স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দামিয়ীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন, তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয হচ্ছে সেই অনুসরণে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা।

সংখ্যা: ২৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلٰٓئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ یٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا.

অর্থ: “নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন তথা উনার সম্মানার্থে দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফ্রহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করো তথা উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করো এবং অত্যন্ত আদবের সাথে উনার প্রতি সম্মানিত সালাম পেশ করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

ইমামুল মুফাসসিরীন মিনাল আউওয়ালীনা ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার হাবীব, মাহাবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দামিয়ীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফ্রহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে-

اِنَّ اللهَ وَمَلٰٓئِكَتَهٗٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ.

“নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন তথা উনার সম্মানার্থে দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফ্রহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কখন থেকে উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ শুরু করেছেন তথা উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা শুরু করেছেন এবং কখন পর্যন্ত সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করবেন তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন? মূলত, মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেই উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

كُنْتُ كَنْزًا مَـخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ.

অর্থ: “আমি পুশীদাহ্ ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশ পাই, তখন আমি আমার পরিচয় লাভের জন্য অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করে আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মা‘আনী ৭/৪৫৩, ১৪/২৫, আত তাফসীরুল ওয়াসীত্ব ৯/১১১০, তাফসীরে রূহুল বায়ান ৯/১৭৮, মিরক্বাত শরীফ ৩৭/২৪ ইত্যাদী)

মূলত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী পরিচয় মুবারক কায়িনাতের মাঝে প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেই উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক করেছেন এবং তখন থেকেই উনার প্রতি দায়িমীভাবে সম্মানিত ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন, উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন, এখনও সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করছেন, উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু ক্বদীম তাই তিনি অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেই থাকবেন। তিনি কখনও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা থেকে বিরত থাকবেন না। সুবহানাল্লাহ! আর এ কথা কখনও কল্পনা করা যায় না যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করবেন, উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন, অথচ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক থাকবে না, উনার উপস্থিতি মুবারক থাকবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন ক্বদীম, তিনি কখনও ফানা বা লয় হবেন না, ঠিক তেমনিভাবে উনার সাথে সংযুক্ত হওয়ার কারণে উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ক্বদীম উনার অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছেন, তিনিও কখনও ফানা বা লয় হবেন না। সুবহানাল্লাহ!

যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি থাকবেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَّيَبْقٰى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْـجَلٰلِ وَالْاِكْرَامِ.

 অর্থ: “সারা কায়িনাতের সমস্ত কিছু ফানা বা ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র আপনার মহামহিম ও মহানুভব রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারক বাক্বা বা স্থায়ী থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আর রহমান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬-২৭)

আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক উনার অধীন। তাই যখন সমস্ত কায়িনাতের সমস্ত কিছু ফানা বা ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতে থাকবেন, যেমনিভাবে সৃষ্টির শুরুতে যখন কিছুই ছিলো না, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে দায়িমীভাবে উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন, উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করতেই থাকবেন, অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেন।

এখানে সম্মানিত ছলাত মুবারক উনার লক্ষ কোটি অর্থ মুবারক। তবে সহজে বুঝার জন্য অল্প কথায় হচ্ছেন- যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেন অর্থাৎ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সম্মানিত  রুবূবিয়াত মুবারক উনার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا مُـحَمَّدُ صَـلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لِاَجْلِكَ.

অর্থ: “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আপনি। আর আপনি ছাড়া যা কিছু রয়েছে, সমস্ত কিছু আমি আপনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ.

অর্থ: “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী, কানযুল উম্মাল)

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الـنَّارَ.

অর্থ: “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী, কানযুল উম্মাল)।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَعِزَّتِـىْ وَجَلَالِـىْ لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ وَلَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الدُّنْيَا.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার সম্মানিত ইজ্জত মুবারক এবং সম্মানিত জালালিয়াত মুবারক উনাদের কসম! আমি আপনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টি করতাম না এবং আমি আপনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী শরীফ ৫/২২৭)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

لَوْلَاكَ مَا اَظْهَرْتُ الرُّبُوْبِيَّةَ.

অর্থ: “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, আমার সম্মানিত রুবূবিয়াত মুবারকও প্রকাশ করতাম না।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে দায়িমীভাবে উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণে উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

صِبْغَةَ اللهِ وَمَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللهِ صِبْغَةً.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রঙ্গে রঞ্জিত হও। মহান আল্লাহ পাক উনার চেয়ে উত্তম রঞ্জিত আর কে আছে? সুবহানাল্লাহ!” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৮)

উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর ইতিহাসে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দুনিয়ার যমীনে তো অবশ্যই; হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাতকে সুসজ্জিত করবো।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এই সম্মানিত ‘আমল মুবারক-এ খুশি হয়ে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উনাকে এক আখাছ্ছুল বিশেষ মাক্বামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। যেটা কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় আর কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ১১ই ছফর শরীফ ১৪৪০ হিজরী শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) বিশেষ মাহফিল মুবারকÑএ ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

تَـخَلَّقُوْا بِاَخْلَاقِ اللهِ.

অর্থ: “তোমরা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত চরিত্র মুবারক-এ চরিত্রবান হও।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মা‘য়ানী ১৫/৩৯৫)

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার আলাদা একটা মাক্বাম মুবারক আছে। সুবহানাল্লাহ! এই মাক্বামটা খাছ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অধীনে মাক্বামটা। এটা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদম হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবতের মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! এক/দেড় সপ্তাহ আগে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে নিয়ে গেছেন ঐ জায়গায়। ঐ মাক্বামে (মহান আল্লাহ পাক উনার ডান পাশে) একটা বড় আসন আছে। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ঐ আসন মুবারক-এ নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনি যে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। এজন্য আপনাকে এটা হাদিয়া মুবারক করা হলো।’ সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আছেন। আমরা যে অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করেছি। আমরা যে বলি, হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে, জান্নাতে যেয়ে অনন্তকাল যাবৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো। জান্নাত সুসজ্জিত করবো, সমস্ত কায়িনাত সুসজ্জিত করবো, সবকিছু সুসজ্জিত করবো ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি খুশি হয়ে বললেন, এজন্য আপনাকে এই মাক্বামটা হাদিয়া মুবারক করা হলো। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাক উনার একটা খাছ, উনার অধীনেই সম্মানিত মাক্বামটা। সুবহানাল্লাহ! অনেক বিরাট একটা আসন। এটা সর্বোচ্চ একটা মাক্বাম। বলা হয় যে, আবদিয়াতের মাক্বাম হচ্ছে সর্বোচ্চ মাক্বাম। তার চেয়ে সর্বোচ্চ হচ্ছে এই মাক্বামটা। এটা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক উনার মাক্বাম।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালাইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহম্মদ আল আমীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম