সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সংখ্যা: ২৫৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুসলমান মাত্রই বিদায় হজ্জের কথায় আবেগতাড়িত হন। বিদায় হজ্জের খুতবায় অনুপ্রাণিত হন। বিদায় হজ্জের খুতবার প্রথমদিকেই বর্ণিত হয়েছে, “আজকের এদিন যেমন পবিত্র, তেমনি প্রতিটি মুসলমানের জান-মাল অনেক পবিত্র।” আপন জান-মাল রক্ষার্থে মুসলমান যে যুদ্ধ করবে, তা জিহাদ বলে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, মুসলমানের জান-মাল রক্ষা করা যেমন ফরয, তেমনি তা রক্ষার জন্য জিহাদী যোগ্যতাও অর্জন জরুরী।

‘পবিত্র মুসলিম শরীফ’ ও ‘মুসনদে আহমদ শরীফ’ উনাদের মধ্যে রয়েছে- হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দৌড় অনুশীলনে ইযাযত মুবারক দিয়েছেন।” (তবে অবশ্যই খেলা হিসেবে নয়, বরং যুদ্ধ-জিহাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে।)

আর ‘পবিত্র আবূ দাউদ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোকনা পাহলোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন।”

(তবে তা অবশ্যই খেলা হিসেবে নয়; বরং রিসালতের প্রমাণ ও মু’জিযা হিসেবে তিনি রোকনা পাহলোয়ানের সাথে কুস্তি লড়েছেন এবং তাকে পরাস্ত করেছেন।)

উল্লেখ্য, পবিত্র হাদীছ শরীফ বা শরীয়তে যে সমস্ত বিষয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত বিষয়গুলো কোনো প্রকার খেলার অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তীর-ধনুক চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, স্ত্রীর সাথে শরীয়সম্মত হাসিখুশি করা, সাঁতার কাটা, সুতা কাটা, দৌড় অনুশীলন করা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে শিখার জন্য তাক্বিদ দেয়া হয়েছে জিহাদের অংশ হিসেবে খেলার জন্য নয়।

কারণ, উল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে যেমন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফয়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন- তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাঁতার কাটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাস্থকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার কারণ।

কিন্তু মুসলমান সে আদর্শ ও চেতনা এবং ঐতিহ্য ভুলে গেছে। কেবলমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি দেশের নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, দেশটির মন্ত্রিপরিষদ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ১৮ বছরের বেশি সকল পুরুষ কিংবা যারা হাই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছে এবং ৩০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।

সময়সীমা হবে হাই স্কুল সম্পাদনকারীদের জন্য ৯ মাস এবং যারা সম্পন্ন করেনি তাদের জন্য ২ বছর। মহিলাদের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ঐচ্ছিক। অথচ অন্যান্য অনেক অমুসলিম দেশে অনেক আগ থেকেই সাধারণ নাগরিকের জন্যও সামরিক প্রশিক্ষণ অব্যাহত আছে।

জার্মানির তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা মোকাবিলায় তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে ডিক্রি জারি করেছে দেশটির অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দর তুরচিনোভ।

সিঙ্গাপুরে ১৮ বছর বয়স কাছাকাছি সময়ে, ১৬ বৎসর বয়স থেকে সব পুরুষ Singaporeans ন্যাশনাল সার্ভিস নামক সামরিক প্রশিক্ষণ-এর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ না নিলে ৩ বছরের জেল অথবা SGD 5,000 জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হবে।

ফিলিপাইনে সামরিক প্রশিক্ষণ শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ। এর একটি নাম CAT (Citizen Army Training)বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা প্রথম ধাপ ৮-১৫ বছর বয়সের মধ্যে। পুরো স্কুলের জন্য চার ঘন্টা প্রতি সপ্তাহে পুরোপুরি সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে সব পুরুষ মহিলার। পরীক্ষা হবে অন্যান্য বিষয়ের মতো। পাস করা বাধ্যতামূলক।

আর কলেজ, ইউনিভার্সিটির ট্রেনিংকে বলা হয় CMT (Citizen Military Training):এই কোর্স শুধু পুরুষদের। সপ্তাহে একদিন হিসেবে ২ বছর। এই প্রশিক্ষণ না নিলে ডিগ্রি পাস সার্টিফিকেট দেয়া হয় না।

ইউরোপের সুইস যুক্তরাষ্ট্র (Swiss Federation) ১৮৪৮ এবং ১৮৭৪ সালের আইনের মাধ্যমে সুইস নাগরিকদের জন্য সামগ্রিকভাবে প্রতিরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে সুইজারল্যান্ডে নাগরিক-সৈনিক সমন্বয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী সংগঠিত করেছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট বয়সের তরুণ-তরুণীদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে, যা Civilians-in-uniform নামে চিহ্নিত। যুক্তরাষ্ট্রেও নির্দিষ্ট বয়সের তরুণ-তরুণীদের সাময়িকভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে (Conscription) প্রয়োজন অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর আকার বৃদ্ধি করে চলেছে। এসব রাষ্ট্রের প্রয়োজন কিন্তু ভিন্ন। সামরিক বাহিনীর উপর সিভিলিয়ান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এসব ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য নয়। নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব দেশে সামরিক বাহিনীকে এমনভাবে প্রস্তুত রাখা হয়, যেন সঙ্কটকালে বৃহৎ কলেবরের বাহিনী জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।

সম্প্রতি আমাদের দেশেও দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা নীতি বাস্তবায়নে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগী হিসেবে গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বেশি ক্যাডেট কলেজ স্থাপন করে সামরিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী এবং কখনো যুদ্ধ বা অন্য কোনো জরুরী প্রয়োজনে এসব ক্যাডেট ও সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া লোকজনকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

মূলত, দেশের সাধারণ মানুষকে সামরিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের উপকারের চেয়ে একজন সাধারণ নাগরিকের উপকারই আগে হবে। কারণ প্রশিক্ষিত লোকটি আগের মতো অলস বসে থাকবে না। তার অন্তরে সৃষ্টি হবে এক ধরনের দেশপ্রেম। দেশের এবং পরিবারের যে কোনো বিপদে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দেবে প্রশিক্ষিত লোকটি। যত কঠিন কাজই তাকে দেয়া হোক না কেন, কখনো বিরক্তিবোধ করবে না।

সামরিক প্রশিক্ষণ পেলে সব ধরনের কাজই সে করতে পারবে। মনের ভেতর এক ধরনের সাহস তৈরি হবে। জাতির মেরুদ- সোজা হয়ে দাঁড়াবে। শত্রুরা ভীত সন্ত্রস্ত হবে। বিশেষতঃ সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির আস্ফালনের বিপরীতে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য যুদ্ধ বিদ্যা শিক্ষা, শরীরচর্চা তথা প্রশিক্ষণ নেয়া আত্মরক্ষার্থেই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের আত্মরক্ষার অনুশীলন ছিল না বলেই অনেক বিপাকে পড়তে হয়েছে। এখন মোদীর ভারতই যদি আমাদের আক্রমণ করে, তবে সে সম্পর্ক আমাদেরকে পূর্বেই সতর্ক হতে হবে?

কাজেই ১৯৭১ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব মুসলমানেরই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া জরুরী। এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতা তৈরিতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।

-আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।