হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

যে সকল ব্যক্তিত্ব মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়ে বেমেছাল কামিয়াবী মুবারক হাছিল করেছেন, উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক জানা সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক উল্লেখ করা হলো-

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মূল সম্মানিত ও পবিত্র নাম মুবারক- সাইয়্যিদাতুনা হযরত হুযাফা আলাইহাস সালাম, মতান্তরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত জায্যামাহ্ আলাইহাস সালাম বা সাইয়্যিদাতুনা হযরত জাদামাহ্ আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম। তিনি উনার গোত্রে এই সম্মানিত লক্বব মুবারকেই প্রসিদ্ধ ছিলেন। এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

وَهِىَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلشَّيْمَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ غَلَبَ عَلَيْهَا ذٰلِكَ فَلَا تُعْرَفُ فِـىْ قَوْمِهَا اِلَّا بِهٖ.

অর্থ: “তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম। উনার এই সম্মানিত লক্বব মুবারকই প্রাধান্য পায়। তিনি উনার গোত্রে এই সম্মানিত লক্বব মুবারকেই প্রসিদ্ধি লাভ করেন।” (দালাইলুন নুবুওয়াহ্ ১/১৩২)

উল্লেখ্য যে, হযরত মহিলা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুন্না উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম নামে দ্বিতীয় কেউ নেই। উনার সম্মানিত পিতা হচ্ছেন- সাইয়িদুনা হযরত হারিছ ইবনে ‘আবদিল উযযা ইবনে রিফা‘আহ্ আলাইহিস সালাম তিনি, আর উনার সম্মানিত মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلشَّيْمَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ اُخْتُهٗ مِنَ الرَّضَاعَةِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৭/৫৫)

উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উনায়সা আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা তিনজন হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ ভাই-বোন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত খেদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

اَنَّ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلشَّيْمَاءَ عَلَيْهَا السَّلَامُ كَانَتْ تَـحْضُنُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ اُمِّهٖ اِذْ كَانَ عِنْدَهُمْ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খেদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন- যখন তিনি উনাদের নিকট সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুন নুবুওয়াহ্ ১/১৩২)

সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুই বছর সম্মানিত দুধ মুবারক পান করানো এবং লালন-পালন মুবারক করার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ নিয়ে আসেন। তারপর বরকত লাভের জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজি পেশ করে আবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে নিজ গোত্রে ফিরে যান। তখন তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে চলাচল মুবারক করেন, হাটা-হাটি মুবারক করেন এবং মহাসম্মানিত দুধ ভাই-বোন উনাদের সাথে চলাফেরা করেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ উনারা উনাদের জনপদের আশে-পাশের চারণভূমিতে ছাগল-ভেড়া চরাতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও কখনো কখনো উনাদের সাথে সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিতেন। এ সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখাশুনা মুবারক করতেন। পথ দীর্ঘ হলে, উনাকে সম্মানিত কোল মুবারক-এ তুলে নিতেন। মাঝে মাঝে ছেড়ে দিতেন। আবার কখনো উনাকে নিয়ে ছায়ায় বসতেন এবং দুই হাতে তুলে দোলাতে দোলাতে সম্মানিত ও পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করতেন। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

وَقَالَتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلشَّيْمَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ تُرَقِّصُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ صَغِيْـرٌ … يَا رَبَّنَا اِبْقِ لَنَا مُـحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ … حَتّٰـى اَرَاهُ يَافِعًا وَاَمْرَدًا … ثُـمَّ اَرَاهُ سَيِّدًا مَسُوْدًا … وَاكْبِتْ اَعَادِيْهِ مَعَا وَالْـحَسَدَا … وَاَعْطِهٖ عِزًّا يَدُوْمُ اَبَدًا …

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে যখন মহাসম্মানিত শৈশবকাল মুবারক, তখন সাইয়্যিদাতুনা শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (দুই হাতে তুলে) দোলাতে দোলাত পাঠ করতেন-

يَا رَبَّنَا اِبْقِ لَنَا مُـحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ … حَتّٰـى اَرَاهُ يَافِعًا وَاَمْرَدًا … ثُـمَّ اَرَاهُ سَيِّدًا مَسُوْدًا … وَاكْبِتْ اَعَادِيْهِ مَعَا وَالْـحَسَدَا … وَاَعْطِهٖ عِزًّا يَدُوْمُ اَبَدًا.

‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুনিয়ার যমীনে রাখুন, যাতে আমরা উনাকে একজন মহাসম্মানিত যুবক হিসেবে দেখতে পাই। অতঃপর আমরা যেন উনাকে এমন একজন মহাসম্মানিত সাইয়্যিদ হিসেবে দেখতে পাই যে, উনার প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী শত্রুর মাথা নত হয়ে যাবে। আপনি উনার চিরস্থায়ী সম্মান ও মর্যাদা মুবারক প্রকাশ মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৭/৭৩৩)

কোনো কোনো বর্ণনায় প্রথম ছন্দ মুবারকখানা এভাবে এসেছেন-

يَا رَبَّنَا اِبْقِ اَخِىْ مُـحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুনিয়ার যমীনে রাখুন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৩৮০)

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বোত্তমভাবে চিনেছেন, যার কারণে তিনি উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ এরূপ সম্মানিত ও পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করেছেন এবং এভাবে সম্মানিত দু‘আ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর পরবর্তীতে উনার সমস্ত সম্মানিত দু‘আ মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটেছিলো। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে কোথাও যেতে চাইলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বার বার সতর্ক করে দিতেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেন দৃষ্টির আড়াল না করা হয়। সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে বার বার সতর্ক করে দেওয়ার পরেও তিনি নিশ্চিত হতেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে দেখে আসতেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোথায় আছেন এবং কি করছেন। সুবহানাল্লাহ!

একদিন দুপুরে প্রচুর গরমে ক্লান্ত হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্রাম মুবারক নিচ্ছিলেন। একটু পরেই তিনি টের পেলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা কেউ আশেপাশে নেই। এই কঠিন রোদ্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি কোথায় গেলেন? এজন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং খুঁজতে বের হলেন। তিনি দেখলেন বাড়ির অদূরেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত কোল মুবারক-এ নিয়ে দোলাচ্ছেন আর নিম্নোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করছেন-

هٰذَا اَخٌ لِّـىْ لَـمْ تَلِدْهُ اُمِّىْ ** وَلَيْسَ مِنْ نَّسْلِ اَبِـىْ وَعَمِّىْ ** فَاَنْـمِهِ اللّٰهُمَّ فِيْمَا تُنْمِىْ **

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার মহাসম্মানিত ভাই। আমার মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক নেননি। তিনি আমার সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম বা চাচা উনাদের বংশেরও কেউ নন। আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি উনার সম্মানার্থে আমাদেরকে সমৃদ্ধি মুবারক দান করুন।” সুবহানাল্লাহ! (কাউছারুল মা‘আনী ১/৭২, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/১৬৭)

তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন,

فِـىْ هٰذَا الْـحَرِّ اَىْ لَا يَنْۢبَغِىْ اَىْ يَكُوْنُ فِـىْ هٰذَا الْـحَرِّ فَقَالَتْ اُخْتُهٗ يَا اُمَّهْ مَا وَجَدَ اَخِىْ حَرًّا رَاَيْتُ غَمَامَةً تُظِلُّ عَلَيْهِ اِذَا وَقَفَ وَقَفَتْ وَاِذَا سَارَ سَارَتْ حَتَّـى انْتَهَىَ اِلـٰى هٰذَا الْمَوْضِعِ فَجَعَلَتْ تَقُوْلُ اَحَقًّا يَا بُنَيَّةُ قَالَتْ اِىْ وَاللهِ فَجَعَلَتْ تَقُوْلُ اَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شَرٍّ مَّا يَـحْذُرُ عَلَى ابْنِـىْ.

অর্থ: “আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই রোদের মধ্যে নিয়ে এসে হাসি-খুশি মুবারক করছেন? তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম! আমার মহাসম্মানিত ভাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীর মুবারক-এ) রোদ লাগেনি। আমি দেখছি, মেঘ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার উপর ছায়া মুবারক দিচ্ছে। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল কুওওয়াত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দাঁড়ানো শান মুবারক) প্রকাশ করলে মেঘ দাঁড়াচ্ছে, তিনি পথ চলা শুরু করলে মেঘও উনাকে ছায়া দিয়ে চলছে। এভাবে আমরা এখানে এসেছি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে পুনরায় বললেন, হে আমার মহাসম্মানিত বানাত আলাইহাস সালাম! এটা কি সত্যিই? সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! অবশ্যই সত্য। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলতে থাকেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি- আমার মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে যে বিষয়ে তিনি সতর্ক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/১৬৭-১৬৮)

অপর বর্ণনায় রয়েছে,

وَرَاَتْ يَعْنِـىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلسَّعْدِيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ حَلِيْمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَلْغَمَامَةَ تُظِلُّهٗ اِذَا وَقَفَ وَقَفَتْ وَاِذَا سَارَ سَارَتْ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি দেখেছেন- মেঘ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছায়া দিচ্ছে। তিনি যখন থামতেন, তখন মেঘ থেমে যেতো। আর তিনি যখন চলা শুরু করতেন, তখন মেঘও (উনাকে ছায়া দিয়ে) চলতো।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/১৬৮)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বনূ সা’দ গোত্রে দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত পাঁচ বছর বয়স মুবারক পর্যন্ত সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে প্রথম জীবন মুবারক উনার এই মহাসম্মানিত পাঁচ বছরের মহাসম্মানিত স্মৃতি মুবারক সবসময় স্মরণ মুবারক করতেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনাদের পরিবারের যাঁরা ছিলেন উনারা যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত খেদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন, মুহব্বত মুবারক এবং আদর-যতœ মুবারক করেছেন, এই বিষয়গুলি তিনি সব সময় স্মরণ মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর যখন হাওয়াযিনের (তথা হুনাইনের) সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ সম্মানিত মুসলমান উনারা বিজয়ী হলেন, তখন বানূ সা’দ গোত্রের অনেক পুরুষ-মহিলা সম্মানিত মুসলমান উনাদের হাতে বন্দী হলেন। কারণ হাওয়াযিন গোত্রের একটি শাখা ছিলো বনূ সা’দ গোত্র। হাওয়াযিন গোত্র যখন যুদ্ধ করতে আসে, তখন তারা তাদের শাখা গোত্র হিসেবে বনূ সা’দ গোত্রের লোকদেরকেও সাথে নিয়ে নেয়। বানূ সা’দ গোত্রের যাঁরা বন্দী হয়েছেন উনাদের সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি সম্মানিত মুসলমান মুজাহিদ উনাদেরকে বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! অতিশীঘ্রই আপনারা জানতে পারবেন যে, আমি আপনাদের মহাসম্মানিত সাইয়্যিদ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম।’ তখন সম্মানিত মুসলমান মুজাহিদ উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নিয়ে আসেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে পৌঁছলেন, তখন তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّـىْ لَاُخْتُكَ مِنَ الرَّضَاعَةِ قَالَ وَمَا عَلَامَةُ ذٰلِكَ قَالَتْ عَضَّةٌ عَضِضْـتَـنِـيْهَا فِـىْ ظَهْرِىْ وَاَنَا مُتَوَرِّكَتُكَ فَعَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَلَامَةَ فَبَسَطَ لَـهَا رِدَاءَهٗ.

অর্থ: “ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সকলের নিকট বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য) ইরশাদ মুবারক করেন, এর আলামত বা চিহ্ন মুবারক কী? সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি (একদিন) আপনাকে পিঠে উঠিয়েছিলাম। (তখন আজকের এই দিনে আলামত বা চিহ্ন মুবারক উপস্থাপনের জন্য) আপনি আমাকে কামড় মুবারক দিয়েছিলেন। এই হচ্ছেন সেই সম্মানিত দাগ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আলামত বা চিহ্ন মুবারক চিনলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার স্বীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চাদর মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনার জন্য বিছিয়ে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গ্ববাহ্ ৩/৩৭৪, আল ইছাবাহ্ ৭/৭৩৩)

‘আল ইস্তী‘আব ফী মা’রিফাতিল আছ্হাব’ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

فَقَالَتْ لَـهُمْ اَنَا اُخْتُ صَاحِبِكُمْ فَلَمَّا قَدِمُوْا بِـهَا عَلـٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ لَهٗ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا اُخْتُكَ وَعَرَّفَتْهُ بِعَلَامَةٍ عَرَفَهَا فَرَحَّبَ بِـهَا وَبَسَطَ لَـهَا رِدَاءَهٗ فَاَجْلَسَهَا عَلَيْهِ وَدَمَعَتْ عَيْنَاهُ وَقَالَ اِنْ اَحْبَبْتِ فَاَقِيْمِىْ عِنْدِىْ فَاَقِيْمِىْ مُكَرَّمةً مَـحَبَّبَةً وَاِنْ اَحْبَبْتِ اَنْ تَرْجِعِـىْ اِلـٰى قَوْمِكِ اَوْصَلْتُكِ فَقَالَتْ بَلْ اَرْجِعُ اِلـٰى قَوْمِىْ فَاَسْلَمَتْ فَاَعْطَاهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ اَعْبَدٍ وَجَارِيَةً وَاَعْطَاهَا نِعَمًا وَشَاةً.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি মুজাহিদ উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের মহাসম্মানিত সাইয়্যিদ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তারপর উনারা যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নিয়ে আসেন, তখন তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার মহাসম্মানিত দুধ বোন আলাইহাস সালাম।

তারপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি আলামত বা চিহ্ন মুবারক দেখালেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে যাহিরীভাবে চিনলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম (উনার প্রতি বেমেছাল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করে) উনাকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করে স্বীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চাদর মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনার জন্য বিছিয়ে দেন এবং সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চাদর মুবারক-এ উনাকে বসান। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দুই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুনাওওয়ার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চোখ মুবারক) দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি যদি ইচ্ছা মুবারক প্রকাশ করেন, তাহলে আপনি আমার সাথে অবস্থান মুবারক করতে পারেন। যদি আমার সাথে অবস্থান মুবারক করেন, তাহলে আপনি অত্যন্ত সম্মান এবং মুহব্বত মুবারকের সাথে অবস্থান মুবারক করতে পারবেন। আর যদি আপনি আপনার গোত্রের কাছে ফিরে যেতে চান, তাহলে আমি আপনাকে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো। জবাবে তিনি বলেন, আমি আমার গোত্রের নিকট ফিরে যাবো। তখন তিনি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে তিনজন গোলাম, একজন দাসী, প্রচুর সম্পদ ও বকরী হাদিয়া মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইস্তী‘আব ফী মা’রিফাতিল আছহাব ২/১০৫)

অপর বর্ণনায় রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম উনাকে মাকহূল নামক একজন গোলাম, একজন দাসী, অনেকগুলো ছাগল, মেষ এবং উট হাদিয়া মুবারক করে উনাকে উনার গোত্রে ফিরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শায়মা আলাইহাস সালাম তিনি ফিরে গিয়ে আবার বনূ সা’দ গোত্রের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানার্থে সবাইকে ক্ষমা করে দেন এবং অনেক হাদিয়া-তোহ্ফা মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!

-মুহম্মদ আব্দুর রশীদ।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম