সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ। কেননা স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি তা তদারকি মুবারক করে থাকেন

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুমহান পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ। কেননা স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি তা তদারকি মুবারক করে থাকেন


 

وعد الله الذين امنوا وعملوا الصالحات لـهم مغفرة واجر عظيم.

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করছেন যে, পবিত্র ঈমান আনয়নকারী এবং আমলে ছলিহকারী উনাদের জন্য ক্ষমা ও মহান প্রতিদান রয়েছে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

অর্থাৎ আমলে ছলিহকারী মু’মিন উনাদের প্রতিদান সম্পূর্ণরুপে প্রদান করার ব্যাপারে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করেছেন। এখন সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে ছলিহ কোনটি? আসলে সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে ছলিহ হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। যা ব্যাপক আলোচিত পবিত্র আয়াত শরীফ هو خير مـما يحمعون দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট। অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

يبشر الـمؤمنين الذين يعملون الصالـحات ان لـهم اجرا كبيرا.

অর্থ : আমলে ছলিহকারী মু’মিন উনাদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন। নিশ্চয়ই উনাদেরকে বিরাট প্রতিদান প্রদান করা হবে। (পবিত্র সুরা বনী ইসরাইল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যে বিরাট প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে, তা আসলে কি? মূলত, সবচেয়ে বড় প্রতিদান, সবচেয়ে বড় নিয়ামত মুবারক হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নৈকট্য ও নিসবত মুবারক। আর একথা সুদৃঢ় সত্য যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীগণ উনাদেরকে দায়িমীভাবে নিসবত মুবারকে বেষ্টিত করে রাখেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قيل لرسول الله صلى الله عليه وسلم ارايت صلاة الـمصلين عليك ممن غاب عنك ومن ياتى بعدك ما حالـهما عندك فقال اسمع صلاة اهل مـحبتى و اعرفهم تعرض على صلاة غيرهم عرضا.

অর্থ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আরজু করা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যারা বাহ্যিকভাবে সরাসরি ছোহবত মুবারক হতে অনুপস্থিত এবং যারা আপনি দুনিয়া হতে পর্দা মুবারক করার পর দুনিয়াতে আসবে এবং তাদের পবিত্র ছলাত শরীফ এবং পবিত্র সালাম শরীফ শরীফ পাঠের বিষয়টি আপনার নিকট কিরুপ? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খালিছ মুহব্বতের সাথে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠকারীগণ উনাদের পবিত্র ছলাত শরীফ আমি সরাসরি শুনি এবং উনাদেরকে আমি খুব ভাল ভাবে চিনে থাকি। আর গাফিলতির সাথে ছলাত পাঠকারীদের বিষয়টিও আমার নিকট উপস্থাপন করা হয়। (দালায়িলুল খ্বইরাত)

অর্থাৎ খালিছভাবে মুহব্বতের সাথে ছলাত পাঠকারী তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আখাছছুল খাছ নৈকট্য মুবারক প্রদান করেন। মুবারক তত্ত্বাবধানে উনাদেরকে রাখেন। সার্বিক দিক নির্দেশনা মুবারক প্রদান করেন। বিভিন্নভাবে উনাদেরকে সুসংবাদ মুবারক প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ!

আর এ বিষয়ে অসংখ্য অগনিত নযীর ইতিমধ্যে স্থাপিত হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে কয়েকটি উপমা তুলে ধরা হলো।

হিজরী ৫৫৫ সনের ঘটনা। পবিত্র রেফায়িয়া ত্বরীকার ইমাম, হযরত আহমদ কবীর রেফাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে গেলেন। মহা সম্মানিত রওজা শরীফ উনার নিকট গমন করে সালাম পেশ করলেন-

السلام عليك ياجدى صلى الله عليه وسلم

মহা সম্মানিত রওজা শরীফ হতে তৎক্ষনাৎ জবাব আসলো,

وعليك السلام يا ولدى

মহা সম্মানিত রওজা শরীফ হতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি জওয়াব মুবারক শুনে হযরত আহমদ কবীর রেফাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশেষ হাল পয়দা হলো। তিনি ক্বাছীদাহ শরীফ পাঠ করতে শুরু করলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন,

فى حالة البعد روحى كنت ارسلها

تقبل الارض عنى وهى نائبتى.

وهذة دولة الاسباح قد حضرت

فامدد يمينك كى كخطى بـها شفتى.

ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দুরে অবস্থানকালে আমি আমার রুহকে আপনার মুবারক খিদমতে প্রেরণ করতাম, যেন তা আমার পক্ষ হতে আপনার মুবারক ক্বদমবুছী করে যায়। এখন তো আমি স্বশরীরে সরাসরি আপনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত হয়েছি। সুতরাং আপনি যদি আপনার পূত পবিত্র দাস্ত মুবারক জাহির মুবারক করে দিতেন, তাহলে তা চুম্বন মুবারক করে আমি ধন্য হতাম।

হযরত আহমদ কবীর রেফাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপরোক্ত আরজী শেষ হওয়া মাত্রই মহা সম্মানিত রওজা শরীফ হতে নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পূত পবিত্র ডান হাত মুবারক জাহির করে দেন। তৎক্ষনাৎ হযরত আহমদ কবীর রেফাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি সহ সেই সময়ে পবিত্র মদীনা শরীফে অবস্থানকারী ৯০ হাজার লোক পূত পবিত্র দাস্ত মুবারক চুম্বন করে নিজেদেরকে চিরদিনের জন্য ধন্য করে নেন। সুবহানাল্লাহ! (আল বুনিয়ানুল মুশাইয়াদ)

উপরোক্ত মুবারক ঘটনা দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, হাক্বীক্বীভাবে সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন কারীগণ উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ নিয়ামতদানে ধন্য করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

বিশিষ্ট বুযুর্গ ও প্রখ্যাত ফার্ষী কবি হযরত শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নাত শরীফ লিখতে লাগলেন। তিনি লিখলেন-

بلغ العلى بكماله

كشف الدجى بجماله

حسنت جميع خصاله

“নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম তিনি তো মাক্বামাতের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত। উনার মুবারক জামালিয়তে সমস্ত আঁধার বিদূরিত হয়েছে। উনারই মুবারক উসিলায় সমস্ত কিছু সৌন্দর্য মন্ডিত হয়েছে।”

এতটুকু লিখে হযরত শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি থেমে গেলেন। চতুর্থ লাইন কি হবে, তা ভাবতে লাগলেন। চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে পারছেন না। তিনি বেকারার পেরেশান হয়ে গেলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে পুরোপুরি রুজু হয়ে চতুর্থ লাইন মিলানের কোশেশে নিজেকে ব্যাপৃত রাখলেন। নিজের অজান্তেই এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে গেলেন। মুবারক স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাত মুবারক লাভ করলেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে শেখ সাদী! আপনি এত অস্থির কেন? কি হয়েছে আপনার? হযরত শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুবারক খিদমতে নিজের অক্ষমতা ও অপারগতার বিষয়ে আরজী করলেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি চতুর্থ লাইন লিখুন-

صلوا عليه واله

উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করো। অর্থাৎ বেশি বেশি উনার সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করো। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত ঘটনা থেকে প্রতিভাত হয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠকারী তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদেরকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বিভিন্নভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে মদদ মুবারক করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

ইমামুল হিন্দ হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,

اخبرنى سيدى الوالد قال كنت اصنع فى ايام المولد طعاما صلة بالنبى فلم يفتح لى سنة من السنين شئ اصنع به طعام فلم اجد الا حمصا مفليا فقسمت بين الناس فرايته صلى الله عليه وسلم وبين يديه هذه الحمص مبتهج بشاشا.

অর্থ: আমার বুযূর্গ পিতা (হযরত শাহ আব্দুর রহীম দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি বলেন যে, নূরে মুজাসদসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ বা আগমনের তারিখে পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করে ছওয়াব রেসানীর জন্য হামেশা তাবারুকের আয়োজন করতাম। এক বছর সে তারিখে খানার আয়োজন করতে না পেরে কিছু চানাবুট আমি লোকজনের মধ্যে বিতরণ করলাম। অতঃপর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে পেলাম অত্যন্ত উজ্জল আর হাসিমাখা চেহারা মুবারক নিয়ে তিনি উপবিষ্ট। আর সেই চানাবুটগুলো উনার সম্মুখে রাখা। সুবহানাল্লাহ! (আদ্ দুররুছ্ ছামীন ফী মুবাশ্শিরাতিন্ নাবিয়্যিল আমীন)

উপরোক্ত ঘটনা থেকে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আয়োজিত সর্ব প্রকার কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র নাত শরীফ উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব কাছীদাতুল বুরদাহ। ইমাম হযরত শরফুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কাছীদাতুল বুরদাহ রচনা করেন। এই পবিত্র নাত শরীফ রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা হয়, লেখক হযরত ইমাম বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হঠাৎ দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন। এমতাবস্থায় তিনি দুনিয়াবী চিকিৎসা হতে বিমুখ হয়ে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ঘোষিত পূর্ণাঙ্গরূপে আরোগ্য দানকারী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু হন। পবিত্র নাত শরীফ পাঠের মাধ্যমে মুবারক খিদমতে আরজী পেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। যে ইচ্ছা সেই কাজ। সুদীর্ঘ একখানা বিশেষ নাত শরীফ তিনি রচনা করেন। রচিত বিশেষ নাত শরীফ খানা অত্যধিক মুহব্বতের সাথে পাঠ করত শেফায়ে কামিল লাভ করার জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কান্নাকাটি রোনাজারি করত এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। মুবারক স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বিশেষ সাক্ষাত মুবারক হয়। তিনি এই পুরো নাত শরীফ খানা পাঠ শুনেন এবং অত্যধিক খুশি প্রকাশ করেন। পরিশেষে নাত শরীফ রচয়িতা হযরত ইমাম বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শরীরে পূত পবিত্র হাত মুবারক বুলিয়ে দেন। এবং আপন চাদর মুবারক উনাকে পড়িয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে হযরত ইমাম বুছীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে নিজেকে পূর্ণাঙ্গরুপে সুস্থ হিসেবে দেখতে পান। সুবহানাল্লাহ! (আল কাওয়াকিবুদ দুররিয়্যাহ ফী মাদহি খাইরিল বারির‌্যাহ)

উপরোক্ত ঘটনা হতে প্রতিভাত হয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠকারী তথা সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের যাবতীয় আরজী সুনিশ্চিতভাবে ক্ববুল করে নেন। জাহিরী-বাতিনী সর্ব প্রকার বালা বিদূরিত করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারী করেছেন। আবার সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক সাইয়্যিদুশ শুহুর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-১৪৩৬ হিজরী উপলক্ষে ৬৩ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করেছেন। এই বিশেষ মাহফিলের মুবারক উদ্বোধন দিবস সম্পর্কে সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিন এই বিশেষ মাহফিল মুবারকে তাশরীফ মুবারক রেখে আমাকে বিশেষভাবে অত্যন্ত দয়া করে, ইহসান করে জিয়ারত মুবারক দান করেন এবং সাথে হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও সকলে জিয়ারত মুবারক দান করে সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন করে খুশী প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি সম্পৃক্ততা। প্রতিটি বিষয়ই তিনি সরাসরি মুবারক তদারকি করেন। সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীগণ উনাদের প্রতিটি আরজী সরাসরি দরবারে নববী শরীফে মনযুর হয়। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, সকলের দায়িত্ব কর্তব্য হলো, উপরোক্ত আলোচনা হতে ইবরত নসীহত হাসিল করত নিজের সর্বোচ্চ সাধ্য অনুযায়ী সমাজ ও জীবনের সর্বস্তরে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সর্বোচ্চ কোশেশ করা। মহান আল্লাহ পাক হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসিলায় উম্মাহকে তাওফীক দান করুন। আমীন!


-আল্লামা মুহম্মদ ইমাদুদ্দীন।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম