সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সব সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

চান্দ্র মাসের ধারাবাহিকতায় প্রতি সম্মানিত ঈদ উনার ক্ষেত্রেই বলতে হয়- বছর ঘুরে আবারো এলো মহাসম্মানিত ঈদ। কিন্তু পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ক্ষেত্রে এ কথামালা প্রযোজ্য নয়। কারণ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ এমন মহাসম্মানিত ঈদ যার কেবল শুরুই আছে। যার কোনো শেষ নেই। যার কোনো বিরতি নেই। যা অনন্তকালের জন্য। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এ অনন্তকালের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার তাজদীদ করেছেন, ধারণ করেছেন, বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন, কুল-কায়িনাতবাসীকে বিতরণ করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

এ বিষয়ে হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে থেকে অগণিত ও কাতয়ী দলীল দিয়েছেন। আকলমন্দের জন্য দু’একটি উদাহরণই যথেষ্ট। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে গোটা আলমের জন্য রহমত ব্যতিরেকে প্রেরণ করি নাই।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কোনো একটি এলাকার জন্য প্রেরিত হননি; তেমনি তিনি কোনো একটি সময়ের জন্যও আবির্ভুত হননি। বরং উনার মুবারক তাশরীফ অনন্তকালের জন্য। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফও অনন্তকালের জন্য। দিনের চব্বিশ ঘণ্টা, বৎসরের সব সময় এবং অনন্তকালের অনন্ত সময়; পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার খিদমতেই ব্যাপৃত। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করেন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করুন অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করুন যথাযথ সম্মানের সাথে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

উল্লেখ্য, এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বর্ণনা করা হয়নি। অর্থাৎ তা অনন্তকালের জন্য। সুবহানাল্লাহ!

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বাস্তবে তা পালন করে আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদা আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে চাই। আমি কি পরিমাণ সময় আপনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য নির্দিষ্ট করবো?’ তিনি বললেন, ‘যে পরিমাণ আপনি ইচ্ছা করেন।’ আমি বললাম, ‘তাহলে পুরো দিনের এক চতুর্থাংশ সময় অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা?’ তিনি বললেন, ‘আপনি যা ইচ্ছা করেন। তবে আরো বেশি সময়ব্যাপী করলে তা হবে আপনার জন্য কল্যাণকর।’ আমি বললাম, ‘তাহলে কি অর্ধেক সময় অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা নির্ধারণ করে নিবো?’ তিনি বললেন, ‘তা আপনার ইচ্ছা। তবে যদি এর চেয়েও অধিক সময় নির্ধারণ করেন, তা হবে আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর।’ আমি বললাম, ‘তাহলে কি দুই-তৃতীয়াংশ সময় অর্থাৎ ১৬ ঘণ্টা নির্ধারণ করবো?’ তিনি বললেন, ‘তা আপনার ইচ্ছা। তবে আরো অধিক সময়ব্যাপী করলে তা আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে।’ আমি বললাম, ‘তাহলে কি আমার জীবনের সম্পূর্ণ সময়টাই আপনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠের জন্য অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য নির্ধারণ করবো?’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘যদি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত মাকছূদ পূরা করা হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র তিরমিযী শরীফ, আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২২১:৯১)

আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের শিফাদানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদার উনাদের জন্য আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত দানকারী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। উনার মুবারক শানে এ খুশি প্রকাশ করাই হচ্ছে তোমাদের জীবনের সমস্ত আমল থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম।।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

মূলত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপনের ঘনঘটা, ব্যাপকতা, প্রাচুর্যতা অথবা দায়সারা মানসিকতা উম্মত হিসেবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আমাদের অন্তরের টানের তথা মুহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকির মুবারক উনাকে বুলন্দ করেছি।” (পবিত্র সূরা ইনশিরাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)

যা এমন যে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি যদি শুধু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সাক্ষ্য দেয় তথাপিও ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ সে ব্যক্তি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনে-প্রাণে গ্রহণ না করবে এবং স্বীকার না করবে। সুবহানাল্লাহ!

বস্তুত কোনো ব্যক্তি কখনো বান্দা বা মুসলমান হতে পারবে না, কোনো দেশ ততোক্ষণ পর্যন্ত সমৃদ্ধ হতে পারবে না, যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা যথাযথভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন যথাযথ না করবে। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ্ পাক তিনি হাদিয়াদাতা। আর আমি বণ্টনকারী।” (মিশকাত শরীফ) অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বণ্টন না করলে, বান্দা পাবে কোথা থেকে? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম ব্যতীত পাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলা দিয়েই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইতে হবে।

স্মর্তব্য, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা যে করতে পারবে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনারও প্রশংসা করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত উনার হক্ব বা শুকরিয়া যে আদায় করতে পারবে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত উনার হক্ব বা শুকরিয়াও আদায় করতে পারবে না। নাঊযুবিল্লাহ!

তাই উল্লেখ্য, যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ যা সাইয়্যিদে ঈদে আকবর বা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম; তা উদযাপনই হতে হবে- রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর এদেশে- সর্বপ্রধান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোচ্চ সরকারি উৎসব হিসেবে। এ উৎসবকে উপলক্ষ করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট করতে হবে। দেশের সব গরিব-দুঃখীদের এ ঈদ পালনের জন্য প্রভূত সরকারি সাহায্য দিতে হবে। গোটা পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনাকেই ছুটির মাস হিসেবে গণ্য করতে হবে। দেশের দশ লাখ মসজিদে ব্যাপক সরকারি সহযোগিতায় পবিত্র ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র মীলাদ মাহফিল ও উন্নতমানের তবারক বিতরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আরো ব্যাপক ধরনের অনুষ্ঠান করতে হবে। রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান করতে হবে। গোটা দেশকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করতে হবে। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ঈদ হিসেবে জনমনে আলোড়নের জন্য সর্বাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কঠোর ও চরম নিরাপত্তা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দ্বারা সর্বোচ্চ রূপে সরকারি পর্যায়ে সারাদেশে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তবেই আশা করা যায় এদেশবাসী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় রহমতপ্রাপ্ত হবে। দেশ অন্যায়, অরাজকতা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা থেকে নাজাত পাবে।

পাশাপাশি মনে রাখা কর্তব্য, হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকের মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব সনদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাত ও ছিফত মুবারক সম্পর্কিত ইলম ও ফিকির, উনার হাক্বীক্বত মুবারক সম্পর্কিত মা’রিফত এবং উনার পূর্ণ অনুসরণ ও সুন্নত মুবারক পালনের এবং সর্বোপরি চরম, পরম ও গভীর মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও আদবের সাথে অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের কুওওয়ত।

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে সেসব নিয়ামত হাছিলই হোক আমাদের অন্তরের আরজু। আমীন!

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়