বাংলার বুকে নতুন ইসরাইল সৃষ্টির পাঁয়তারা। আলাদা জুম্মল্যান্ড বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র।  তৈরি করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা। অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে

সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

১৯৭১ সালে বাংলার বীর সন্তানরা পাকিস্তানী শাসকদের কাছ থেকে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশের সূত্রপাত করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বৈদেশিক অপশক্তি সবসময় বাংলাদেশকে পরাধীন ও দেশের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। যার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করা ষড়যন্ত্র। বহুদিন থেকে বৈদেশিক অপশক্তি চেষ্টা করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করে নতুন একটি দেশ গঠন করা। যার নাম দেয়া হবে ‘জুম্মল্যান্ড’।

বহু বছর ধরে পাহাড়ে অশান্তি বিরাজ করছে। মাঝখানে পাহাড়ে কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও নতুন করে আবার পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠেছে পাহাড়ে। পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসীরা স্বায়ত্তশাসন দাবি করছে সরকারের কাছে। এর মধ্যে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) চাইছে স্বায়ত্তশাসন। জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে আন্দোলন চালাচ্ছে। কিন্তু ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) চাইছে পূর্ণ স্বাধীনতা।

দেশের ভেতরে আরেকটি দেশ গড়ার জন্য এই তিনটি গ্রুপ নানান কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলা নিয়ে আলাদা স্বাধীন জুম্মু রাষ্ট্র গঠনের জন্য নতুন চক্রান্ত চালাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে এ কারণে তারা উন্নত দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে। তিনটি গ্রুপই তৈরি করেছে তাদের সামরিক বাহিনী। জেএসএসের সামরিক শাখায় তিন পার্বত্য জেলায় রযেছে ৭শ’র বেশি সদস্য। জেএসএস সংস্কারপন্থীদের রয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ সদস্য। ইউপিডিএফের আছে ৯শ’। সামরিক শাখার সদস্যরা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেশ ও সরকারবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। ফলে পাহাড়ে ১৯৯৭ সালে যে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করেছিল সেই বাতাসে মরুর হাওয়া লাগছে বেশ জোরেশোরেই।

পার্বত্য চট্টগ্রামের এই তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে বিভিন্ন বাংলাদেশবিরোধী দেশ। তিন পার্বত্য জেলায় উপজাতিদের বিচ্ছিন্ন গ্রুপের মজুদ অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে এম কে-১১, জার্মানির তৈরি এইচ কে-৩৩, রাশিয়ার জি-৩, একে-৪৭, একে-২২, এম-১৬ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, চায়নিজ সাব মেশিনগান, এসবিবিএল বন্দুক। এসবই বিদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে এ ধরনের বেশ কিছু অস্ত্র ধরা পড়েছে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড় আর গভীর অরণ্যে চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত অভিযান।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বুক থেকে আলাদা করতে বৈদেশিক শক্তিকে সহায়তা করছে কিছু এনজিও। এসব এনজিও পাহাড়ে সক্রিয়। উপজাতি জনগোষ্ঠীদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র। আর দরিদ্রতার সুযোগ এনজিওগুলো তাদের সবাইকে বানাচ্ছে খ্রিস্টান। তাদের কৃষ্টি কালচার প্রত্যক্ষ করলে মনে হয় এ যেন বাংলার বুকে আরেক সম্রাজ্যবাদী খ-।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, খ্রিস্টান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ (সিসিডিবি), অ্যাডভানটেজ ক্রুশ অব বাংলাদেশ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, গ্রিন হিল, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস), ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান ক্রুশ, শান্তিরানী ক্যাথলিক চার্চ, জাইনপাড়া আশ্রম, তৈদান, আশার আলো, মহামনি শিশু সদন, কৈনানিয়া, তৈমু প্রভৃতি এনজিও’র বিরুদ্ধে তিন পার্বত্য জেলায় খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এনজিওগুলো নানা প্রলোভনে পড়ে দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে পাহাড়ি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। এসব এনজিও প্রতি সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল বিতরণের পাশাপাশি মাসিক অর্থও সাহায্য করছে খ্রিস্টান হওয়ার শর্তে।

ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, মার্কিনী ও ইহুদীদের প্ল্যান মোতাবেক তিমুরবাসীর দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে পাশ্চাত্যের এনজিওরা দ্বীপটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক অপতৎপরতা চালিয়েছে, দ্বীপবাসীকে খ্রিস্টান বানিয়েছে এবং সবশেষে দাবি তুলেছে স্বাধীনতার। মুসলিম রাষ্ট্র সুদানের দক্ষিণাঞ্চলেও পাশ্চাত্যের দেশগুলো দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে একই ধরনের অপতৎপরতা চালিয়েছে। দরিদ্র  বানিয়েছে। এই ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানরা স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছে। সেভেন সিস্টার নামে খ্যাত মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রভৃতি ভারতীয় রাজ্যের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান। আর তাদের পরবর্তী ধাপ হিসেবে কুদৃষ্টি পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, খ্রিস্টান অধ্যুষিত ইউরোপীয় ও মার্কিনী  ঋণদাতাগোষ্ঠী ও এনজিওরা ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। প্রায় দু’বছর স্থগিত থাকার পর ইউএনডিপি এই বছর রাঙ্গামাটি, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও থানচিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

শিশুদেরও খ্রিস্টান করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে পাদ্রিরা। তারা আটটি জেলায় কমপক্ষে ৩০-৪০টি নার্সারি স্কুল খুলেছে। ক্লাসরুমে যিশুর প্রতিকৃতিসহ খ্রিস্টীয় সংস্কৃতির ছবি ও অনুষঙ্গ রাখা হয়। এগুলো দেখিয়ে শিশুদের খ্রিস্টধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অস্ত্র ও মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

উদ্বেগের বিষয়, একটি স্বাধীন দেশের ভেতর এমন একটি পরাধীনতাসুলভ পরিস্থিতি কোনো সময় মেনে নেয়া যায় না। এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা মুক্তিযুদ্ধ! মুক্তিযুদ্ধ বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলি। কিন্তু এক মুক্তিযুদ্ধই যে শেষ নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মহান স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আরো যে অনেক সচেতনতা ও সক্রিয়তা দরকার- সেটা আমরা মনে রাখি না।

এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন খ্রিস্টান রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে যাতে কোনো দেশী-বিদেশী চক্রান্ত সফল না হয় এবং অশান্ত পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।

সেইসাথে সব বিদেশী পর্যটকদের সরকারের অনুমতিছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের ভেতর প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ঘন ঘন সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী যেসব এলাকা রয়েছে সেগুলোতে শক্তিশালী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও উপযুক্ত পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বশেষে সরকার থেকে এসব দেশবিরোধী রাজাকারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল