সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতুছ ছাক্বলাইন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এবং তৎসংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত বরকতময় ওয়াক্বিয়াহ মুবারক

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

سَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَـمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا

অর্থ:“(হযরত ইহইয়াহ আলাইহিস সালাম) উনার উপর সালাম তথা রহমত, বরকত, ছাকীনাহ যেদিন তিনি সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, যেদিন তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা মারইয়াম শরীফ, সম্মানতি আয়াত শরীফ: ১৫)

সুতরাং সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার মধ্যেই রয়েছে যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন, সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং পুনরুত্থানের দিন সালাম তথা রহমত, বরকত, ছাকীনাহ, দয়া, দান, ইহসান মুবারক বর্ষিত হয়। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতুছ ছাক্বলাইন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন কত বেশি সম্মানিত রহমত, বরকত, ছাকীনাহ, দয়া, দান, ইহসান মুবারক বর্ষিত হয়, তা সমস্ত কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী  এবং আমরা সকলে যেন সেই সম্মানিত রহমত, বরকত, ছাকীনাহ, দয়া, দান, ইহসান মুবারক ও রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভে ধন্য হতে পারি, তাই এখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, সাইয়্যিদাতুছ ছাক্বলাইন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ ও তৎসংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত বরকতময় ওয়াক্বিয়াহ মুবারক আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আমাদের নিকট যেভাবে বর্ণনা মুবারক করেছেন, এখানে সেভাবেই পত্রস্থ করা হলো-

সম্মানিত মদীনা শরীফ সফর মুবারক

দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছয়, তখন উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে সম্মানিত মদীনা শরীফ যান। উনাদের সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম তিনিও ছিলেন। উনারা সম্মানিত মদীনা শরীফ বেশ কিছু দিন অবস্থান মুবারক করেন। সেখানকার ইহুদীরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে চিনে ফেলে যে তিনিই হচ্ছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! তাই তারা ফিতনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে।

সম্মানিত ওছীয়ত মুবারক

যখন ইহুদীরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে চিনে ফেলে যে তিনিই হচ্ছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ফিতনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ফজরের পর (সকালে) পবিত্র মক্কা শরীফ উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সাথে হযরত উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম তিনিও ছিলেন। পথিমধ্যে উনারা সম্মানিত আবওয়া শরীফ নামক স্থানে যান। সেখানে যেয়ে উনারা মালিকুল জান্নাহ, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, মাহবূবে এলাহী, আবূ রসূলিনা সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ‘রওযা শরীফ’ যিয়ারত মুবারক করেন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় নিকটবর্তী হন। ফলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য ওছীয়ত মুবারক করেন এবং তিনি উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি অতিশীঘ্রই মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আমার মহাসম্মানিত আওলাদ তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন এবং যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই আপনি আমার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান

মুবারক প্রকাশের ওয়াক্বিয়াহ মুবারক

হযরত উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত ওছীয়ত মুবারক করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বসা থাকা অবস্থায় উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, লখতে জিগার মুবারক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত কোল মুবারক-এ নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত চেহারা মুবারক উনার দিকে তাকিয়ে উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ‘সুমহান না’ত শরীফ’ পাঠ করতে থাকেনÑ

بَارَكَ فِيْكَ الله مِنْ غُلَام

يَا ابْنَ الَّذِىْ مِنْ حَوْمَةِ الْحِمَام

نَجَا بِعَوْنِ الْمَلِكِ الْمِنْعَام

فَوَدٰى غَدَاةَ الضَّرْبِ بِالسّـِهَام

بِمِائَةٍ مّـِنْ اِبِلٍ سِوَام

اِنْ صَحَّ مَا اَبْصَرْتُ فِىْ مَنَامِىْ

فَاَنْتَ مَبْعُوْثٌ اِلَى الْاَنَام

مِنْ عِنْدِ ذِى الْجَلَالِ وَالْاِكْرَام

تُبْعَثُ فِى الْحِلّ وَفِى الْحَرَام

تُبْعَثُ بِالتَّحْقِيْقِ وَالْاِسْلَام

دِيْنِ اَبِيْكَ الْبَرّ اِبْرَاهَام

تُبْعَثُ بِالتَّخْفِيْفِ وَالْاِسْلَام

اَنْ لَّا تُوَالِيَهَا مَعَ الْاَقْوَام

فَالله اَنْهَاكَ عَنِ الْاَصْنَام

ثُمَّ قَالَتْ:

كُلُّ حَىّ مَّـيّـِتٌ وَّكُلُّ جَدِيْدٍ ۢبَالٍ

وَكُلُّ كَبِيْرٍ يَّفْنٰى وَاَنَا مَيّـِتَةٌ وَّذِكْرِىْ بَاقٍ

وَقَدْ تَّرَكْتُ خَيْرًا وَّوَلَدْتُّ طُهْرًا

অর্থ: “হে আমার মহাসম্মানিত আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে বরকতময় করে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। হে আমার মহাসম্মানিত আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্ব মুহূর্তে আমি তা বলে যাচ্ছি।

আপনার যিনি মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মালিক মিন‘য়াম (অসীম অনুগ্রশীল) মহান আল্লাহ পাক উনার সীমাহীন অনুগ্রহ মুবারক-এ যাবীহুল্লাহ শান মুবারক-এ প্রকাশিত হন। তীরের মাধ্যমে লটারী মুবারক করার সময় (যখন আপনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার পরিবর্তে একশত উটের নাম লটারীতে উঠে। তখন) আপনার সম্মানিত দাদাজান আলাইহিস সালাম তিনি আপনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার পরিবর্তে একশত উন্নতমানের তরুতাজা উট মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য কুরবানী মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

নিশ্চয়ই আমি আমার মহাসম্মানিত স্বপ্ন মুবারক-এ যা দেখেছি, তা অবশ্য অবশ্যই সত্য এবং অতিশীঘ্রই আমার সেই মহাসম্মানিত স্বপ্ন মুবারক উনার সত্যতা দুনিয়ার যমীনে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হবে। সুবহানাল্লাহ!  (আর তাহচ্ছে,) আপনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য নবী ও রসূলরূপে প্রেরিত হয়েছেন। মহাসম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকেই আপনি প্রেরিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

আপনি নবী ও রসূলরূপে প্রেরিত হয়েছেন সম্মানিত মদীনা শরীফ ও সম্মানিত মক্কা শরীফ তথা সারা কায়িনাতবাসীর মাঝে। আপনি নবী ও রসূলরূপে প্রেরিত হয়েছেন হক্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সুবহানাল্লাহ!

আপনি আপনার পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সত্য দ্বীন নিয়ে এসেছেন (যা মূলত আপনার সম্মানার্থে উনাকে দান করা হয়েছিলো)।

প্রকৃতপক্ষে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে উনার একমাত্র মনোনীত সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্ত সহজ, সরল সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নিয়ে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

যেনো মূর্তি-ভাস্কর্যের অনুশীলন সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা যমীনে কেউ না করে। যদিও মুশরিক সম্প্রদায় পূর্ব থেকে তার অনুশীলন করে আসছে।আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার সুমহান-বেমেছাল সম্মান-মর্যাদা মুবারক উনার কারণেই আপনার উম্মতদেরকে মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা করবেন। সুবহানাল্লাহ!

অতঃপর উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রতিটি প্রাণী মৃত্যু বরণ করবে। তেমনি প্রতিটি নতুন বস্তু পুরাতন হবে। প্রত্যেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একদিন ইন্তিকাল করবেন। আর আমিও অতিশীঘ্রই মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করতে যাচ্ছি। কিন্তু আমার সম্মানিত আলোচনা মুবারক অনন্তকাল ধরে জারি থাকবে। কেননা আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে রেখে যাচ্ছি। আমি আপনাকে পূতঃপবিত্র হিসেবে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে আনজাম দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ২য় খ- ১২১ পৃষ্ঠা, ‘আল খছায়িছুল কুবরা শরীফ ১ম খ- ১৩৫-১৩৬ পৃষ্ঠা, আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ ২য় খ- ২১১ পৃষ্ঠা, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ ২১ পৃষ্ঠা, আস সুবুলুল জালিয়্যাহ ফিল আবায়িল আলিয়্যাহ শরীফ ১৫-১৬ পৃষ্ঠা, আত তা’যীম ওয়াল মিন্নাহ শরীফ ২৫ পৃষ্ঠা, কিতাবুল আযীম ওয়াস সুন্নাহ শরীফ, আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ ১ম খ- ১০২ পৃষ্ঠা, শরহুয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ ১ম খ- ৩১০ পৃষ্ঠা, সিমতুন নুজূমিল ‘আওয়ালী ফী আম্বায়িল আওয়ায়িলি ওয়াত তাওয়ালী ১ম খ- ৩০৫ পৃষ্ঠা ইত্যাদী)

সম্মানিত না’ত শরীফ পাঠ করতে করতে সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি উনাকে সম্মানিত বক্ষ মুবারক-এ নিয়ে শুয়ে পড়েন এবং এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো সকাল ৯-১০টার দিকে। অর্থাৎ ইশরাক উনার ওয়াক্ত শেষ এবং চাশত বা দ্বোহা উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়। সুবহানাল্লাহ! তখন কায়িনাতের মাঝে কিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জুদায়ী মুবারক উনার কারণে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করতে থাকেন। উনার সাথে সাথে হযরত উম্মু আইমন আলাইহাস সালাম তিনিও অবিরত ধারায় কান্না মুবারক করতে থাকেন। শুধু তাই নয়, সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, জিন, গাছ-পালা, তরু-লতা, চন্দ্র-সূর্য, আকাশ-বাতাস এক কথায় সমস্ত কায়িনাত কান্না করতে থাকেন। জিনেরা উনার শান মুবারক-এ শোকগাঁথা তথা না’ত শরীফ পাঠ করেন-

نَبْكِى الْفَتَاةَ الْبَرَّةَ الْاَمِيْنَةْ

ذَاتَ الْجَمَالِ الْعَفَّةَ الرَّزِيْنَةْ

زَوْجَةَ عَبْدِ اللهِ وَالْقَرِيْنَةْ

اُمَّ نَبِىّ اللهِ ذِى السَّكِيْنَةْ

وَصَاحِبِ الْمِۢنْبَرِ بِالْمَدِيْنَةْ

صَارَتْ لَدٰى حُفْرَتِهَا رَهِيْنَةْ

لَوْ فُوْدِيَتْ لَفُوْدِيَتْ ثَمِيْنَةْ

وَلِلْمَنَايَا شَفْرَةٌ سَنِيْنَةْ

لَا تُبْقِىْ ظَعَّانًا وَّلَاظَعِيْنَةْ

اِلَّا اَتَتْ وَقَطَّعَتْ وَتِيْنَهْ

اَمَّا هَلَكْتِ اَيُّهَا الْحَزِيْنَةْ

عَنِ الَّذِىْ ذُو الْعَرْشِ يُعْلِىْ دِيْنَهْ

فَكُلُّنَا وَالِهَةٌ حَزِيْنَةْ

نَبْكِيْكِ لِلْعُطْلَةِ اَوْ لِلزِّيْنَةْ

وَلِلضَّعِيْفَاتِ وَلِلْمِسْكِيْنَةْ

অর্থ: “আমরা খুবছুরত মুবারক উনার অধিকারিণী, পরমা দানশীলা, ন্যায়পরায়ণা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস, আফদ্বলুন নিসা, মালিকাতুল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অত্যন্ত কঠিনভাবে কান্না করছি। তিনি ছিলেন যাহিরী-বাতিনী সর্বদিক থেকে অনন্যা সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী। ছিলেন বেমেছাল মর্যাদাবান, সর্বাধিক পূত-পবিত্রা, পবিত্রতাদানকারী, পার্থিব যাবতীয় কামনা, বাসনা থেকে পূত-পবিত্রা, সর্বপ্রকার ছগীরা, কবীরা, কুফরী, শিরকী এবং যাবতীয় অপছন্দীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্রা। আরো ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি দায়িমী রুজু, সর্বাধিক দ্বীনদার, সম্মানিত দ্বীন পালনকারিণী (দ্বীনে ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম বা দ্বীনে হানীফ উনার অনুসারিণী) আরো ছিলেন সীমাহীন ইলম মুবারক তথা সম্মানিত ইলমে গইব মুবারকসহ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! (যার বহিঃপ্রকাশ মুবারক হচ্ছেন আলোচ্য সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত না’ত শরীফ। সুবহানাল্লাহ!)

তিনি হচ্ছেন আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা যাওজাতুম মুর্কারামাহ অর্থাৎ জীবন সঙ্গীনী তথা চিরসঙ্গীনী । তিনি হচ্ছেন সম্মানিত রহমত, বরকত, দয়া, মায়া, অনুগ্রহ, প্রশান্তি মুবারক তথা যাবতীয় সমস্ত নিয়ামত মুবারক উনাদের যিনি মালিক, বণ্টনকারী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার সম্মানিত মিম্বার শরীফ উনার সুমহান অধিপতি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি এখন উনার সুনির্দিষ্ট মহাসম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক রাখার নিকটবর্তী হয়েছেন।

আর যদি (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) সম্মানিত বিছালী শান মুবারক উনার বিনিময়ে ফিদিয়া হতো, তাহলে অবশ্যই ফিদিয়া হতো মহামূল্যবান, সুউচ্চ পাহাড়সম বালিকণা পরিমাণ উৎসর্গীত পশু। (অর্থাৎ অসংখ্য-অগণিত পশু কুরবানী দিতে হতো, সারা কায়িনাত কুরবান করে দিতে হতো। তাও কম হতো। সুবহানাল্লাহ!)

(সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত বিছাল শরীফ মুবারক উপস্থিত হয়েছেন, আর তিনি উনাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। ফলে তিনি শিবিকা, শিবিকারোহিণী, আরোহণের উট তথা দুনিয়াবী ছামান-আসবাব কোনো কিছুই রেখে যাচ্ছেন না। (তবে তিনি রেখে যাচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনাকে। যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ হাবীব, যিনি সমস্ত সৃষ্টির মূল। উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন, উনার সম্মানিত রুবূবিয়াত মুবারক প্রকাশ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই উনার সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!)

হে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত মুবারক-এ দায়িমী মশগুল সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক! আপনিতো যিনি সম্মানিত আরশ মুবারক উনার মালিক মহান আল্লাহ পাক, যিনি উনার সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে সারা কায়িনাতে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন, উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে, উনারই ইরাদা মুবারক অনুযায়ী, উনারই দায়িমী হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ বেমেছালভাবে মশগুল হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

আর আমরা সকলেই আপনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে আজ দিশেহারা, উন্মত্ত, শোকাহত, চিন্তিত, বেকারার, পেরেশান। আমরা আপনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে বেমেছালভাবে কান্না করছি, অজ¯্র ধারায় অশ্রু বর্ষণ করছি। কান্না করছি আপনার যাহিরী-বাতিনী সৌন্দর্য মুবারক উনার কারণে। (আপনি ছিলেন সর্বময় গুণাবলী মুবারক উনার অধিকারিণী। এরূপ যাবতীয় গুণাবলী মুবারক উনার অধিকারিণী মহাসম্মানিতা ব্যক্তিত্বা মুবারক আর কখনো খুঁজে পাওয়া যাবে না।) আমরা আরো অশ্রু সিক্ত হচ্ছি, সেই কথা ফিকির করে যে, কি অবস্থা হবে তাদের, আপনি যে সকল মিসকীনাহ, দুর্বলা, অপারগা, অসহায়া, দরিদ্রদের আশ্রয়দান করতেন?

সম্মানিত গোসল ও সম্মানিত

কাফন মুবারক

মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মাধ্যমে কুদরতময়ভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত গোসল মুবারক ও সম্মানিত কাফন মুবারক সম্পন্ন করা হয়। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত রওযা শরীফ

উনার মধ্যে রাখা

অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা উক্ত আবওয়া নামক স্থানে সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ, আবূ রসূলিনা সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ উনার পাশে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ খনন করেন। তারপর কুদরতময়ভাবে অত্যন্ত আদব ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা হয় অর্থাৎ তিনি উনার সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার হাক্বীক্বী গোলাম হিসেবে কবূল করুন, উনার হাক্বীক্বী মা’রিফাত-মুহব্বত, তায়াল্লুক্ব-নিসবত, কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক নছীব। আমীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম