সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ”যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা“য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

 

وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ

অর্থ: “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœাক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই মহাসম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

(১)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বামটা কঠিন একটা বিষয়। এই মাক্বামটা তো মানুষ হাছিল করতে পারেনি। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা আমাকে দেখানো হয়েছে এবং হাদিয়া করা হয়েছে অর্থাৎ দান করা হয়েছে এবং এই আসনের উপর উপবেশন করা হয়েছে অর্থাৎ বসানো হয়েছে অর্থাৎ দেয়া হয়েছে। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এটা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মধ্যে মাক্বামটা। আসন মুবারকগুলো কাছাকাছি। আমি আদবের জন্য (বিনয় মুবারক প্রকাশার্থে) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নুইয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কাছাকাছি সমান। মানুষতো এগুলো বুঝবে না। বিরাট মাক্বাম এটা। এটা তো মানুষের আক্বল-বুদ্ধি সমঝের বাইরে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় দেখা গেছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিনয় মুবারক প্রকাশ করতে করতে উনার নূরুন নি‘য়ামত মুবারক (দাড়ি মুবারক) বাহন মুবারক-এ লেগে গিয়েছিলো।

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বামটা অনেক বড় মাক্বাম। অনেক বড় আসন। কল্পনাতীত বিষয়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মাঝামাঝি মাক্বামটা। উনারা তো উনাদের শান মুবারক-এ আছেন। এখন আদবের খেলাফ হয় কি না, কোনো কিছু হয় কিনা (বিনয় মুবারক প্রকাশার্থে), সেজন্য আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নুইয়ে রেখেছিলাম।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

(২)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ রিয়াযাত-মাশাক্কাত করে, রিয়াযাত-মাশাক্কাত তো অনেক রকম আছে। একটা যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। এটা নফসকে নিয়ন্ত্রন করা, তারপরে আনুষাঙ্গিক কাজগুলি সমাধা করা। আরেকটা বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। এটা কী? বলো দেখি। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাতটা কী? বলো। জানো? জানো না। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কোশেশ করে করে করে করে উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করা, মুহব্বত মুবারক হাছিল করা। যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাতের মাধ্যম দিয়ে বাত্বিনী অন্তর ইছলাহ্ হলে, তখন উনাদের সাথে নিসবতের জন্য কোশেশ করা। উনাদের যে একটা দায়িমী নিসবত, সেটা হলো হাক্বীক্বী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে করতে বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। অতঃপর বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে করতে করতে করতে উনাদের পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা। অতঃপর উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে করতে উনাদের একটা মুহব্বত মুবারক পয়দা করা। আমি বলেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আলাদা। মহান আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক উনি আলাদা। অর্থাৎ উনারা হিসেবের উর্ধ্বে।

মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি, মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি, তারপর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ও হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা। উনারা হচ্ছেন মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। উনাদের নিসবত-কুরবত মুবারক হাছিল করা, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের নিসবত-কুরবত মুবারক হাছিল হয়ে গেলে, বাকিটা আপসে আপ হাছিল হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! এখন যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত, যিকির-ফিকির করবে। ঠিক আছে। ভালো কথা। অন্তর ইছলাহ্ করবে। কিন্তু হাক্বীক্বত করতে হলে তো যাহিরী করার পর বাত্বিনী করে উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করতে হবে। এটা না করলে তো হবে না। সেটাই বলেছিলাম যে- উনারা কিন্তু কারো গুরুত্ব দেন না। ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব হচ্ছেন উনারা-

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থাৎ আমাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব হচ্ছেন উনারা। ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে করতে করতে যদি উনারা কথা বলেন, মুহব্বত করেন, যদি কিছু বলেন। এছাড়া তো কোনো ব্যবস্থা বা পথ নেই। উনাদের থেকে কিছু হাছিল করা, ইলম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত হোক হাছিল করা অত্যান্ত কঠিন। এমনি তো হাছিল করা যায় না। এজন্য বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত প্রয়োজন। এটা হচ্ছে বাত্বিনী এবং হাক্বীক্বী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আমি বলেছিলাম যে, ১১ই রমাদ্বান শরীফ আছরের সময়। আছরের সময় হয়েছে। আমি স্বপ্নের মধ্যেই দেখতেছি- এক স্থানে নামাযের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জায়গাটা একটা বিল্ডিং, তার একটা বারান্দার মধ্যে। সামনে খোলা জায়গা আছে। হঠাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তাশরীফ মুবারক নিলেন। অনেক দূরে। উনি উপরে। উনি এসে আমাকে বললেন যে- উনি আমাকে কিছু নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। তখন উনি আমাকে এমন আকর্ষণ করলেন, অনেক দূর কিন্তু, একবারে এক টান দিয়ে উনি উনার নূরুল আযহার (কোল মুবারক) উনার মধ্যে আমাকে বসিয়ে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বসছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখন নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। ঠিক আছে। আমি বললাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আছরের নামায এখনও পড়িনি। উনিই জানতে চাইলেন। আমি বললাম যে, আমি পড়িনি। তাহলে ঠিক আছে নামায পড়ে নেই। উনি চোখের পলকে আমাকে আবার আগের জায়গায় পৌঁছিয়ে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তারপর এই যে নিদর্শন মুবারক দেখানোর যে বিষয়টা- এই নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। এখন তো উনারা যদি না দেখান, তাহলে কেউ তো দেখতে পারবে না। পরবর্তী সময় যখন হলো, উনাদের যে বিশেষ করে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুজন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুর রহমত মুবারক (চেহারা মুবারক) যেরকম ছিলো, উনারা সাক্ষাৎ মুবারক দান করলে দেখা গেলো উনারা হুবহু একরকম, কাছাকাছি। (সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারা দুজন হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ। আবার বড় দুইজন। বড় দুইজন অর্থাৎ বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি  অর্থাৎ উনারা হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মতো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর মাঝে যাঁরা আছেন উনারা অর্থাৎ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনি, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনি, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনি এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনি অর্থাৎ উনারা চারজন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের নিসবত মুবারক হাছিল করছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুনা হযরত নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুইজন হুবহু এক রকম। বুঝা মুশকিল। আরো উল্লেখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেই রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলছেন যে, আবনাউ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে চতুর্থ যিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো। একইভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিও। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, ছোহবত, নিছবত, ক্বুরবত মুবারক হাছিল করার জন্য কোশেশ করা আর এই কোশেশ করাটাই বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। অর্থাৎ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক হাছিল করা। অনেক বছর যাবৎ এই কোশেশ করতেছি আমি। ১৩৯২-১৩৯৩ হিজরী সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ।”(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, ছোহবত, নিছবত, ক্বুরবত মুবারক হাছিল করার জন্য কোশেশ করা। আর এই কোশেশ করাটাই বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। অর্থাৎ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক হাছিল করা। অনেক বছর যাবৎ এই কোশেশ করতেছি আমি। ১৩৯২-১৩৯৩ হিজরী সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এই বৎসর এই যিলহজ্জ শরীফ মাসেই (১৪৪১ হিজরী শরীফ) কয় তারীখে? মনে হয় প্রথম ইছনাইনিল আযীম শরীফ হতে পারে। প্রথম উনাদের সাথে (বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ) আমার মোটামোটি (বিশেষ) কিছু আলোচনা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম (উনাদের সরাসরি সাক্ষাৎ মুবারক-এ) উনাদেরকে কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? এখন বলো দেখি, কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? আমি কী (বলে) সম্ভোধন করবো? আমি বললাম- জাদ্দী, জাদ্দাতী। উনারা খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের সাথে কথা বললে, কী বলে সম্ভোধন করতে হবে? এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার অন্য কিছু নেই। আর অন্য কিছু বলা ঠিক হবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? কারণ বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাও তো মা। সইয়্যিদাতুন নিসা আহলিল জান্নাহ্ হযরত যাহ্রা আলাইহাস সালাম উনি যদিও মূল। তো উনি তো মা। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি বললাম- উম্মী কুবরা আলাইহাস সালাম। উনারা হলেন- উম্মী কুবরা আলাইহাস সালাম। আর বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হলেন উম্মী আলাইহাস সালাম। কিন্তু ছুগরা তো বলা যায় না। আদবের খেলাফ। উনারা সবাই খুশি হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাহলে হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি উনাদেরকে বললাম- খ¦লু (মামা)। উনারা সবাই খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনারা কাউকে পরওয়া করেন না। উনারা কারো মুহতাজীও করেন না অর্থাৎ কারো তোয়াজ করেন না। কারণ, উনারা নিজেরাই মর্যাদাবান। উনাদের কাছে তো কারো কোনো মর্যাদা নেই। বরং উনাদের মাধ্যমেই সকলে মর্যাদা হাছিল করে থাকে। এখন ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে করতে মুহব্বত হাছিল হয়, নিসবত হাছিল হয়। একবারে তো সেটা হয় না।

সেটাই বললাম যে- উনাদের নিসবত হাছিল করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন সেজন্য উনাদের আলোচনা মুবারকগুলো বেশী বেশী করা উচিৎ। যাতে উনারা খুশি হন। উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করলে, উনারা খুশি হন। আর যে কোনো জিনিস হাছিল করতে হলে উনাদের মাধ্যম দিয়ে হাছিল করতে হবে। এখন বলা হয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ছাড়া কিছু কি হাছিল হবে? না, আসলে উনাদের ছাড়া কিছু হাছিল হবে না। উনাদের যাঁরা নিচে উনারা তো উনাদের অধীনে চলবেন। উনাদের হুকুম ছাড়া তো চলতে পারবেন না।

আমি ওখানে আর কাউকে দেখিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন তোমরা যা বুঝো। আর যে বুঝার, সে বুঝবে।

আর নিদর্শন যেমন- সাইয়্যিদুনা যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টা। উনার বিষয়গুলি তো সরাসরি নূরে মুজাসসাম উনি আমাকে দেখিয়েছেন। উনার বিছাল শরীফ, বিছাল শরীফের আগের অবস্থা, পরের অবস্থা। যদিও তখন কাঁটাওয়ালা কোনো ঘড়ি ছিলো না, কিন্তু উনি আমাকে একটি কাটা ওয়ালা ঘড়ি মুবারক দেখিয়েছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার বিছাল শরীফের সময়টা কখন? তখন উনি আমাকে একটি কাঁটাওয়ালা ঘড়ি দেখিয়ে দিয়া বললেন যে, এই যে। ঘড়িতে উনি দেখালেন। আমি দেখলাম, তখনও উক্ত সম্মানিত ঘড়ি মুবারক-এ ১২:০০ টা বাজেনি। সেকেন্ডের কাঁটাটি আর ৪৫ সেকেন্ড অতিক্রম করলে ১২:০০টা বাজবে। অর্থাৎ ১২:০০ টা বাজতে আর ৪৫ সেকেন্ড বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ১১ টা বাজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং পরিবেশটা তিনি আমাকে দেখালেন। বলেছিলেন যে, নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। এই ধরণের নিদর্শন মুবারকগুলো দেখান। উনারা না দেখালে মানুষ জানবে কিভাবে?

সেজন্য উনাদের আলোচনা বেশী বেশী করা দরকার, বলা দরকার।

আমি উনাদেরকে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টাই দেখি। এখনও দেখতেছি।

আর এগুলো শোনে তোমাদের ইবরত হাছিল করা দরকার। বুঝতে পারলে?

এখন দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো নিসবত মুবারক হাছিল করা, মুহব্বত মুবারক হছিল করা, কুরবত মুবারক হাছিল করা। তাহলেই কামিয়াবী।

(৩)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত নিসবত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল নিসবত মুবারক তো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রয়েছেই। তারপরও সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে এবং হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সাথে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই নিসবত মুবারক সম্পূর্ণটা আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে।

এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে এবং হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে।

আর চতুর্থ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মূল নিসবত মুবারক তো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আছে। সেটা আলাদা। এগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত নিসবত মুবারক। এছাড়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আলাদা অনেক নিসবত মুবারক রয়েছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে।

এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম