সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম-আহকাম পালন করতে হবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নিয়মেই

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুসলমান মাত্রই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালন করার চেষ্টা করে থাকে। যদিও কেউ নফসের তাড়নায়, শয়তানের ওয়াসওয়াসায়, পরিবেশের বদ তাছীরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধান পালনের ক্ষেত্রে শীথিলতা, গাফলতি করে। তথাপি মুসলমান হওয়ার সুবাদে অনিচ্ছাসত্বে হলেও বছরে এক/দুবার সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম পালনের সম্মুখীন হয়। পিতা-মাতা, স্বজনদের ইন্তিকালে তাদের জানাযায় শরীক হয় অথবা কারো বিবাহের অনুষ্ঠানে শরীক হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামাযে শরীক হয় ইত্যাদি।

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে স্মরণ রাখতে হবে যে, তাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম আহকাম অনুযায়ী দ্বীন ইসলাম পালন করতে হবে। মনগড়া নিয়মে কিংবা কাফির-মুশরিকদের তর্জ-তরীকায় বা তাদের অনুসরণে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালন করা যাবে না। তাদের অনুসরণে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধান পালন করলে তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল তো হবেই না বরং জাহান্নামী হতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَن يَـبْـتَغِ غَيْـرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَـلَنْ يُّـقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْـخَاسِرِيْنَ

অর্থ: যে ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীকা তালাশ বা অনুসরণ করে তার থেকে কখনোই তা গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তথা জাহান্নামীদের অর্ন্তভুক্ত হবে। নাঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)

অনুরূপ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَن حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَـهُوَ مِنْـهُمْ

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি (মুসলমান) যে সম্প্রদায়ের (বিধর্মীদের) সাথে মিল বা সাদৃশ্য রাখবে সে তাদেরই অর্ন্তভুক্ত হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

অর্থাৎ ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক্ব, সীরত-ছূরত, পড়াশুনা, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, উঠাবসা, পোশাক-পরিচ্ছদ, কৃষ্টি-কালচার ইত্যাদি যে কোন বিষয়ে যে মুসলমান যে বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ বা সাদৃশ্য রাখবে সে মুসলমানের হাশর-নশর সেই বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

উদাহরণস্বরূপ মুসলমানরা আজ নামায পড়ছে। তারা মাস্ক পরে নাক মুখ ঢেকে নামায পড়ছে। এতে তাদের নামায হচ্ছে না। কারণ নাক মুখ ঢেকে নামায পড়ার ব্যাপারে সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْـرَةَ رَضي الله تَـعَالٰي عَنْهُ قَالَ نَـهٰى  رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ فِي الصَّلَاةِ

অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে কোন ব্যক্তিকে নামাযরত অবস্থায় তার মুখম-ল ঢাকতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, সুনানে আবূ দাউদ)

আর বিধর্মীদের মতো করোনা ভাইরাসকে ছোঁয়াচে বিশ্বাস করে যারা মাস্ক পরিধান করবে তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা শিরিক। ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা যাবে না। ছহীহ বুখারী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَـرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ

অর্থ: নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, কোন রোগই সংক্রমণ বা ছোঁয়াচে নয় এবং কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই এবং পেঁচার মধ্যে খারাপ কিছু নেই এবং ছফর মাসও অশুভ নয়।

মুসলমানরা আজ ধন-সম্পদের সঠিক হিসাব করে যাকাত দেয় না। আবার যারা যাকাত পাওয়ার হকদার তথা নেককার-পরহেযগার ব্যক্তিকে যাকাত না দিয়ে ফাসেক-ফুজ্জার ব্যক্তিকে যাকাত দেয়। ফলে তাদের যাকাত আদায় হচ্ছে না। এছাড়া ফল-ফসলের যাকাত তথা উশর তো তারা দেয়ইনা। ফলে গরীবদের প্রাপ্য সম্পদ নিজেরাই ভক্ষণ বা ব্যবহার করে তারা হারাম খাচ্ছে। যার কারণে তাদের ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া-কালাম কিছুই কবুল হচ্ছে না। নাউজুবিল্লাহ!

তারা যে পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ করছে তাদের সে পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহও কবুল হয় না। কারণ সৌদী ওহাবী ইহুদী সরকার একদিকে হজের তারিখ পরিবর্তন করে আরেকদিকে হজ্জ পালনে হারাম কাজ করাতে বাধ্য করে। যেমন ছবি তোলে, তোলায় এবং বেপর্দা করায়। নাউযুবিল্লাহ!

এরপর তারা রোযা রাখে তাদের রোযাও হয়না। কারন রোযা রেখে তারা করোনা নামক টিকা গ্রহণ করে, ইনসুলিন ও ইনজেকশন নেয় যা রোযা ভঙ্গের কারণ। এছাড়া রোযা রেখে তারা হারাম ছবি, টিভি, খেলাধুলা, গান-বাজনা দেখে ও কেউ কেউ করে ও শুনে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

এরপর মুসলমানরা বিবাহ শাদী করে থাকে। এতে তারা পর্দা রক্ষা করে না। কাফির মুশরিকদের মত বেপর্দা-বেহায়াপনা, অশ্লীল-অশালীন কাজ করে। নাউযুবিল্লাহ! ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রেও তারা বেপর্দাভাবে চলাফেরা করে।

কাজেই মুসলমানকে মুসলমানিত্ব বজায় রাখতে হলে তাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালন করতে হবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নিয়মেই। মোটকথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালনের লক্ষ্যেই মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র।

অতএব সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সঠিকভাবে পালন করতে হলে সকল মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে উক্ত আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া।

-মুফতী আবূ খুবাইব

 

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম