প্রতিবছর বৈদেশিক দেনা শোধে বাংলাদেশের ব্যয় ১০৭০ মিলিয়ন ডলার! বিদেশিক সাহায্যের ৩২ ভাগই চলে  গেছে  দেনা শোধে সঙ্গতকারণেই বৈদেশিক ঋণ কেনা বন্ধ করা দরকার

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

বর্তমানে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এডিবিসহ অর্থলগ্নীকারী সংস্থাসমূহের কাছ থেকে নেয়া শর্তযুক্ত ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশকে বাজেটের একটি বড় অংশ বরাদ্দ দিতে হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশকে বৈদেশিক দেনা শোধে ব্যয় করতে হয় গড়ে ১০৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো জনসেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রভাব ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা যেতো। এতে করে বেড়ে চলেছে মাথাপিছু দেনার পরিমাণ। ১৯৭৪ সালে যেখানে মাথাপিছু দেনার পরিমাণ ছিলো ৬ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার, সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৬ ডলার বা বিশ হাজার টাকা।

গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ ঋণ-সহায়তা এসেছে, তার প্রায় ৩২ শতাংশই চলে গেছে দেনা পরিশোধে। এ প্রেক্ষাপটে বিদেশি সাহায্যের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জুলাই ‘০৯ থেকে জুন ‘১০ পর্যন্ত সময়ে দেশে সব মিলিয়ে ২১৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে নেয়া ঋণ-সহায়তার সুদ-আসল বাবদ সরকারকে শোধ করতে হয়েছে ৬৯ কোটি ডলার। শতকরা হিসাবে যা ৩১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর আগে এক বছরে এত বিপুল পরিমাণ দেনা কখনোই শোধ করেনি বাংলাদেশ।

ঋণের সুদ পরিশোধই এখন সরকারি খরচের সব থেকে বড় ব্যয় খাতে পরিণত হয়েছে। অবস্থাটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকারের মোট ব্যয়ের ১১.১ শতাংশই খরচ হচ্ছে এ জন্য। যা এককভাবে শিক্ষা, প্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষাসহ অন্য সকল খাতের ব্যয়কে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী নিজে সমাপ্য ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেট উত্থাপনের সময় এর তীব্র সমালোচনা করলেও, আগামী ২০১১-১২ অর্থ বছরের বাজেটেও সরকারি ঋণের সুদ পরিশোধই সব থেকে বড় ব্যয় খাত হিসেবেই থেকে যাচ্ছে।

সমাপ্য ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে সরকারের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১,৩২,১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সরকারের নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধের জন্যই ব্যয় করতে হচ্ছে ১৪,৬৭০ কোটি টাকা। এটা মোট সরকারি ব্যয়ের ১১.১ শতাংশ।

উল্লেখ্য আগামী ৩০ জুন সমাপ্য বছরের বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য শুধু ব্যাংকিং খাত থেকেই সরকারকে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিতে হয়েছে। কোনো একক বছরে আর কখনোই সরকার আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এত বিশাল অংকের ঋণ গ্রহণ করেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এ সময়ে আভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ হিসেবে সরকারকে পরিশোধ করতে হচ্ছে ১৩২৭১ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ হিসেবে পরিশোধ করতে হবে ১৪৩৮ কোটি টাকা।

সমাপ্য ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত স্বাভাবিক বিদ্যমান সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ কার্যক্রমের অতিরিক্ত প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এই বিপুল পুঁজি সরকারের একার পক্ষে যোগান দেয়া অসম্ভব।

সরকারের আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে এই বিপুল বিনিয়োগ-ব্যয় সংকুলান করতে গেলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে।

সঙ্গতকারণেই তাই বলতে হয় যে, বাংলাদেশকে অবশ্য অবশ্যই এই বিদেশী ঋণের বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে। এ জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। কারণে অকারণে সরকার বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভর করে। এ সাহায্য পেতে দাতাদের অসম শর্ত মানতে হয়। বিদেশী সাহায্যের নামে আমরা ঋণ ক্রয় করি। প্রকল্পের নামে দাতারা এমন সব ঋণ দেয়, অনেক সময় ওই প্রকল্প আমাদের বা দেশের অর্থনীতির কোনো কাজেই আসে না। ঋণ করে উন্নতি করেছে বা অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে এমন নজির বিশ্বের কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না।

উল্লেখ্য, বিদেশী ঋণ অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি মজবুতকরণে কোনো ভূমিকা রাখে না বরং দেশকে আরো দরিদ্র দেশে পরিণত করে এটা এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য।

উল্লেখ্য, দাতাদের পরামর্শ মতো অনেক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশÑ যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জাতীয় অর্থনীতির অনুকূল নয়। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপত্র মেনে অনেক অনুন্নত দেশই দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যর্থ হয়েছে এবং বৈষম্য বাড়ছে। এটা বাংলাদেশের বেলায়ও সত্য। সত্য কথা বলতে গেলে বলতে হয়, এখন বিদেশী সাহায্য বলতে কিছু নেই, যা আছে তা হলো বিদেশীদের কাছ থেকে ঋণ কেনা।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে দাতাদের দেয়া সব বড় শর্তই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। রাজস্ব খাত সংস্কার, আমদানি বাণিজ্যসহজীকরণে শুল্ক ছাড়, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট প্রণয়নসহ নানা শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এমনকি দাতাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দ্বিতীয় মেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) প্রণয়ন করার প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।  অথচ  বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ শুনে বিশ্বে দরিদ্র দেশের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের কারণে গত ৩২ বছরে দরিদ্র দেশের সংখ্যা ২৬টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৫০টিতে উন্নীত হয়েছে। এ কারণে বিদেশী ঋণের বিরুদ্ধে সর্বত্র জনমত তীব্র হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিদেশী ঋণের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে তারা দ্রুত ঋণ শোধ করে দেবে এবং ভবিষ্যতে আর ঋণ গ্রহণ করবে না। মহাজনী ব্যবসা করা ছাড়াও দাতারা ঋণ গ্রহীতা দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়েও কথা বলে। বিদেশী ঋণ গ্রহণের অর্থই হলো স্বাধীন সত্তা বিসর্জন দেয়া। বিদেশী সাহায্যের উপযোগিতা এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশকেও বিদেশী ঋণের বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে। এ জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। নিজস্ব সূত্র থেকে অর্থের যোগান বাড়াতে হবে এবং সে অর্থ দিয়েই উন্নয়ন কর্মকা- চালাতে হবে। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের বিদেশী ঋণ প্রীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ারও সময় এসেছে। দাতাগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী দেশের অর্থনীতিকে বিকলাঙ্গ করে ফেলার চক্রান্ত রুখতে স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে।

প্রসঙ্গতঃ বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ আমাদের মাঝে স্বদেশ প্রেম নেই বলেই এরূপটি হচ্ছে। আর স্বদেশ প্রেম না থাকার কারণ হচ্ছে আসলে আমাদের মধ্যে ঈমানী অনুভূতি নেই। আর ঈমানী বল না থাকলে ‘ঈমানের অঙ্গ’ স্বদেশ প্রেমও থাকার কথা নয়।

স্মর্তব্য, কাঙ্খিত ও বাঞ্ছিত ঈমানী জজবা পেতে হলে অনিবার্যভাবে প্রয়োজন রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই তা পাওয়া সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল