সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ২৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনেকে খোদ প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের পট-পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রক হিসেবেও দেখে থাকে। সেক্ষেত্রে এ পদটি শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয় ভীষণ শক্তিশালী বলেও অজ্ঞিমহল মনে করে। কিন্তু সদ্য বিদায়ী ইসির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল বলেছে, বিদায়ী সিইসি পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণিত। সুশীল সমাজের কেউ বলেছে, তার মিথ্যাচারে সবাই স্তম্ভিত। আবার কেউ কেউ তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কেউ বিচারও দাবী করেছে। আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন সব সময়ই বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ থেকেছে। এক্ষেত্রে শুধু নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েও আমাদের ফিকির করতে হবে।

সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম স্বীকৃত। সঙ্গতকারণেই দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে নির্বাচনী সমস্যার সমাধান খোজা বাঞ্চনীয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ক্ষমতার জন্য প্রার্থী হয় তার প্রতি লা’নত। আর যে চাওয়া না সত্ত্বেও যোগ্যতার ভিত্তিতে তাকে ক্ষমতা দেয়া হয় তার উপর রহমত।

এদিকে নামধারী ইসলামী দলগুলো প্রচার করে থাকে তাদের ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিকল্প নেই। অথচ কথিত নির্বাচন ছাড়াও যে খিলাফত ব্যবস্থা কায়েম হতে পারে তার একটি দুনিয়াবী এবং কাছাকাছি উদাহরণ হতে পারে সার্চ কমিটির ঘটনা।

নির্বাচন কমিশন গঠনের নতুন আইন অনুযায়ী, এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান দুজন সদস্য হবে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের দুজন বিচারক, যাদেরকে প্রধান বিচারক মনোনয়ন দেবে। এছাড়া, সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসি এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদাধিকার বলে থাকবে। আর বাকী দুজন সদস্য হবে রাষ্ট্রপতির মনোনীত। এভাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারী একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়। এরপর সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য প্রস্তাব পাওয়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে কমিটি ১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়।

বলাবাহুল্য, একইভাবে প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়াই ইসলামী খিলাফত হতে পারে। প্রথমত: একটা কমিটি গঠিন হবে। তারা খিলাফতের পরিচালনার জন্য ৩০০ জন বা প্রয়োজন সংখ্যক মজলিসে শুরার সদস্য গঠন করবে। গঠিত মজলিসের শুরা আবার শলা-পরামর্শ বা যাচাই-বাছাই করে খলীফা নির্বাচিত নয় মনোনিত করবেন। ইনশাআল্লাহ!

একথা শক্ত করে বলার যথেষ্ট উদাহরণ তৈরী হয়েছে যে, নির্বাচন ছাড়াই ইসলামী খিলাফত বাস্তবায়ন সম্ভব। কাজেই যে সব কথিত ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো ইসলাম কায়েমের জন্য ভোটের রাজনীতি করা ফরজ বলে প্রচার করছে তাদের সে পন্থা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন হারাম বলে গণ্য তেমনি দুনিয়াবী দিক থেকে তা এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত।

মূলতঃ দ্বীন ইসলাম উনার নামে ভোটের রাজনীতি করা নামধারী মালানারা পবিত্র সুন্নত মুবারক থেকে দূরে সরে থাকে, বিদয়াতী আমল দ্বারা কলুষিত হতে থাকে এবং বিদয়াতী মত-পথ প্রচলনের দ্বারা গোমরাহী ও বিভ্রান্তি বিস্তারের প্রক্রিয়ায় দ্বীন ইসলাম উনার জঘন্য শত্রুর ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, উলামায়ে সূ’র কার্যকলাপ তথা বিদয়াতী আমলই দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি করে।

মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

 

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়