যামানার মহান ইমাম সাইয়্যিদুনা আসসাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের একের পর এক ধ্বংস দেখে রেজাখানীদের  খালিছ তওবা করে নেয়াটা জরুরী ছিলো সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন-১০

সংখ্যা: ২২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাট্টা গুমরাহ রেজাখানী ফিরক্বার মৌলুভীরা বলে থাকে, সারা বিশ্বের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের একমাত্র মুখপত্র, বাতিলের আতঙ্ক, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে নাকি তথাকথিত সুন্নীদেরকে এবং তাদের নাকিছ ধান্ধাবাজ ইমামদেরকে গালিগালাজ করা হয়, তাদের নামকে বিকৃত করা হয়; যা শরীয়তসম্মত নয় বরং অশালীন। আমরা তাদেরকে বলি, তাদের কথা সঠিক হতো, যদি তারা আদৌ সুন্নী মুসলমান হতো, তাদের কথিত ইমামগণ যদি হক্কানী আল্লাহওয়ালা হতো। অথচ বর্ণিত শর্তের ধারেকাছেও তারা নেই বরং ইলম আমল কাজ কারবারে তাদের বেঈমানী ও মুনাফিকিই হরহামেশা জাহির হয়। এ কারণে তাদেরকে কাট্টা কাফির আবু জাহিলের ন্যায় সম্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম একটি খাছ সুন্নত উনাকে জিন্দা রাখেন মাত্র। সুবহানাল্লাহ!

তারা বলে, তাদের কথিত ইমাম রেজা খানের নাম আহমদকে বিকৃত করে আহম্মক বলা হয়। এটা কাট্টা মিথ্যা কথা। কারণ আহমদ অতি পবিত্র সম্মানিত নাম মুবারক। এ পবিত্র নাম মুবারক বিকৃত করার দুঃসাহস একমাত্র লানতপ্রাপ্তরাই দেখাতে পারে। গুমরাহ ইমাম রেজাখানকে মূলত আহম্মক নামে ডাকার কারণ হলো, সে সম্মানিত পবিত্র আহমদ নাম ব্যবহার করার দাবি করে অথচ সম্মানিত পবিত্র আহমদ নাম মুবারক উনার অর্থ সর্বোচ্চ পবিত্র প্রশংসাকারী। কিন্তু গুমরাহ ইমাম রেজা খানী পাঠানী তার সারাজীবন সমসাময়িক হক্কানী-রব্বানী আল্লাহওয়ালা উনাদের প্রশংসা তো দূরের কথা উল্টো উনাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কুৎসা রটনা করে কাটিয়েছে এবং অপবাদের কলঙ্কময় সিলসিলা জারি করেছে। চরম আহম্মকের মতোই তার বদ আমল জারি রয়েছে বলেই তাকে পবিত্র সম্মানিত আহমদ নাম মুবারকে সম্বোধন না করে উপযুক্ত আহম্মক নামে ডাকা হয়। যেমনটি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে গোলাম আহম্মক কাদিয়ানী বলেই ডাকা হয়। অর্থাৎ কস্মিনকালেও পবিত্র সম্মানিত আহমদ নাম মুবারক উনার যিনি মালিক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোলাম বা গোলামের গোলাম হবারও বিন্দুমাত্র যোগ্যতাই কাদিয়ানীর মধ্যে নেই। বরং সে যে কাট্টা কুফরী শিরকী করে নিজেকে প্রকাশ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাতে সে যে লানতপ্রাপ্ত আহম্মকদেরই কাট্টা গোলাম হবার যোগ্যতা রাখে সেটাই প্রমাণ করেছে। যাদের জন্য নির্ধারিত স্থান হলো ভয়ঙ্কর কঠিন জুব্বল হুযুন জাহান্নাম। নাউযুবিল্লাহ!

গুমরাহ বাতিল রেজা খানী পাঠানীর গুমরাহ অনুসারীদের সাফ সাফ বলি- এখনও সময় আছে তওবা করার। এখনও সময় আছে নিজেদেরকে শুধরানোর। এখনও সময় আছে বেপর্দা-বেশরা থেকে ফিরে আসার। এখনও সময় আছে হারাম ছবি তোলা ভিডিও করা থেকে বিরত রাখার। এখনও সময় আছে কুফরী তন্ত্রমন্ত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ’ উনার জন্য কোশেশ করার। এখনও সময় আছে বিদয়াতী ব্যবসায়ী পীর নামক কলঙ্কদের সংস্রব বদ সোহবত ত্যাগ করার। এখনও সময় আছে হারাম সহশিক্ষার নামে যুবতী মেয়েদের লালসা ত্যাগ করার। এখনও সময় আছে বেদ্বীনি বদদ্বীনি সিরত ছুরত পাল্টিয়ে সুন্নাহ আমলে সুশোভিত হবার। এখনও সময় আছে হক্কানী-রব্বানী ওলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শানে মিথ্যা অপবাদ বন্ধ করার। এখনও সময় আছে যামানার সুমহান ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শানে কুৎসা রটনা বন্ধ করে খালিছ তওবা ইস্তেগফার করতঃ ঈমান-আমলকে নবায়ন করার। সর্বোপরি এখনও সময় আছে নিজেদের ইহ-পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে খোদায়ী আযাব-গযবে মরে গেলে কবরে গুর্জু খাওয়া ব্যতীত কোন গত্যন্তর থাকবে না।

-মুফতী  আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল