ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৩১

সংখ্যা: ২১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

আমীর ইবনে রশীদ এর জৈষ্ঠ পুত্র তালালকে ফয়সাল ইবনে সউদ বিষ প্রয়োগ করে। ফলশ্রুতিতে ১২৮২ হিজরী সনে (১৮৬৬ ঈসায়ী) তিনি মানসিক রোগীতে পরিণত হন এবং রিভলবার এর দ্বারা আত্মহত্যা করেন। তারপর মু‘তাব, তালালের পর আমীরে পরিণত হন। কিন্তু বান্দার বিন তালাল স্বীয় পিতৃব্য মু‘তাবকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। আবার বান্দার বিন তালাল সে নিজেও তার আরেক চাচা মুহম্মদ আর রশীদ কতৃক হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়। যে পরবর্তীর্তে নজদ এবং রিয়াদ দখল করেছিলো। একই সঙ্গে সে সউদী পরিবারের সদস্য আব্দুল্লাহ বিন ফায়সালকে হত্যা করেছিলো যে মূলত হাইল উপত্যকার দিকে ধাবিত হয়েছিল। আব্দুল্লাহ বিন ফয়সালের ভাই আব্দুর রহমান তার পুত্রের সাথে পালিয়ে যায়। আব্দুল আযীয সে কুয়েতে শরণার্থীতে পরিণত হয়ে অবস্থান করে। মুহম্মদ আর রশীদ তিনি ১৩১৫ হিজরী সনে মারা যান। তার স্থলাভিষিক্ত হয় তদীয় ভাতিজা আব্দুল আযীয, যার নিষ্ঠুরতা ওহাবী মতবাদের পুনরুত্থানের কারণ হয়ে আবির্ভূত হয়। তৎকালীন আল মুহান্না গ্রামে অবস্থানকারী  রিয়াদ, কাসিম এবং বুরায়দার আমীরবৃন্দ  আব্দুল আযীয এর সাথে সংঘবদ্ধ হয়। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল কুয়েত থেকে রিয়াদের উদ্দেশ্যে এক প্রকার দ্রুতগামী ১২টি উটের মাধ্যমে রওয়ানা দেয়। এক নিশি রাতে, ১৩১৯ হিজরীতে সে রিয়াদে প্রবেশ করে। একটি উৎসব চলাকালীন অবস্থায় সে রিয়াদের গভর্নর আযলানকে হত্যা করে। যাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন আব্দুল  আযীয ইবনে আব্দুর রশীদ। রিয়াদের নির্যাতীত অতিষ্ঠ জনগণ তাকে আমীর হিসেবে মেনে নেয়। এভাবেই রিয়াদে প্রতিষ্ঠিত হয় সউদী রাজ্য। তিন বছর ধরে অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ চলতে থাকে। আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রশীদ নিহত হন। উসমানীয়ানরা হস্তক্ষেপ করেন ১৩৩৩ হিজরীতে এবং আব্দুল আযীয ইবনে সউদের সাথে চুক্তি হয় যে সে হবে রিয়াদের মুল ক্ষমতাধর। পরবর্তীতে কাসিম নামক স্থানে রশীদী এবং সাউদীদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আব্দুল আযীয ইবনে সাউদ বহুবার পরাজয় বরণ করে রিয়াদে ফিরে যায়।

আত তানজিমাত কানুন (১৮৩৯) এর দ্বারা প্রবর্তীত রুমী সাল অনুযায়ী ১৩৩৬ সালে  আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের কাছ থেকে বিশেষ উৎসাহ লাভ করে এবং ফতওয়া জারি করে মক্কা শরীফে অবস্থানকারী শরীফ হুসাইন এবং তদীয় সঙ্গীবৃন্দ উনারা নাকি কাফির, নাউযুবিল্লাহ। সে মক্কা শরীফ এবং তায়েফ আক্রমন করে কিন্তু দখল করতে সক্ষম হয়নি।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল