সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম,শাহরুল আকবর, সুমহান রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস ও উনার প্রাসঙ্গিক আলো`চনা

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ শুয়াইব আহমদ

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!! ঈদ মুবারক!!!

কুল-মাখলূক্বাতের যিনি নবী ও রসূল, যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, যিনি ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, যিনি রহমাতুল্লিল আলামীন, যিনি নূরে মুজাসসাম, যিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মাসই হচ্ছেন সম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

সঙ্গত কারণে সম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসটি অন্য সব মাস থেকে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। যার কারনে উক্ত সম্মানিত মাস উনাকে সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম, শাহরুল আকবর হিসেবে অভিহিত করা হয়। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উক্ত সম্মানিত মাস উনার সম্মানিত ১২ তারিখকে ১২ই শরীফ এবং সম্মানিত ইয়াওমুল ইছনাইন  (সোমবার) দিনকে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!

কুল মাখলূক্বাতের যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি উনার শিআর বা নিদর্শনসমূহকে তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান করার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পূত-পবিত্র ও সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে নিসবতযুক্ত বিষয়সমূহ হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে বা পৃথিবীতে আগমন মুবারক উনার সম্মানিত দিন, সম্মানিত তারিখ ও সম্মানিত মাস সবচেয়ে সম্মানিত ও শ্রেষ্ঠ নিদর্শন মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

ফলে, উম্মত তথা কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন উক্ত সম্মানিত দিন, সম্মানিত তারিখ ও সম্মানিত মাস উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা, সম্মান প্রদর্শন করা। আর এ লক্ষ্যেই যামানার সুমহান ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুর্শিদে আকবর, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, কুতুবুল আলম, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইউয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আখাচ্ছুল খাছ আহলি বাইত ও আওলাদে রসূল, নূরে মুকাররম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, পবিত্র ঈদে মীলাদে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান সম্মানার্থে জারী করেছেন অনন্তকালব্যাপী সুমহান মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওজূদ পাক, সম্মানিত যাত পাক ও সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি হওয়া, খুশি প্রকাশ করা সম্পর্কে বিশ্বসমাদৃত ‘আননি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত, মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমার খিদমতে মহান আল্লাহ পাক তিনি জান্নাতবাসিণী সম্মানিতা মহিলা উনাদেরকে প্রেরণ করেন। আমি দেখতে লাগলাম, দীর্ঘ বাহুবিশিষ্ট জনেরা আমার নিকট দলে দলে আসছেন। আমি আমার গৃহের দিকে তাকালাম এবং তখন আমি শুনতে পেলাম নানান ভাষায় বৈচিত্রপূর্ণ দুর্বোধ্য কথা। আমি সে সময় লক্ষ্য করলাম, দলে দলে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার ডানে-বামে উড়ছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে আদেশ মুবারক করলেন, হে হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম! রূহসমূহকে ‘শারাবান তহূরা’ পাত্রের নিকট শ্রেণীবদ্ধ করুন এবং বিছিয়ে দিন নৈকট্য ও মিলনের জায়নামায সেই মহানতম রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য, যিনি অধিকারী সম্মানিত নূর মুবারক উনার ও উচ্চ মর্যাদার এবং মহা মিলনের। হে হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম! দোযখের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশ্তা হযরত মালিক আলাইহিস সালাম উনাকে আদেশ করুন তিনি যেনো দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করেন। জান্নাতের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশ্তা হযরত রিদ্বওয়ান আলাইহিস সালাম উনাকে বলুন, তিনি যেনো জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করেন। হে হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম! হযরত রিদ্বওয়ান আলাইহিস সালাম উনার অনুরূপ পোশাক পরিধান করুন এবং যমীনের বুকে গমন করুন সুসজ্জিত হয়ে কাছের ও দূরের সকল ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সহকারে। অতঃপর আসমান-যমীনের চারপাশে ঘোষণা দিন, সময় ঘনিয়ে এসেছে, মুহিব ও মাহবূব উনাদের মিলনের, ত্বালিব ও মাত্বলূব উনাদের সাক্ষাতের। সুবহানাল্লাহ!

হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, চন্দ্র আমার মাথা মুবারক উনার উপর চলে আসলো, তাঁবু মাথার উপর থাকার মতো। আর তারকারাজি আমার মাথার উপর সদৃশ্য মোমবাতির ন্যায়। সে অবস্থায় আমার নিকট ছিলো দুধের ন্যায় শুভ্র সুগন্ধিময় পানীয়, যা ছিলো মধুর চেয়ে মিষ্টি এবং বরফের চেয়ে বেশি ঠা-া। তখন আমার খুব পিপাসা লাগছিল। আমি তা গ্রহণ করলাম ও পান করলাম। এর চেয়ে অধিক কোন সুপেয় পানীয় আগে কখনো পান করিনি। অতঃপর আমা হতে প্রকাশিত হলেন এক মহিমান্বিত নূর যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

উক্ত বর্ণনা মুবারক থেকে প্রতিভাত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই খুশি মুবারক প্রকাশ করেন এবং উনার মুবারক হুকুম বা নির্দেশে খুশি মুবারক প্রকাশ করেন হযরত ফেরেশ্তাকুল আলাইহিমুস সালাম, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন জান্নাতের অধিবাসীগণ, এমনকি খুশি মুবারক প্রকাশ করে বনের পশু-পাখিরাও। খুশি মুবারক প্রকাশ করে উনারা ছানা-ছিফত মুবারক করেছিলেন এবং পেশ করেছিলেন ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ ও পাঠ করেছিলেন তাসবীহ তাহলীল। সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপ খুশি মুবারক প্রকাশ করার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আশরাফুল মাখলুক্বাত মানুষদের প্রতিও নির্দেশ মুবারক দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ. قُلْ بِفَضْلِ اللّـهِ وَبِرَحْمَتِه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ

অর্থ: হে মানুষেরা! তোমাদের যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল (সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল, নিয়ামত) হিসেবে ও উনার সম্মানিত রহমত স্বরূপ তাদের নিকট আপনি এসেছেন, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশের সুমহান ইবাদত তাদের সমস্ত ইবাদত বা নেক আমল থেকে শ্রেষ্ঠ বা উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে খুশি মুবারক প্রকাশ করার এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করার সর্বোত্তম তরতীব হচ্ছে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল বা মজলিস। সুবহানাল্লাহ! এখানে শুরুতেই পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্য থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক সংক্রান্ত কতক পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করা হয়; যার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াতের মাহফিল বা মজলিসের লোকদের উপর সাকীনা বর্ষিত হয়, তাদেরকে রহমত আচ্ছাদিত করে নেয় এবং তাদেরকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা রহমতী চাদর দ্বারা ঘিরে রাখেন এবং স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিকটবর্তী বা নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে তাদের ছানা-ছিফত মুবারক করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া তিলাওয়াতকৃত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রতিটি অক্ষরের বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি করে নেকী প্রদান করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

এরপর পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করা হয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

ان الله وملئكته يصلون على النبى يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে মু’মিনগণ! উনার মুবারক শানে আপনারাও ছলাত শরীফ পেশ করুন এবং যথাযথ সম্মানে অর্থাৎ মুহব্বতের সাথে দাঁড়িয়ে সালাম শরীফ পেশ করুন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব নাসায়ী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার প্রতি যে ব্যক্তি একবার ছলাত শরীফ পেশ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক ফযীলত বর্ণিত  রয়েছে।

এরপর পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করা হয়। পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত সীরাতগ্রন্থ সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদি মুস্তফা, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি আরো অনেক কিতাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে, সুমহান তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠকারী ও শ্রবণকারীদের জন্য স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব বলে ঘোষণা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজাসমূহ খুলে দেন এবং তাদের জন্য সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ক্ষমা প্রাথনা করেন। সুবহানাল্লাহ!

এরপর মুহব্বতের সাথে দাঁড়িয়ে সালাম শরীফ পেশ করা হয়। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব নাসায়ী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে উম্মত একবার সালাম শরীফ পেশ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশবার সালাম মুবারক পেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

এরপর সবশেষে ছওয়াব রেসানী করে দুআ- মুনাজাত করা হয় এবং তবারুক বিতরণ করা হয়। সুবহানাল্লাহ! তবারুকের ইন্তিজাম মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাদিয়া পেশ করার শামিল। সুবহানাল্লাহ!

মাহে যিলহজ্জ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে মুহররমুল হারাম ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে রবীউছ ছানী ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে জুমাদাল উখরা ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা