আর্কাইভ: ‘সুওয়াল জাওয়াব’ বিভাগ

বিভাগ:

সুওয়াল : মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা কে ছিলেন? অনেকে বলে থাকে যে, উনার পিতা ছিল মূর্তিপূজক আযর। এ কথাটা কতটুকু ঠিক? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: লা-মাযহাবীরা বলে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাকি মাটির তৈরি মানুষ। নাউযুবিল্লাহ! তাদের উক্ত বক্তব্য কতটুকু সঠিক?

বিভাগ:

সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাত মাঝে হাযির-নাযির। এ সম্পর্কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের কি আক্বীদা?

বিভাগ:

সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের ঈমানদার ও জান্নাতী হওয়ার বিষয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে থাকে। এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি?

বিভাগ:

সুওয়াল: কেউ কেউ পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ উনার ১১০ নং আয়াত শরীফ এবং পবিত্র সূরা হামীম সাজদাহ শরীফ উনার ৬ নং আয়াত শরীফ- قل انـما انا بشر مثلكم يوحى الى দলীল হিসেবে গ্রহণ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অন্যান্য মানুষের মতো বলতে চায়। তাদের বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য? দয়া করে জানাবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: দেওবন্দী ও ক্বওমীপন্থী অনেক মৌলভী বলে থাকে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি নাকি সর্বপ্রথম ক্বলম সৃষ্টি করেছেন। তাদের এ বক্তব্য কতটুকু শুদ্ধ?

বিভাগ:

সুওয়াল: কেউ কেউ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সূরা আ’রাফ উনার ১৮৮ নং আয়াত শরীফ উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলমে গইব সম্পর্কে জানতেন না। নাউযুবিল্লাহ! এ বিষয়ে সঠিক জাওয়াব দানে বাধিত করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ৯ তারিখ বলে ইদানিংকালে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা জানিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: অনেককে দেখা যায়, দাড়ি ও মোচ কেটে ছোট করে রাখে। অনেকে আবার দু দিকে চেছে মাঝখানে এক মুষ্ঠি রাখে। প্রকৃতপক্ষে দাড়ি ও মোচের সংজ্ঞা এবং রাখার সঠিক নিয়ম কি? জানতে ইচ্ছুক।

বিভাগ:

সুওয়াল: খিলাফত, খলীফা, পীর বা মুর্শিদ, শায়েখ গদীনশীন পীর ইত্যাদি বিষয়গুলির সঠিক ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: অনেকে মনে করে থাকে, পিতা-মাতা জীবিত থাকাকালে মুর্শিদ বা শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হওয়া যায় না। এ ধারণা কতুটুকু শুদ্ধ ও শরীয়তসম্মত? দয়া করে জানাবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাফায়াতে কুবরার মালিক বা অধিকারী। এ সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা জানতে চাই।

বিভাগ:

সুওয়াল : মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা এবং খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ১১তম খলীফা এবং ‘আস সাফফাহ’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ, ব্যাখা-বিশ্লেষণ ও মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই যে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা ‘হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম’ এবং উনার মুবারক উছীলায় যে, অবশ্যই অবশ্যই বর্তমান যামানায় সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবে এ সম্পর্কে দলীল ভিত্তিক বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: উশর কাকে বলে? উশরের বিধান সবিস্তারে জানিয়ে বাধিত করবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: পবিত্র যাকাত দেয়ার সময় নিয়ত করা শর্ত কিনা?

বিভাগ:

সুওয়াল: বর্তমানে দেখা যায় যাকাতদাতাগণ যাকে খুশি তাকে যাকাত ও অন্যান্য দান-ছদক্বা দিয়ে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে যাকাত ও অন্যান্য দান-ছদক্বা কিরূপ ব্যক্তিকে দেয়া উচিত। এ বিষয়ে সম্মানিত শরীয়ত উনার কোন বিধি-বিধান আছে কিনা? দয়া করে জানাবেন।

বিভাগ:

সুওয়াল: আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম, জামাতে মওদূদী, খিলাফত আন্দোলন, ঐক্যজোট, শাসনতন্ত্র আন্দোলন, খিলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী মোর্চা, হেফাযতে ইসলাম তথা হেক্বারতে ইসলাম ইত্যাদি ইসলামী নামধারী যেসব দল রয়েছে তারা পবিত্র ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা জায়িয ফতওয়া দেয় এবং এই গণতন্ত্র ভিত্তিক আন্দোলনকে তারা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বলে থাকে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ-এ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর মধ্যে যারা মশগুল তাদেরকে পবিত্র যাকাত প্রদানের হুকুম দেয়া হয়েছে। এই বরাতে তারা তাদের গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলনকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বলে মানুষের নিকট থেকে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকে। এখন আমার সুওয়াল হচ্ছে- এদেরকে পবিত্র যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা আদায় হবে কি না? আর আদায়কারীরা কোন ছওয়াব পাবে কি না?

বিভাগ:

সুওয়াল: খাঁদযুক্ত সোনা-চান্দির যাকাতের হুকুম কি?

বিভাগ:

সুওয়াল: বেশি লোককে পবিত্র যাকাত দেয়ার জন্য কম দামের খদ্দরের লুঙ্গি ও পাতলা শাড়ি কাপড় পবিত্র যাকাত হিসেবে দিলে পবিত্র যাকাত আদায় হবে কি না?

বিভাগ:

সুওয়াল : যদি কারও একাধিক বাড়ী থাকে অর্থাৎ এক বাড়ীতে সে থাকে এছাড়া আরো বাড়ী তার মালিকানায় রয়েছে। তা অ্যাপার্টমেন্টও হতে পারে অথবা বাড়ীও হতে পারে। তবে তাকে কিভাবে পবিত্র যাকাত আদায় করতে হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল : জিপিএফ-এর টাকা মালিকানা কার? জিপিএফ-এর টাকা যেহেতু যখন প্রয়োজন তখনই উঠানো যায় না, তাহলে কি করে এর উপর পবিত্র যাকাত হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: জীবন বীমার প্রীমিয়ামের উপর (বীমার টাকা+প্রীমিয়ামের টাকা) পবিত্র যাকাত হবে কিনা?

বিভাগ:

সুওয়াল: এফডিআর, এপিএস, ডিপিএস অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিট বা যে কোনো ধরনের সঞ্চয় মেয়াদ ভিত্তিক হলে সেটা নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে উত্তোলন করা যায় না। তাহলে কি নির্দিষ্ট মেয়াদে জমাকৃত টাকার পবিত্র যাকাত হবে না?

বিভাগ:

সুওয়াল: বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কিভাবে পবিত্র যাকাত দিতে হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: যে মূল্যে শেয়ার কেনা ছিলো পবিত্র যাকাত দেয়ার সময় মূল্য বৃদ্ধি পেলে বা কমলে কোন টাকার উপর পবিত্র যাকাত হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: ঔষধ কোম্পানীগুলোর ব্যাঙ্কে টাকা থাকে। আবার মার্কেটে বহু টাকার প্রডাক্ট থাকে। তবে কিভাবে কোম্পানীগুলো পবিত্র যাকাত দিবে? আবার তাদের অনেক টাকা বকেয়া হিসেবে মার্কেটে আছে সেই টাকার উপর কি পবিত্র যাকাত হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: কেউ বিগত বহু বছর পবিত্র যাকাত আদায় করেনি। কিন্তু সে মালিকে নিছাব ছিলো। তখন স্বর্ণ ও রূপার মূল্য বিভিন্ন ছিলো। তাহলে কিভাবে পবিত্র যাকাত আদায় করবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: সারা বছর ধরে পবিত্র যাকাত দেয়া যায় কিনা?

বিভাগ:

সুওয়াল: যেদিন পবিত্র যাকাত দিবে অর্থাৎ যেদিন নিছাবের এক বছর পূর্ণ হবে তার একদিন পূর্বে আরও টাকা হাতে আসলে (যদিও নতুন আসা টাকা এক বছর ছিলো না) কিভাবে পবিত্র যাকাত দিতে হবে?

বিভাগ:

সুওয়াল: কোন একজন মাওলানা (কওমী পড়ুয়া) ওয়াজ করতে গিয়ে বলেছে যে, তওবা বা ইস্তিগফারকালে استغفر الله رب من كل ذنب واتوب اليه (আসতাগফিরুল্লাহা রব্বি মিং কুল্লি যাম্বিউঁ ওয়া আতূবু ইলাইহি) বাক্যের সাথে ولا حول ولا قوة الا بالله العلى العظيم. (ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল ‘আলিয়্যিল আযীম) অংশটুকু পড়া যাবে না। কারণ এরূপ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, এমনকি কোন কিতাবেই নেই। এজন্য আপনারা শুধু استغفر الله رب من كل ذنب واتوب اليه অংশটুকু পড়বেন। আর অবশিষ্ট অংশটুকু ছেড়ে দিবেন। উক্ত বক্তব্য ঠিক হয়েছে কি? না হয়ে থাকলে বহুল প্রচারিত ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ এ বিস্তারিত দলীল দ্বারা প্রকাশ করে এলাকার সাধারণ জনগণের ঈমান-আক্বীদা শুদ্ধ রেখে যাতে সঠিকভাবে আমল করতে পারে সে জন্য অনুরোধ রইলো।