্রতিবেদক মূল ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে ‘উড়ো চিঠির প্রেরণের পরে থেমিসের মূর্তি সরানো হয়েছে’ এই ধরনের আজগুবি তথ্য প্রকাশ প্রমাণ করে উক্ত প্রতিবেদন বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।

(৫) প্রতিবেদকের বক্তব্য- “এসব জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স¤প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।”

২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘বর্ণিত সংগঠনের (উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত) ব্যাপারে কোন বিরূপ মন্তব্য নেই।’ এছাড়া কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোন প্রেস নোট বা গেজেট প্রকাশ করে উক্ত সংগঠনকে “কালো তালিকাভুক্ত”র কথা বলা হয়ই নাই, এমনকি কোন মৌখিক বক্তব্যেও বলা হয় নাই। অথচ প্রতিবেদক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নামে মিথ্যা তথ্য চালিয়ে দিয়েছে।

মূলতঃ ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার নামে এ ধরনের মিথ্যাচার এই প্রথম নয়, এর আগেও একই ধরনের মিথ্যাচার বহুবার করা হয়েছে এবং প্রতিবারই মিথ্যাচারীরা তাদের সত্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।

সবাই অবগত আছেন, ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় এ ধরনের জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২ যুগের বেশি সময় ধরে লেখালেখি চলছে, যার কারণে জেএমবির মত জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো মাঝে মাঝেই রাজারবাগ দরবার শরীফে বোমা হামলার হুমকি দেয়, যা বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। (সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো-১৯ মে ২০০৪ )

পাশাপাশি, জঙ্গীগোষ্ঠীগুলো সাধারণত কট্টর সালাফী বা কট্টর আহলে হাদীস আক্বিদাভুক্ত হয়ে থাকে, যাদের সাথে তাসাউফপন্থী পীর সাহেব বা ওলী-আল্লাহগণের আক্বিদাগত তীব্র বিরোধ বিদ্যমান। এ কারণে জঙ্গীগোষ্ঠীগুলো যে কোন পীর সাহেব বা ওলী-আল্লাহগণের দরবার শরীফের বিরুদ্ধচারণ করে। যারা জঙ্গীবাদ সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখেন, তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। অথচ তাসাউফপন্থী বা ওলী-আল্লাহগণের দরবার হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহল রাজারবাগ দরবার শরীফকে জঙ্গী ঘরানার কট্টর সালাফী আক্বিদাভুক্ত জঙ্গী সংগঠনের নামের সাথে জুড়ে দেয়।

প্রকৃতপক্ষে, এ-ধরনের অপপ্রচারের নেপথ্য কারণ হচ্ছে, রাজারবাগ দরবার শরীফ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি। শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকার কারণে রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সব প্রকাশনায় রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হয়। সেই লেখালেখির সঠিক জবাব দিতে না পেরে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীরা শুরু থেকেই রাজারবাগ দরবার শরীফকে বিতর্কিত করতে এ-রকম জঙ্গী অপবাদ দিয়ে আসছিল। এমনকি জামায়াত-জোট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ১৬ই এপ্রিল, ২০০৬ ঈসায়ী তারিখে জাতীয় সংসদের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে, উক্ত বৈঠকের সভাপতি যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহমতে ধর্মব্যবসায়ী যুদ্ধাপরাধীরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। উল্লেখ্য, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানায়, উলামা আনজুমানের সাথে এ-ধরনের বিরূপ কোন কিছুর সম্পর্ক নেই।

রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে কুৎসা রটনায় সেই সময় যুদ্ধাপরাধী রাজাকার গোষ্ঠী সফল না হলেও তাদের সেই অপপ্রচার বন্ধ থাকেনি। সময় সুযোগ বুঝে একই প্রোপাগা-া তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দৈনিক ইত্তেফাকে আলোচ্য প্রতিবেদনে সেই একই তথ্য শুধুমাত্র কপি-পেস্ট করা হয়। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, দৈনিক ইত্তেফাকের মতো একটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পত্রিকায় কিভাবে সেই যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রোপাগা-ামূলক খবর প্রকাশিত হলো? দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক বিভাগে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রতিনিধি প্রবেশ করেছে কি না, তা তদন্ত করে বের করা জরুরী।

সুতরাং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় উক্ত প্রতিবেদনে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর নামে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ এবং উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়িয়ে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচারের জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত প্রতিবেদনে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংক্রান্ত অংশের “সংশোধনী পূর্বক প্রত্যাহার” আপনার পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশের দাবী করছি।

 

আহ্বানে

(আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম)

মুখপাত্র- রাজারবাগ দরবার শরীফ

সম্পাদক- দৈনিক আল ইহসান এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত

সভাপতি- আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটি

সেক্রেটারী- মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন।

রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।

মোবাইল : ০১৭১৩-০০২৪৫৪

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৯

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৮ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৭ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৭ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

দুর্নীতি দমনে এককালের মহাদাম্ভিক দৈত্য দুদকের দুর্দান্ত দুর্নীতি এটাই প্রমাণ করে যে অন্য কোন নীতি বা ব্যুরো নয়-আত্মিক পরিশুদ্ধতা তথা ইলমে মারিফাতের অনুশীলন অর্জনেই সবধরনের দুর্নীতি প্রবণতা রোধ সম্ভব।