হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাই ইলমে গইব উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! হযরত আম্বিয়ায়ে ইযাম আলাইহিমুস সালাম তথা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা তো অবশ্যই বরং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকেও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলমে গইব হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

সংখ্যা: ২৬৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত খিযির আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَعَلَّمْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا

অর্থ: ‘আমি উনাকে ইলমে লাদুন্নী অর্থাৎ আমার তরফ থেকে ইলিম হাদিয়া করেছি।’ (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)

আহলে সুন্নত  ওয়াল জামায়াত উনাদের মতে, হযরত খিযির আলাইহিস সালাম তিনি একজন ওলীআল্লাহ। উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলমে লাদুন্নী তথা ইলমে গইব ও ইলমে যাহির উভয় প্রকার ইলিম হাদিয়া মুবারক করেছেন। হযরত খিযির আলাইহিস সালাম উনাকে যে ইলমে গইব হাদিয়া মুবারক করেছেন তা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দ্বারা তাছদীক্ব বা সত্যায়ন করা হয়েছে। প্রথমত: হযরত খিযির আলাইহিস সালাম তিনি যে নৌকাতে চড়ে নদী পার হয়েছিলেন তা তিনি ছিদ্র করে দিলেন। দ্বিতীয়ত: একটি বালককে হত্যা করে ফেললেন। তৃতীয়ত: একটি জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌঁছে তাদেরকে মেহমানদারী করাতে বললেন। তারা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করা সত্ত্বেও তিনি তাদের একটি ভগ্ন প্রাচীর মেরামত করে দিলেন।

এসব ঘটনার কারণসমূহ বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন-

এক. নৌকাটি যেদিকে যাচ্ছিলো অর্থাৎ যে এলাকায় ছিলো সে এলাকায় একজন যালিম শাসক ছিলো। সে এই পথে চলাচলকারী সব ভাল নৌকা ছিনিয়ে নিত। এ কারণে তিনি নৌকাটি ছিদ্র করে দেন যাতে যালিম শাসকের লোকেরা ছিদ্র বা ভাঙ্গা দেখে নৌকাটি ছেড়ে চলে যায় এবং দরিদ্র লোকটি বিপদের হাত থেকে বেঁচে যায়।

দুই. বালকটির হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ছেলেটি বড় হয়ে তার সৎকর্মপরায়ণ পিতা-মাতাকে বিব্রত করবে ও কষ্ট দিবে। সে কুফরীতে লিপ্ত হয়ে পিতা-মাতার জন্য ফিতনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং তার ভালবাসায় পিতা-মাতার ঈমানও বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই তিনি ছেলেটিকে হত্যা করে ইচ্ছা পোষণ করলেন যে,  মহান আল্লাহ পাক তিনি এই সৎকর্মপরায়ণ পিতা-মাতাকে এ ছেলের পরিবর্তে তার চাইতে উত্তম সন্তান দান করবেন, যার কাজকর্ম ও চরিত্র হবে পবিত্র এবং সে পিতা-মাতার হক্বও পূর্ণ করবে।

এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত রয়েছে, নিহত ছেলের পিতা-মাতাকে মহান আল্লাহ পাক তার পরিবর্তে একটি কন্যা সন্তান দান করেন। পরবর্তীকালে যার রেহেম শরীফ-এ দুজন নবী  আলাইহিমাস সালাম আগমন করেন। আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত রয়েছে, উক্ত কন্যার রেহেম শরীফ থেকে আগমনকারী নবী আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক একটি বিরাট উম্মতকে হিদায়েত দান করেন।  অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, নিহত ছেলের পরিবর্তে মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত ছেলের মাতার ঘরে সাত জন ছেলে দান করেন যাঁরা প্রত্যেকেই নবী হন। সুবহানাল্লাহ!

তিন. প্রাচীরের নিচে ইয়াতীম বালকদের জন্য রক্ষিত গুপ্তধন স্বর্ণ-রৌপ্যের ভা-ার ছিলো। তা হিফাযতের জন্য তিনি প্রাচীর মেরামত  করে দিয়েছিলেন এজন্য যে, উক্ত ইয়াতীম বালকদের পিতা একজন মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। তাই উনার সন্তান-সন্ততির উপকারের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা করেন।

স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে ইলমে গইবসহ সর্বপ্রকার ইলিম হাদিয়া করার পদ্ধতির নাম হচ্ছে ‘ইলমে লাদুন্নী, ইলহাম ও ইলক্বা। আর হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ইলমে গইবসহ সর্বপ্রকার ইলিম হাদিয়া করার পদ্ধতির নাম হচ্ছে ওহী মুবারক। বলার অপেক্ষা রাখে না, সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন। অনুরূপ সকল হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম  উনারা ইলমে লাদুন্নী, ইলহাম, ইলক্বা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, ‘শরহে মাওয়াহিব’ কিতাবে উল্লেখ আছে, ‘লাতায়িফুল মিনান’ কিতাবে বর্ণিত আছে যে, কোন কামিল বান্দা বা হক্কানী ওলীআল্লাহগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে কোন অদৃশ্য বিষয়ের ইলিম বা ইলমে গইব লাভ করা আশ্চর্যের বিষয় নয়। এটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اتقوا فراسة الـمؤمن فانه ينظر بنور الله

অর্থ: ‘মু’মিনের অর্থাৎ প্রকৃত মু’মিন তথা ওলীআল্লাহ উনার অন্তরদৃষ্টিকে ভয় করো। কেননা তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক দ্বারা অবলোকন করেন।’ (মিশকাত শরীফ)

হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফাত অর্জনকারী ওলীআল্লাহ উনার শান মুবারক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

كنت سـمعه الذى يسمع به كنت بصره الذى يبصربه كنت لسانه الذى ينطق به كنت يده التى يبطش بها كنت رجله التى يـمشى بـها

অর্থ: আমি উনার কান হই, তিনি আমার কুদরতী কান মুবারক-এ শ্রবণ করেন। আমি উনার চক্ষু হই, তিনি আমার কুদরতী চোখ মুবারক-এ দেখেন। আমি উনার যবান হই, তিনি আমার কুদরতী যবান মুবারক-এ কথা বলেন। আমি উনার হাত হই, তিনি আমার কুদরতী হাত মুবারক-এ ধরেন। আমি উনার পা হই, তিনি আমার কুদরতী পা মুবারক-এ চলেন। (বুখারী শরীফ, ফতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী)

অর্থাৎ যাঁরা প্রকৃত ওলীআল্লাহ তথা আউলিয়া কিরাম উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। কাজেই উনাদের সবকিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত বা ক্ষমতা বলেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই উনাদের গইব সম্পর্কে অবগত হওয়াটা বিস্ময়কর কোন বিষয়ই নয়।

অতএব, হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ক্ষেত্রে যদি ইলমে গইব থাকাটা বাস্তবসম্মত হয় তাহলে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইলমে গইব থাকাটা আরো বেশি বাস্তব সম্মত। এ বিষয়ে কেবল পথভ্রষ্ট, জাহিল ও জাহান্নামী ফিরক্বার লোকেরাই চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!

সুপ্রসিদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ গ্রন্থ “মিশকাত শরীফ” কিতাবের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ “মিরকাত শরীফ” কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-

العبد ينقل فى الاحوال حتى يصير الى نعت الروحانية فيعلم الغيب.

অর্থ: “যখন বান্দার আধ্যাত্মিক অবস্থার পরিবর্তন হয় তখন বান্দা রূহানীয়তের গুণ প্রাপ্ত হন এবং গইব সম্পর্কে অবগত হন।”

আরো উল্লেখ রয়েছে-

يطلع العبد على حقائق الاشياء ويتجلى له الغيب و غيب الغيب .

অর্থ: “কামিল বান্দা উনারা সমস্ত বস্তুর হাক্বীক্বত বা নিগূঢ় তত্ত্ব ও রহস্য সম্পর্কে অবগত হন এবং উনাদের নিকটغيب الغيب  অদৃশ্যের অদৃশ্য বিষয়ও প্রকাশিত হয়ে যায়।”

“কিতাবুল ই’লাম” ও “সুল্লুল হুস্সাম” কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-

الخواص يجوز ان يعلم الغيب فهو اشتهر.

অর্থ: বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তথা আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা কোন ঘটনা বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গইবি ইলিম জানেন বা অর্জন করেন, এটা গ্রহণযোগ্য। যেমন, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দ্বারা এমন অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং তা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।”

অতএব, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন عالم الغيب ‘আলিমুল গইব’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি বিনা মধ্যস্থতায় ইলমে গইবের অধিকারী। আর সকল হযরত আম্বিয়া ইযাম আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং সকল হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম  উনারা হচ্ছেন مطلع على الغيب “মুত্তালা’ আলাল গইব” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে উনারা ইলমে গইব হাদিয়া প্রাপ্ত হন। উনারা উক্ত ইলমে গইবসহ সমস্ত ইলিম ও সমস্ত নিয়ামত হাদিয়া প্রাপ্ত হন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক বণ্টন মুবারক উনার ওসীলায়। সুবহানাল্লাহ! এটাই সম্মানিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা। এ আক্বীদা বিপরীত আক্বীদা পোষণ করা চরম জিহালতী, গোমরাহী ও কুফরী।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انـما انا قاسم والله يعطى

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া করেন আর নিশ্চয়ই আমি হলাম (উক্ত হাদিয়া) বণ্টনকারী।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সর্বপ্রকার নিয়ামত উনার সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুল মাখলুক্বাতের যাকে যতখানি বা যে পরিমাণ ইচ্ছা তাকে সে পরিমাণ বণ্টন করে দিয়ে থাকেন।

প্রসঙ্গতঃ লওহে মাহফূয সম্পর্কে বলা হয়, সৃষ্টির শুরু হতে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে ও হবে সবকিছুই সেখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর এই লওহে মাহফূয কিন্তু সৃষ্টি হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওজূদ পাক নূর মুবারক উনার অংশ মুবারক হতে। আর লওহে মাহফূয যেহেতু সৃষ্টিরাজির মধ্যে একটি সৃষ্টি সেহেতু তারমধ্যে সংরক্ষিত নিয়ামত তথা ইলিমেরও বণ্টনকারী হলেন নূরে  মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার একটা অংশ রাখা হয়েছে লওহে মাহফূযে যেই ইলিম মাখলুক্বাত সম্পর্কিত এবং মাখলুক্বাতের জন্য বণ্টিত। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু মাখলুক্বাতের সর্বপ্রকার নিয়ামতের বণ্টনকারী সেহেতু তিনি মাখলুক্বাতের অবস্থা সম্পর্কিত ও তাদের জন্য বণ্টিত লওহে মাহফূযে সংরক্ষিত সমস্ত ইলিম উনাদেরও অধিকারী এবং বণ্টনকারী।

মূলকথা হলো, লওহে মাহফূযে সংরক্ষিত ইলিম মুবারক যেরূপ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার ইলিম মুবারক উনার একটা অংশ। একইভাবে উক্ত ইলিম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও ইলিম মুবারক উনার অংশ বিশেষ। সুবহানাল্লাহ!

অতএব আক্বীদা রাখতে হবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পরিপূর্ণরূপে গইবের ইলিম বণ্টনকারী। উনার মধ্যেমেই বান্দা ও উম্মত গইবের ইলিম জেনেছে, বুঝেছে ও লাভ করেছে। সুবহানাল্লাহ!

-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ শুয়াইব আহমদ।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম