সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল তথা পবিত্র নবী পরিবার আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণেই উনারা বে-মিছাল তথা সীমাহীন শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা ও মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! এ হেতুই উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ কী পরিমাণে আঞ্জাম দেয়া উচিত এবং উনাদের মুরীদ হওয়ায় কী পরিমাণে আদব রাখা উচিত, সে প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল তথা পবিত্র নবী পরিবার আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণেই উনারা বে-মিছাল তথা সীমাহীন শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা ও মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! এ হেতুই উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ কী পরিমাণে আঞ্জাম দেয়া উচিত এবং উনাদের মুরীদ হওয়ায় কী পরিমাণে আদব রাখা উচিত, সে প্রসঙ্গে


বর্তমান বিশ্বে তথা কায়িনাতের মাঝে আন্ নি’মাতুল কুবরা আলাল আ’লাম তথা সবচেয়ে বড় নিয়ামত মুবারক হিসেবে যমীনের মাঝে অবস্থান করছেন পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা পবিত্রতম নবী পরিবার আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি যিনি সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, মুহিউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, রাহবারে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, হাবীবে আ’যম, খলীফায়ে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরিয়ত ওয়াত তরীক্বত, মুজাদ্দিদুদ দ্বীন ওয়াল মিল্লাত, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বাবিউল আউওয়াল, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, কুদরতে ইলাহী, মু’জিযায়ে রসূল, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আ’লাম, ক্বায়িম মাক্বামে রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুকাররম, জামিউন নি’মাত, জামিউন নিসবত, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আস্সাফ্ফাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পুতপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই। সুবহানাল্লাহ! উনারা এমন এক মহান অজুদ পাক যে, উনাদের পবিত্রতম শিরা-উপশিরা মুবারক ও ধমনী মুবারক-এ মিশে একাকার হয়ে আছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুতপবিত্রতম খুশবু মুবারক ও পবিত্রতম নূর মুবারক তথা পবিত্রতম নূরুন নাজাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

কেননা, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম মহান পূর্ব পুরুষগণ হলেন খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি সুদূর পবিত্র আরব বেলাভূমি থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক নির্দেশক্রমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারিতে আরেক খাছ আওলাদে রসূল, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ খাজা মুয়ীনুদ্দীন চিশতী আলাইহিস সালাম উনার সফর সঙ্গী হয়ে তাশরীফে ধন্য করেন পাক ভারতের আজমীর শরীফ উনাকে। সেখান থেকে চট্টগ্রামে অতঃপর ঢাকা সোনার গাঁ-এ, যা ঐতিহাসিক বাড়ী মজলিস নামে খ্যাত। এখানে উনার পূর্ব পুরুষ আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি মুবারক রয়েছেন। অতঃপর সেখান থেকে ঢাকা আড়াই হাজার প্রভাকরদী শরীফ-এ। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে উনারা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এ তাশরীফ নিয়ে ধন্য করেন বাংলার প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকাকে। সুবহানাল্লাহ!

উনার উর্ধ্বতম প্রাণ পুরুষ আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সমুদ্র পথে যে মুবারক পাথরের উপর আরোহণ করে এসেছেন যাতে উনার পা মুবারক উনার ছাপ মুবারক এখনো বিদ্যমান, যা স্মৃতিসৌধ হিসেবে এখনো সংরক্ষিত ও সঞ্চিত প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনার গাঁ ঐতিহাসিক যাদুঘরে। সুবহানাল্লাহ! তাই যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদে মুযাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম- ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার পুতপবিত্রতম নূরানী আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরম পরশে আজ কায়িনাতের বুকে হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী আদর্শ মুবারক বাস্তাবায়িত হচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! মু’মিনগণ উনাদের মৌলিক সম্পদ তথা পবিত্রতম দ্বীন ইসলাম উনার হাক্বীক্বী রূপ-রেখা অন্তরে এবং জীবনে বাস্তবায়িত করার সুযোগ পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই উনাদের খিদমত, মুহব্বত, মা’রিফাত, রেজামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারকই হলো আমাদের একমাত্র পবিত্রতম ঈমানী সম্পদ। সুবহানাল্লাহ!

 আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ আঞ্জাম দেয়া কায়িনাতের সকলের জন্য ফরযে আইন


 এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُل لَّا اَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرً‌ا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْ‌بٰى

অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন বিনিময় চাই না, অর্থাৎ বিনিময় চাওয়াটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনিভাবে উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াও কখনই সম্ভব নয় এবং বিনিময় দেয়ার চিন্তা-ফিকির করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তবে উম্মতকে যেহেতু নাজাত লাভ করতে হবে, সেজন্য তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, তারা যেনো আমার পবিত্রতম একান্ত আপনজন, অর্থাৎ পবিত্র আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করে তথা উনাদের মুহব্বত মুবারক-এ ও খিদমত মুবারক-এ নিজেদের জান-মাল কুরবান করে দেয়। (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا الله لـما يغذوكم من نعمة واحبونى لـحب الله واحبوا اهل بيتى لـحبى.

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা মুহব্বত করো; কেননা তিনি খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম মুহব্বত হাছিলের জন্য। আর আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো আমার পবিত্রতম মুহব্বত মুবারক হাছিলের জন্যই। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)

অতএব, উক্ত পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গভীর থেকে গভীরতম তায়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফাত, খাছ রিযামন্দি, সন্তুষ্টিসহ সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করতে হলে উনার পবিত্রতম আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পুতপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক উনার মাধ্যমে প্রকৃত মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক, নিসবত, সাকিনা, মাগফিরাত, ইতায়াত লাভ করা সর্বপ্রথম ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য তথা প্রধানতম ফরয কাজ। সুবহানাল্লাহ! তা ছাড়া কসি¥নকালেও খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত, বরকত, সাকিনা, মাগফিরাত, তায়াল্লুক-নিসবত ও নাজাত হাছিল করা সম্ভব নয়। মূলতঃ উনাদের পবিত্রতম মুহব্বত ও খিদমত মুবারক-ই হচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই পবিত্রতম মুহব্বত ও খিদমত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

আমাদের সকলের ফিকির করা উচিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের ভাগ্যকে এমনভাবে খুলে দিয়েছেন, যা অন্য কোন জাতি বা ক্বওমের ভাগ্য বা নছীব হয়নি। সুবহানাল্লাহ! আমরা এমন এক আওলাদুর রসূল উনাকে পেয়েছি, যিনি সমস্ত কায়িনাতের মহান অভিভাবক ও পরিচালক। যিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম- উনার মুরীদ হতে পারায় কী পরিমাণ উনাদের শুকরিয়া করা উচিত, কী পরিমাণে মুহব্বত মুবারক করা এবং খিদমতের আঞ্জাম দেয়া উচিত, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। মূলতঃ যে পরিমাণে হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ পবিত্রতম জান-মাল মুবারক কুরবান করেছেন ঠিক অনুরূপভাবে জান-মাল কুরবান করা উচিত। হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বকরীর লেদ ও খেজুরের বিচি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে যতটুকু অর্থ-কড়ি পেতেন, তা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত মুবারক-এ পেশ করে উনার পবিত্রতম রিযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে رضى الله عنهم و رضوا عنه এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! ঠিক অনুরূপ রিযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে- আওলাদুর রসূল, আমাদের প্রাণের আক্বা, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ তদ্রুপ আঞ্জাম দিতে হবে। উনাদেরকে পবিত্রতম দীদার মুবারক ও ছোহবত মুবারক পাওয়ার অর্থই হচ্ছে- প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পত্রিতম দীদার মুবারক ও ছোবহত মুবারক হাছিল করা। সুবহানাল্লাহ!

 পবিত্র আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এতো পবিত্র থেকে পবিত্রতম যে, লক্ষ্য-কোটি বছরের রিয়াযত-মাশাক্কাতের চেয়েও বেশি ফযীলতপূর্ণ উনাদের- এক মুহুর্তের পবিত্রতম নিছবত মুবারক


اِنَّـمَا يُرِ‌يْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الر‌جْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهّرَ‌كُمْ تَطْهِيْرً‌ا

অর্থ : “হে পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক উনার ইরাদা মুবারক হলো যে, আপনাদেরকে সকল অপবিত্রতা থেকে হিফাযত করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করা।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্রতম করার মতো পবিত্রতম করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম রূহানী, জিসমানী এমনকি সার্বিক দিক থেকে অবিচ্ছেদ্য বন্ধন ও নিছবত মুবারকে আবদ্ধ থাকার কারণেই হযরত আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টির সূচনা লগ্ন মুবারক থেকে পুতপবিত্র থেকে পুতপবিত্রতম করেই এবং সমস্ত মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি মুবারক দিয়েই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। (সুবহানাল্লাহ) উনাদের কোনো রিয়াযত-মাশাক্কাতের প্রয়োজন হয়নি। সুবহানাল্লাহ! মূলত: সকল কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিয়াযত-মাশাক্কাত করে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, রিযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা এবং পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ আঞ্জাম দেয়া। লক্ষ-কোটি বছর রিয়াযত-মাশাক্কাত করে যে নিয়ামত হাছিল করা সম্ভব নয়, তা মূলত পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এক মুহুর্তের তরে ছোহবত মুবারক ও খিদমত মুবারক করে তার চেয়ে কোটি-কোটি গুণে বেশি নিয়ামত মুবারক হাছিল করা সহজ ও সম্ভব। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান কতো যে বেশি, তা জীন-ইনসানসহ সকল কায়িনাতের জন্য চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সুবহানাল্লাহ!

 পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান ও ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক পবিত্র আরশে আযীম উনার চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণে বেশি


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনার নূর মুবারক থেকে সত্তর হাজার ভাগের এক ভাগ নূর মুবারক তূরে সিনাই পর্বতে নাযিল হওয়ার কারণে যদি তূর পাহাড় উনার পাদদেশ এত পবিত্র থেকে পবিত্রতম হয়ে যান যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فاخلع نعليك انك بالواد الـمقدس طوى

অর্থ : (হে হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম!) আপনি পবিত্রতম পর্বত মুবারকে রয়েছেন। তাই আপনার না’লাইন শরীফ খুলে ফেলুন, অর্থাৎ পবিত্র সেন্ডেল মুবারক খুলে প্রবেশ করুন। (পবিত্র সূরা ত্বহা : আয়াত শরীফ ১২)

অথচ পবিত্র আরশে আযীম মুবারক তৈরী হয়েছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূর মুবারক উনার এক কাতরা নূর মুবারক থেকে। সুবহানাল্লাহ! এই মুবারক বিষয়টি কায়িনাতবাসীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝানোর জন্য, পবিত্র মি’রাজ শরীফ রজনীতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র আরশে আযীমে তাশরীফ মুবারক নিবেন এমতাবস্থায় পবিত্র না’লাইন শরীফ খোলার জন্য ইরাদা মুবারক করছিলেন। ঠিক ঐ পবিত্রতম মুহুর্তে মহান আল্লাহ পাক তিনি নেদা মুবারক করে বললেন-

فنودى من العلى الاعلى يا رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تخلع نعليك فان العرش يتشرف بقدومك متنعلا-

অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি আপনার পবিত্রতম না’লাইন শরীফ খুলবেন না! আপনার পবিত্রতম না’লাইন শরীফ এবং পবিত্রতম না’লাইন শরীফ উনার সাথে লেগে থাকা ধুলো-বালি মুবারকগুলো আপনার পবিত্রতম পরশ মুবারক পাওয়ার কারণে এতো পবিত্রতম মর্যাদায়-মার্যাদাবান হয়েছেন যে, তা যদি পবিত্রতম আরশে আযীম মুবারক উনাকে স্পর্শ করে তাহলে পবিত্রতম আরশে আযীম মুবারক আরো লক্ষ-কোটিগুণ মর্যাদায় মর্যাবান হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ! (আল আছারুল মারফুয়াত ফীল আখবার) এ বিষয়টি যদি এ রকমেরই হয়, তাহলে এখন চিন্তা-ফিকির করতে হবে যে, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা ইমাম মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পুতপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা- আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম তথা নবী পরিবার আলাইহিমুস সালাম উনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সৃষ্টির সূচনালগ্ন মুবারক থেকে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকালব্যাপী থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা ও ফযীলত এতো অধিক সীমাহীন যে, উনারা অবশ্যই পবিত্র আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম, কা’বা শরীফ উনাদের চেয়েও যে, লক্ষ-কোটি গুণ মর্যাদায় মর্যাদাবান, তা বলার অপেক্ষায় রাখেনা। সুবহানাল্লাহ!

 বর্তমানে কায়িনাতবাসীর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত এবং নিরাপত্তাদানকারী


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عَنْ حَضْرَةْ سَلمَةَ بْنِ الأَكْوَع رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُومُ أَمَانٌ لِأَهْلِ السَّمَاءِ، وَأَهْلُ بَيْتِى أَمَانٌ لِأُمَّتِيْ.

অর্থ : হযরত সালমা ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আকাশের তারকারাজীসমূহ আসমানবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী। আর আমার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ তথা আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার উম্মত তথা গোটা কায়িনাতবাসীর একমাত্র নিরাপত্তা দানকারী তথা নাজাত দানকারী। সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল) কাজেই পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি হচ্ছেন- আমাদের আক্বা, মাওলা, মনীব মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পুতপবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই কায়িনাতের বুকে সকল উম্মতের একমাত্র নিরাপত্তা দানকারী, নাজাত দানকারী। সুবহানাল্লাহ!

 উনারাই পবিত্র রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক হাছিলের একমাত্র ওয়াসীলা। উনাদের মুবারক ওয়াসীলা বা মধ্যস্থতা ব্যতীত কশ্মিনকালেও কোন নিয়ামত হাছিল করা সম্ভব নয়।


এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة جعفر الصادق عليه السلام انه قال نحن ال بيت رسول الله صلى الله عليه وسلم و نحن الوسيلة الى الله و لا وسيلة الى الله الا عن غير طريقنا او من سوانا

অর্থ : ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা হচ্ছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ‘বংশধর’ তথা আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আমরাই হচ্ছি- মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত, মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি ও নিয়ামত মুবারক পাওয়ার একমাত্র সর্বোত্তম ওসীলা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই আমাদের পবিত্রতম তরীক্বা অথবা আমাদের পবিত্রতম ওয়াসীলা বা পবিত্রতম মাধ্যম ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে পৌঁছার ক্ষেত্রে আর কেউই ওসীলা বা মাধ্যমই নেই। সবুহানাল্লাহ! অর্থাৎ আমাদের ওয়াসীলা বা মাধ্যম ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম কুরবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা কারো পক্ষে কশ্মিনকালেও সম্ভব হবে না। সুবহানাল্লাহ! (শরহে আক্বীদাতুত ত্বাহাবী লিল হাওয়ালী)

 আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই ইহকাল, পরকালের একমাত্র নাজাতের তরী


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة ابى ذر رضى الله تعالى عنه انه قال وهو اخذ بباب الكعبة سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول الا ان مثل اهل بيتى فيكم مثل سفينة حضرة نوح عليه السلام من ركبها نجا ومن تخلف عنها هلك.

অর্থ : জালীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, ‘হে কায়িনাতবাসী, সাবধান! আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ তথা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন- তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যে-ই উনার মধ্যে আরোহণ করবে সেই নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে উনার থেকে বিমুখ তথা উনাদের থেকে দূরে থাকবে, সে হালাক বা ধ্বংস হয়ে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)। (মুসনাদে আহমদ শরীফ)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

ان اولادى كسفينة حضرة نوح عليه السلام من دخلها نجا

অর্থ : নিশ্চয়ই আমার ‘আওলাদ আলাইহিমুস সালাম’ উনারা হচ্ছেন- হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যারাই উনার মধ্যে দাখিল হবেন তারাই নাজাত পাবেন। (তাফসীরে ইবনে কাছীর)

এ জন্য সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের সমস্ত ইমাম একমত হয়েছেন যে-

ان حب اهل البيت ايمان

অর্থ : নিশ্চয়ই পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক পবিত্র ঈমান তথা পবিত্র ঈমান উনার মূল। সুবহানাল্লাহ! (আল বুরহানু ফী তাফসীরিল কুরআন লিল বাহরানী ১/২৩, তাফসীরু নূরিছ ছাক্বালাইন লিল হুয়াইযী ২/৫০৪, আউলিয়া আল্লাহি বাইনাল মাফহূমিছ ছূফী লি-আবদির রহমান আদ দামিশক্বী, দ্বূয়িশ শামস ১/২৫১, ২৫৫)

উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক হচ্ছেন- আমাদের প্রাণের আক্বা, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক উনার ব্যাপারে নিম্নোক্ত ৪টি গুণের যে কোন একটি গুণ যাদের মধ্যে পাওয়া যাবে, কিয়ামতের দিন কেবল তারাই শাফায়াত তথা সুপারিশ লাভ করবেন


এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আসাদুল্লাহিল গালিব, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اربعة انالـهم شفيع يوم القيامة الـمكرم الذريتى والقاضى لـهم حوائجهم والساعى لهم فى امورهم عند اضطرارهم اليه والمحب لهم بقلبه ولسانه-

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমি নিজেই চার শ্রেণীর লোককে খাছভাবে সুপারিশ করবোঃ- ১. যে ব্যক্তি আমার বংশধর তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে। ২. যে ব্যক্তি আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থ-সম্পদ দ্বারা খিদমত করবে। ৩. যে ব্যক্তি হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শারিরীক শক্তি দিয়ে, শ্রম দিয়ে অর্থাৎ কাজে-কর্মে উনাদের খিদমত করবে। ৪. যে ব্যক্তি হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মনে প্রাণে, জবানে গভীরভাবে মুহব্বত করবে।” (বিহারুল আনওয়ার-৮/৪৯, যখায়িরুল উক্ববা-১৮, আল বুরহানু ফী তাফসীরিল কুরআন লিল বাহরানী- ১/২৩, তাফসীরু নূরিছ ছাক্বালাইন লিল হুয়াইযী ২/৫০৪, আউলিয়া আল্লাহি বাইনাল মাফহূমিছ ছ’ফী লি-আবাদির রহমান আদ দামিশক্বী, দ্বূয়িশ শামস ১/২৫১, ২৫৫)

হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বতকারীগণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একত্রিত হবেন


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اخذ بيد (حضرت) حسن عليه السلام و (حضرت) حسين عليه السلام فقال من احبنى واحب هذين واباهما وامهما كان معى فى درجة يوم القيامة.

অর্থ: “একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের হাত মুবারক ধরলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করবে, এ দু’জনকে মুহব্বত করবে এবং উনাদের সম্মানিত আব্বাজান ও সম্মানিত আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করবে, সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন আমার সাথে একই স্থানে অবস্থান করবে।” (মুসনদে আহমদ- ২/২৬, শহীদ ইবনে শহীদ- ৪১)

বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছে তাশরীফ আনলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন-

انى واياك وهذا النائم يعنى (حضرت) عليا عليه السلام وهما يعنى (حضرت) امام الحسن عليه السلام و(حضرت) امام الحسين عليه السلام فى مكان واحد يوم القيامة.

অর্থ: “আমি ও আপনি এবং এই ব্যক্তি যিনি মুবারক ঘুমে নিমগ্ন তথা সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম এবং উনারা তথা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা ক্বিয়ামতের দিন একই সাথে থাকবো। সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরাকে হাকীম- ৩/১৬৫)

কায়িনাতের তথা বিশ্ব সংসারের মহান অভিভাবক ও মহান পরিচালক


সাইয়্যিদুনা ইমাম প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পুতপবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে উনাদের পবিত্রতম ‘ইরাদা মুবারক’ তথা যাবতীয় কার্য মুবারক সমগ্র কায়িনাত মাঝে পরিচালনা করে থাকেন। এ দিক থেকে সাইয়্যিদুনা ইমাম, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন-

فالـمدبرات امرا

এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছাদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!

তিনি ক্বায়িম মাক্বামে রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম। তিনি পবিত্রতম সীরত মুবারক, ছূরত মুবারক, ইলম মুবারক, আমল মুবারক, আক্বীদা মুবারক এবং সার্বিক আদর্শ মুবারক অনুসরণে সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী নায়িব তথা কায়িম মাকাম ও পরিপূর্ণ মিছদাক্ব তথা হুবহু নকশা মুবারক। সমস্ত বাতিল ও তাগুতী শক্তিকে মূলোৎপাটন এবং পবিত্রতম শহীদী কারবালা উনার বদলা নিতে উনারা বদ্ধ পরিকর। তিনি এমনভাবে বাতিল শক্তিকে ধ্বংস করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এমন তাজদীদ মুবারক করে যাচ্ছেন, যা সর্বকালের-সর্বযুগের তথা ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য হবে একমাত্র দিকদর্শন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারক-এ যত পবিত্র আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছে। প্রত্যেকটিই পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ, অর্থাৎ খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং মহা সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য প্রযোজ্য।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

قال النبى صلى الله عليه وسلم نحن اهل البيت لايقاس بنا احد

অর্থ : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমরা, পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম- আমাদের সাথে সৃষ্টির মাঝে কোন তুলনাই করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! (যাখায়িরুল উকবা/১৭)

এ কারণেই প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্রতম নবী পরিবার হওয়ার জন্যই উনাদের সাথে কাউকেই তুলনা করা যাবেনা। উনারা শুধু নবী ও রসূল নন। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরেই উনাদের পবিত্রতম মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারক-এ যত পবিত্রতম আয়াত শরীফ, পবিত্রতম হাদীছ শরীফ রয়েছেন তা সবই উনাদের শান মুবারক-এ প্রযোজ্য। সুবহানাল্লাহ!

যে ব্যক্তি পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কষ্ট দিলো, সে মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেই কষ্ট দিলো, অর্থাৎ সে গযবে পতিত হলো

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال “من اذانى فى اهلى، فقد اذى الله عز و جل

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম পরিবার তথা পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দেয় বা দিবে, সে ব্যক্তি মূলত মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দেয় বা দিবে। নাউযুবিল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী ছীরাতি খাইরিল ইবাদ, আবূ নুয়াইম)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة على بن ابى طالب عليه السلام و هو اخذ بشعره حدثنى رسول الله صلى الله عليه وسلم و هو اخذ بشعره قال من اذى شعرة منى فقد اذانى و من اذانى فقد اذى الله تبارك و تعالى ملء السماوات و ملء الارض لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا-

অর্থ : হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চুল মুবারক ধরা অবস্থায় ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি স্বীয় চুল মুবারক ধরা অবস্থায় আমার কাছে ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একটি চুল মুবারক উনাকেও কষ্ট দিলো, সে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিলো। আর যে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিলো সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে আসমান ও যমীন সমপরিমাণ কষ্ট দিলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি তার থেকে কোনো তওবা এবং কোনো দান কবুল করবেন না। নাউযুবিল্লাহ! (তারীখু দিমাশক্ব লি ইবনি আসাকির, ইবনুল মুফাদ্দাল ফী মুসালসালাতিহ, জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ আও আল জামিউল কাবীর, কানযুল উম্মাল)

 যারা পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর যুলুম করবে, তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম ওয়াজিব


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

حرمت الجنة على من ظلم اهل بيتى

অর্থ : আমার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ উনাদের উপর যারা যুলুম করবে বা অবিচার করবে, তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত চিরতরে হারাম হয়ে যাবে, তথা তাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব। নাউযুবিল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা থেকে স্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র চুল মুবারক উনাকে কষ্ট দিলে যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দেয়া হয় এবং তার কোনো তওবা ও দোয়া কবুল না হয়; তাহলে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কলিজা মুবারক উনার টুকরা মুবারক, উনাদেরকে কষ্ট দিলে তার উপর আযাব অবধারিত হয়ে যাবে।

এ মর্মে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عن حضرة ابى سعيد رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اشتد غضب الله على من اذانى فى عترتى

অর্থ: হযরত আবূ সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমার আহলু বাইত তথা আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে যে ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিবে মহান আল্লাহ পাক উনার ক্রোধ তার উপর কঠোর হবে, অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তার উপর কঠিন গযব নাযিল হবে। নাউযুবিল্লাহ! (দায়লামী শরীফ, আসসওয়ায়ি’কুল মুহাররিক্বাহ, জামিউ’ল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’ আল জামিউল কাবীর লিসসুয়ূতী, কানযুল উম্মাল, আল জামিউস ছগীর।)

হযরত আহলু বাইত শরীফ এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সবকিছুর চেয়ে সর্বাধিক মুহব্বত না করলে ঈমানদার হওয়া যায় না

হযরত আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা হযরত আবূ লাইলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لا يؤمن عبد حتى اكون احب اليه من نفسه ويكون عترتى احب اليه من عترته ويكون اهلى احب اليه من اهله ويكون ذاتى احب اليه من ذاته.

অর্থ: কোনো বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার নিজের জান থেকে আমাকে বেশি মুহব্বত করতে না পারবে এবং আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম তথা সম্মানিত বংশধরগণ উনাদেরকে তার নিজের বংশধর থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর আমার সম্মানিত আত্মীয়-স্বজন উনাদেরকে তার আত্মীয়-স্বজন থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আমার সম্মানিত জাত মুবারক উনাকে তার নিজের জাত থেকে বেশি মুহব্বত না করবে।” (আশশরফুল মুয়াব্বিদ- ৮৫, মু’জামুল আওসাত লিত তাবারান)

হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اجعلوا اهل بيتى منكم مكان الرأس من الجسد ومكان العينين من الرأس ولايهتدى الرأس الا بالعينين.

অর্থ: তোমরা আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সেরূপ গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত মনে করবে যেমন তোমাদের শরীরের মধ্যে মাথাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করো। আর মাথার মধ্যে দুটি চোখকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী মনে করো তেমনি আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী মনে করবে। কেননা দুটি চোখ ব্যতীত মাথা সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না।” (মুসতাদরাকে হাকিম, আশশরফুল মুয়াব্বিদ-২৮)

অর্থাৎ মাথা ব্যতীত যেমন (মানুষকে) চেনা যায় না, তেমনি আহলু বাইত ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবত মুবারক ব্যতীত কাউকে মু’মিন-মুসলমানরূপে সনাক্ত করা যায় না। একইভাবে অন্ধ ব্যক্তির যেমন বিপদ ও হালাকী বা ক্ষতিগ্রস্ততা অবশ্যম্ভাবী, তেমনি হযরত আহলু বাইত এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবতহীন ব্যক্তির হালাকী বা ক্ষতিগ্রস্ততা অবশ্যম্ভাবী।

যখায়িরুল উক্ববা’ নামক কিতাবের ১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انا واهل بيتى شجرة فى الجنة واغصانها فى الدنيا فمن تمسك بنا اتخذ الى ربه سبيلا.

অর্থ: আমি এবং আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে অবস্থিত একটি গাছ মুবারক। আর ওই গাছের শাখা-প্রশাখা দুনিয়াতে রয়েছে। যাঁরা আমাদের সাথে তায়াল্লুক-নিসবত, (সম্পর্ক) মুহব্বত রাখলেন, উনারা উনাদের মহান রব আল্লাহ পাক উনার নিকট পৌঁছার পথ সুগম করলেন। সুবহানাল্লাহ!

‘তাযকিরাতুল হুফ্ফায’ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

من صنع الى احد من اهل بيتى يدا كافاته عنه يوم القيامة.

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারো খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিবেন আমি নিজে উনার পক্ষ থেকে উনার প্রতিদান দিবো।” সুবহানাল্লাহ! (যখায়িরুল উক্ববা-১৯)

কায়িনাতবাসীকে সমস্ত নিয়ামতে সম্পৃক্তকরণে অনবদ্য তাজদীদ মুবারক


 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছেন-

عَنْ حضرة أَبِى هُرَيْرَةَ رضى الله تعالى عنه قال فِيمَا أَعْلَمُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الله عز وجل يَبْعَثُ لِهذِهِ الأُمَّةِ عَلى رَأْسِ كُلّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدّدُ لَهَا دِينَهَا

অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে যেভাবে আমি অবগত হই, তা হলো- তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন করে মহান মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন, যিনি সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে তাজদীদ করবেন, অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশকৃত সকল বাতিল, বিদআত, বেশরা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের মূলোৎপাটন করে নববী নকশায় পবিত্র দ্বীন-ইসলাম উনাকে সারা কায়িনাতে আবাদ করবেন। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)

এ সুমহান পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে পঞ্চদশ হিজরী শতকের জন্য সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যমীনে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন- আন নি’মাতুল কুবরা, আওলাদুর রসূল, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, ছহিবু সুলত্বানিন নাছীর, ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম (রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা) তিনিই। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কায়িনাতবাসীর বুকে সমস্ত মাখলূক্বাতের জন্য যতো নিয়ামতরাজী মুবারক বরাদ্দ করে রেখেছেন, সাইয়্যিদু মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সে সব নিয়ামত মুবারক সমূহের পরিপূর্ণ হিছ্ছা মুবারক দ্বারা আমাদেরকে সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত করে ধন্য করেছন। সুবহানাল্লাহ! এক-ই সঙ্গে উনারা উনাদের অনবদ্য অখন্ডনীয় তাজদীদ মুবারকসমূহ ক্বিয়ামত অবধি কায়িনাতবাসীর জন্য হাদিয়া মুবারক করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! এ পবিত্রতম তাজদীদ মুবারকসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ তাজদীদ মুবারক হচ্ছে :-

*অনন্তকালব্যাপী পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সকল কায়িনাতবাসীর জন্য হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

*পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এবং হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্রতম বিশেষ বিশেষ দিন এবং রাত্রি মুবারক পালনের মাধ্যমে উনাদের সাথে বিশেষ নিছবত-তায়াল্লুক দানে ধন্য করছেন। সুবহানাল্লাহ!

*পবিত্রতম মীলাদ শরীফ- ক্বিয়াম শরীফ সকল কায়িনাতবাসীর জন্য জারি করে রহমত, বরকত, সাকীনাহ, মাগফিরাতে পরিপূর্ণ করে তুলছেন। সুবহানাল্লাহ!

অপরপক্ষে, ঈমান-আক্বীদাহ বিধ্বংসী হারাম ও কুফরী বিষয়গুলো, যথা:- গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র, ডিস এন্টিনা, টিভি, সিনেমা, ছায়াছবি, লংমার্চ, হরতাল, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, মৌলবাদ, মাওবাদ, লেলিনবাদ, কুশপুত্তলিকা দাহ, ছবি, বেপর্দা ইত্যাদি হারাম কাজসহ কাফির-মুশরিকদের যতো প্রকাশ্য ও গোপন ষড়যন্ত্র রয়েছে, সেসব মূলোৎপাটিত করছেন এবং পবিত্রতম মক্ববূল মুনাজাত শরীফ উনার মাধ্যমে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করণের অনবদ্য তাজদীদ মুবারক উনার ব্যাপক আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এবং উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সবচেয়ে বড় রহম, করম, ফযল হিসেবে পাওয়ার কারণে সবচেয়ে বড় শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা সকলের জন্য ফরযে আইন

আমাদের মনে রাখা উচিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম তায়াল্লুক ও নিছবত মুবারক-এ একাকার করে দেয়ার জন্য আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সকল কায়িনাতবাসীর জন্য হাদিয়া মুবারক করেছেন। যা ইতিপূর্বে কোন মুজাদ্দিদ ও আওলিয়া-ই কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা করেননি। এই পবিত্রতম বিষয় মুবারক অত্যন্ত কঠিন বিধায় খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম খিদমত মুবারক-এ সুমহান এ কাজগুলোর, বিশেষ করে পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী জারী করার লক্ষ্যে আরজি পেশ করাও পূর্ববর্তী কোনো মুজাদ্দিদ ওলী আল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পক্ষে সহজ ও সম্ভব হয়নি। শুধু আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পক্ষেই সহজ ও সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাদের কায়িনাতবাসীর জন্য অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ   হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচেয়ে বড় রহম, করম, ফযল হিসেবে পাওয়ার পর যেভাবে সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা সকল কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন উনার অন্তর্ভুক্ত। ঠিক একইভাবে উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমস সালাম তথা আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সবচেয়ে বড় রহম, করম, ফযল ও নিয়ামত হিসেবে পাওয়ার পর কায়িনাতবাসীকে সে জন্য সব চেয়ে বড় ঈদ তথা সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে ফরযে আইন হিসেবে পালন করতে হবে। যেমন- এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون.

অর্র্থাৎ আয় আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমগ্র কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সে জন্য তারা যেনো যথার্থভাবে ছানা-ছিফত মুবারক করে, তা’যীম-তাকরীমের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, জান-মাল কুরবান করে সর্ব শ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশী প্রকাশ করে তথা পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। আর এই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশী প্রকাশ করাই হবে সবকিছু থেকে সর্বত্তোম, যা কিছু তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে থাকে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: আয়াত শরীফ ৫৮)

অতএব, ক্বায়িম মাক্বামে রহমাতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম, জান্নাতী নূরী ফুল হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম আলাইহিমাস সালাম, নূরে মুকাররম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং জান্নাতী নূরী ফুল আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা সাইয়্যিদাতুল উমাম ছালিছা আলাইহাস সালাম, অনুরূপভাবে ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা আওলাদুর রসূল, হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ও ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, অনুরূপভাবে ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম এবং বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাদেরকে- সবচেয়ে বড় নিয়ামত, তথা সবচেয়ে বড় করম, ফযল ও রহমত হিসেবে পাওয়ার কারণে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা কায়িনাতের সকলের জন্য ফরযে আইন উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

মূলতঃ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার পুতপবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ তাওয়াজ্জুহ, ফায়িয, মুহব্বত, মা’রিফাত, গভীর তায়াল্লুক ও নিসবত মুবারক লাভের মাধ্যমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ তাওয়াজ্জুহ-ফায়িয, খাছ মুহব্বত, মা’রিফাত, গভীর তায়াল্লুক-নিসবত লাভ করতে হবে। এ ছাড়া কস্মিনকালেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহু হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাদের নিয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব হবেনা।

আমরা যেনো প্রতিটি মুহুর্তে প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি আওলাদুর রসূল, কায়িনাতবাসীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত, জামিউল আলক্বাব, সাইয়্যিদুনা ইমাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম ‘ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার’ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী অনুসরণ, অনুকরণের মাধ্যমে এবং উনাদের সঙ্গে তায়াল্লুক-নিছবত স্থাপন করে উনাদের মুহব্বত মুবারক-এ জান-মাল কুরবানী করে উনাদের হাক্বীক্বী গোলামীতে আবাদুল আবাদের তরে নিজেদেরকে বিলীন করতে পারি, সেই তাওফীক্ব ভিক্ষা চাই। আমীন!


-আল্লামা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম