ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৮ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

সংখ্যা: ১৯৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর æমিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

দামেস্কের কাফেলাকে বাধা দেয়া হয়েছে যাতে হাজীগণ আসতে না পারে। এ খবর মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোড়ন সৃষ্টি করে। মক্কা শরীফ-এর হাজীগণ উনারাও কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং অনুতাপ করতে থাকেন এই ভেবে যে, হয়তো উনাদেরকেও আরাফার ময়দানে যেতে নিষেধ করা হবে। পরের দিন মক্কাবাসীগণ উনাদেরকে আরাফার ময়দানে যাবার অনুমতি দেয়া হয় কিন্তু উটের পাল্কীতে চড়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। প্রত্যেকে এমনকি কাজী এবং আলিম উনারাও আরাফার ময়দানে যান গাধা এবং উটে চড়ে। মক্কা শরীফ-এর কাজীর পরিবর্তে এক ওহাবী পবিত্র আরাফার ময়দানে খুৎবা দেয়। সকলেই মক্কা শরীফ ফিরে আসেন হজ্জের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে। সউদ মক্কা শরীফ-এর কাজী মুহম্মদ ইফেন্দীকে বরখাস্ত করে এবং পরিবর্তে আব্দুর রহমান নামক এক ওহাবীকে কাজীর পদে বসায়। আব্দুর রহমান মক্কা শরীফ-এর কাজী মুহম্মদ ইফেন্দী, মদীনা শরীফ-এর প্রধান কাজী সুয়াদা ইফেন্দী, পবিত্র মক্কা শরীফ-এর নকীব আতায়ি ইফেন্দী উনাদেরকে মাটিতে যাযিমের উপর বসাতে বাধ্য করে। সউদকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সেই ওহাবী উনাদের বলে। উনারা হাত আঁকড়িয়ে ধরে কালিমা শরীফ পাঠ করেন এবং পুনরায় মাটিতে বসে পড়েন। সউদ হেসে উঠে এবং বলে, æআমি আপনাদের এবং দামেস্কের হজ্জ যাত্রীদের নির্দেশ দিচ্ছি সবাই যেন সালিহ ইবনে সালিহ এর তত্ত্বাবধানে থাকে। সালিহ আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমি আপনাদের এই শর্তে দামেস্কে যেতে অনুমতি দিচ্ছি যে, প্রতি বোঝাই উটের জন্য ৩০০ কুরুশ এবং প্রতি গাধার জন্য ১৫০ কুরুশ প্রদান করবেন। এটা আপনাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, এত কম মূল্যে দামেস্কে যাবার জন্য। আপনারা হয়তো আমার তত্ত্বাবধানে আরামের সাথে এবং সুখে যেতে পারবেন। সকল হজ্জ যাত্রী এই শর্তেই ভ্রমণ করবে এবং এটা আমার ন্যায় বিচার। আমি তুরস্কের সুলতান সেলিম খানকে লিখেছি যে কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করা, মৃতদের জন্য কুরবানী করা এবং তাদের ওসীলা দিয়ে দোয়া করা সবই নিষিদ্ধ। সউদ মক্কা শরীফ-এ চার বছর অবস্থান করে।

১৮১২ সালে (হিজরী ১২২৭) মিশরের গভর্নর মুহম্মদ আলি পাশা, তুরস্কের সুলতান মাহমুদ-ই-আদিল উনার নির্দেশে জিদ্দাতে পৌঁছেন। তিনি জিদ্দা এবং মদীনা শরীফ থেকে মিশরীয় বাহিনীকে পাঠান যারা একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে সউদকে মক্কা শরীফ থেকে বিতাড়িত করেন।

সুলাইমান খান-১, যিনি তুরস্কের দশম সুলতান তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ-এর চতুর্দিকের দেয়াল পুনঃস্থাপন করেন ফলে প্রায় ২৭৪ বৎসর দস্যুদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে এবং ১২২২ হিজরী (১৮০৭) পর্যন্ত অর্থাৎ সউদীদের হাতে শিকারীর বস্তুতে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত মুসলমানগণ সেখানে শান্তি এবং সুখে বাস করেন। (অসমাপ্ত)

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল