বাংলাদেশের ৫০ হাজার একরের বেশি জমি ভারতের দখলে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি

সংখ্যা: ২২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশের কয়েক হাজার একর ভূমি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অপদখলে রয়েছে। অপদখলীয় এসব ভূমি উদ্ধারে বর্তমান সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকার এসব ভূমি উদ্ধারে উদ্যোগী হলেও ভারতের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিনা রক্তপাতে বিডিআর গোয়াইনঘাটের পাদুয়া উদ্ধার করলেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দিতে হয়। এজন্য তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। সে সময় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পাদুয়াসহ ভারতের দখলে থাকা সব ভূমি উদ্ধার করা হবে।’ পরবর্তী নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। এদিকে, ভারতের অসহযোগিতার কারণে হচ্ছে না তিন নদীর যৌথ জরিপ। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বরাক এবং বাংলাদেশের সুরমা, কুশিয়ারা নদীর জরিপ প্রকল্প ঝুলে আছে। কয়েক বছর আগে দু’দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) এ জরিপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।

ভারতের দখলে বাংলাদেশের ৫০ হাজার একরের বেশি জমি রয়েছে বলে বেসরকারি হিসাব মতে জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে ভারত বাংলাদেশের জমি দখল করে নিচ্ছে; যা আর উদ্ধার হচ্ছে না বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দখল ছাড়ছে না। পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়- বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার একর জমি ভারতের অবৈধ দখলে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি এলাকায় ১৭০০ একর, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, বোদা গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ২৮২৭ একর, পশুরাম নদীর তীরবর্তী ২০০০ একর, যশোরের শার্শা এলাকায় ৫০০ একর, সিলেট এলাকায় ৩৬৭ একর, সুনামগঞ্জ এলাকায় ৩২৯৫ একর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পীরগঞ্জ এলাকায় ৬৫০০ একর, কুড়িগ্রাম এলাকায় ৩৮০ একর, ফেনীর মাইচার ২৪ একর, সাতক্ষীরার দক্ষিণ তালপট্টি ১০,০০০ একর, ঠাকুরগঁাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকায় ১০,০০০ একর, ডিমলা-সাতীন সীমান্তে কয়েক হাজার একর জমি ভারতের দখলে।

সর্বশেষ বেসরকারি হিসাবে (বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী) সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে জেগে ওঠা চরের প্রায় ৩৫০০ বিঘা জমি ভারত দখল করে নেয়। মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের ২০০০ বিঘা জমি ভারত দখল করে নেয়। জীবননগর উপজেলার ৬১নং মেইন পিলার থেকে ৯নং সাব পিলার পর্যন্ত ৯৫ বিঘা, দামুড়হুদা বাড়াদী সীমান্তের ৮০নং মেইন পিলার থেকে ৮২নং পিলার পর্যন্ত ২৭৫ বিঘা, ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ৮৯নং মেইন পিলার থেকে ৯১ নং পিলার পর্যন্ত ৩০ বিঘা, মেহেরপুর সদর উপজেলার ইছাখালী সীমান্তের ১২১ থেকে ১২২নং পিলার পর্যন্ত ৮২ বিঘা, ষোলমারী ও রুদ্রপুর সীমান্তের ১২৫ থেকে ১২৯ নং পিলার পর্যন্ত ৪০ বিঘা, গাংনী উপজেলার তেঁতুলিয়া, কাজীপুর, বিলধলা সীমান্তের ১৩৩ থেকে ১৪৬নং পিলার পর্যন্ত ৩০০ বিঘা, কুষ্টিয়ার পাকুরিয়া সীমান্তের ১৫৩ থেকে ১৫৪নং পিলার পর্যন্ত ৩৫০ বিঘা এবং ১৪২ থেকে ১৫১নং পিলার পর্যন্ত ৬২৫ বিঘা জমি ভারতের দখলে। মহুরীর চরের ৬৬ একর ৬৩ বছর ধরে ভারতের দখলে। চুনারুঘাটের বাল্লা সীমান্তের ১৪০০ বিঘা জমি ২৩ বছর ধরে ভারতের দখলে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ভারত বাংলাদেশের এবং ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ৪১৫৬ (সমুদ্রসীমা বাদে) কিলোমিটার। নদী সীমান্ত ৯৭৬ কিলোমিটার। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ২১১২, আসামের সাথে ২৩১, মেঘালয়ের সাথে ৪৩৬, ত্রিপুরার সাথে ৮৭৪ ও মিজোরামের সাথে ৩২০ কিলোমিটার সীমান্ত। দক্ষিণ তালপট্টির দাবিদার ভারত। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সর্ববৃহৎ জনপটির নাম তালপট্টি যার দক্ষিণে জেগে ওঠা দ্বীপটির নাম তালপট্টি। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত সেটির দাবি করে আসছে। ১৯৭৪ সালে আমেরিকার স্যাটেলাইটে প্রথমে দ্বীপটির ছবি তোলা হয়। এর থেকে জানা যায়- দ্বীপটির আয়তন ২৫০০ বর্গকিলোমিটার। এখানে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এই দ্বীপটি মালিকানা দাবি করে ভারত এর নাম রাখে পূর্বাশা বা নিউমুর আইল্যান্ড। ভারতের বক্তব্য হচ্ছে- হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর প্রধান স্রোতধারা থেকে দ্বীপটি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ছবি বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বশিরহাট থানার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মূল স্রোত দক্ষিণ তালপট্টিকে বামে রেখে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে। কাজেই দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের। অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের ২৯ হাজার বর্গনটিক্যাল মাইলকে বাংলাদেশ নিজের সামুদ্রিক সীমা মনে করে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা দাবি করে ভারত। ভারত বাংলাদেশের সীমায় প্রবেশ করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান থেকে শুরু করে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশের জায়গা-জমি দখল করে কাঁটাতার দিয়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে আর বাংলাদেশ সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এমনকি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ১৫০ গজের মধ্যে (ভিতর) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার জন্য ভারতকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের চাষাবাদে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধা দিচ্ছে, গুলি করে হত্যা করছে। এতে বাংলাদেশ সরকার রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। পর্যবেক্ষকমহল মনে করে, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান নেয়ার এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের।

মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

মন্তব্য প্রতিক্রিয়া: ‘আল বাইয়্যিনাত যে কথিত ১২টি কালো তালিকাভুক্ত সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা সে সম্পর্কে কতিপয় ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি: * হক্বের একমাত্র ঝাণ্ডাবিহীন ‘আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি অপবাদ দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে -আওয়ামী ওলামা লীগ * ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর ডিজি’র প্রতিক্রিয়া- হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদ আহমদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তরীক্বায়ই চলছে ‘আল বাইয়্যিনাত’। ‘আল বাইয়্যিনাত’ জামাতি-জঙ্গি, ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে সাহসী পদক্ষেপে কাজ করছে তা আমরাও পারি না * স্থানীয় সাংসদ রাশেদ খান মেনন এমপি’র প্রতিক্রিয়া-‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ স্থানীয় সাংসদের কাছে একবার জিজ্ঞাসা করারও প্রয়োজন মনে করেননি দীর্ঘদিন যাবত জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর লেখালেখি দেখে আসছি- (বিস্তারিত পড়ৃন দৈনিক আল ইহসান-২৬.০৪.০৯ ঈসায়ী)

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮