সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসমানী তথা শারীরিক পবিত্রতা মুবারক ও পরিচ্ছন্নতা মুবারক

সংখ্যা: ২৬৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক উনার মধ্যে এমন আখাছ্ছুল খাছ বিশেষত্ব মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, যা  অন্য কারো দেহে হাদিয়া করা হয়নি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে নির্গত সমস্ত কিছুই ছিলেন, পবিত্র থেকে পবিত্রতম এবং পবিত্রতাদানকারী। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

بُنِىَ الدِّيْنُ عَلَى النَّظَافَةِ.

অর্থ: “সম্মানিত দ্বীন উনার ভিত্তি হলো পবিত্রতা”। সুবহানাল্লাহ! (মাফাতিহুল গায়িব ৫/৪৮৭, আশ শিফা’ শরীফ ১/৬২, ইহইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন ১/১২৭, কশফুল খফা ১/২৮৮, মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৭৫৮ ইত্যাদি)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

قَالَ حَضْرَتْ اَنَسٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ مَا شَـمِمْتُ عَنْۘبَرًا قَطُّ وَلَا مِسْكًا وَّلَا شَيْئًا اَطْيَبَ مِنْ رِّيْحِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, যতো প্রকারের সুগন্ধি আছে চাই তা মেশক হোক বা আম্বর হোক, আমি তার ঘ্রাণ গ্রহণ করেছি। কিন্তু কোনো সুগন্ধিই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক উনার সৌরভ মুবারক উনার সমতুল্য হতে পারে না।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, শুয়াবুল ঈমান ৩/২৪, আর রহীক্বুল মাখতুম ১/৪৭৭, আশ শিফা’ ১/৬২, মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ২/১২৯ ইত্যাদি)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ سَـمُرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ وَاَمَّا اَنَا فَمَسَحَ خَدَّىَّ قَالَ فَوَجَدْتُّ لِيَدِهٖ بَرْدًا اَوْ رِيـْحًا كَاَنَّـمَا اَخْرَجَهَا مِنْ جُؤْنَةِ عَطَّارٍ.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতিনি আমার উভয় গাল মুবারক-এ উনার সম্মানিত পবিত্র হাত মুবারক সঞ্চালন করেন। আমি উনার সম্মানিত পবিত্র হাত মুবারক থেকে এমন শীতলতা ও সুঘ্রাণ অনুভব করি, যেনো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই মাত্র আতর বিক্রেতার কৌটা থেকে উনার সম্মানিত হাত মুবারক বের করে এনেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, আত তারিখুল কবীর, আল মু’জামুল কবীর ২/৩২৫, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী ১৩/২৩২, মছান্নাফু ইবনে ইবী শায়বা ১১/৪৯৭, ফতহুল বারী ৬/৫৭৩, আদ দীবাজ ‘আলাল মুসলিম ৫/৩২৫, মিশকাতুল মাছাবীহ, নাদ্বরাতুন নাঈম ১/১৭৩, আল খছাইছুল কুবরা ১/১২৬,আর রহীক্বুল মাখতুম ১/৪৭৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ২/৭৪ ইত্যাদি)

আরো বর্ণিত রয়েছে-

مَسَّهَا بِطِيْبٍ اَوْ لَـمْ يَـمَسَّهَا يُصَافِحُ الْمُصَافِحَ فَيَظَلُّ يَوْمَهٗ يَجِدُ رِيـْحَهَا وَيَضَعُ يَدَهٗ عَلـٰى رَأْسِ الصَّبِـىِّ فَيُعْرَفُ مِنْ بَيْنِ الصِّبْيَانِ بِرِيـْحِهَا.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত পবিত্র হাত মুবারক-এ খুশবু ব্যবহার করতেন বা না করতেন; কিন্তু যে ব্যক্তি একবার উনার সাথে মুসাফাহা করতো, সে সারা দিন নিজের হাত থেকে সুঘ্রাণ নিতে পারতো। সুবহানাল্লাহ! তার হাত থেকে মেশক আম্বরের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ বের হতো। সুবহানাল্লাহ! যদি তিনি কখনো কোনো শিশুর মাথায় স্নেহের হাত মুবারক বুলাতেন, তাহলে ঐ শিশুকে অন্যান্য শিশুদের মধ্যে ঐ সুগন্ধির কারণে চেনা যেতো।” সুবহানাল্লাহ! (শিফা’ শরীফ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عِنْدَنَا فَعَرِقَ وَجَاءَتْ اُمِّىْ بِقَارُوْرَةٍ فَجَعَلَتْ تَسْلُتُ الْعَرَقَ فِيْهَا فَاسْتَيْقَظَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا اُمَّ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا مَا هٰذَا الَّذِىْ تَصْنَعِيْنَ قَالَتْ هٰذَا عَرَقُكَ نَـجْعَلُهٗ فِىْ طِيْبِنَا وَهُوَ مِنْ اَطْيَبِ الطِّيْبِ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমদের নিকট (আমাদের বাড়ীতে) তাশরীফ নিলেন, ক্বায়লুলা মুবারক করলেন তথা দ্বিপ্রহরের সময় সামান্য ঘুমিয়ে বিশ্রাম মুবারক নিলেন। এমতাবস্থায় উনার সম্মানিত পবিত্র জিসিম মুবারক থেকে সম্মানিত নূরুত ত্বীব মুবারক (ঘাম মুবারক) নির্গত হচ্ছিলেন। আমার সম্মানিতা আম্মাজান একখানা শিশি নিয়ে আসলেন এবং উক্ত শিশিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নূরুত ত্বীব মুবারক জমা করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা আপনি এটা কী করছেন? তিনি (আমার মা) বললেন, ‘এটা আপনার সম্মানিত নূরুত ত্বিব মুবারক আমরা আমাদের ব্যবহরিত সুগন্ধির সাথে এটা জমা করে রাখছি। আর তা হচ্ছে সর্বোত্তম সুগন্ধি মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৩/১৩৬, শরহুস সুন্নাহ ১৩/২৩৩, শু‘য়াবুল ঈমান ৩/২৩, ফতহুল বারী ১১/৭২, জামি‘উল উছুল ১১/৮৮১৭, মুসনাদুছ ছাহাবা ২০/১৫৯, মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নাঈম ৬/৩৫০৫, আল আনওয়ার ফী শামাইলিন নবিয়্যিল মুখতার ১/৯৬,দালাইলুন নুবুওওয়াহ ১/৫৯, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৬/২৯, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ২/১২৯ ইত্যাদি)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ لَـمْ يَكُنِ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـمُرُّ فِي طَرِيْقٍ فَيَتْبَعُهٗ اَحَدٌ اِلَّا عَرَفَ اَنَّهٗ سَلَكَهٗ مِنْ طِيْبِهٖ.

 অর্থঃ “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে রাস্তায় গমন করতেন সে রাস্তা উনার সুগন্ধে সুরভিত হয়ে যেতেন, উনার পিছনে গমনকারী ব্যক্তি সহজে অনুভব করতে পরতো যে, এ রাস্তা দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গমন করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারিখুল কবীর ১/৩৯৯, ‘আলামুন নুবুওওয়াহ ১/১৬৩)

‘শিফা’ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-

وَذَكَرَ اِسْحٰقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ اَنَّ تِلْكَ كَانَتْ رَائِحَتُهٗ بِلَا طِيْبٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

অর্থ: “হযরত ইসহক ইবনে রাহ্ওয়াই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে নির্গত সম্মানিত খুশবু মুবারক কোন সুগন্ধি ব্যবহার করার কারণে সুরভীত হতো না, বরং উনার সম্মানিত জিসিম মুবারকই সুগন্ধময় ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَرْدَفَنِـىَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَهٗ فَالْتَقَمْتُ خَاتَـمَ النُّبُوَّةِ بِفَمِىْ فَكَانَ يَنِمُّ عَلَـىَّ مِسْكًا.

অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বাহন মুবারক উনার পিছনে আমাকে উঠিয়ে নিলেন। তখন আমি সম্মানিত মোহরে নুবুওওয়াত মুবারক উনাকে বুছা দেই। সুবহানাল্লাহ! আমি তখন সম্মানিত মোহরে নুবুওওয়াত মুবারক থেকে মেশক আম্বরের (থেকে অধিক) সুগন্ধি মুবারক অনুভব করি। সুবহানাল্লাহ!

‘শিফা’ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-

اَنَّه كَانَ اِذَا اَرَادَ اَنْ يَّتَغَوَّطَ انْشَقَّتِ الْاَرْضُ فَابْتَلَعَتْ غَائِطَه وَبَوْلَه وَفَاحَتْ لِذٰلِكَ رَائِحَةٌ طَيِّبَةٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত ও পবিত্র নূরুল গইব অথবা নূরুশ শিফা যমীনে রাখার ইচ্ছা মুবারক করতেন তখন মাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে যেতো, তিনি সম্মানিত নূরুল গাইব মুবারক (বড় ইস্তিনজা মুবারক) বা সম্মানিত নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তিন্জা মুবারক) করলে মাটি তা নিজের ভিতর লুকিয়ে নিতো এবং সে স্থান থেকে শুধু সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তো। সুবহানাল্লাহ! (শিফা’ শরীফ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيـْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عِلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأْتِـىَ الْخَلاَءَ فَلاَ يُرٰى مِنْكَ شَيْءٌ مِّنَ الْاَذٰى فَقَالَ اَوَمَا عَلِمْتِ يَا اُمَّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةَ حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةَ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ الْاَرْضَ تَبْتَلِعُ مَا يَخْرُجُ مِنَ الْاَنْبِيَاءِ فَلَا يُرٰى مِنْهُ شَيْءٌ.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীকাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সম্মানিত নূরুল গইব মুবারক বা সম্মানিত নূরুশ শিফা মুবারক শেষে সেখান থেকে বের হন কিন্তু আমরা সেখানে প্রবেশ করে কোনোরূপ আলামত দেখতে পাই না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম! আপনার কি জানা নাই যে, হযরত আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের (সম্মানিত পেট মুবারক) থেকে যা কিছু বের হন, যমীন তা শোষণ করে নেয়। ফলে যা কিছু বের হন, উনার কোন কিছু দেখা যায় না।” সুবহানাল্লাহ! (তবাকাতুলা কবরা ১/১৪৪, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৮/২১)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে যা কিছু নির্গত হয়েছেন সবকিছু পবিত্র থেকে পবিত্রতম ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে এমন কোন কিছুই বের হতেন না, যা সুঘ্রাণময় নয়। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَلِـىُّ بْنُ اَبِىْ طَالِبٍ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَامُ غَسَّلْتُ رَسُوْلَ اللهِ فَذَهَبْتُ اَنْظُرُ مَا يَكُوْنُ مِنَ الْمَيِّتِ فَلَمْ اَرَ شَيْئًا وَّكَانَ طَيِّبًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيًّا وَّمَيِّتًا.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর) আমি উনাকে সম্মানিত গোসল মুবারক দিয়েছি। আমি খুব মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করে দেখেছি, কিন্তু আমি উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে এমন কোনো কিছুই বের হতে দেখিনি যা স্বাভাবিকভাবে মৃতদেহ থেকে বের হয়। (তখন আমার মুখ দিয়ে অনায়াসে উচ্চারিত হয়েছে যে,) তিনি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করা অবস্থায় পূত-পবিত্র ছিলেন, মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পরও পূত-পবিত্র রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুস্তাদরাক ১/২৬২, দালাইলুন নুবুওওয়াহ ৭/২৪৩-২৪৪, আল মুফাচ্ছল ১০/১৮০)

হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন-

وَسَطَعَتْ مِنْهُ رِيْحٌ طَيِّبَةٌ لَّـمْ نَـجِدْ مِثْلَهَا قَطُّ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসিম মুবারক থেকে যে সুঘ্রাণ মুবারক বের হতেন, আমি সে ধরনের সুরভী অন্য আর কোনো সুগন্ধির মধ্যে পাইনি।” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা ১/৬৪)

হযরত ইমাম কাযী আবুল ফযল আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

وَمِثْلُهٗ قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِيْنَ قَبَّلَ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مَوْتِهٖ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে সম্মানিত বুছা মুবারক দিয়েছিলেন, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার অনুরূপ উক্তি মুবারক করেছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

وَمِنْهُ شُرْبُ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ دَمَه يَوْمَ اُحُدٍ وَّمَصُّه اِيَّاهُ وَتَسْوِيْغُه صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذٰلِكَ لَه وَقَوْلُه لَه لَنْ تُصِيْبَهُ النَّارُ.

অর্থ: “হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বর্ণিত আছে। উহুদের যুদ্ধে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত বর্ম মুবারক উনার মাধ্যমে আহত হবার পর হযরত মালিক বিন সিনান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার জিহ্বা মুবারক দিয়ে ঐ সম্মানিত নূরুর নাজাত মুবারক (রক্ত মুবারক) পান করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَنْ تُصِيْبَهُ النَّارُ.

‘উনাকে কখনো দোযখের আগুন স্পর্শ করবে না।’ সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরাকে হাকিম ৩/৬৩৮, মা’রিফতুছ ছাহাবা লি আবী না‘ঈম ১১/৪৬৮, দারু কুতনী ১/২২৮)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ اَيـْمَنَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ لِرَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَّارَةٌ يَّبُوْلُ فِيْهَا فَكَانَ اِذَا اَصْبَحَ يَقُوْلُ يَا اُمَّ اَيـْمَنَ عَلَيْهَا السَّلَامُ صُبِّـىْ مَا فِى الْفَخَّارَةِ فَقُمْتُ لَيْلَةً وَّاَنَا عَطْشٰى فَشَرِبْتُ مَا فِيْهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا اُمَّ اَيـْمَنَ عَلَيْهَا السَّلَامُ صُبِّـىْ مَا فِى الْفَخَّارَةِ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُمْتُ وَاَنَا عَطْشٰى فَشَرِبْتُ مَا فِيْهَا فَقَالَ اِنَّكِ لَنْ تَشْتَكِىْ بَطْنَكِ بَعْدَ يَوْمِكِ هٰذَا اَبَدًا.

অর্থ: “সায়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আয়মন আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাটির পাত্র মুবারক ছিলো, সে পাত্র মুবারক-এ তিনি (রাতের বেলায়) সম্মানিত নূরুশ শিফা মুবারক রাখতেন। যখন সকাল হতো, তখন তিনি বলতেন হযরত উম্মু আইমান আলাইহাস সালাম! মাটির পাত্র মুবারক-এ যা রয়েছে, তা আপনি ফেলে দিন। একরাতে আমি পিপাসার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে উঠি, ফলে মাটির পাত্রে যা ছিলো (নূরুশ শিফা’ মুবারক), আমি তা পান করে ফেলি। সুবহানাল্লাহ! তারপর (সকালে) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে হযরত উম্মু আইমান আলাইহাস সালাম! মাটির পাত্র মুবারক-এ যা রয়েছে, তা আপনি ফেলে দিন। হযরত উম্মু আইমান আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি পিপাসার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলাম, তাই মাটির পাত্র মুবারক-এ যা ছিলো (নূরুশ শিফা’ মুবারক), আমি তা পান করে ফেলেছি। সুবহানাল্লাহ! তখন তিনি বললেন-

اِنَّكِ لَنْ تَشْتَكِىْ بَطْنَكِ بَعْدَ يَوْمِكِ هٰذَا اَبَدًا

নিশ্চয়ই আপনি আজকের পর থেকে চিরকালের জন্য আর কখনও পেটের পীড়ায় ভুগবেন না।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রযেছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمَيْمَةَ بِنْتِ رُقَيْقَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا قَالَتْ كَانَ لِلنَّبِـىِّ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلم قَدَحٌ مِّنْ عِيْدَانٍ فَيَبُوْلُ فِيْهِ يَضَعُه تَـحْتَ السَّرِيرِ فَجَاءَتِ امْرَاَةُۣ اسْـمُهَا بَرَكَةُ فَشَرِبَتْهُ فَطَلَبَه فَلَمْ يَـجِدْهُ فَقِيْلَ شَرِبَتْهُ بَرَكَةُ. فَقَالَ لَقَدِ احْتَظَرَتْ مِنَ النَّارِ بِـحِظَارٍ.

অর্থ: “হযরত উমাইমাহ বিনতে রুক্বাইক্বাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি কাঠের পাত্র মুবারক ছিলো, যাতে (রাতের বেলায়) তিনি সম্মানিত নূরুশ শিফা মুবারক করে চকি মুবারক উনার নিচে রেখে দিতেন। সুবহানাল্লাহ! (এক রাতে তিনি ঐ পাত্র মুবারক-এ সম্মানিত নূরুশ শিফা মুবারক করে পাত্র মুবারক যথা স্থানে রেখে দেন।) সাইয়্যিদাতুনা হযরত বারাকাহ আলাইহাস সালাম তিনি এসে তা পান করে ফেলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বারাকাত আলাইহাস সালাম উনাকে তলব করেন। কিন্তু উনাকে পেলেন না। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক বলা হলো, সাইয়্যিদাতুনা হযরত বারাকাত আলাইহাস সালাম তিনি পান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَقَدِ احْتَظَرَتْ مِنَ النَّارِ بِـحِظَارٍ

নি:সন্দেহে (সাইয়্যিদাতুনা হযরত বারাকাহ আলাইহাস সালাম) তিনি অবশ্যই একটি বিশাল রক্ষাকবচ দিয়ে নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদয়াহ ওয়ান নিহায়াহ)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বৈশিষ্ট্য মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে একখানা বিশেষ বৈশিষ্ট্য মুবারক ছিলেন এই যে-

قَدْ وُلِدَ مَـخْتُوْنًا مَقْطُوْعَ السُّرَّةِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন খতনাকৃত, নাভী মুবারক কাটা পাক-সাফ অবস্থায়।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৭, সীরতে ইবনে কাসীর ১/২০৯, আশ শিফা’ ১/৬৫)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ اُمِّهٖ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اٰمِنَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّهَا قَالَتْ وَلَدْتُّه نَظِيْفًا مَّا بِه قَذَرٌ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাক-সাফ অবস্থায় মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, উনার সাথে কোন প্রকার অপবিত্রতা ছিলো না।” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা’ ১/৫৫)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا اَنَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَامَ حَتّٰى سُـمِعَ لَه غَطِيْطٌ فَقَامَ فَصَلّٰى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ.

অর্থঃ “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণত। একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত শয়ন মুবারক করে ঘুমান, এমনকি উনার সম্মানিত নাক মুবারক উনার সম্মানিত আওয়াজ মুবারক শুনা যায়। কিন্তু তিনি সম্মানিত ঘুম মুবারক থেকে জেগে সম্মানিত নামায মুবারক আদায় করেন। সম্মানিত ওযূ মুবারক করেননি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৫/১১৭, সুনানুল কুবরা ১/১২২, মুসনাদে ইবনে হুমাইদ ২/২৩৪, আশ শিফা ১/৫৫)

কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ঘুম মুবারক অবস্থায়ও ওযূ ভঙ্গ হওয়া থেকে পবিত্র ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

-আল্লামা মুহম্মদ আব্দুর রশীদ

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ