কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১১

সংখ্যা: ১৪৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

দক্ষিণ আফ্রিকার “মজলিসুল উলামা” দাবী করেছে যে, কোকাকোলা এবং এ ধরনের সকল কোমল পানীয়তে (soft drinks) খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এ্যালকোহল (Alcohol) মিশ্রিত রয়েছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এবং এ সকল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো এ দাবী বা অভিযোগ অস্বীকার করে না এবং করতেও পারবে না। “মজলিসুল উলামা”-এ দাবীর স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এবং তাদের প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিয়েছে। মানুষের দ্বীন হিফাযতের জন্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টটি হুবহু ‘বাংলায় অনুবাদ’ করে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ।

ধারাবাহিক

মূলত আলোচ্য প্রসঙ্গটি এতটাই গুরুতর, তাৎপর্যপূর্ণ যে, বিষয়টির বাস্তব গুরুত্বের প্রেক্ষিতে শাফিয়ী, মালিকী এবং হাম্বলী মাযহাব, হানাফী মাযহাবের ফতওয়ার সাথে ঐক্যমত পোষণ করে, অর্থাৎ সর্বসম্মতভাবে সকল প্রকার এ্যালকোহল নাজীস বা অপবিত্র এবং হারাম।

আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

ما اسكر كثيره فقليله حرام.

অর্থাৎ- “যা অধিক পরিমাণ নেশাকারক, তার অল্প পরিমাণও হারাম।”

كل مسكر حرام. “প্রত্যেক নেশাকারক হারাম।”

সুতরাং আলিমদের জন্য এমন ফতওয়া দেয়া অনুচিত এবং এর থেকে বিরত থাকা অবশ্য কর্তব্য যাতে উম্মতের কোন দ্বীনি, দুনিয়াবী ও রূহানী ফায়দা নেই যা কেবলমাত্র কাফির-মুশরিকদের আর্থিক স্বার্থ হাছিলে সহায়তা করে।

সংযুক্তি- ই হলো বিগ সিক্রেটস (BIG SECRETS) বা মহা রহস্য সমূহ নামক একটি বইয়ের গোয়িং টু হেল ইন এ শপিং বাস্কেট (GOING TO HELL IH A SHOPPING BASKET) বা বাজারের ঝুড়িতে করে জাহান্নাম গমণ নামক একটি আর্টিকালের অংশ বিশেষ।

এ কয়েকটি পৃষ্ঠাতে COCA COLA এর ইতিহাসের কিছু কৌতূহলোদ্দীপক, আকর্ষণীয় সত্য ঘটনা উপস্থাপিত হয়েছে। এ তথ্যানুসন্ধানমূলক প্রকৃত ঘটনাসমূহ কোকা কোলার উপাদান সম্পর্কিত সুপ্রীম কোর্টের আদালতের বিচারের সময় প্রকাশিত হয়। বইয়ে প্রকাশিত এ রচনায় সিদ্ধান্তমূলকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল নিরূপন করা হয়েছে যে, কোকাকোলাতে এ্যালকোহল রয়েছে।

সংযুক্তি-ই

সার্বিক বিবেচনায় পেমবারটনের পণ্যসমূহের স্বাদ মোটেই প্রীতিকর ছিল না। এবং তাও আবার স্থিতিহীন, কখনও এক রকম আবার কখনও অন্য রকম, এতে ছিল মাত্রাতিরিক্ত জিনিষ। কোন কোন উপাদান ছিল অধিক মাত্রায় আবার কোন কোন উপাদান ছিল একেবারেই অপ্রতুল বা নগণ্য।

ধারণা ও পরিকল্পনা উদ্ভাবনকারীর ঔষধ প্রস্তুত সংক্রান্ত জ্ঞানের ফলে তার দৃঢ় প্রত্যয় জন্মাল যে, যদি পণ্যের স্বাদ উন্নত করতে হয়, স্বাদে ও মানে স্থিতিশীলতা আনয়ন করতে হয় এবং সমরূপতা নিশ্চিত করতে হয় তবে অত্যন্ত সতর্ক ও নির্ভুলভাবে পণ্য বানানোর নিয়ম পদ্ধতি পরিবর্তন করে বিশিষ্ট এবং সতন্ত্র ফর্মূলা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রস্তুত প্রণালীতে কিছু উপকরণ অন্যান্য কিছু উপাদানের সাথে পরষ্পর বিরুদ্ধভাবে সামঞ্জস্যহীন ছিল; একটি আরেকটির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। সহজে গ্যাস বা বাষ্পে পরিণত হয় এমন কিছু উদ্বায়ী অপরিহার্য তেলের গন্ধ অন্য কিছু উপাদান ব্যবহারের ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছিল। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ মিশান হয়েছিল যার একটি তার সংরক্ষণ গুণের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

প্রথম কাজ যেটি সে করেছিল তা হলো পন্য প্রেরণের জন্য যে টিন ক্যান কন্টেইনার বা পাত্র ব্যবহার করা হতো তা বন্ধ করেছিল। এর কারণ ছিল, টিন ক্যান একটি অত্যন্ত প্রত্যাশিত সহায়ক গঠনকারক দ্রব্যের অন্তর্ভূক্তির জন্য বিপদজনক ছিল। কোকাকোলা কোম্পানীতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ছিল যাদেরকে সে নগদ অর্থ প্রদান করেছিল তারা হলো, ওয়াকার, ডোজিয়ার এবং পেমপারটনস, যে কয়েক বছর জড়িত ছিল।

সংরক্ষণ কার্যে ব্যবহৃত দ্বিতীয় যে উপাদানের ইঙ্গিত ক্যান্ডলার দিয়েছিল, তা সহজেই অনুমেয়। অর্থাৎ যে দ্রব্যটি টিনের ক্যান বা পাত্রের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে না, তা হলো ফসফরিক এসিড। এটি টিন ক্যানের সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত টিন ক্যান ফসফেটে রূপান্তরিত হয়। (বর্তমানে কোকাকোলা কোম্পানী স্টেইনলেস স্টিল বা ইস্পাতের পাত্র ব্যবহার করে থাকে) (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন